কবুতর নিয়ে আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে। সাদা রংয়ের কুবতর। শুনেছি এই কবুতর খুব দামী কারন এইটার মাথাতে টিকলি আছে। এইটা বলে শুধূ রাষ্ট্রীয় অনুষ্টানে ব্যবহার করা হতো। এইটা নিয়ে একটা কাহিনী শুনেছি বাংলাদেশ সামরিক বাহিণী বা বাংলাদেশ সরকারের কোন অনুষ্টান বা প্রোগ্রাম হইলে- সেখানে যে এই কবুতর পালে তাকে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার সামনেই কবুতর কে উড়াইয়া দেয়া হয়। শুনেছি অনেকখানে কুবতর তার মালিকের পিছি পিছি বা আগে আগে ই মালিকের বাসাতে চলে আসতো। সাদা রংয়ের কবুতর শান্তির ও প্রতীক।
এই কবুতরের অনেক নাম আছে- সাদা পায়রা, সাদা কবুতর, সাদা টিকলী,হাই ফ্লায়ার ইন্ডিয়ান, কাগুজি কবুতর ইত্যাদি। কবুতরের সাথে আমার শখ্য বিগত ১৫/১৬ মাসের। ২০১৬ সাল পর্যন্ত থানা শাহবাগে আড্ডাবাজি করার সময়ে শাহবাগরে কাছেই কাটাবনে কবুতরের মার্কেটে অনেক কবুতর , নানা জাতের পাখি এবং কুকর বিড়াল দেখতাম। মাঝে মাঝে শক জাগতো কিইনা পালি কয়েখদিন। যতো বাঙালী ছেলে মেয়েদের সাতে পরিচিত হতো রাজধানী ঢাকা শহরে- সকলেই গ্রাম ঘরোয়া পরিবিশ থেকে উঠে আসা এবং প্রত্যেকেরই কবুতর বা হাস মুরগী পালার শখ বা অভ্যাস আছে। জীবন বা জীবিকার তাগিদে হয়তো এখণ আর তা করে উঠতে পারে না। তবুও এদেশর যতো বেকার পোলাপান আছে বা যে কেউই যদি কোন খানে ধরা খেয়ে থাকে এবং তার যদি জায়গা জমি থাকে তাহলে হাস/মুরগী/কবুতরের খামার করতে পারে যাতে অনেক লাভবান হইতে পারেন।
কয়েক মাস আগে ১৬/১৭ মাস হবে- বিল্ডিং এর এক পাশের ৩ তালা কমপ্লিট হয়েছে। সো সেখানে কবুতর পালার জন্য আমাকে বাসা তেকে অনুরোধ করতাছে পরে আমি এই কুবতর গুলেঅ কিনে আনতে গেছি- যে কবুতর পালে বা বেচে সে বলতাচে যে ভাই একটা সে জবাই করে খাইয়া ফেলআছে। কবুতর জবািই করে ফেলানো বা খাওয়া আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। ১৯৯৮ সালে একদিন শাহজালাল মাজারে শুনেঝছ- কেউ একজন বলতাছিলেঅ কক্ষনো জালালি কবুতর খাবি না। তো আমি জালালি কবুতর না- একেবারে সব ধরনের কবুতর ই খাওয়া অফ করে দিছি সারা জীবনের জন্য। আগেই চিন্তা করেছিলাম যদি কখনো পালার সুযোগ পাই তাহলে পালবো এবং গিফট করবো। তো এখণ পালতাচি বিল্ডিং এর ৪ তালা সিড়িঘরে এবং সুযোগ পাইলে আরো বড় আকারে পালবো বা ব্যবস্থঅ করে দেবো যেনো বাসার সকলে মিলে পালতে পারে। মূলত কবুতর ছাইড়া পালে সবাই। আবার যারা ব্রিডিং করে বাচ্চা তুলে তারা কাচাতেই পালে। আর বাচ্চা হলে তা তিফট করে। তো আমিও সিদ্বান্ত নিলাম খাচাতে পালবো।
আজকে পর্যন্ত প্রায় ১০ জোড়া গিফট করেছি। ১টা বাচ্চা মারা গেছে- ১টা রানীক্ষেত হয়েছিলো। সেটাও মারা গেছে। ৬ টা উড়ে চলে গেছে। এই মুহুর্তে আছে ১৫টা। সামনে আরো ৬টা রেডী হইতাছে গিফট করবো। যেহেতু ইন্ডিয়ান কবুতর তাই চান্স পাইলেই গায়েব হয়ে যায়।
অনেক ভালো লোগে যখন রান্ধা করে বা ডাকে - সারা বিল্ডিং তাদের ডাক শোনা যাইতো। এমনিতে চুপচাপ থাকে- আমাকে দেখলে ডাকাডাকি করে থাকে। এইগুলো পালার সাথে আশে পাশে প্রায় ৫০ টা কুবতরের সাথে খাতির আছে। তারা প্রতিদিন দুপুরে একটা নির্দিষ্ট সময়ে আইসা আমার সিড়িঘরের ছাদে বইসা থাকে। আমি তাদেরকে প্রথমে খাচা থেকে বের হয়ে যাওয়া খাবারগুলো দেই- তারপরে আলাদা করে যতোটা প্রয়োজন দেই- সেগুলো খাইয়া উড়ে চলে যায়। আমার েযখানে খাচা আছে- সেখানে খোলা থাকলে বাহিরের কবুতর আইসা বইসা থাকে। বাসার পিচ্চিরা অনেকসময় আশে পাশের বাড়ীর কবুতর ধইরা পেলে আর বলে বলে দিয়েণ না দিয়েণ না। কিন্তু আমি কখনোই আটকাই না।
যারা কবুতর পালে তাদেরকে বলি- আমার কবুতর পালার মূলমন্ত্র হলো পরিস্কার পরিছন্নতা। আপনার কবুতরের কোন ধরনের রোগ বালাই হবে না- যদি আপনি নিয়মিত তাদেরকে পরিস্কার করেন। আর সময় করে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন খাওয়ালে তারা আরো বেশী মোটা তাজা হবে। খাচাতে পালার কারনে আমি সবসময় খাবার দিয়ে রাখি- সাথে পানি,সরিষা এবং ইটের ব্রিড। সবগুলো কবুতর ই আমার হাতে বড় হয়েছে । শুধুমাত্র নীচের খাচাতে যে ৪টা সিনিয়র- সেগুলো কিনে আনা। যেই ছেলের কাছ থেকে কবুতর কিনেছি সে আগে কাটাবনে কবুতরের মার্কেটে কাজ করতো এবং কিছুদিন আগে বিয়ে শাদী করে একটা ছোট বাচ্চার পিাতও হয়েছে কিন্তু তার পর পরই একটা এক্সিডেন্টে - তার কিচেনে গ্যাস বিস্ফোরনে মারা যায়। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করি।
ভালো থাকবেন। কবুতর শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। একটা ব্যাপার যা আমার কাছে কষ্ট লেগেছে যে- তা হলো কবুতরের মাংস দিয়ে অনেক সময় সরকারি ভোজনের আয়োজন করা হয়- ব্যাপারটা অমানবিক। খ্রীষ্টান দের কাছে কবুতেরর খুব ভালো একটা ভ্যালূ আছে। খ্যীস্টানদের অনেক ছবিতে কুবতরের বাহুল্য দেখা যায়। বিশ্বের অনকে কানে অনকে অনেক লোক কবুতের রে ছিটাইয়া ছিটাইয়া খাবার খাওয়ায়। কিছু কিছু লোক কে দেখেছি বিশাল বিশাল আলীসান ভাব েকবুর কে পালতে। ইউটিউব এ ও অনেক ভিডিও আছে। আমি একণ পর্যন্ত যাদেরকে কবুতর দিছি প্রত্যেককেই অনুরোধ করেছি যেনো তারা কেউ আামর কবুতর গুলোকে জবাই না করে। যেনো উড়ায় বা অণ্য কোন শখের কবুতর পালনওয়ালাদের দিয়ে দেয়। ইচ্চা আছে এই দেশের সরকার ব্যভস্থা পরিবর্তন হলে- আমি যে রাজনৈতিক দল সাপোর্ট করি তারা যদি বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থায় বসতে পারে তাহলে তাদেরকে এই খান থেকে কবুতর দেয়া হবে রাষ্ট্রীয় ডেকোরেসনে- যেনো কবুতর উড়ানোর কালচার টা থাকে আর কুবতর তাদের খরচ নিজেরাই জোটাইয়া নিতে পারে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl