আমরা অনেকেই ইদানিং মনে করতাছি নিজস্ব একটা চ্যানেল ওপেন করে ৪০০০ ঘন্টা এড করলেই আমার চ্যানেলটা মনিটাইজেশন এর উপযোগী হবে। কিন্তু একটা জিনিস ভেবে রাখা দরকার যে- এই মূহুর্তে গুগল ইউটিউব মনিটাইজেশন বাংলাদেশ থেকে অফ করে দিছে সো এখন আপনাকে অন্যান্য মনিটাইজেশন এর সাহায্য নিতে হবে। এখানে প্রকাশ থাকে যে- সবচেয়ে ভালো নেটওয়ার্ক -গুগল ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকেও- ফ্রিডম ডট টিএম। (http://www.freedom.tm)
আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইভার থাকতে হবে ৫০০০। আর সর্বশেষ মাসে ৫ লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এখন আসি কিভাবে ওয়াচ টাইম এড হয়? আপনি যখন কোন ইউটিউব ভিডিওতে মিনিমাম ৩০ সেকেন্ডস চোখ রাখবেন তখনই আপনি একজন ভিউয়ার হয়ে যাবেন। ক্ষেত্রবিশেষে এইটা ১ মিনিট ও হইতে পারে কারন ভিডিও এর দৈর্ঘ্য যদি ১ ঘন্টা বা তারো বেশী হয় তাহলে ১টা ভিউজ কাউন্ট হইতে পারে সেকেন্ডের কম বেশী হইতে পারে। আপনি কিভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিও তে ভিউয়ারস বাড়াবেন বা এড করবেন সেই ব্যাপারে আমার একটা ব্লগ পোষ্ট আছে - যদি পড়ে নেন তাহলে খুটিনাটি অনকে কিছু বুঝে যাবেন। ব্লগ এড্রেস: ইউটিউব ভিউজ
এখন আসেন ইউটিউব ভিউজ এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ডলার উপার্জন হবে?
আপনি যদি মনে করে থাকেন শুধু ভিউজ বাড়লেই আপনার উপার্জন হবে ব্যাপারটা সঠিক না। আপনার উপার্জন হবে তখনই যখন একজন ভিজিটার আপনার ভিডিও এর ভেতরে থাকা বা স্থাপন করা ইউটিউব এড বা এডভারটাইজ এ ক্লিক করবে বা ভিজিট করবে তখন আপনার একটা উপার্জন আইসা জমা হবে। ।এখন যদি আমার একটা ভিডিও তে আমি ১ মিলিয়ন ভিউজ এড করলাম বা কোন ধরনের টেকিনক ছাড়াই এক মিলিয়ন ভিউজ পেয়ে গেলাম আর সেখানে থেকে কোন এড ক্লিক হলো না বা এড ভিজিট হলো না তাহলে তো আমার মনিটাইজেশন একাউন্টে কোন ডলার বা সেন্ট এড হবে না। আর আমার ১ মিলিয়ন ভিউজ এর মধ্যে যদি ১ লাখ ও ক্লিক করে ভিডিও এর মধ্যে প্রদর্শন করা এড এ তাহলে ও সেখানে আপনার ভালো উপার্জন হবে। যদি একটি ক্লিকের মূল্য ১০ সেন্ট হয়ে তাকে তাহলে ১ লাখ ক্লিকের জন্য আপনি পেয়ে যাবেন:
১০ সেন্ট * ১ লাখ ক্লিক= ১০০০০ ডলার । এখন যদি এড এর প্রাইজ আরো বেশী হয় ধরেন ৩০ সেন্ট বা ৩০ ডলার তাহলে আপনার উপার্জনের লেভেল কেমন হবে?
এখন আসেন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করি?
প্রথমে ভাবতে হবে যে আমার ভিডিও এর ভিজিটর কারা? তারা কি ধরনের এড পছন্দ করে? এখন মনে করেন আপনি ইউটিউবে নাটক বানাচ্ছেন। এখন আপনার নাটকের ভিজিটর সকল ধরনরে মানুষ কিন্তু আপনি আপনার নাটকের জন্য এড সেট আপ করলেন স্পেন বা আফ্রিকান কোন এড। তাহলে কি সেটাতে ক্লিক আসবে বা ভিজিট হবে। মিনিমাম ১০০ সেকেন্ড থাকতে হয় কোন ওয়েবসাইট বা এ্যাপে আপনার মনিটা্জইজেশনের ভিজিটর হইতে হলে । বাংলাদেশী নাটকের ভিজিটর বাংলাদেশীরা। সেক্ষেত্রে আপনাকে এড সেট আপ করতে হবে গুড়া সাবান বা কাপড় ধোয়ার সাবান বা কাচা বাজার বা লবন বা এই ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় এড এর। তাহলে সেই এড টা দর্শক রা ভিজিট করবে এবং সেটা আপনার জন্য লাভজনক হবে। আবার এখন যদি বাংলাদেশী কোম্পানী বা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী গুলো এড ই না দেয় তাহলে তো আপনি আরো বিপদে পড়বেন। যেমন ইন্টারনেটে কাজ করা অবস্থায় সেদিন দেখলাম সারিকা সাবরিনের নাটকের এড যা নাটকের প্রমোশনাল ডিপার্টমেন্ট সেট আপ করেছে এডওয়ার্ডস এ বাংলাদেশ লোকেশন দিয়ে। যার ফলে এক নাটকের ভেতরে অন্য এক নাটকের প্রমো দেখে তা দেখতে ইন্টারেষ্টেড হই। নাটকের নাম : An Affair.
যেহেতু গুগলের এড মনিটাইজেশন এখন আর বাংলাদেশ কে এপ্রুবাল দিতাছে না এবং গুগলেল চেয়ে বড় নেটওয়ার্ক এখন ফ্রিডম নেটওয়ার্ক সে ক্ষেত্রে পারফেক্ট রেজাল্ট পাইতে হলে আপনাকে মাষ্ট বি ফ্রিডমের এডভার্টাইজার হতে হবে। সেটা আরো একদিন ডিটেইলস আলোচনা করবো।
এছাড়াও অনেক অনেক মনিটাইজেশন চ্যানেল আছে যেখানে আপনি আপনার চ্যানলে রেজিষ্ট্রেশন করে সহজেই মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে সব কিছু দেখে আপনি যদি সততার সহিত কাজ করেন তাহলে আপনি মাষ্ট বি বেনিফিটেড হবেন। সকল মনিটাইজশেন চ্যানেল নিয়ে আরো একদিন ডিটেইলস আলোচনা করবো। কোনটাতে কিভাবে আবেদন করবেন?
আপনার প্রোডাক্ট যদি ইন্টারন্যাশনাল হয় তাহলে আপনি এখন এড্ওয়ার্ডের সাহায্য নিতে পারেন। আর যদি আপনি লোকাল এডর্ভার্টাইজার হোন তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে এই মূহুর্তে ইউটিউব মনিটাইজেশন এর এপ্রুভাল আর পাওয়া যাইতাছে না। সো আপনার এড কি কারেন্ট লোকেশেন শো হইতাছে? যদি কোন ক্ষতি হয় আপনার চ্যানেল বা ব্রান্ডের। আর গুগল কিংবা ইউটিউব নিশ্চয়ই এতো বোকা না যে আমরা সমানে ভিউজ কিনবো আর তারা সেখানে মনিটাইজেশন রান করে যাবে? মনিটাইজেশন এ গেইনার হবার মেইন উপায়ই হইতাছে সততা। যদি আপনি সোশাল মিডিয়া প্যাণেল ব্যবহার করেন আর আপনার ভিডিওতে মিলিয়ন ইভেন বিলিয়ন ভিউজ ও জেনারেট করেন তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে ইউটিউব জানে যে আপনি কোথা থেকে ভিু্জ আনলেন। যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া এক্সচেন্জ ও ব্যবহার করেন তাহলেও আপনাকে মনে রাখতে হবে যে ইউটিউব কিংবা গুগল জানে যে আপনি কোথা থেকে ভিউজ জেনারেট করে আনতাছেন। সো অনেষ্ট ওয়ে হইতাছে ইউটিউব এসইও করা। ইউটিউব এসইও করে আপনি যদি আপনার মনিটাইজ করা চ্যানলে হাজার হাজার ভিউজ জেনারটে করতে পারেন তাহলে এইটা ক্লিয়ারলি বলা যাবে যে আপনি লক্ষ ডলার উপার্জন করতে পারবনে সহজেই। আর গুগল কিংবা ইউটিউব এইটা সহজেই জানে যে আপনি ইউটিউব বা গুগলে ঠিক কোতাকার লোকেশন ব্যবহার করতাছেন এবং এট এ টাইমে আমাদের দেশর সকল চ্যানলে ও তারা অফ করে দিতে পারে যদি তারা দেখে যে আপনি ফল্ট করে চলতাছেন। এক কথায়েএইকানে চালাকি করার কোন উপায় নাই। আর যদি কারো চ্যানেল একেবারে অফ করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে তার ভিডিও কন্টেন্ট কেন ব্যান্ড করে দেয়াও অসম্ভব কিছু না। আর আমার বিডিও কন্টেন্ট যদি নাটকে সিনেমার নায়ক নায়িকা ও হয়ে তাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের ইউটিউব বা গুগল ডট কম ইমজে চিরকালের জন্য খারাপ হয়ে যাইতে পারে। সো চলেন সবাই সততার সহিত ফ্রিডম ডট টিএম ব্যবহার করি তাহলে হয়তো এই মূহুর্তকার আপনার ক্ষতি টা পোষাইয়া নেয়া যাইতে পারে। গুগল এডসেন্সের ক্ষেত্রে এই ধরনরে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় নাই। আপনি যখনই ইন্টারনেটে আসেন বা ব্যহার করেন আর চেক ইন দেন বা ব্রাউজার ওপেন করেন তখন প্রোগ্রামাররা রা তো মিনিমাম জানতে পারবে যে আপনি কোথা থেকে ইন্টারনেট কানেক্টেড হইতাছেন?
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl