Translate

Saturday, December 28, 2019

বাংলাদেশের আউটসোর্সিং ওয়ার্ল্ড। অভিজ্ঞতার আলোকে ।

দিনে দিনে নানা কারনে আউটিসোর্সিং ওয়ার্ল্ড টাফ হয়ে যাইতাছে। এর কিছু কারন আমার চোখে লেগেছে। 

প্রথমেই জানাইতাছি একচেটিয়া ভাবে ব্যবসা করে গেছে একসময়কার দাপুটে ওয়েবসাইট ওডেস্ক। ২০০৩-২০১৫ টানা ব্যবসা করার পরে তারা বাংলাদেশ থেকে ব্যভসা গুটিয়ে চলে গেছে। চলে যাবার আগে তৈরী করে দিয়ে গেছে আপওয়ার্ক যেটাতে  একণ কাজ পাওয়া বা প্রোফাইল টিকাইয়া রাখা অনেক টাফ। 

একসময় কার খুব প্রচলিত ওয়েবসাইট  ই- ল্যান্স। তারা ও চলে গেছে বাংলাদেশ থেকে। ওডেস্ক এবং ইল্যান্স মিলে সম্মিলিত ভাবে অপারেশন চালাচ্ছে আপ ওয়ার্ক নামে। 

রিসেন্টলি চলে গেছে ক্লিক ব্যাংক । বাংলাদেশের অণ্যতম বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট ছিলো। তারা তাদের এফিলিয়েট ফ্যাসিলিটি বাংলাদেশ থেকৈ বন্ধ করে দিছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে অপারেশন টার্গেট নিয়ে এসেছে মাষ্টারকার্ড। তারা নিজেরাই স্বনামে অপারেশন শুরু করেছে। প্রত্যেক ফ্যিল্যান্সার মাষ্টার কার্ড লোগো, পাইওনিয়ার মাষ্টারকার্ড লোগো, এটিএম, ব্যাংক উইথড্র এগুলোর সাথে পরিচিত। কয়েকবছর আগে তারা চালূ করলো পাইওনিয়ার ভ্যাংক টু ব্যাংক ইনফরেমেশন। আমি নিজে ১৫ বছর চেষ্টা করার পরে পাইছি পাইওনিয়ার কার্ড। এর মাঝে কন্টিনিউয়াস চেষ্টা করে  গেছি-১০/১২ বার রিকোয়েষ্ট করেছি কিন্তু কোনবারই কার্ড আমার হাতে এস পৌছাই নাই। এর মাঝে একবার চেষ্টা করলাম পাইওনিয়ার ব্যাংক টু বাংলাদেশ ব্যাংক  এ মার্কেটপ্লেস থেকে ইউথড্র দিতে- সাসসেস ও হলাম- চার্জ কাটলেঅ অনেক। শেষে ১৫/১৬ মাস আগে থেকে পাইওনিয়ার কার্ ব্যবাংক একাউন্ট  থেকে সরাসরি প্রাইভেট ব্যাংকে লেনাদেনা করতে পারলাম। 

আজো দেখা পাইলাম না ফুল ফেস পেপাল ডট কমের। অনেক ধরনের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ১০০%  ফ্যাসিলিটিজ আর চালূ হিইলো না। যতোটুকু হয়েছে ততোটা ফ্রিল্যান্সারদের ডিমান্ডের উপরে ভিত্তি করে। এখর আর পারসোনাল একআউন্ট ওপেনের চিন্তা কেউ করে না। শুধূ ফ্রিল্যান্সারদের জণ্য ফুল ফেজ বিজনেস/মার্ন্ডাইজিং/ই কমার্স/পেপাল ডট মি একাউন্ট পাইলেই খুশী। আমাদের দেশ থেকৈ ছেলে পেলেরা যে পন্থা গুলো ব্যভহার করতাছে-

১) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজনেস সেকশানে বাংলাদেশের আইড কার্ড, কেডিট কার্ড, ব্যাংক ইনফরমেশন, পাইুনিয়ার ভ্যাংক ইনফরমেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড ভেরিফিকেশন করে কাজ চালাযে যাচ্ছে। 

এখন শুধূ ভেরিফায়েড ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য ভিডিও ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে হলে ও ফুল ফেস অপারেশন টা চা লু হলে অনেক কাজের সুবিধা হবে। 

২) পরিচিত বাংলাদেশী যারা দেশের বাহিরে থাকে (নাগরিক)তাদের নামে তৈরী করা পেপাল ডট কম একাউন্ট ব্যবহার করা যাইতাছে।

৩) অনেক সময় ক্লায়েন্ট নিজেই একাউন্ট দিচ্ছে ব্যভহার  করার জন্য।

আমি আমার ক্লায়েন্ট এর ভেরিফায়েড বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করি এবং বাংলাদেশ তেকে পেমেন্ট বিডি এর সাহায্য নিয়ে এক্সচেন্জ করে থাকি।

এখনো সারা বাংলাদেশে রয়ে গেছে স্বল্প গতির ইন্টারনেট। গ্রামাঞ্চলের বেশীর ভাগ ই ছেলে পেলে ই দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার কেরতে পারতাছে না। তারা ইউজ করতাছে মোবাইল ইন্টারনেট। মোবাইল ইন্টারনেট এ আবার বেশীর ভাগ সময়ে নেট ওয়ার্ক থাকে না। ফ্যি ল্যান্সিং ওয়ার্ল্ডে দ্রুত গতির ইন্টারনেট না থাকলে কেউই কাজ করতে পারবে না। দেশে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে লাষ্ট দেখা ৫০ লাখ লোক । আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যভহার করে কয়েক কোটি মানুষ। গ্রামে গঞ্জে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন না দিয়ে মোবাইল সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে আর কতো বেনিফিট দেয়া- তাও তাদের ইনআরনেট প্যাকেজের দাম ও অনেক চড়া।

আরো আছে কিছু গাদামির মতো ব্যাপার। স্কুল কলেজ এ আমরা সবাই ইংরেজী পড়ে পাস করে সার্ফিকেট ম্যানেজ করে এসেছি। আর ইন্টারনেটে কাজ শেখার ব্যাপারে ইউটিউবের সাহায্য না নিয়ে  স্ক্রিন শেয়ার মেথডে কাজ শিকার চেষ্টা করতাছি । এ যেনো সাগরে সাতার না কেটে পুকুরে সাতার কাটাার মতো। সারা বিশ্ব থেকে সেরা সেরা লোকেরা ইউটিউবে ভিডিও মেক করে রেখেছে- তাদের ভিডিও না দেখে লোকালি আর কতোটা শেখা যাবে? এতে করে লাভ হেইতাছে গুটিকয়েক সুবিধাভোগী লোকজনের আবার অনেকে বলে দেশের শীর্ষস্থানীয় লোকজনদের ও। একই সাথে ব্রেইনটাও যাইতাছে যা আর কখনো ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং ওয়ার্ল্ডের জন্য পারফেক্ট নাও হইতে পারে- ঠিক যেনো এক ধরনের ব্রেইন ওয়াশ। স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদেরকে তাদের বাবা মার অনুমতি ছাড়া কাজ না শিখানো টা আমার মতে ভালো হবে ।

অনুমতি না নিয়ে হঠাত করে কাজে নেমে যাওয়াও এক প্রকার বাধা। কয়েকদিন কাজ করার পরে বাসা বাড়িতে অশান্তি- ঝামেলা এবং অপার সম্ভাবা কে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়া। ফরে ভবিষ্যতের জ্যণ একটা ক্ষতিও হয়ে যওেয়া। আমার মতে যাদের সত্যিই দরকার তারাই সবসময় কাজ করে যাওয়া। আর যাদের দরকার নেই- তারা পড়াশোনার ক্ষতি না করে শুধূ অবসর সময়ে কাজটা অল্প অল্প করে শেখার চেষ্টা করা ইউটিউব দেখে দেখে - আর নিজেকে প্রিপেয়ার করে যাওয়া। হয়তো একসময় কাজে লাগতে পারে। অনেক েধরনের কোম্পানীই বাংলাদেশ থেকে চলে যাইতাছে । এখন নিজেকে ম্যানেজ করে প্রিপেয়ার করার পরেও ঢামেলায় পড়ে যাইতে হতে পারে। তারপরেও থেমে নেই সবাই। চেষ্টা এবং কাজ দুটোই চলতাঝছ সমান তালে।  সবাই মিলে ধরে রাখার চেষ্টা।  আরো অনেক নতুন নতুন পন্থা আছে- 

১)  এফিলিয়েট মার্কেটিং
২) পারসোনাল পোর্টফোলিও (ই কমার্স প্লাগ ইন) 
৩) পারসোনাল ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট
৪) ইকমার্স স্টোর
৫) আরো কিছু পন্থা........চলবে।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl