[এই কল্পকাহিনীর কোন চরিত্রের সাথে যদি কারো কোন মিল থাকে তাহলে স্বজ্ঞানে স্বইচ্ছায় সেটা এড়িয়ে যাবেন- কারন এইটা কাল্পনিক এবং এর চরিত্রের সাথে বাস্তবের চরিত্রের কোন মিল খুজবেন না]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ব চলাকালীন সময়ে জাপানীজরা ভয়াবহ আক্রমনের জোড়ে অনেক আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলো যে - জাপানে এটম বোমা নিক্ষপে করা হবে। সো জাতে কিছুটা বুদ্বিমান হিসাবে পরিচিত জাপানীজরা সেই সময় থেকেই জাপান ছেড়ে পালাতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে সেরকম এ জাপানীজ জাপান থেকে যুদ্বের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে চীন চলে আসে। তারপরে চীন এ কিছুদিন সময় যাবার পরে চীন সীমান্ত থেকে আমাদের শত্রু দেশ বলে খ্যাত ফাকিস্তানে চলে আসে- ফাকিস্তান এবং চীনের সীমান্ত আছে সবাই জানে। তারপরে ঘূরতে ঘুরতে সে চলে আসে ইন্ডিয়া , ভারত, নেপাল, ভুটান এবং সব শেষে বাংলাদেশ- বাংলাদেশের পরেই বঙ্গোপসাগর। তো তারা সেদিকেই যাইতে চাইছেলো কিন্তু পথিমধ্যে বাঙালীরা অল্প সল্প ছোট খাটো গড়নের এই সকল জাপানীজদের দেখে জিজ্ঞাসা করে - তোমরা কারা? তো তারা উত্তর দিতে পারতাছে না কারন তারা বাংলা জানে না। কিন্তু ইশারাতে তারা সাগরের পথ দেখাইছিলো। ভারতে অনেকিদিন থাকার কারনে তারা নাম শব্দট আগে থেকেই জানতো। যে সকল বাঙালীরা তাদের নাম জিজ্ঞাসা করতেছিলো- তাদেরকে একটা জাপানীজ বললো- তার নাম চ্যা চ্যা (Cha-Cha). এর পর এই লোকটা বাংলাদেশীদের সাথে থেকে গেলো। তার নাম জানার কারনে তার সাথে যখনি যুদ্বক্ষেত্রে (১৯৪০-১৯৪৫) বাঙালীদের দেখা হইতো তখন তারা তাকে চ্যা চ্যা বলে ডাকতো আর সেও তারা মাথা নোয়াতো। কিন্তু জাপানীজরা তো ২য় বিশ্বযুদ্বে শত্রু হিসোবে বিবেচিত ছিলো- ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ ১৯৪৫ সালে এই এলাকাকে ভাষার ভিত্তিতে ভাগ করে দেবার পরে সে বাঙালী শত্রুদের সাথে হাত মেলোলো যাদেরকে আমরা ফাকি বলে জানি। তাদের সাথে গোপনে সলা পরামর্শ করে যে প্রথমে ফাকিদের ভাষাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বর্ননা করতো। এই চ্যা চ্যা খ্যাত লোক যখন বাংলাদেশে আসলো তখন বাংলাদেশে অবিস্থত বাঙালীদের বন্ধু বলে খ্যাত ইংরেজরা রয়ে গেছিলো- সেখানে ধানমন্ডিতে বা ঢাকা শহরের বিভিন্নখানে বসবাসরত কিছু ইংরেজরা ্এই চাইনীজ এবং জাপানীজদের কে চোখে চোখে রাখতে লাগলো। কারন তারা কখন কোন পরিস্থিতিতি কি গ্যনাজাম লাগায় তার কোন বিশ্বাস নাই। এই জাপানীজ টারে কখনো কোন আবাসিক এলাকা/ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ন জায়গাগুলোতে আসতে দিতে হতো না। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ২১শে ফেব্রুয়ারীর হত্যাকান্ড- শহীদ হয় সালাম রফিক জব্বার বরকত। তারা সেই সময়ে ফাকি টাইপের একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করতো এবং আমাদের দেশে বসবাসরত সচেতন ইংরেজরা/ বাঙালীরা এর প্রতিবাদ করতো এবং বলতো এইটা পূর্ব বাংলা - এখানে সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলে- এখানে বাংলা এবং ইংরেজী ছাড়া অন্য কোন ভাষা এলাও করা হবে না তারপরেও তারা নিজেদেরিকে ভিনদেশী বলে পিকু্ুলিয়ার একটা রাজনীতির চেষ্টা করে যাইতে লাগলো। বাঙালী তো কথা বলে বাংলা ভাষাতে তারা এর মধ্যে অন্য কোন ভাষাকে তারা এলাও করতো না। যে সকল ইংরজেরা বাংলাতে বসবাস করতো বা বাঙালী যাদেরকে ২য় বিশ্বযুদ্বের পরে রেখে দিয়েছিলো- যাইতে দেয় নাই (শোনা যায় অনেক ইংরেজ বাংলা ভাষার লোকজন এবং বাঙালীকে বাচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে) তারাও এখানে বাংলাতে কথা বলতো। সেই জাপানীজ চ্যা চ্যা ছোটো খাটো গঠনের হবার কারনে তাকে বাঙালীরা কোন কাজ দিতে রাজী হয় নাই - তো আর সে কোন কাজ না পেয়ে রিক্সাচালকে রুপান্তরিত হতো। তখন কার দিনে শোনা যায় বাংলাদেশে বর্তমানে পুরাতন ঢাকাতে অবস্থিত ইংলিশ রোড, জনসন রোড খ্যাত এলাকাগুলো থেকে শুরু করে নারায়নগঞ্জ টানবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো পৃথিবরি অন্যতম বড় পতিতালয়। তখনকার ্সেই সময়ে এই চ্যা চ্যা সেই পতিতালয়ের সমাজের সাথে ইনভলব হয়ে যায় এবং নিয়মিত সে পতিতালয় থেকে পতিাতদেরকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন খানে আনা নেয়ার কাজ করতো। ফলে তার সাথে অনেক পতিতার খুব ভালো শখ্যও হয়ে যায়। তবে সে আরো একটা কাজ করতো গোপনে ঢাকা শহরে রিক্সাচালক হবার কারনে- বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে সে ঢাকা শহরের কোথায় কে কোন ফরেনার বসবাস করতাছে তার তথ্য সে দিতো অনেক গোয়েন্দাদেরকে যা ইংরেজরা জেনে যায়। খুব অল্প কিছু ইংরেজ যারা তখন রাজধানী শহরে বসবাস করতো বলে জানা যায় বা দেশের বিভিন্ন খানে- আমেরিকা, স্পেন, ফ্রান্স, পুর্তগাল এরকম কিছু দেশের কিছু ইংরেজ সৈন্য যুদ্ব শেষে আর দেশ ফিরে যায় নাই ২য় বিশ্বযুদ্বে ভয়াবহতার কারনে- তারা সে সময় প্রচুর পরিমানে জায়গা জমি কেনে বেচে থাকার জন্য কারন তাদের দেশে তারা যে ই পরিমান এলাকা নিয়ে কৃষিকাজ করতো সেই পরিমান এলাকা তারা এখানে কৃষিকাজ করার জন্য কেনে এবং কৃষিকাজ করে বেচে থাকা শুরু করে সারা পূর্ব বাংলায়। অনেক ভালো ভালো বাঙালী তাদের বন্ধু ছিলো। তো সেই চ্যা চ্যা এগুলো সব খেয়াল করতো আর মনে মনে ভাবতো একদিন সে এইগুলো সব দখল করে নিবে । ফাকি সংক্রান্ত গ্যানজামে আস্তে আস্তে এই দেশের লোকবল বাড়তে থাকে। মানুষজনও সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকে আর ইংরজরাও এই এই এলাকা থেকে তাদের দেশে যাতায়াত শুরু করে। ততোদিনে তারা সংসার করে যুদ্বের ভয়াবহতা ভুলতে শুরু করে। কিন্তু সম্পত্তির লোভে অনেক পরে ৭১ এ ফাদে ফেলে এই চ্যা চ্যা দালাল রাজাকারদের সাথে হাত মিলিয়ে এই এলাকাতে বাঙালীদের সাথে সাথে বসবারত ইংরেজদের ও হত্যা বা জবাই করে এবং তাদের সব সম্পত্তি ভোগ দখলে নেবার চেষ্টা করে কিন্তু এই দেশের সাধারন মানুষের কাছে সেই সকল জমির দলিলের ২য় কপি থাকার কারনে তারা সেই জমির মালিকানা ছাড়ে নাই। আর যারা রাজাকার ছিলো তারা শূধূ জায়গা জমি দখল করে থাকাকেই জমির মালিকানা মনে করে। ৭১ এর পরে বাঙালী যখন বিপর্যস্ত তখণ এই সকল দালাল রাজাকাররা বাঙালী এবং ইংরেজদের সে সকল সম্পদ ভোগ করা শূরু করে। যখণ বাঙালী কিছুটা ঠিকঠাক হয়ে সব দলিলপত্র একসাথে করা শুরু করে তখন দেখে এই জাপানীজ চ্যা চ্যা এবং তার সাথে আরো কিছু বাঙালী দালাল এবং রাজাকার একসাথে এই কারসাজীতে জড়িত। যখন বাঙালী তাদেরকে উচ্ছেদ করতে যাবে তখন দেখে এরা মানুষের মতো দেখতে হলেও এরা পরিপূর্ন মানুষ না- এদের সিক্সথ সেন্স কাজ করে না বা এদের উপস্থিত বুদ্বি নাই। তারপরে অনকে অনেক গবেষনা করে বের করা হলো এবং দেখা গেলে এরা একটি টেষ্টটিউব প্রজন্ম যাদের মানুষ জগতে কোন অস্তিত্বও নাই্ তখন বাঙালী তাদেরকে বললো- এই দেশ ছেড়ে চলে যাবার জন্য তারা বলতাছে কেনো? তো বাঙালীরা উত্তর দিছে তোরা মানুষ না। তখন এই চ্যা চ্যা জনগোষ্টী বলতাছে তারা দেখতে মানুষের মতো- তার আগে তারা স্বীকার করেছে তারা টেষ্ট্টিউব প্রজন্ম- বাঙালী জিজ্ঞাসা করেছে তোরা কিভাবে জানস- বলতাছে তারা তাদের জন্মের সময় জেনেছে তারা আর্টিফিসিয়াল হিউম্যান- তাদরেকে গবেষনাঘারে তৈরী করা হয়েছে টেষ্টটিউবের মাধ্যমে- আর এই জন্য ২য় বিশ্বযুদ্বের সময় তাদেরকে জাপান বা চীন বা বিভিন্ন দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে- বাঙালী বোকা সোকা- তাই বাঙালীর সাথে রয়ে গেছে। তো বাঙালী উত্তরে বলেছে তোরা দেখতে মানুষ হইলেও আদতে তোরা মানুষ না - প্রকৃত ভাবে আজরাইল ও অনেক সময় মানুষের রুপ ধরে পৃথিবীতে আসে মানুষের জান কবজ করার জন্য বা জীনরাও মানুষ হয় তাদের প্রয়োজেন- নামাজ পড়ার জন্য বা ঘুরে বেড়ানোর জন্য্। কিন্তু তারা যাবে না - আর বাঙালী ও যুদ্ব পরম্পরা জাতি হিসাবে মানুষ না এই রকম ভেবে তাদেরকে আর হত্যা করে নাই। ইংরেজরা ও পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জেনেছে এরা টেষ্টটিউব এবং ভেবেছে তাহলে টেষ্টটিউব ৭১ এ বাঙালী স্বাধীনতা যুদ্বের সময় কিছু ইংরেজদেরকে মারলোে কেমন করে- তাদের পেছনে কারা আছে বা কোন কোন মানূষ ইন্ধন জুটিয়েছে- তারপরে সেই সকল মানুষগুলোকে ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন ধরনের লোভ দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে নিয়ে মাইরা সেই সকল ইংরেজ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে। আর ইংরেজ দের কাছে থাকা দলিলগুলো তারা জাতিসংঘের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তো সেই ধরনের বাঙালীা বেছে থাকার জন্য বাঙালী দু:খ দুর্দশার জাতি হিসাবে বিবেচেতি হয়েছে বহুদিন যাবত। এখণ তারা অনেকটাই মাথা উচু করে বেচে আছে। ১৯৯০ এবং ২০১৩ সালে সংঘটিত দুই দু্টা বিশাল গনজাগরনের কারন ও তারা আজ সারাবিশ্বে অনেক সমাদৃত (এছাড়াও রয়েছে ১৯৫২ এবং ১৯৭১ এর মতো বাঙালী জাগরন)। গনজাগরনের তরুন প্রজন্মের কাছে এদেশের ভার পোষনের দ্বায়িত্ব পরবে - তারা ইয়ং তরুন প্রজন্ম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করবে সেই ভরসাতেই বেছে আছে অনেকেই। আর সেই সকল ইংরেজদের উত্তর পুরুষরাও সবসময় তাদের বাপ দাদাদের কবর জিয়ারত করার জন্য বা যে কোন ছুরুতে বাংলাদেশে থেকে তাদের পূর্ব পুরুষদের হত্যার বিচার করে যাইতাছে।
ইংরেজদের বংশধর যাদের বাবা দাদাদের জমি আছে বাংলাদেশে তারা সবাই দেশের নাগরিকত্ব পায় আর যারা সেই চ্যা চ্যা জনগোষ্টী তাদের কোন জাতীয় পরিচয়পত্র, বা ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার বা জমির দলিরপত্র ইত্যাদি কিছুই খুজে পাওয়া যায় না আজ পর্যন্ত। এই চ্যা চ্যা জনগোষ্টীকেই বর্তমানে দালাল রাজাকারের বংশধর বা কুত্তার বাচ্চা র বংশধর বলে ডাকা হয়। দেশ স্বাধীন হবার সাথে সাথেই তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় - নিক্ষেপ করা হয় দেশের বিভিন্ন ডিপো বা বস্তি টাইপের এলাকাতে আর তারা যখন বাঙালী মেয়েদেরকে বিভিন্ন কুৎসিত উপায়ের মাধ্যমে ম্যানেজ করে বাংলাদেশে থেকে যাবার জন্য চেষ্টা করে তখন বাঙালী মেয়েরা নিরুপায় হয়ে তাকে কটাক্ষ করে সেই চ্যা চ্যা নামেই ডাকে বা ডেকে থাকে।
এদেশের স্বাধীনতার জন্য অনকে ইংরেজরা ও জীবন দিয়ে গেছে। সহজ সরলভাবে তাদেরকে প্ল্যান করে বিভিন্ন খানে আটকে রেখে জবাই করে ফেলানো হয়। বিদেশীরা এই দেশের জন্য শহীদ হয়েছে আর চ্যা চ্যা খ্যাত জনগোষ্টী এই দেশটাকে জবর দখল করে বেচে আছে যাদেরকে সামাজিক ভাবে উৎখাতের চেষ্টা করা হইাতছে বিগত ৪৮ বছর যাবত।আশা করি তরুর প্রজন্ম পারবে মুক্তিযুদ্বের
আনফিনিশড কাজকে ফিনিশড করতে। জয় বাংলা একটা ভালো প্রজন্ম- মুকিতেযুদ্বের গর্বিত প্রজন্ম। বাংলাদেশ রক্ষা হোক টেষ্টটিউব প্রজন্মের হাত থেকে।
এদেশের স্বাধীনতার জন্য অনকে ইংরেজরা ও জীবন দিয়ে গেছে। সহজ সরলভাবে তাদেরকে প্ল্যান করে বিভিন্ন খানে আটকে রেখে জবাই করে ফেলানো হয়। বিদেশীরা এই দেশের জন্য শহীদ হয়েছে আর চ্যা চ্যা খ্যাত জনগোষ্টী এই দেশটাকে জবর দখল করে বেচে আছে যাদেরকে সামাজিক ভাবে উৎখাতের চেষ্টা করা হইাতছে বিগত ৪৮ বছর যাবত।আশা করি তরুর প্রজন্ম পারবে মুক্তিযুদ্বের
আনফিনিশড কাজকে ফিনিশড করতে। জয় বাংলা একটা ভালো প্রজন্ম- মুকিতেযুদ্বের গর্বিত প্রজন্ম। বাংলাদেশ রক্ষা হোক টেষ্টটিউব প্রজন্মের হাত থেকে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl