Translate

Thursday, April 30, 2020

শাহবাগের গনজাগরন। তালিকাগ্রস্থ রাজাকারের ফাসি চাই।

শাহবাগের গনজাগরন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা রাজাকারের অস্তিত্ত্ব একদম ঘুরাইয়া দিছে। ১৯৭১ সাল থেকে রাজাকারের যে ক্ষমতা গড়ে তুলেছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায়- সে ক্ষমতা একবার ভাংগা হয়েছিলো ১৯৯০ এর গন জাগরনে। তারপরেও রাজাকার কে ফাসির কাষ্টে ঝুলানো যায় নাই। ২০১৩ সালের গনজাগরনের সেই ক্ষমতা একেবারে পুরোপুরি ভেংগে দেয়া হয়েছে। রাজাকারেরা বুঝতে পেরেছে তারা একটা ভুল দেশে বসবাস করতাছে- এই দেশটাকে তারা মন থেকে ভালোবাসে না। তারা ভালোবেসে দুরবর্তী অন্য আরেক দেশকে। যাদের সাথে আমার কৃষ্টি-ঐতিহ্য- কালচার- সংস্কৃতি কোন কিছুরই মিল নাই। যাদের সাথে আমাদের সীমান্তের ও কোন মিল নাই। যাদের সাথে আমাদের চেহারা ঐতিহ্যের ও কোন মিল নাই। তারা বসবাস করে মুরভুমিতে- আমরা বসবাস করি সুবজে। তারা বসবাস করে অন্য এক ভাষাতে- আর আমরা বসবাস করি বাংলা ভাষাতে। 

যদি তারা মানুষ হতো তাহলে নিশ্চয়ই ২৫ মে মার্চের কালো বা ভয়াল রাতে একসাথে এতো মানুসের প্রান নিতো না। তারা শয়তানের বংশধর- ডেভিল জেনারেশন। শয়তানের মতো বাংলার মা বোনের ইজ্জত লুন্টন করেছে ৭১ এ। তাদেরকে শেষ করার জন্য কমিটি করতে হয়েছে ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি। বলতে গেলে তাদের জন্য প্রান দিয়ে গেছে শহীদ জননী জাহানার ইমাম। তাদেরকে আজো পুরোপুরি বাংলা তেকে শেষ করা যায় নাই। ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকাশিত স্বাধীনতা যুদ্বের বিরোধিতাকারী ১১০০০ রাজাকারের তালিকা এখন অনেকেরই হাতের মুঠোতে। এই তালিকা ধরে যদি তাদেরকে শেষ না করা যায় তাহলে বাঙালী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাবে না। একদম ১০০% দালাল রাজাকার মুক্ত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশে যদি একজন জয় বাংলা পন্থী মুক্তিযোদ্বা বিসে থেকে নি;শ্বাস নিতে পারে তাহলে সকল মুক্তিযোদ্বাদের সম্মান জানানো যাবে। সব রাজাকার মৃত্যুর ১ মিনিট আগেও যদি তাকে গলা চেপে ধরে মারা যায় সেটা হবে বাঙালীর বিজয়। সো অবিলম্বে তালিকাগ্রস্থ রাজাকার দের ফাসি কার্যকর করে মুক্ত স্বাধীন বাংলা দেখার সৌভাগ্য যেনো তরুন প্রজন্ম পায় সে ভাবেই কাজ করা উচিত। তালিকায় নতুন করে কোন রাজাকারের নাম এড করা হবে না। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে কিছু নাম আদালতের গোচরে আনা হতে পারে।  

শাহবাগ গনজাগরনের সব স্লোগান সত্যি বলে প্রমানিত হবে। শাহবাগ গনজাগরনের সময়কালীন সব স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিবে এইটা গনজাগরন পন্থী সকল মানুষেরই চাওয়া। যারা গনজাগরনের অংশগ্রহন করেছে তাদের যে স্বপ্ন- সে লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে অনকেগুলো রাজনৈতিক দল। আছে জাতীয় গনসংহতি আন্দোলন বা এনডিএম এর মতো তরুন প্রজন্ম ভিত্তিক রাজনৈতকি দল। এ ধরনের তরুন পজন্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলেঅকে বেজমেন্ট করে সামনে আগািইয়া গেলে বাংলাদেশের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। আমি মনে করি ১৯৯০ এর গনজাগরনের প্রেক্ষাপটে-- এইটা সমস্ত ধরনের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দরেল ব্যর্থতা যে আজো তালিকাগ্রস্থ ১১০০০ রাজাকারের অনেকেই জীবিত - যাদের ফাসির আদেশের অপেক্ষায় আছে সারা বাংলাদেশ। আর এইটা শাহবাগ গনজাগরনের সবচেয়ে বড় পাওয়ার যে তারা নির্বিঘ্নে বসবাস করতে থাকা রাজাকারকে ধরে ফাসি দিয়ে দিছে- ইভেণ একসময়কার শিল্পমন্ত্রী যার দ্বারা বাংলাদেশের পতাকা সবচেয়ে বেশী অপমান হইছে বা একসময়কার তুখোড় রাজনৈতিক নেতা- সা.কা কেও ফারি মঞ্চে যাইতে হয়েছে। বাঙালী সবই বুজে- বাঙালী  জন্মগ্রহন করে ফিডার খায় নাই। 

শাহবাগ গনজাগরনের অংশগ্রহনরত সেনাদেরকেই একসময় দেশ রক্ষা করতে হবে- সংসদ কাপাতে হবে কারন তাদের মনে জমে থাকা সব দাবী এখনো পুরন হয় নাই বা তাদের বুকে জমে তাকা সব স্বপ্ন সফলতার মুখ দেখে নাই। তাদের দাবী অনুযায়ী এখন প্রায়শই রাজাকারের ফাসি হইতাছে আর পৃথিবীতে জমে থাকা সব মৃত মুকিতেযাদ্বারা দিনে দিনে জীবিত হয়ে মুক্ত ভাবে ঘোরাফেরা করতাছে যা দেখলে জীবিত মুক্তিযোদ্দারা খুশিতে লাফিয়ে উঠে। 

তরুন প্রজন্মের সরকার বলতে গতানুগতিক রাজনৈতিক দলের সরকারকে বোঝানো হয় নাই- তরুন প্রজন্মের সরকার বলতে  শাহবাগ গনজাগরনের অংশগ্রহনরত তরুনদের সরকার ব্যবস্থঅকে বোঝানো হয়েছে। আমার নিজের কোন দিন এদেশে এমপি বা মন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা নাই কিন্তু আমি শাহবাগ গনজাগরনের তরুন প্রজন্মের দ্বারা গঠিত সরকার ব্যবস্থাকে দেখতে চাই। 


No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl