আমরা যখন কাজ শিখেছি- আমাদেরকে কেউ হাতে ধরে কাজ শিখায় নাই। একটা জরিপ করেছিলাম একবার ২০০৫/২০০৬ সালে- সারা বাংলাদেশে ২৫০০ মানুষ ইন্টারেষ্টেড ছিলো সর্ব সাকুল্যে সারা বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং ওয়ার্ল্ডে। তো সেই সময়ে যারা উল্লেখযোগ্য পরিমানে চেষ্টা করে গেছে এই ইন্ডাষ্ট্রি কে ডেভেলপ করার জন্য তাদের প্রত্যেককে চিনি এবং তাদের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা মন থেকে চেয়েছি এইটা বাংলাদেশে গ্রোথ করুক বা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করুক। সারাদিনে যদি ২ ডলার উপার্জন করতে পেরেছি তাতেই চিতকার চেচমেচি করেছি সারা বাংলাদেশে খুশীতে। পোষ্টিং দিছি- কনগ্রাটস পাইছি আর ভেবেছি একদিন হয়তো সারাদিন ই ডলার উপার্জনের পথ খুলে যাবে। আজকে হয়েছেই তাই কিন্তু সততা টুকু কমে গেছে ১০০%। তখন সততা ছিলো ১০০%। আমাদের কে যে কাজ দিছে ওডেস্ক এ বা যে কোন মার্কেট প্লেসে - তাতে ভিডিও ইন্স্রটাকশন দেয়া থাকতো ক্লায়েন্ট রা দিতো। আমরা একে অপরকে ফ্রি তে কাজ শিখাতাম। সারা দেশের ভেতরে প্রজেক্ট কমপ্লিট হয়ে যাবার পরে ভিডিও টা শেয়ার করতাম।তখন কার দিনে ব্যবহার করতাম-
উইন্ডোজ লাইভ
ইয়াহু মেসেন্জার
উইন্ডোজ মেসেন্জার
স্কাইপে
আমার ফেভারিট ম্যাসেন্জার ছিলো উইন্ডোজ লাইভ মেসেন্জার। ফাইল পত্র শেয়ার করাটা সহজ ছিলো সাথে ছিলো লাইভ ক্যামেরা অপশন। অনেকের সাথে চ্যাট করে কাজ শিখেছি সারা বিশ্ব থেকে- অনেক ক্লায়েন্ট এর সাথে ভিডিও ম্যাসেন্জার এ কথা বলেছি। সরাসরি লাইভে এসে কাজ দেখিয়ে দিয়েছে- সেই মোতাবেক কাজ করেছি। ভালো রেটিং ও পেয়েছি। প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছি প্রত্যেকেেই যেনো ভালো করে। কিন্তু এখনকার সিচুয়েশন দেখতাছি ভিন্ন। নিজেদেরে মধ্যে ফাইট লেগে যায়- ফাইট তো হবে সারা বিশ্বের মার্কেট প্লেসের ছেলে পেলে দের সাথে- কোয়ালিটি নিয়ে। আর এখন অনলি বাংলাদেশীদের মধ্যে ফাইট শুরু হয়ে যাইতাছে। গুটি কয়েক মার্কেট প্লেসে র মধ্যে লাইফটা সীমাবদ্ধ করে ফেলানেরা একটা বদ্ধমূল ধারনা জন্মে গেছে সবার মধ্যে। যে কাজ শিখেই আপওয়ার্কে জয়েন করে ফেলবো- অবশ্য ই আপওয়ার্ক থেকে কাজ করতে হবে। ফলে নিজেদের মধ্যে তৈরী হইতাছে অযাচিত যুদ্ধ। যেটা অবাঞ্চিত এবং অযাচিত। কাজ জানলে আপনার সামনে হাজারো মার্কেটপ্লেস খোলা আছে-আপনার যেটা মনে চায় সেটাতেই আপনি জযেন করে কাজ করতে পারেন। প্রথম যেদিন দেখলাম মার্কেটপ্লেসে জব পোষ্টিং এ ক্লায়েন্ট রা উল্লেখ করা শুরু করলো যে বাংলাদেশীরা এপ্লাই করতে পারবে না- সেদিন কষ্ট পেয়েছিলাম। ভাবলাম এতো কষ্ট করে সকলের পরিশ্রমের ভিত্তিতে গড়ে তোলা ইন্ডাষ্ট্রি তে এতো বড় অপমান যে বাংলাদেশীরা আবেদন ই করতে পারবে না- কারন কি সার্চ করা শূরু করলাম। কয়েকজন ক্লায়েন্ট এর সাথে কথাও বললাম- তারা জানালো যে কিছূ ছেলে পেলে রা তাদের সাথে চিট করেছে- ডলার নিয়ে আর কাজ করে দেয় নাই। তখন ভুল ভাল বলে ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিতো কারন ইউরোপিয়ান আমেরিকান ছেলে মেয়েরা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি যে কোন মানুষের সাথে তাদের প্রথম ব্যবহার টাও থাকে সুন্দর। তো সেই সুন্দর মনের মানুষগুলোর সাথে যারা আমাদের দেশের নাম ভাঙায়া যারা চিট করেছে বা করতাছে তারা কি বাংলাদেশী নাকি বাঙালী নাম ধারী জারজ? পরে দেখলাম আসলেই এরা নামধারী জারজ যাদের একমাত্র চিন্তা আজ পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রি টা নষ্ট করে ফেলা। তারা তাদের জীবনে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে ১ ডলার ও উপার্জন করতে পারে নাই কিন্তু তারা মিলিয়ন ডলার নষ্ট করার মতোন বুদ্ধি নিয়ে ঘুরে বেড়াবে। অনেক ব্যাপার স্যাপার দেখি ইদানিং যা আমরা সেই ২০০৫/২০০৬ সালে চিন্তাও করি না। কিছু বলি-
- টাকা দিয়ে কোর্স করে বিভিন্ন সোর্স থেকে। কাকে টাকা দিতাছে সে বাস্তবে চিনে ও না। ২/১ টা ক্লাস করিয়ে দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিতাছে রাস্তাতে। পরে সে কান্না কাটি করে এমন এমন পদ্ধতি গ্রহন করতাছে (যেমন পেইড কোর্স বিক্রি করে চলা) ফিউচার এ সে আর ফ্রি ল্যান্সিং করার কোন উপায় পাবে না। কারন তার ব্রেইন হ্যামারেজ হয়ে যাইতাছে। একটা ষ্টুডেন্ট যার মেন্টালিটি ফ্রেস- ছোটবেলা থেকে যার মেধা কে সে যতন করে রেখেছে যে সুযোগমতোন ব্যবহার করবে সে তার পূর্ন মেধাটাই এখানে ব্যবহার করতে পারতো এবং এখানে সে তার জীবন গড়ে ফেলাইতে পারতো। কিন্তু আমাদের দেশের এই অসাধূ চক্র যারা এই ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং ওয়ার্ল্ড টাকে বিনা কারনে নষ্ট করে ফেলানোর চিন্তা করে ফেলাইতাছে- এতে তাদের কি লাভ বলতে পারেন? এরা কি তাদের বংশধর যারা বিনা কারনে ৭১ এ আমাদের বাঙালী বাবা মা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন কে মেরে ফেলাইছে? একটা জিনিস তো সহজে বুঝে যাবার কথা বাঙালীে ছেলে মেয়ে দের যে - সবকিছূ ইউটিউবে দেয়া আছে। তাহলে কেনো আমরা টাকা দিয়ে পেইড কোর্স করতে যাইতাছি যেটা এমন ধরনের এমাউন্ট যা একজন ছাত্র সহজে ম্যানেজ করতে পারার কথা না। একজন ছাত্রের পক্ষে ১৪/১৫/১৬/২০ হাজার টাকা ম্যানেজ করা এক ধরনের অসম্ভব ব্যাপার কিন্তু সে তার বাসা থেকে এই ব্যাপারে প্রেশার দিয়ে আদায় করতাছে যা তার বাবা মা বুঝতাছে না। ঠিক যেনো সেই ২০০১-২০৭ পর্যন্ত এক ধরনের অসুস্থ চক্রান্ত যেমন বিভিন্ন ধরনের ক্লিক বিজনেস গড়ে তুলেছিলো সেরকম- একেকজন ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করে পথে বসে গিয়েছিলো -যাদেরকে পরবরতীতে আমরা নিজের হাতে টেনে তুলেছি নানা ধরনের কাজ বা মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে- তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ইষ্টাবলিশ। বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করে নিজের পরিবারের বা বাবা মার কাছ থেকে নেয়া টাকা পয়সা শোধ করে এখন বহাল তবিয়তে সংসার করে যাইতাছে। বর্তমানে ইন্টারনেটে যে পেইড কোর্স করানো হইতাছে এখানে আমার কাছে যে প্রব্লেমটা ধরা পড়তাছে তা হইতাছে- ইন্টারনেটে না জেনে না চিনে টাকা দেবার কারনে ছেলে পেলে দের সামনে একটা প্রতিবন্ধতকতা তৈরী হইতাছে যা হইতাছে সে ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজের বিনিময়ে ডলার চাইবার পরিমান কমাইয়া দিতাছে যেটা সে নিজে উপার্জন করতে পারতো। কারন ইন্টারনেটে বসে সে ডলার ও উপার্জন করত চাইতাছে আবার টাকা ও উপার্জ ন করতে চাইতাছে। গরীব দেশ বাংলাদেশ- টাকার পরিমান সীমিত ১৭ কোটি মানেুষের দেশে সর্ব সাকুল্যে বাজেট হয় বর্তমানে ১০ লক্ষ হাজার কোটি টাকা। অথচ ডলারের দিক থেকে বাংলাদেশর রিজার্ভ এখণ আকর্ষনীয়। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব কোন মারকেটপ্লেস নাই বা নিজস্ব কোন পেমেন্ট প্রসেসিং গেট ওয়ে ও নাই যার মালিকানা একদম বাংলাদেশ সরকারের। ডলারের রিজার্ভ সংঘবদ্ধ চক্রান্ত চুরিও করে ফেলেছে কয়েকবার যা বর্তমান সরকারের গাফিলতি- আর কোন দেশ থেকে ডলার চুরি যায় না - বাংলাদেশ থেকে যায় কি করে? অন্যান্য দেশ কি ধরনের নেটওয়ার্ক বা েইনফ্রা ষ্টাকচার ব্যবহার করতাছে- কিংবা বাংলাদেশে যারা এক্সপার্ট লেভেলের আইটি স্কলার তাদের সাহায্য নেয়া হইতাছে না কোনো? এদেশে লক্ষের ও অধিক সূর্য সন্তান আছে যারা উন্ন্ত বিশ্বে সফটওয়্যার এবং আইটি এক্সপার্ট। তাদের সাহায্য নিলেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং সফটওয়্যার অনেক দেশের থেকে উন্নত হয়ে যাইতো যেখানে প্রতিনিয়ত হ্যাকারদের ভয় থাকতো না? ফ্রি ল্রান্সিং এবং আউটসোর্সিং ওয়ার্ল্ডে টাকার জগত টা সীমিত আর ডলারের জগত টা সীমাহীন ব্যাপার স্যাপার। সো ডলারের জগতে পা রাখার আগেই যদি আপনি ইন্টারনেটে জগতে টাকার ক্ষেত্রে একটা বাধাতে পড়ে যান তাহলে কি আপনার মেধাটা পরিপূর্ন ব্যাবহার হইলো। আর তাদেরকে কি আপনারা মানুষ মনে করেন যারা আপনাদের কাজ শিখানোর কথা বলে এক্সট্রিম লেভেলে র একটা প্রেশার দিয়ে আপনার জমানো টাকা পয়সা বা আপনার বাবা মা বা পরিবারের কাছ থেকে টাকা পয়সা ভিক্ষা করে নিয়ে যাইতাছে। হাজার হলেও একটা জিনিস মনে রাখা উচিত মুসলমানের জন্য ভিক্ষা করা হারাম।
- বেসিক ইন্টারনেটে না শিখেই লোভে পড়ে ইন্টারনেটে কাজের ব্যাপারে এগ্রেসিভ হয়ে যাবার চেষ্টা করে। আমার কাছে শতকরা ১০ জন আসে এরকম যে সে রেজিষ্ট্রেশন ই করতে পারে না। যে কিনা ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশনই করতে পারে না সে কিভাবে কাজের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলবে। অসহনীয় পর্যায়ের ইন্টারনেটের দাম বা ভ্যালূ এদেরকে আরো পিছনে ফেলে দিতাছে। একসময় কার অত্যাচার আজো যেন বাংলাদেশে বর্তমান। মানুষের রক্ত ঘাম করা উপার্জনের পয়সা ইন্টারনেটের উচ্চ মূল্যের মাধ্যমে দিয়ে ঠিক যেন ১৯৪৫ -১৯৭১ এর প্রজন্মের স্বাক্ষী বহন করে চলতাছে। এদেরকে মদদ দিতাছে আরো এক শ্রেনী যারা কিনা জন্মান্তরে ই খারাপ। সে ক্ষেত্রে কাজ শিখার একমাত্র উপায় ইউটিউব থেকে ভিডিও প্রয়োজনে ডাউনলোড করে কাজ শিখা। ইউটিউবে ফ্রি ভিডিও দেয়া আছে ৯০%। একদম ফ্রি। কোন টাকাই খরচ করতে হবে না ইন্টারনেট প্রাইস দেয়া ছাড়া। প্রত্যেকের ভিতরেই ই্ংরেজী আছে। ই্ংরেজী গ্রামার না পড়ে আপনি স্কুল কলেজ পাস করে আসেন নাই। সো বুঝতে সমস্যা হবার কথা না । একটা ইংরেজী হলিউড সিনেমা দেখে ও অনেক কিছু বোঝা যায়। আপনি আগে নির্ভয়ে দেখা শুরু করেন- দেখবেন আপনার ই্ংরেজী ওকে হয়ে গেছে। প্রয়োজনে আপনি বিটিভির ইংরেজী সংবাদ টা দেখেন- ই্ংরেজী নিউজপেপার দেখেন- কম্পিউটারে বা ভালো মোবাইলে আপনি প্রতিদিন একটা করে ই্ংরেজী মুভি দেখেন। দেখবেন আপনার ইংরেজী কতো বেটার রুপ ধারন করে।
- ইন্টারনেটে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের চিটার বাটপার বসে আছে। যারা ইনফিনিটিভ ডলার এর দুনিয়া ছেড়ে সীমিত টাকার দুনিয়ার মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু করেছে অথচ বুদ্ধিমান তো তারাই যারা ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করে কাজ শিখতাছে আর বন্ধুদের সাথে ডিসকাস করতাছে- নিজেরা টিম বানাই য়া কাজ করতাছে আর দেশ ও নিজের জন্য সম্মান বয়ে আনতাছে। ধরেন আপনি ফিভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন কিন্তু আপনি দেখে হতভম্ব হয়ে যাবেন ৫০+ টিউটোরিয়াল ফিভার নিজেই দিয়ে রেখেছে অনলাইনে। শুধূ দেখা আর এক্সপার্ট হয়ে যাওয়া। আমি ২০০৩ সাল থেকে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোরসিং ওয়ার্ল্ডে র সাথে জড়িত। (২০০৩-২০১১ পার্ট টাইম এবং ২০১১- বর্তমান পর্যন্ত ফুলটাইম) বলতে গেলে আমরা কয়েক হাজার ছেলে পেলে একসাথে প্রথম থেকে এই জিনিসিটা ধরে রেখেছি । রাজনীতিবিদরা ও এই ব্যাপারে আমাদের চেয়ে কম জানে কারন তাদের প্রথম চিন্তা দেশের ক্ষমতায় থাকার ধান্ধা। আর আমরা ইন্টারনেট (সি মি উই ফোর- ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট) আসার পর থেকে একটা জিনিসই ভেবেছি কিভাবে সারা বাংলাদেশের মেধাকে কাজে লাগানো যায়। আর সেই চেষ্টাতে বর্তমানে ভাটা পড়ে যাচ্ছে কারন চোখের সামনে দেখতাছি - আমাদের চোখের সামনে পোষাকে স্মার্ট, কাগজে কলমে স্মার্ট, আচার আচরনে স্মার্ট, জীবন ধারনে স্মার্ট আর ইন্টারনেটে আইসা হইয়া যাইতাছে ব্যাক্কল- চিনে না জানে না ফট করে টাকা দিয়া বসতাছে আর দুইদিন পড়েুই চিটার বাটপার গুলা লাপাত্তা হয়ে যাইতাছে বা এক শ্রেনীর কুলাঙ্গার দের দাপট দেখাচ্ছে আর প্রতারিত হয়ে স্মার্ট ছেলে মেয়ে গুলো চোখের পানি ফেলাইতাছে- প্রতিনিয়তই অভিযোগ পাইতাছি আর কষ্ট ও পাইতাছি। এমন তো হবার কথা ছিলো না। একেবারে গনহারে সবাই যে খারাপ তা বলতাছি না। অনেকে আছে ট্রেনিং সেন্টার মেক করে সরকারের অনুমতি নিয়ে কোয়ালিফায়েড ছেলে পেলেদের মাধ্যমে কাজ শিখাচ্ছে- তারা ভালো। অনেকে আছে সামাজিক দায় বদ্ধতার জায়গা থেকে নাম মাত্র মূ্ল্যে একটা পারিশ্রামিক নিয়ে ইউটিউবে বা যে কোন লাইভি ভিডিও শেযারিং করে কািজ শিখাচ্ছে সেটাও রিজনেবল- যদি ও এখানে সরকারের একটা অনুমতির প্রয়োজন কারন যে কোন কোর্সেরই একটা প্রত্যয়ন থাকে- যেমন আমি একটা গ্রুপ চিনি যারা মাসে মাত্র ৩০০ টাকা করে নেয় একজন ষ্টুডেন্ট এর কাছ থেকে যেটা রিজনেবল বা সহনশীল কিন্তু আরো কিছূ গ্রুপের প্রমান পাইলাম যারা ৪ মাসের কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিতাছে আর ক্লাস করাচ্ছে (অনলাইন লাইভ ভিডিও শেযারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে এবং এমন এমন লাইভ শেযারিং প্রোগ্রাম ইউজ করতাছে যা সচরাচর পরিচিত না বা আমরা কমনলি ইউজ করতাছি না। বাংলাদেশে একটা আইন আছে- টাকা নিতে হলে আপনাকে রিসিট দিতে হবে যেখানে সরকারের এপ্রুভালের প্রয়োজন। মিনিমাম আপনাকে মন্ত্রনালয় বা অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়া আগাতে হবে। মন চাইলো আর সারা বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমানের টাকা নিয়ে ব্যবসা খুলে বসলাম তাহলেই তো হলো না। আপনি যে কোন ধরনের কোর্স করাবেন প্রফেশনালি- আপনি অনুমতি নিয়ে করেন। তাহলে সবধরনের ইন্টারনেট প্রেশার থেকে রেহােই পাওয়া যাইতো)। ২/৩ দিন আর তার পরেই লাপাত্তা। এরা আসলে কারা আর কোনে দেশের মার সন্তান যে বাংলা র সহজ সরল সাধারন ছেলে পেলে গুলোরে ধরা খাওয়ােইতাছে।
- যাই হোক যে সকল প্রতারকরা প্রতারনা র ফাদে ফেলে ইন্টারনেটে টাকা পয়সা উপার্জন করতাছে(লাইভ শেযারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে - তাদেরকে বলি আপনারা সত হোন। ানেষ্টলি করান যাতে কোন অভিযোগ না থাকে এবং কোর্স শেষে আপনি প্রত্যয়ন পত্র দেন এবং প্রথমে সরকারের নিজস্ব ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমতি নেন। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলতে আমরা মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে একটি সরকার ব্যবস্থা কে বুঝাই।যেখানে আপনাকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বাধীন বাংলাদেশে র মন্ত্রনালয়/অধিদপ্তরের অনুমতি/লাইস্নেস নিয়ে কাজ শিখাতে পারবেন বলেই মনে করি।) তাদেরকে বলতে হয় আপনারা আলাদা নেটওয়ার্ক মেক করে নেন যেমন ম্যান - মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা অফলাইন কানেক্টিভিটি। কারন আমরা যারা ফুলটাইম ফ্রি ল্যান্সার তাদের উপরে একটা চাপ পড়ে। আপনারা যেহেতু স্বাধীন ভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে পারতাছেন সো আমি বিশ্বাস করি আপনার যদি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে বলেন- তাহলে তারা আপনাদেরকে একটা আলাদা অফলাইন কানেক্টিভিটি সিষ্টেম বিল্ড আপ করে দিবে যেখানে খুব বেশী ইন্টারনেট ব্যবহারের পয়োজন পড়বে না আর আপনারাও মনের মতো ইন্টারনেটের কথা বলে গ্রামে গঞ্জে চিটার বাটপারি ব্যবসা চালাইয়া যাইতে পারবেন এবং প্রয়োজনে যারা আপনাদের সাহায্য করবে তাদেরকে ভাগ বাটোয়ারা দিতে পারবেন (আমরা ছাড়া)। যেমন ল্যান - লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কেমর মাধ্যমে চ্যাট করা বা ফাইল আদান প্রদান করা যায় যেখানে ইন্টারনেটের প্রযোজন হবে না। সারা দেশে মোবাইল এর টাওয়ার আছে- ব্যাপারটা চাইলেই সহজ। অফলাইন ইন্টারনেট সেটআপ করা একদমই সহজ।
- ইন্টারনেট শব্দটা ই্ংরেজী। সো কাইন্ডলি ইংরেজদের জলার /পাউন্ড/ইউরো উপার্জন করে নিজেও ধন্য হোন- দেশ ও জাতিকে ও ধন্য করুন।
টু বি কন্টিনিউ--------চলবে।