মানুষকে শারিরীক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করা যুদ্বের একটা কৌশল। একটা মানুষকে যদি আপনি সুদীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচার করতে থাকেন- নানা ভাবে এবং নানা কৌশলে এবং আপনি যদি হঠাৎ করে তার উপর থেকে দয়া পরবশ হয়ে অত্যাচার টা সরাইয়া নেন তখন কিন্তু যে অত্যাচারিত হইতাছিলো সে কিন্তু সেই অত্যাচারটাকে খুজবে বা খুজে বেড়াবে। কারন সুদীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচারিত হবার কারনে তার জীবনের সহ্য ক্ষমতা সেই লেভেল পর্যন্ত পৌছাইয়া দেয়া হয়। যারা সম্মুখ যুদ্বে বা যুদ্ব ক্ষেত্রে পরািজিত হয় তারা পরবর্তীতে প্রতিশোধ নেবার জন্য সামাজিক এবং সামরিক আধা সমারিক বাহিণীর মাধ্যমে এই কৌশল টা প্রয়োগ করে এবং এতে করে যারা অত্যাচার করে তারা একটি পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। এখন যে অত্যাচারিত হইতেছিলো সে যখন ছাড়া পাবে তখন তার বিশ্বটা তাকে দেখবে এবং তাকে খুশী করার চেষ্টা করবে। সে ক্ষেত্রে সে যদি ভালো পরিমান ক্ষমতাবান হয় তাহলে সে ও প্রতিশোধ নেবে। আর প্রতিশোধ নেবার সিদ্বান্ত যদি আন্তর্জাতিকভাবে হয় তাহলে সে ও কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। একটা মানুষ যুদ্বক্ষেত্রে যতোটা কষ্ট যন্ত্রনার স্বীকার হবে বা অত্যাচারিত হবে তার সম্মান তার দেশে দিনে দিনে বেড়েই চলবে। কয়েকদিন আগে করোনা পরিস্থিতির ভেতরে ইটালীতে এক মেয়েকে এক অত্যাচারের কারাগার থেকে ফেরত আনা হয়- তাকে অপরিসীম অত্যাচার করার পরেও সে জানে বেচে আছে এবং এর পরিনামে ইতালী আভ্যন্তরীন ভাবে কি এ্যকাশন নেয় সেটা দেখার বিষয়। আমাদের দেশেও ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্বের সময় যারা হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে এবং ১০ মাস বা তার চেয়ে কম বেশী অত্যাচারিত হয়েছে তারা কিন্তু আজো অমর- তাদের অমর ত্যাগ তিতীক্ষার কারনে আজ আপনি স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশে দাড়িয়ে কথা বলতে পারতাছেন।
যে সকল যুদ্ব অনেক দিন ধরে হয় এবং সেখানে যদি গুরুত্বপূর্ন কাউকে ধরা যায় তাহলে তার উপর চলে অমানসিক শারিরীক এবং মানসিক অত্যাচার। তারা মনে করে অমানষিক এই অত্যাচারের কারন তারা যুদ্বে জেতে গেলো - কিন্তু মূলত যে অত্যাচারিত হয়েছে তার সাথে অনেক সময় দিন দুনিয়ার বাদশা থাকে। অত্যাচার এবং জুলুম এই দুইটা জিনিস কোন ধর্মেই এলাও করা হয় নাই। সো এইটার একটা ধার্মিক রি এ্যাকশন ও আছে। মুলত ইংরেজী হলিউড ছবিগুলোতে দেখা যায় কতোভাবে এবং কি কি ভাবে মানুষকে অত্যাচার করা হয় যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবিতে দেখানো হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ অত্যাচার চলে এই বিশ্বে যদি সিআইএ কাউকে ধরতে পারে। ইদানীং কালে ইরাকের আবু গারিব জেলে র অত্যাচার ও অনেক বিখ্যাত। এই ধরনের টর্চার সেল গুলো অনেক সময় অনেক দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে ব্যবহৃত হয়- অনকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য আদায় করার জন্য।
এই সকল কারন ছাড়াও অনেক সময় মানূষকে বিনা কারনে অত্যাচার করা হয়- আমাদের দেশে সংখ্যালঘু হিসাবে। বিনা কারনে আপনি যদি কাউকে অত্যাচার করেন তাহলে আমার মনে হয় আপনি বেচে থাকার সুখটা হারিয়ে ফেরবেন- আপনার আর বেচে থাকতে ইচ্চা করবে না- কারন প্রত্যেকটা মানুষকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনার জীবনের সুখ কেড়ে নিবে আর তার সাথে তো রয়েছে যে অত্যাচারিত হয়েছে তার অভিশাপ। গরীব মানুষ যখন অভিশাপ দেয় তখন সেই অভিশাপটা গায়ে লাগে কারন আপনি গরীব মানুষকে কষ্ট দিয়েছেন। সো কাউকে কষ্ট দেবার মন মানসিতকতা বাদ দিয়ে পারলে উপকার করবো আর না পারলে কোন অত্যাচার করবো না- এই মানসিকতা যদি বজায় রাখতে পারেন তাহলে আমি মনে করি মানুষ হিসাবে আপনি সফল এবং স্বার্থক হবেন। মানুষ যে সফলতা বা স্বার্থকতা পায় তার পিছনে সৃষ্টিকর্তার একটা অবদান রয়ে যায় সব সময়- উনার আশির্বাদ, কৃপা এইগুলো কাজে লাগে অনেক সময়।
আমাদের পৃথিবীতে একটা প্রবাদ চালূ আছে- ভালো মানুষের ভাত নাই- আসলে ভালো মানুষকে যদি আপনি অত্যাচার করেন কোন ভাবে তাতে সে যখন কষ্ট পাবে সেই কষ্টটা র পরিবর্তে সৃষ্টিকর্তাও আপনাকে কোন না কোন ভাবে আঘাত করবে। কারন দেখেছি পাপ করার কারনে হাশরে বা আখিরাতে তো বিচার হবেই- দুনিয়াতেও এই জিনিসের ফল ভোগ করতে হবে। মৃত্যুর আগে হলেও সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সেই অত্যাচারে গ্রেফতার করবে যেই অথ্যাচার আপনি বিনা কারনে মানুষের উপরে প্রয়োগ করে থাকেন।
ময়মনসিংহে একটা লোকাল কথা আছে- “কেউ যায় পাপে, কেউ যায় তাপে” যার আরকেটা মিনিং আমরা করে থাকি- ” পাপ তার বাপরেও ছাড়ে না”। আমাদের দেশে অনেকেই আছে শয়তানকে ও বুদ্বি দেয় আর যার সাথে শয়তান থাকে কপালদোষে তার অনেক কিছুই সফল হয় না- কারন সৃষ্টিকর্তা শয়তানকে সবসময় অভিশাপে রাখেন ফলে সে ভালো মানুষের অনেক ক্ষতি করে থাকে- তখন ভালো মানুষ যে কষ্ট পায় বা সে স্যাক্রিফাইস টুকু করে তার বিনিময়ে একসময় না একসময় সৃষ্টিকর্তা উত্তম বিনিময় দান করে থাকেন।
যেমন ধরেন আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্বারা স্বাধীনতার পর থেকে অত্যাচারিত। আজো মুক্তিযোদ্বারা অনেক সময় অনেক খানে দু;খ দুর্দশায় কষ্টে পতিত আছে। আপনি যদি জেনে শুনেও তাদের মধ্যে কাউকে উপকার না করেন বা তাদের পাশে না দাড়ান তাহলে আপনি ও একদিন এমন কোন বিপদে পড়বেন যা আপনি ঠাহরও করতে পারবেন না। মানুষ হিসাবে মুক্তিযোদ্বাদের পাশে দাড়াণো আপনার দ্বায়িত্ব। মুক্তিযোদ্বারা দেশ স্বাধীন করার পর থেকে অপমান এবং অবহেলার কারনে যে পরিমান অত্যাচারিত তাতে আমাদের কাছে মনে হয় যে এর বিনিময়ে কঠিন আজাব ভোগ করতে ইতে পারে। কারন তারা দেবতা সমতুল্য মানুষ। দেশটা স্বাধীন হয়েছে আজকে ৪৮ বছর কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন মুক্তিযোদ্বাকে এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে পারলাম না। যেমন শুনলাম না যে অমুক মুক্তিযোদ্বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । কেউ বা কারো নামের আগে এই শব্দটা ব্যবহৃত হয় না। যেমন আমি যদি বলি- মুক্তিযোদ্বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেরকম- এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্বাদের সব্বোচ্চ সম্মান সংসদের মন্ত্রী। আমি একজন মুক্তিযোদ্বাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। যে কিনা কোন কিছু চিন্তা না করে - বাবা মা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন সবাইকে ছেড়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্বে জয় বাংলা বলে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এবং ১০ মাস যুদ্ব শেষে ফিরে এসে কাউকে ফেরত পায় নাই- বাবা মা স্বধীনতাবিরোধীদের হাতে জবাই হয়ে গেছে, বোন, খালা, ধর্ষিতা হতে হতে মারা গেছে- ক্ষেত খামার সবকিছূ তে নিহত হওয়া বাঙালীদের হাড় গোড় রয়ে গেছে এবং বিগত ৪৮ বছর ধরে দীর্ঘশ্বোস কে সংগে নিয়ে বেচে আচে- সেরকম একজন জয় বাংলা স্লোগানধারী মুক্তিযোদ্বাকে সরকারপ্রধান পদে আসীন করতে পারলে আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশী দের কাল হাশরের দিনে মুক্তি মিলবে আর নয়তো সৃষ্টিকর্তার সামনে আপনাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত হইতে পারে- যে আমার আপনার জীবত অবস্থায় আমি আপনি মুক্তিযোদ্বাদের কে সব্বোচ্চ কতোটা সম্মানে সম্মানিত করেছি। একজন মুক্তিযোদ্বা যে কিনা ১০ মাস ১০ দিন ধরে ৭১ এ দেশ পাহারা দিয়েছে এবং দেশের জণ্য যুদ্ব করেছে- সে যে স্বপন বুনেছে সেখা্নেই রয়ে গেছে এদেশের প্রকৃত মুক্তি এ্বং স্বাধীনতা - আর নয়তো অভাব দু:খ, দুর্দশা কষ্ট এগুলো হবে বাংলাদেশীদের নিত্য সংগী।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl