[গল্পের চরিত্রের সাথে যদি কারো মিল থাকে তাহলে স্বজ্ঞানে স্বইচ্ছায় সেটাকে এভয়েড করে যাবেন এবং গল্পের সাথে আপনি নিজেকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না। গল্পটা কাল্পনিক]
১৯৯০ সালে গনজাগরন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি ১০/১১ বছর বয়সের সুন্দর একটি ছেলে একটি ওরাল সেক্সুয়াল মেয়েদের গ্রুপের দ্বারা ধর্ষিত হয়। মেয়েগুলোর বয়স ছিলো ২২/২৩। এই ব্যাপারটা সেই ছেলেটার মনের মধ্যে দাগ কেটে যায়। মেয়েগুলো ছেলেটাকে পরিপূর্ন ভাবে ধর্ষন করে নাই কিন্তু ছেলেটা একটা মানসিক অশান্তিতে পড়ে যায়। সে যা চিন্তা করে মেয়েগুলো তা শুনতে পাইতো। ছেলেটা সেই বয়স থেকেই রাজাকার বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত। রাজাকার গোলাম আযম, রাজাকার দেলোয়ার হোসনে সাঈদী এবং রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী এর ফাসির দাবীতে সারা বাংলা উত্তাল। মারা গেছে শহীদ নূর হোসেন- যার গায়ে এবং পিঠে লিখা ছিলো- ”স্বৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্তু মুক্তি হোক”। তৈরী হলো একাত্তারের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি- স্বেচ্চায় জয়েণ করলো সেই ছেলেটা অল্পবয়স্ক হিসাবে। তার পরেই এই বিপদ- একদল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে ছেলেটাকে আন্দোলনের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটা রুমে বন্দী করে এবং তাকে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে সাইকোলজিক্যাল টর্চার করে। ছেলেটা ব্যাপারটা মন থেকে ভুলতে পারে না। তারপর থেকে সেই ছেলেটা একটা মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়লো। ছেলেটা যা যা চিন্তা করে মেয়েগুলো তাই তাই শুনতে পারে- এক ধরনের রেসপন্স এর ব্যাপার স্যাপার শুরু হয়ে গেলো। একদিন ছেলেটা নিজেকে পরীক্ষা করলো এবং মনে মনে সেই মেয়েগুলোর সাথে কথা বলে দিন তারিখ ঠিক করে দেখা করলো- বাস্তবে কোন যোগাযোগ না করে। পরে দেখলো মেয়েগুলো সত্যিই সেই খানে এসে দাড়িয়ে আছে কিন্তু বাস্তবে কোন যোগাযোগ হয় নাই। কোন টেলিফোন বা কথা বার্তা নাই। এমনিতেই ইথারনেটের মতো যোগাযোগ করে ছেলেটা মেয়েদের সামনে দাড়িয়ে ব্যাপারটা বলে দিলো যে সে একটা মানসিক অশান্তিতে আছে এবং সে এইটা এনজয় করতাছে না। মেয়েগুলো ব্যাপারটাতে সিরিয়াসলি নিলো এবং কিছুটা হতচকিতও হয়ে গেলো। ভাবলো ছেলেটা যেহেতু সরাসরি জিজ্ঞাসা করলো সেহেতু সরাসরি উত্তর দেয়াই ভালো। কিন্ত ছেলেটা যখন বললো যে সে ব্যাপারটা এনজয় করতাছে না- তখন মেয়েগুলো হতচকিত হয়ে গেলো। অসম বয়সী একটা সম্পর্ক আনফিনিশড অবস্থায় থেকে গেলো- হয়তো মেয়েগুলো ভেবেছিলো ছেলেটার সাথে তারা সেক্স করবে। তাদের সে কাজটা আনফিনিশড থাকার কারনে দুই জনেই অসম্পূর্ন একটা সম্পর্কে পড়ে গেলো। তারপরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। ১৯৯২ সালে মারা গেলো শহীদ জননী জাহানার ইমাম।
রাজাকারের ফাসির দাবীতে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেলো অনেকটা। ২০০১ সালের দিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করার পরে ছেলেটার মনের মধ্যে জমে থাকা ইচ্চাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। সে মেয়েটাকে ইন্টারনেটে খুজে বের করার চেষ্টা কলেো কিন্তু কোন হদিস পাইলো না। ছেলেটার যতোটুকু মনে হলো মেয়েটা বিয়ে শাদী করে তার জামাইকে নিয়ে দেশের বাহিরে চলে গেছে। তাই আর সেদিকে না এগিয়ে অণ্য আরেকটা অসম্পূর্ন কাজের ব্যাপারে (দালাল রাজাকারের ফাসি) - সেই ব্যাপারে সারা বিশ্বে বাঙালী প্রজন্ম কে এক করার চেষ্টা করলো এবং সম্মতি আদায় করতে থাকলো। সকলেই সম্মতি দিলো। টানা ১০/১১ বছর সম্পতি আদায় করার পরে হঠাৎ এরই মধ্যে একদিন শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলনের ডাক পড়লো। ছেলেটা যেইখানে পূর্ববর্তী গনজাগরনের সাইকোলজ্যিকাল টর্চারের খপ্পড়ে পড়েছিলো- সে সেখানেই থাকলো এবং সারা দেশের মানুষকে সংগঠিত করার পেছনে সময় ব্যয় করতে থাকলো। শাহবাগ গনজাগরনের তুমুল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজাকারের ফাসির দাবীতে সমস্ত শক্তি ব্যয় করা হলো এবং পরিশেষে প্রথম ফাসি কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকর করা হলো। সেই ১৯৯২ সোলে জাহানার ইমাম মারা যাবার পর থেকে এই ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছেলেটা সেই সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় পড়ে নাই- মানে ছেলেটা যা ভাবতো বা চিন্তা করতো মেয়েটা তা শুনতে পারতো না। এর মাঝে ছেলেটার আবারো সেই আধা ভৌতিক টাইপের সমস্যাটা শুরু হলো (ছেলেটা যখন একা থাকে তখন এই ব্যাপারটা হয় কিন্তু যখন অনেক মানুষের সাথে থাক তখন এই ব্যাপারটা আর কাজ করে না)- ছেলেটা যা চিন্তা করে মেয়েটা শুনতে পারে এবং কিন্তু বিবাহতিা হবার কারনে রেসপন্স করে না। এখন তো ছেলেটা মনে মনে ভাবতাছে কি পাগলই হয়ে গেলো নাকি? মাঝে মাঝে একা একাও কথা বলতো নেশা পানি খেয়ে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলো যে এইটা কি কোন সমস্যা? সকলেই উত্তর দিলো যে না এইটা কোন সমস্যা না। তোর মাঝে কোন পাগলামি আছে কিনা? তো ছেলেটা বললো যে না কোন পাগলামি নাই? তাহলে অনেকেই বললো যে একা একা কথা বলাটা কোন পাগলের লক্ষন না। এইটা মানসিক কিংবা শারিরিক যন্ত্রনা থেকে ও হইতে পারে। তারপরেও ছেলেটা কয়েকজনকে পরীক্ষা করতে বললো- তো বলতাছে না কোন সমস্যা নাই। ছেলেটার মনের খচখচানি আর যায় না- সে চিন্তা করতে লোগলো কেনো মেয়েটা তার কথা শুনবে (সর্বশেষ মেয়েটা ছেলেটার কাছ থেকে অনকে তথ্য নিছে- ছেলেটার কয়টা গার্ল ফ্রেন্ড আচে- সে কয়টা গার্ল ফেন্ডের সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হেইছে, সেই মেয়েটার কথা মনে পড়ে কিনা) তার কি নিজস্ব কোন জগত নাই ? নিজস্ব কোন স্বাধীনতা নাই ? তার মনের জগতে অপর আরকেজন মানুষ কেনো বিচরন করবে? তার আগেও ১৯৮৬/৮৭ সালে আরো ২ টা মেয়ে কর্তৃক ছেলেটা অরালি এবং সাইকোলজিক্যালি টর্চার হয়েছিলো। ১৯৯২ সালে রাজাকারের ফাসির আন্দোলন শুরু হবার পরে এবং ২০০১ সালে পুনারয় সংঘটিত হবার আগে পর্যন্ত ছেলেটার মনের ভেতরে যে পরিকল্পনাটা ঘুর খাইতো সেই পরিকল্পনাগুলো তারা ক্যাচ করতো ফলে কোন ভাবেই রাজাকারের ফাসি কার্যকর করা যাইতছিলো না। ১৯৮৬/৮৭ সালে যে টর্চার সেটা ছিলো জামাত শিবির পন্থীদের টর্চার। আর ১৯৯১/৯২ সালে যে টর্চার সেটা ছিলো মুক্তমনা মেয়েদের টর্চার। ১৯৮৬ -১৯৯২ ছিলো ছেলেটার জন্য কারন আইডেন্টিফিকেশন, আর ১৯৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ছিলো ছেলেটা সারা দেশে গোপনে সংগঠিত হবার প্রেরনায়- যে আবারো দাড়াতে পারলে নিশ্চিত রাজাকারের ফাসি হবে এবং হয়েছেও তাই।
কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকর হবার পর থেকে এবং নিয়মিত ফাসির রায় কার্যকর করার প্রেক্ষিতে ছেলেটা মনে মনে সুখী হইতে লাগলো কারন তার অনেকদিনের স্বপ্ন বাস্তবয়ান হইতাছে- রাজাকারদের ফাসি হইতাছে। সেই আগেকার অত্যাচারের প্রেক্ষাপটে ছেলেটা খুবই ভালো একজন মনোরোগ বিশেষেজ্ঞের সাহায্য নিলো এবং ক্লোজ ডোর মিটিং এ সব কথা খুলে বললো তো ডাক্তার এক বছরের জন্য ঔষুধ দিলো এবং বললো- তেমন কোন সমস্যা নাই। সেই ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিরাতে ঠিকমতো না ঘুমানেরা জন্য মনের মধ্যে একটা প্রেশার তৈরী হয়েছে -যার ফলস্বরুপ মাঝে ামঝে স্পেস পাইলে তুম একা একা কথা বলো বা মনের মাঝে অন্য কারো কথা শুনতে পাও- এটাকে তুমি হেলুসিনেসন হিসাবে ধরে নাও, আর ছেরেটাও পূর্ব থেকে এরকমই ভাবতো। আর এখন তো মানুস ইউটিউবে বা ফেসবুকে বা যে কোন সোশাল মিডিয়াতে ক্যামেররা সমানে দাড়িয়ে একা একা কথা বলে, (একা একা অনেকেই মুকাভিনয়ও করে), যাদেরকে আমার সোশাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলে থাক। ছেলেটা প্রথম দিন থেকেই ইন্টারনেট এর সাথে জড়িত এবং বুঝতে পারলো তার অনেক দিনের ইচ্চা পুরন করার জন্য এই ধরনের একটা ঝামেলার মধ্যে সে পড়েছিলো।
টানা ১ বছর ডাক্তারের দেয়া ঔষুধ খেয়ে ছেলেটা এখন ৯৯.৯০% ভালো এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্য অনকে অনেক ভালো হয়েছে। একবার ঘুমালে টানা ১২ ঘন্টা ঘুমাতে পারে এবং ধীরে ধীরে সে নিজেকে আত্মস্থ করে নিতে পেরেছে। এখন স্বল্প আকারে মাঝে মাঝে একা থাকলে বা বদ্ধ রুমে থাকলে একাকি আনমনে কথা বলে উঠে ৯ানেকটা কবিতা বা গল্প রচনা করার মতো) আর যদি কেউ থাকে তাহলে মনে মনে ভাবে - যাই ভাবার তাই যাই আসে অটোমেটিক মনের মধ্যে- তাই?
ছেলেটা একটা পর্যায়ে ভাবতেছিলো রাজাকারদের পরিকল্পনা কতো ডেন্জারাস ছিলো যে জয় বাংলা বলতে পারা ছোট্ট শিশুটা র মনের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল প্রেশার তৈরী করে রাজাকারের ফাসির আন্দোলন বানচাল করতে যাইয়া আজকে তারা প্রতিদিনিই ফাসি নিতাছে। আরো ১১ হাজার রাজাাকরের তালিকা প্রকাশমান - সারা দেশের তালিকাগ্রস্থ রাজাকারের ফাসির দাবীতে অপেক্ষমান এখনো সেই ছেলেটা। আশা করে দেশবাসী সকল রাজাাকরের ফাসি সম্পূর্ন করে নতুন করে একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরী বা রচনা করবে যেখানে কোন মানুষ কোন ধরনের কষ্ট পাবে না। ছেলেটা স্পষ্টত বুঝতে পেরেছে ১৯৮৬/৮৭ সালে সংঘটিত জামাত শিবিরের ২ টা মেয়ে কর্তৃক অরাল টর্চার থেকে পুরোপুরি শান্তি মিলবে এই দেশে র সকলা রাজাকার - তালিকাগ্রস্থ সহ এর ফাসি কার্যকর হবার মধ্য দিয়ে?
এই পুরোটা আন্দোলনে েছেলেটার মনের মধ্যে থেকে সাহস শক্তি যুগয়েছে যে মেয়ে সে একজন সমবয়সী সোনালী চুলের বিদেশীনি যাকে ছেরেটা ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসে। সেই মেয়েটাও এই আন্দোলনের শরীক ছিলো - যে গল্প হবে আরেকদিন?
পরিশেষে: জয় বাংলা একটা প্রানের ভাষা যা কোন ধরনের শারিরীক মানসিক প্রেশার তৈরী করা ছাড়ােই এমনিতেই অটোমেটিক বের হয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl