Translate

Sunday, August 30, 2020

১৯৯০ বা তৎপরবর্তী বাংলা ব্যান্ড জগত।


প্রথমেই কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরন করে নিলাম শ্রদ্বাভরে যাকে ছাড়া বাংলা ব্যান্ডের জগতকে অস্বীকার করা হয়। এই ব্যান্ড জগতকে একদিনে গড়ে তোলা হয় নাই। গড়ে তোলা হয়েছিলো তিল তিল করে। সকলেই আশংকিত ছিলো যে - এই ব্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ টা কে কতোদূর নিয়ে যাওয়া যায়। আইয়ুব বাচ্চু শুরু করেছিলেন প্রথমে- Love Runs Blind নামের ব্যান্ড তৈরী করার মাধ্যমে। তারপরে থেকে সেটা কে নিয়ে আসা হয়- ঢাকাতে এবং নাম দেয়া হয়- Little River Band এবং আজো সেটা স্বদর্পে টিকে আছে। আইয়ুব বাচ্চু ভাই কে দেখে ধীরে ধীরে অনেক ব্যান্ড তৈরী হয় যারা এক সময় অনেক নাম করে এবং অনেক স্মরনীয় গানের সৃষ্টি দেয়- ধরতে গেলে নোভা, রেনেসা, সোলস, উইনিং, অবসকিওর, ফিডব্যাক, প্রমিথিউস, গুরু খ্যাত আজম খান, আগুন (আলাদা করে বলতে গেলে), ফিলিংস খ্যাত জেমস (নগর বাউল) এবং চাইম বা আরো কিছু ছোট ছোট গানের দল যাদের সৃষ্টি ছিলো অনবদ্য এবং চির স্মরনীয়। একসময় কার চট্রগ্রামের ব্যাংক আইয়ুব বাচ্চু এর এলআরবি এর গানের দলে ছিলো বর্তমানের সোলসের জনপ্রিয় ভোকাল পার্থ এবং আরো একজন পারফরমার নাম- নাসিম ভাই। তারপরে ছিলেন রেনেসা ব্যান্ডের নকীব খান। তাদের কয়েকজনের একটি গানের প্রোগ্রাম বিটিভিতে দেখার জন্য সেই পরিমান কষ্ট করতে হতো। তবে রেডিও বা ওয়াকম্যান দিয়ে কানে হেড ফোন লাগিয়ে  তাদের গান অনেক ভালো লাগতো । সকলের পরিশ্রমে শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশী ব্যান্ড জগতের সংগঠন নাম- বামবা। কোথাও যদি কখনো শুনতাম বামবার কনসার্ট হবে- তাহলে সারা দেশে হুড়োহুড়ি পড়ে যাইতো। ধরেন রাজশাহী শহরে বামবার কনাসর্ট হবে- সেই কনসার্টে যাওয়া এবং অংশগ্রহন করা বা টাকা পয়সা ম্যানেজ করা- সেই বয়সে সেটা ছিলো এক কথায় অসম্ভব ব্যাপার। বিশেষ করে - বাংলােদেশ আর্মি ষ্টেডিয়ামে বামবার কনসার্ট এবং তার রেকর্ডে ক্যাসেট কখনো ভোলার মতো না। অনেক কষ্টে টিফিনের টাকা বাচিয়ে বা কয়েক টাকা ম্যানেজ করে একটা ক্যাসেট কিনে জনে জনে শোনা বা গানগুলো লিখে লিখে মুখস্থ করা এবং তা বন্ধুমহলে আবৃত্তি করা বা গান গাওয়া- সেই ব্যাপারটাও ছিলো অনেক আনন্দের। আমার নিজস্ব কোন হাই ফাই ক্যাসেট প্লেয়ার ছিলো না- থাকার মধ্যে ছিলো একটা ছোট খাটো ওয়াকম্যান যা কানে লাগিয়ে হেডফোনে লাগিয়ে গান শোনতাম। মাঝে মাঝে কানে হেডফোন লাগিয়ে একা একা হেটে হেটে গান শোণা (ব্যাটারীতে চার্জ দিয়ে আর বাকী সময় ইলেকট্রিক প্লাগইন করে )- আমার অনেক প্রিয় ছিলো। কিন্তু আশে পাশে সেই প্রকৃতির কয়েকটা ডেক সেট যখন বেজে উঠতো- তখন আর নিজের কোন ক্যাসেট প্লেয়ার লাগতো না। পুরো ক্যাসটটা মনোযোগ দিয়ে শোনাটাই একটা কাজ হয়ে দাড়াতো। দামী দামী ক্যাসেট প্লেয়ারের ভীড়ে হয়তো আমার কয়েক টাকা দামের ওয়াকম্যান টাইপের প্লেয়ার টার কোন ভ্যালূই নাই কিন্তু সেই সময়কার ফিলিংসটা আজো মনের মধ্যে গেথে আছে। পরে হলে যখন এডমিট হই ১৯৯৮ সালে- তখন হলের এক বন্ধু যখন শোনে আমি গান শুনেতে ভালোবাসি, সেও গান শুনতে ভালোবাসে- সেই সময়ে কয়েক হাজার টাকা খরচ করে বিশাল এক সেট বানায় - ২ টা বিশাল সাউন্ডবক্স দিয়ে- যা দিয়ে সে গান শুনলে পুরো ৬ তালা হল বিল্ডিং কাপতো। প্রথমে প্রতীচি গনরুমে তার বিশাল সাউন্ডবক্সে বাংলা ব্যান্ড গান শোনা - একটা বিশাল স্মৃতি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং আশে পাশে র মানুষ জন ও টের পেয়ে যাইতো আর তারা বলে বেড়াতো হাসান ( আমাকে সিলেট ভেটেরিনারি কলেজের সকলেই হাসান নামে ডাকতো) ভাইরা গান ছেড়েছে- চল শুনি। অনেক দূরে পাহাড়ের পাদদেশে এক টিলার পাশে (আলুরতল, অক্সিডেন্টাল রোডে বন শুরু হবার আগে - এক বৃদ্ব বয়স্ক বুড়ো চাচা- বয়স প্রায় ৯০ বছর ( বাড়ি ছিলো কিশোরগন্জ) কাছে ডেকে বলেছিলো- বাবাজীরা তোমরা কার গান শোনো? তখন আমি বলেছিলাম- চাচা আমরা বাংলা ব্যান্ডের গান শুনি। তো উনারা বলতো - এরকম একটা প্রজন্ম ই আমরা স্বাধীনতা যুদ্বে- বাংলাদেশ ভাবনায় আশা করতাম। তখন চিন্তা করতাম- সারা দেশ জুড়ে মৌলবাদের বিরুদ্বে লড়াই করা এই প্রজন্ম - আইয়ুব বাচ্চু, পার্থ, নাসিম, নকীব খান, জেমস, আজম খান, বিপ্লব, টিপু  ভাই সকল সহ সকল ভোকালিষ্ট এবং বাংলা ব্যান্ডের সংগীত জগতের তারকাদের যে অমানষিক কষ্ট এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা - সত্যই এই মহান মুক্তিযোদ্বার তাদের নিয়ে সহজ সরল ভালোবাসাময় স্বীকারোক্তি নিশ্চিত বাংলা ব্যান্ড জগতের সকলের জন্য বড় সড় সম্মানের।  




যখন বাংলা ব্যান্ডের উথ্থান হয়- তখন ১৯৯০ এবং তৎপরবর্তী। বাংলা ব্যান্ড জগতে- মৌলবাদ এবং মৌলবাদীদের বিরুদ্বে সবচেয়ে বড় যে প্রকাশ্য যোদ্বা তার নাম ফিডব্যাক ব্যান্ড।  বাচ্চু ভাই যখন ব্যান্ড জগত নিয়ে সামনে আগাতে থাকে তখনো মৌলবাদের আক্রমন ছিলো যা আমরা পেপার পত্রিকা পড়ে জানতাম সব কিছু বা বিচিত্রা বা ফ্যাশন ম্যাগাজিন পড়ে জানতাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই ভূমিকা রাখে ১৯৯০ সালের গনজাগরন যেখান থেকে প্রথমে সারা দেশ জুড়ে ফাসির দাবী জানানো হয় রাজাকারদের। সেই ফাসি কার্যকর হওয়া শুরু করে ২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলন থেকে। শাহবাগ গনজাগরনে বাংলাদেশ ব্যান্ড সংগীতের তারকাদের সপ্রতিভ  অংশগ্রহন এবং সম্মতি জ্ঞাপন সেই আগেকার ফিডব্যাক ব্যান্ডের (ক্যাসেটাআকারে বের হওয়া কিছু গান) দালাল রাজাকারদের বিরুদ্বে বজ্রকন্ঠের হুশিয়ারির কথা স্মরন করিয়ে দেয়। আবারো বুঝেতে পারি - বড় ভাইরা যে পথ দেখাইয়া দেয় যেই পথে হাটতে শেখায়- সেই পথে হাটলে সাফল্য অনিবার্য। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয় এর আবাসিক এলাকাতে (বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) বসবাস করার সুবাদে সেই গনজাগরনে সপ্রতিভ অংশগ্রহন আমার দিলে অনেক নাড়া দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়েল ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সেই আন্দোলনে শরীক হওয়া এবং দালাল রাজাকারদের ফাসি চাওয়া- এক স্মরনীয় ব্যাপার ছিলো। সেই সময় মৌলবাদের বিরুদ্বে লড়াই করার এক মাধ্যম ছিলো গনজাগরন- যেখানে থেকে তৈরী হয়েছিলো বা ১০০% একটিভ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি। আমার মনে আছে আজো - আমিও সেই সময়কার সারা দেশের কমিটির সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম এবং লিষ্টে নিজের নাম দেখে ভীষন খুশী হয়েছিলাম - জয় বাংলায় সাহসী হয়ে উঠেছিলাম অনেক। 




একটা সময়ে দালাল রাজাকারেরা বাংলাদেশের সংগীতাজ্ঞনে যে বাধার সৃষ্টি করতো তাকেই বলা হতো  সংগীতাজ্ঞনে ধর্মীয় বাধা। একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন- একজন সংগীতজ্ঞ যখন গান গায় সেটা কিন্তু তার গলার সমধূর একটা ব্যাপার হয়ে ধরা দেয় যাকে আমরা গড গিফটেড বলে থাকি। একজন গায়ক বা গায়িকার মেইন ব্যাপারই হইতাছে সুর। তার সুরের যাদুতে সে হাজারো লক্ষ কোটি দর্শকের মন সে জয় করে নেয়। এই সুর কিন্তু ভালোবাসার জগত থেকেই আসে। ১৯৯০ এর দিকে  বাংলা ব্যান্ডের ক্রমাগত জনপ্রিয়তার ধারা দেখে এই দেশে দালাল রাজাকার এবং তাদের প্রজন্মের মাথা খারাপ হয়ে উঠে এবং তারা বাংলাদেশের নতুন ধারার ব্যান্ড জগত কে বাধা দেবার চেষ্টা করে। গান ভালোবাসে না এরকম মানুষ আপনি পৃথিবীতে খুজে পাবেন না। গান কে মনের খোরাক বলা হয়। অনেকখানে ধর্মীয় মৌলবাদ গজে উঠার কারনে আমাদের দেশের গান এবং সংগীত জগত বাধা গ্রস্থ হয়। সেই বাধাকে অতিক্রম করার জন্য যে যে পদ্বতি বাংলাদেশে পপুলার হয়ে উঠে তার মধ্যে ব্যান্ড জগতের সাথে থাকা এবং তাদের গান শোনা - এইটা একটা মৌলবাদ এবং ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্বে প্রতিবাদ ছিলো । আর যারা দুর্বল ছিলো তাদের উপরে দালাল রাজাকার এবং ধর্মীয় মৌলবাদের অত্যাচারের লেভেল টা ছিলো প্রায় আসমান সমান। তাই তাদের দেয়া কষ্ট অনেকই বুকের মধ্যে পুষে রেখে, দামিয়ে চাপিয়ে রেখে পথ চলতে হয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হবার পরে বেচে থাকার জন্য রাজাকারেরা বাংলাদেশের ধর্ম কে ব্যবহার করতে শুরু করে (অনেক খানে আজো তারা ধর্ম কে ব্যবহার করে টিকে গেছে - যেমন তালিকাগ্রস্থ রাজাকারদের অনেককেই দেখেছি দাড়ি টুপি পড়ে ঘুরে বেড়াতে যারা কিনা স্বাধীনতা যুদ্বে ছিলো মার্কা মারা রাজাকার আর গনহত্যার আসামী।)সেই সময়ে সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলো এবং আজো পড়ে আছে আগে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে জয় বাংলা পন্থী যারা মুসলিম ধর্ম পালন করতেছিলো তারা। এই মৌলবাদীদের বিরুদ্বে ফিডব্যাকের (ফিডব্যাক ব্যান্ডের রচনা করা গান সমূহ) ভূমিকা অবিস্মরনীয় এবং কখনো ভুলা যাবে না। ফিডব্যাক এবং মাকসুদ রচিত বাংলা ব্যান্ড এর গান - গনতন্তের পক্ষে এবং মৌলবাদের বিপক্ষে- গভীর রাতে কষ্টে ভেংগে যাওয়া বুকের ভেতরে মোলবাদহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে যা আজ বাংলাদেশে দেখা যাইতাছে। আজকে এখনকার দিনে ধর্মীয় মৌলবাদের মেইন থাবাটা এই দেশ থেকে সরে গেছে- টিকে আছে ঘুটিকয়েক খানে - যা বাংলাদেশীদের অসতর্কতার বিনিময়ে। যদি সবাই সতর্ক হইতো তাহলে ধর্মীয় মৌলবাদ  বা ধর্মীয় জংগিবাদ বা ধর্মীয় গোড়ামি  অনেক আগেই আমাদের এই দেশ ছেড়ে চলে যাইতো। ধর্ম কোন জোড় জবরদস্তীর বিষয় না। এইটা পালন করার বিষয়। শুধু ঈমানহারা যেনো না হয় সেই ব্যাপারে জোড় খাটানো যায় কিন্তু জোর করে ধর্ম তো আর কাউকে কে চাপিয়ে দেয়া যায় না বা পালন করতে বাধ্য করা- মৌলবাদের পর্যায়ে পড়ে। ধর্ম কে ভালোবাসতে শিখতে এবং শিখাতে হবে। ধর্ম কে ভালো না বাসলে মাদ্রাসার ছাত্র রা হাফেজ, আলেম, ওলামা বা মাওলানা বা মুফতি হতে পারতো না- আর  সারা বিশ্ব ব্যাপী সেই চর্চা ও করতে পারতো না। যে দ্বায়িত্ব হাফেজ, আলেম, ওলামা , মাওলানা বা মুফতি সকলের উপরে আবর্তিত ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে- সেই দ্বায়িত্ব যদি আরবী অক্ষর জ্ঞান বিহীন মানুষের হাতে পড়ে বা রুপ ধরা মানুষের হাতে পড়ে তাহলে তো নিষিদ্ব ঘোষিত মৌলবাদের উথথান বা  বিস্তার হতে পারে কারন তারা হয়রত মোহাম্মদ মোস্তফা (আ:) প্রবর্তিত ধর্ম নিজেও যেমন বোঝে না তেমনি আরো একজনকে ও বোঝাতে পারে না সহজে - যে নিজে বোঝে না সে আরেকজন কে বোঝাবে কি করে? ফলে শুরু হয় উল্টা পাল্টা বোঝানো আর যেখান থেকে তৈরী হয় ধর্মীয় বিভ্রান্তি । বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ সম্মানিত আরেম/ওলামা/মাওলানা/মুফতি সকল- এইখানে মুসলিম ধর্ম নিয়ে এখন আর বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নাই।মানুষ চাইলেই যে কোন আলেম/ওলামা/মাওলানার কাছে যাইয়া সঠিক সব কিছু জেনে নিতে পারে । সেই জন্য সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজনকে ধর্মীয় জ্ঞান প্রচারের দ্বায়িত্ব না দিয়ে গনজাগরন ভিত্তিক মুসলিম বাংলাদেশে সম্মানিত হাফেজ, আলেম, ওলামা, মাওলানা, বা মুফতিদেরকে সেই দ্বায়িত্ব একেবারে চিরস্থায়ীভাবে দিয়ে দেয়া হোক  যাতে করে এই দেশে আর কখনোই ধর্মীয় মৌলবাদ বা জংগী বাদ বা ধর্মীয়  বিভ্যান্তি না গজাতে পারে।


ভালোবাসার গান বা জগত বলতে গেলে যে দুইটা ব্যান্ড কে আমি পছন্দ করতাম তার মধ্যে একটা ছিলো সোলস। তুমুল জনপ্রিয় একক গানের শিল্পী তপন চৌধুরী এবং পার্থ এর কারনে সোলসের নাম ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে অনকেখানে। তাদের প্রেমের গান গুলো এতো বেশী সাড়া ফেলে  যে লোকজন জিজ্ঞাসা করতো - ভাই গানগুলো কি আপনাদের প্রেমিকারা লিখে দেয় নাকি? অনেকেই বলতো হ্যা দেয় - আবার অনেকেই বলতো জানি না তো কে লিখে দেয়? ভালোবেসে অনেকই বাসার ঠিকানায় লিরিকস পাঠাইয়া দেয় আর সেখান থেকেই বেছে বেছে ২/১ টা গান করার চেষ্টা করি এবং সেগুলো আপনাদের ভালো লেগে যায়। সবখানে ভালোবাসা না থাকলে তো এতো সুন্দর মিউজিক ইন্ডাষ্ট্রিজ তৈরী হতো না। এই সকল কালজয়ী গান এখন ইউটিউব দেয়া আছে- মনে চাইলেই শোনা যায়। যাদের টোটাল বাসা ওয়াই ফাই করা ব্রডব্যান্ডের কানেকশনের কল্যানে তাদের জন্য ব্যাপারটা খুবই সহজ- এই গানগুলো শোনা। প্রথমে লিরিকস রচনা করা বা এডিট করা, তারপরে সুর করা, মিউজিক তোলা  গিটারে বা ড্রামে , তারপরে লাইভে  কম্পোজ করা ষ্টুডিওতে তারপরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হওয়া, বাজারে ক্যাসেট আনা এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ ব্যান্ডের শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া- নামমাত্র হলেও তাদেরকে সম্মান দেবার চেস্টা করা - এই সকল ব্যাপার স্যাপারের সাথে জড়িত না থেকেও কখনো লিরিকস না লেখা আমি ও নিজেকে সস্মানিত মনে করতাম। এককটা ক্যাসেটের দাম ছিলো প্রথমে ৪৫ টাকা। স্কুল লাইফে ৪৫ টাকা ম্যানেজ করা তো কম কষ্টের ব্যাপার না যেখানে চালের দাম ছিলো ৫ টাকা কেজি। একটা গলীব মানুষের জন্য ৪৫ টাকাতে প্রায় ৯ কেজি চাল হয়- যখনি কোন ক্যাসেট কিনতে যাইতাম বা ক্যাসেটের জোগাড় যন্ত্র করতাম তখনি খেয়াল করতাম যে আমার আশে পাশে কোন গরীব মানূষ অভূক্ত আছে কিনা- যদি তার কোন উপকার হয় সেটা গান শোনার থেকে বেশী কাজে লাগবে। আর যদি কখনো বন্ধুরা বলতো ৫ টা টাকা দে- কয়েকজনে মিলে একটা ক্যাসেট কিনবো তখন আর এই চিন্তাটা করতাম না। ভাবা যায় ৫ টাকা কেজির চাল এখন ৫৫ টাকা কেজি- অনেক গরীব মানুষ না খেয়ে মরে যাবার দশা। যারা প্রভাবশালী তারা হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত করে রেখেছে তাদের হয়তো মনেই থাকে না যে- আজকে মারা গেলে কালকে তার জীবনে সেই টাকা গুলোর আর কোন কাজে লাগবে না। এই ধরনের জীবনমুখী ফিলিংস গুলো আমার মাঝে কাজ করেছে সোলসের কিছু জীবন মুখী গান শুনে। বিশ্ববিধ্যালয় জীবনে শুনেছি সোলসের অনবদ্য সৃষ্টি- মুখরিত জীবন। অনেক ধরনের কম্পোজে র সমাহার এই মুখরিত জীবন। বিশ্ববিদ্যালয় হলে বাংলা ব্যান্ডের ক্যাসেট চালূ করে ১২ টা গান শোনার মনমানসিকতা নিয়ে বা একসাথে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২টা গান শুনতে শুনতে প্লে কার্ড খেলা বা ২৯ খেলাও অনেক জনপ্রিয় ছিলো আমার কাছে। 
 

নগন বাউল খ্যাত গুরু জেমসের আগের ব্যান্ড নাম ছিলো ফিলিংস। গুরু খ্যাত জেমস কে অনায়াসে বাংলা ব্যান্ডের  গানের সম্প্রসারনে জেমস ভাই কেও প্রথম সারিতে রাখা যাবে সহজেই। প্রথম বাচ্চু ভাই, তারপরে গুরু খ্যাত আজম খান এবং পরে জেমস ভাই। জেমস ভাই এর ভালো বাসার গান এবং কষ্টের গানগুলো এখনো সীমাহীন জনপ্রিয়। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে যখনি দেশ সেরা কনসার্ট হইতো তখনি তাদের কে একসাথে পাওয়া যাইতো ষ্টেজে। কিছু কিছূ পারসন ছিলো যারা কখনোই কোন কনসার্ট মিস করতো না। আবার কিছু কিছূ মানুষ ছিলো যারা এক মনে বাংলা ব্যান্ডের চলাফেরার সাথে লেগে থাকতো। কখন গান বের হবে, কোন গান তৈরী হইতাছে, কার কার গান আসতাছে, কারা কারা কোন খানে কবে গান গাইবে, কোন কোন প্রোগ্রাম আসতাছে এই  ব্যাপারগুলোর  মধ্যে চঞ্চলতা বাড়িয়ে দেয় প্রাইভেট টেলিভিশন জগত - একুশে টিভি, এনটিভি, আর টিভি, বর্তমানে গান বাংলা বা চ্যানেল আই- এদের আয়োজনে সীমাহাীন এবং নিয়মিত প্রোগ্রাম - বাংলা ব্যান্ডের গানগুলোকে নিয়ে যায় আকাশ সম উচ্চতায়। আজকাল কার দিনের ছেলে মেয়েরা যখন বাংলা ব্যান্ডের গান শুনে বা গেয়ে উঠে তখন আমার কাছে মনে হয়- প্রযুক্তি আমাদেরকে এক করে ফেলেছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ব্যান্ডের সুরের একটা নিজস্ব ধারা আছে যেখানে মিউজিক শূনলেই বোঝা যায় যে কে কোন ব্যান্ড থেকে সং টা শুরু করতাছে ।আর যারা এই ধারাটাকে বিভক্ত করতে পারে আমার মতে তারাই বাংলা ব্যান্ডের প্রকৃত শ্রোতা। 

(চলবে)

Popular actress Ahona Rahman is on Tiktok. Follow and Like.

 

@ahonarahman

♬ Original Sound - Unknown
@ahonarahman

♬ original sound - cutekoji
@ahonarahman

@ahonarahman

♬ Kitchen mein kya kya aata hai - poojamlu
@ahonarahman

🍀🍀☘️☘️

♬ original sound - ahonarahman
@ahonarahman

♬ original sound - foysalkhalifa

Saturday, August 29, 2020

৭১ এর দেশবিরোধী প্রজন্ম দালাল রাজাকার পালতে আমি রাজী নই।

স্বাধীনতা যুদ্বে যাদের দেশবিরোধী ভুমিকা ছিলো তাদেরকে আমরা জয় বাংলা বিরোধী শক্তি বা দালাল রাজাকার বলে থাকি। বাংলায় বসবাস করে বাংলা ভাষাতে কথা বলে বাংলাদেশের বিরোধিতা করা - ব্যাপারটা পৃথিবীর ৮ম আশ্চর্যের মধ্যে পড়ে। মাতৃভাষাকে ভালোবাসে না এরকম কোন মানুষ পৃথিবীতে নাই। প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ মাতৃভাষাতে বেড়ে উঠে- এবং ধর্ম কর্ম ও পালন করে থাকে। যে ভাষাতে ধর্মীয় কার্যকলাপ করলো সেই ভাষার বিরোধী হয়ে আতাত করে তৈরী করা গনহত্যা -সত্যিই বিস্ময়ের এবং কষ্টের। বিশ্বে সকল গনহত্যা কে স্মরন করে একটা দিন জাতিসংঘ পালন করে থাকে। কিন্তু যুদ্বের ভয়াবহতা বিবেচনা করে ৭১ এ সংঘটিত বাংলার গনহত্যাকে আলাদা করে স্বীকৃতি দেবার জন্য একটি মহল বহু দিন ধরে চেষ্টা চালাইয়া যাইতাছে। গনহত্যা বিশ্বের একেকদেশে একেক সময় সংঘটিত হয়েছে যার যার দেশের স্থান/কাল/পাত্র ভেদে যুদ্বের  পরিমন্ডলে। যুদ্বে গনহত্যা সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমান হিসাবে থাকে। তেমনি বাংলাদেশে সংঘটিত গনহত্যায়   অংশগ্রহন করেছিলো পা ক হানাদার বাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, পা ক হানাদার বাহিনীর সমমনা মানুষগুলো বা দলগুলো, বাংলাদেশী দালাল, রাজাকার এবং আরো কিছু অপশক্তি। এতো শক্তির বিরুদ্বে লড়াই করে জিতে ছিলো বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্বারা। আর তাদের প্রজন্মের সন্তানেরা ও সেই অকুতোভয় সন্তানের মতো বেচে আছে আজো। মুক্তিযোদ্বারা যুদ্বের কারনে  দানবীয় রুপ ধারন করতে পারে। শুনেছি যুদ্ব চলাকালীন মুক্তিযোদ্বারা যে সকল পাক হানাদার বাহিণীর সদস্য আর দালাল রাজাকার বাহিনীর লোকজনকে গনহারে মেরেছে তাদেরও কবর বা গনকবর আছে  এই  দেশের মাটির নীচে (দোয়া করি যেনো ৮৮ বা ৯৮ এর বণ্যার পানির তোড়ে তাদের লাশ গুলো ভেসে চলে যায়)   - কারন যুদ্ব চলাকালীন সময়ে শুধূ বাংগালীই মারা যাই নাই- বহু (উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক পা ক হানাদার, দালাল, রাজাকার মরেছেও) আর  যাবার আগে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনদিন বাংগালীর সংগে যুদ্ব লাগবে না। মাফও চেয়েছে। গনহত্যার জন্য পা ক হানাদার বাহিণীকে বলা হয়েছিলো যেনো ক্ষমা চায়- কিন্তু তারা জাতিগত ভাবে কিছু প্লেকার্ড প্রদর্শন বা বিবৃতির মাধমে ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে জাতিসংঘের কাছে এখনো ক্ষমা চায় নাই ৭১ এ সংঘটিত বাংগালী গনহত্যার জন্য। পা কিস্তান যেনো আন্তর্জাতিক অংঘনে লিখিত ভাবে  ক্ষমা চায় ১৯৭১ এর গনহত্যার জন্য, সে ব্যাপারে মুভমেন্ট করা উচিত। বিশ্বের একেক দেশে একেকদিন গনহত্যার দিন বিবেচিত হয়। এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ  গনহত্যা আমার কাছে মনে হয় - ইসরায়েলে একসাথে ৬০ লক্ষ লোককে হত্যাি করা হয়েছিলো- যাকে হলোকাষ্ট বলে ডাকা হয়। আর এখণ কয়েকদিন আগে দেখলাম- ইসরায়েল বিশ্বের দ্বিতীয় সামরিক পরাশক্তি ডাকা হয়। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় পাওয়ার বা বন্ধু হইতাছে আমেরিকা। তাদের সমস্ত নাগরিক সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত- বৃদ্ব এবং বাচ্চা কাচ্চা ছাড়া- যেনো যুদ্ব লাগলে প্রয়োজনে সকলে দেশের জন্য প্রান দিতে পারে সে জন্য সকলেই একসাথে যেনো লড়াই করতে পারে। সম্পৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এডমিনিষ্ট্রেশন এর সহায়তায় জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষনা করা হয়েছে। পৃথিবীর সকল নবীজির জন্য তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত - জেরুজালেম কে ইসরায়েলের রাজধানী বিবেচনা করায় আমি  ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশী হয়েছি। বাংলাদেশ থেকে না পারলেও ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করে একবার ভিজিট করার জন্য- হাদিসে আছে বলে শুনেছি- নবীজি বলেছেন- যদি সামর্থ্য থাকে একবার যেনো জেরুজালেম ভিজিট করে এবং সখোনে যেনো পারলে জেরুজালেম মসজিদে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে।  


স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালীন যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা বাংলা ভাষার স্বাধীনতা চায় নাই তাদেরকেই বাংলা ভাষা বিরোধী শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা যাবে সহজেই। সারা বিশ্বে বৃটিশদের শাসন ছিলো- বলা হইতো ব্রিটিশদের স্বাধীনতার সূর্য কখনো অস্ত যাইতো না। তো ব্রিটিশরা যখন যে দেশকে স্বাধীন ঘোসনা করেছে সেখানে একটা ব্যাপার খেয়াল করা গেছে যে- তারা ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করেছে। যেমন- হিন্দী তে কথা বলে হিন্দুস্তান, উ র্দু তে কথা বলে উ র্দুস্তান, আফগান ভাষাতে বলে আফগানিস্তান, মালয় ভাষাতে কথা বলে মালয়েশিয়া, মালে ভাষাতে কথা বলে মালদ্বীপ, ভুটানিজ ভাষাতে কথা বলে ভুটান, নেপালিজ ভাষাতে কথা বলে নেপাল এরকম আরো অনেক দেশ ই ভাষার ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে। শুধূমাত্র ২ টা দেশে একটা ভিন্নতা রয়ে  গেছে। ভারত এবং স্পেন। ভারতের  অনেক  রাজ্যের অনেক লোকজন বাংলা ভাষাতে কথা বলে কিন্তু দেশ হিসাবে পালন করে ইন্ডিয়াকে। আবার স্পেনের ভেতর ২টা ভাষা ব্যভহৃত হয়- কাতালুনিয়া অংগ রাজ্যের ভাষা কাতালুনিয়ানিজ আর স্পেনের ভাষা স্পেনিশ। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ কিন্তু ভাষার ভিন্নতার কারনে কাতালুনিয়ার রাজধানী হিসাবে বিবেচতি হয় বার্সেলোনা। ভাষার ভিন্ন্তা থাকা সত্বেও স্পেনের লোকজন এক দেশে এক পতাকা তলেই বসবাস করে। আর আমাদের ২ দেশে ভাষা এক হলেও আমরা বসবাস করি ২ দেশে- ভারতের রাষ্ট্রভাষা অবশ্য হিন্দী- এমন কোন ভারতীয় খুজে পাওয়া যাবে না যে হিন্দী জানে না কিন্তু আঞ্চলিক ভাবে তারা অনেক রাজ্যে বাংলা ভাষাকে প্রধান ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালে ভারতীয় বাংগালীরা আমাদেরকে সীমাহীন সাহায্য করেছে। থাকার জায়গা দিয়েছে, ট্রেনিং ক্যাম্প দিয়েছে, অস্ত্র জোগাড় করে  দিছে, ট্রেনিংপ্রাপ্ত করে যুদ্বে অংশগ্রহন করে জিততেও সাহায্য করেছ, সম্মিলিত ভাবে যুদ্বে  অংশগ্রহন করেছে পা ক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্বে। হানাদারকে চিরতরে বাংলা থেকে হঠাতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ আসলে বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্বা এবং ভারতীয় বাংগালীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে। স্বাধীনতা যুদ্ব শেষে যারা যারা সেই দেশে থাকতে চেয়েছে শুনেছি তাদেরকে থাকতে ও দিয়েছে আবার এখনো মুক্তিযুদ্বে ব্যবহৃত অনেক অনেক ট্রেনিং ক্যাম্পকে অক্ষত করে রাখা আছে যেনো যে কোন বাংগালী যেয়ে দেখতে পারে । ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্বে যদি কেউ ভারতীয় বাংগালী এবং ভারতীয় সেনাবাহিণীর ভুমিকা এবং সাহায্য কে অস্বীকার করে তাহলে তাদেরকে ভারতীয় রাজাকার বললে ভুল হবে না। একসাথে বাংলা ভাষাতে কথা বলে এরকম সকলে মিলেই প্রতিহিত করেছিলো পা ক হানাদার বাহিনী আর দালাল রাজাকার গুলোকে যাদের ফাসির কার্যক্রম বর্তমানে চলতাছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী। বাংলাদেশের তিন দিকেই ভারতীয় বাংগালী এবং ভারতীয় বাংলা রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। মাঝখানে বাংলাদেশ। অনেকটা দেশের ভেতরে দেশ- যেমন ইটালীর ভেতের অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটি আর ভারতের ভেতরে অবস্থিত বাংলাদেশ নামক লাল সবুজের একটি দেশ। বর্তমানে ভারতীয় সামরিক বাহিণীর শীক্ত সারা বিশ্বে প্রশংসিত- রিসেন্টলি তারা সামরিক চুক্তি করেছে অস্ত্র লেনাদেনার ব্যাপারে- ইসরোয়েল এবং ইউএসএ এর সাথে।  রিসেন্টলি তাদের মধ্যে এড হয়েছে পারমানবিক শক্তিধর নেভী শিপ বা জাহাজ। 

শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ শেষ হবার পরে যখন নিয়মিত হারে রাজাকারদের ফাসির আয়োজন আর কার্যকারিতা চলতোছে তখন এক রাজাকার এর সাথে কথোপকথন চলতাছে আমার একদিন। আমি কয়েকজন তালিকাগ্রস্থ রাজাকারকে চিনি (যাদের সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নাই এবং আত্মীয়তার সম্পর্কও নাই) মানে তাদের নাম বিভিন্ন লিষ্টিতে আছে। বলতাছে- তারা তো দালাল, রাজাকার দেশবিরোধী- তাদের একদিন ফাসি হবে এবং তাদের বিরুদ্বে ফাসির রায়ও এসেছে। তো আমি কি সেই রায় সাপোর্ট করি কিনা? আমি প্রথমে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে জয় বাংলা বললাম  এবং তারপরে বললাম- আসি সাপোর্ট তো করিই বরঞ্চ আমি চেয়েছিলাম একদিন প্রকাশ্য দিবালোকে সব রাজাকারকে রাজ পথে ফাসি দিয়ে দিতে বা ল্যাম্পপোষ্টে ঝুলাইয়া ফাসি কার্যকর করতে বা প্রকাশ্য দিবালোকে সব গুলোকে এক সিরিয়ালে দাড় করিয়ে গুলি করে মাইরা ফালাইতে বা প্রকাশ্য দিবালোকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে? তো সে উত্তরে বলতাছে- তাদের কোন ক্ষমা নাই তারা তো ফাসি খাবেই কিন্তু তাদের একটা অনুরোধ আছে। আমি বললাম - দালাল রাজাকার দের কোন অুনরোধের দাম দেওয়া নিষেধ আছে। তোর অুনরোধ শোনার আমার দরকার নাই। তো বলতাছে ভাই শেষ একটা প্রশ্ন ছিলো জানবার- যে তাদের বংশধরদের কি হবে? তো আমি বললাম আমার মতে  তাদের বংশধরদের নূন্যতম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে হবে। কারন শাহবাগ গনজাগরনের একটি ডায়ালগ আছে- “প্রজন্ম রাজাকার, গোষ্টী সহ করবো মার্ডার “। মানে বলা যায় গনজাগরনের শক্তি যেদিন এ দেশে ক্ষমতায় বসবে বা বাংলা জমির শাসন  ক্ষমতা  পাবে সেদিন সম্ভবত প্রজন্ম রাজাকার, প্রজন্ম দালাল, প্রজন্ম পা ক হানাদার বাহিণী গায়েব হয়ে যাবে। তো সেই রাজাকার বলতাছে- তাদেরকে কি পালা সম্ভব? আমি সাফ সাফ উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিলাম- তাদেরকে পালা সম্ভব না। 

আমি রাজাকারের কথোপকথন শূনে একটু ভাবলাম- যে বা যারা কিনা বাংলাতে কথা বলে ৭১ এ বাংলা ভাষা বা বাংলা দেশ বা বাংলাদেশীদের বিরুদ্বে লড়াই করতে দ্বিধাবোধ করে নাই- তারা জানে যে তাদের নিশ্চিত মৃত্যু যদি তারা পরাজিত হয় -তারপরে দেশ স্বাধীন হবার পরে থাদের অনেকেই বেচে থাকলো- বলতে গেলে সব রকমের সুবিধা নিয়ে বেচে ছিলো- তারা আবার শাহবাগ গনজাগরনের পরে রাজাকারের ফাসি কার্যকর হবার পরে তারা তাদের নিশ্চিত ফাসি জেনে তাদের বংশদরদের কথা বিবেচনা করতাছে- কি আজব আর তাজ্জব? যেই দেশটাকে তারা এক সময় ঘৃনা করলো সেই দেশেরে ভেতরে আবার তারা তাদের বংশধরদের জণ্য চিন্তা ভাবনা করতাছে- তাদেরকে খাইতে, শুইতে, চলতে, ফিরতে দেয়া হয় আবার তারা ঘর সংসার সমাজও করতে পারলো কিন্তু তাদেরকে শুধু সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত চাকুরী দেয়া হলো না বা তাদেরকে সরকারি নির্ধারিত কোন ভাতাও দেয়া হলো না  (এই একটা পয়েন্টে আমি বাংলাদেশ অনেষ্টি পেয়েছি)-  এই নিয়ে তাদেরকে ভাবতেও দেখেছি। (যেমন আজো এই দেশে এমন কোন দালাল/রাজাকার নাই যে ঠোটে মুখে বলতে পারবে যে একাত্তরে তারা দেশবিরোধী ছিলো-যদি সাহস থাকে তবে তারা যেনো সকল ধরনরে ঠিভি ক্যামেরার সামনে বলে দেয় যে তাার ৭১ এ দালাল/রাজাকার ছিলো - পরে দেকবেন দেশবাসী কি বলে) দেশ স্বাধীনতার বিপক্ষে থেকে রাজাকারেরা সব সুবিধা পেয়ে গেলো- ইভেন মুক্তিযোদ্বা না হয়েও এ দেশের অনেক সুবিধা নিয়ে বেছে থাকলো এবং আনন্দ ফুর্তি করে যাইতাছে এর কারন কি? তারা তো তাদের তথাকথিত পুর্ব পা কিস্তান বানানোর জন্য বা রাখার জন্য  বাংলাদেশের বিরুদ্বে যুদ্ব করলো- তারা আবার স্বাধীন বাংলাদেশে বেচেও থাকলো- সব সুযোগ সুবিধা গ্রহন করলো- অক্সিজেন নিলো, কাপড় চোপড় কিনে পড়লো- আয়োজন করে বিয়েও করলো- সন্তান হইলো নাকি ধার করে নিয়ে আসলো বা থাকতে পারলো- তাদরেকে এতো ধরনের সুবিধাটা দিলো কে? নিশ্চয়ই প্রশাসনের ভেতরে তাদের বড় সড় হাত ছিলো যাতে করে তারা তাদের সমস্ত সুবিধা আদায় করে নিতে পারলো। শুনেছি রাজাকারেরা চিরস্থায়ী জাহান্নামি - বাংগালীর অভিশাপে সেজন্য কি দুনিয়াটা/দেশটা তাদের কাছে বেহেশত হয়ে গেলো নাকি?  দালাল রাজাকারেরা তো দেশবিরোধী ছিলো এবং বাংলাদেশটাকে স্বর্গ হিসাবে ব্যবহার করে গেলো- কিন্তু তাদের প্রজন্ম কে কখনো এদেশে স্বর্গ হিসাবে থাকতে দেয়া হবে না। জয় বাংলায় যতোটুকু ক্ষমতা আছে তা দিয়ে তাদের জন্য নরক গুলজার বানাবো বা বানিয়ে রাখবো । বিশ্বে সমস্ত ধরনের গনহত্যার বিচার হয়েছে এবং বিচারে তাদের মৃত্যুদন্ড ফাসির রায় এসেছে। সব দেশেই গনহত্যার বিচার হয়- বাংলাদশেও শুরু হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রজন্ম কে পালতে স্বক্ষম না কারন আমার শরীরের ভিতরে অবস্থানকারী জয় বাংলার অস্তিত্ব- সে সায় দিবে না এবং আমি পারবোও না। 

শাহবাগ গনজাগরন থেকে রাজাকারদের কে হায়েনা, কুত্তা, শুয়োর এবং রক্তচোষা প্রানীর সাথে তুলনা করা হয়েছে-   তাদেরকে চশমখোর ও বলা হয়েছে। তাদেরকে আরো বলা হয়েছে অমানুষ। সো তাদের সন্তানেরা বা বংশধরেরা আর কতোটুকু মানুষ হবে- হয়তো তারা মানুষের রুপ ধারন করতে পারবে আর চান্স পাইলেই তারা আবারো ছোবল দেবার চেষ্টা করবে। দেশটাকে আবারো পা কিস্তান বানানোর ধান্ধা করবে। মুক্তিযোদ্বাদের কথায় বলতে হয়- কথা বলি বাংলা ভাষায় - আইসা বলে পূর্ব সামথিং।  সেই সকল মুক্তিযোদ্বাদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত  ২ টাই হেভেন - যারা দেশ স্বাধীন করে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকাতে (পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ) পরিস্তার সুষ্ট সুন্দর বাতাসে বসে তার  প্রেমিকা /পাড়া প্রতিবেশীদের কথা ভাবতাছে আর নীরবে তাদের সাথে আত্মার সম্মেলনে ব্যস্ত আছে আর ভাবতাছে। তারা এই দেশ থেকে শত্রু কে খেদাইয়া দিছে এবং তারা মাথা নত করে এ দেশে ছেড়ে চলে গেছে আর মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনদিন আসবে না বাংগালীর সাথে যুদ্ব করতে। আমি কিছু মুক্তিযোদ্বা আংকেলকে কে অনেক কাছ থেকে দেখেছি- তারা আসলেই মহান, ফেরেশতাদের মতো তাদের ভেতরটা। পরিস্কার, ধবধবে সাদা এবং শান্তির এক বিরাট আধার। দেশ স্বাধীন হবার পরে- তারা ক্লান্ত ছিলো, হয়তো তারা বিষন্ন ছিলো- তাদের আত্মীয় স্বজন কে হারিয়ে তারা হয়তো একটা কষ্টের মধ্যে পড়ে গেছিলো হয়তো তারা আধারে পড়ে গেছিলো- বেচে থাকাকে আবারো নতুন যুদ্ব হিসাবে গ্রহন করেছে এবং শাহবাগ গনজাগরনের মাধ্যমে সময় এসেছে এদেশে মুক্তিযোদ্বাদেরকে নতুন করে সম্মানিত করার জন্য। ৪৩ বছর পরে দাগ কাটা রাজাকারদের গলা কাটা ফাসি কার্যকর করার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্বাদেরকে আমরা সম্মানিত করেছি - কিন্তু আরো বড় সম্মানিত করতে পারবো যদি তাদের বুকে জমে থাকা কষ্টটাকে লাঘব করার জন্য , তাদের অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করতে দেবার মাধ্যমে বা তাদের মরে যাওয়া বন্ধুদের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার জন্য একজোট হই- পৃথিবীতে সব স্বপ্নেরই দাম আছে। সবার স্বপ্নই সত্যি হওয়া উচিত। সামনের বছর বিজয়ের ৫০ বছর পুর্তি- স্বাধীনতা এবং বিজয়ের রজত জয়ন্তী। এই রজত জয়ন্তী ক্ষনে আমি আমার এই দেশটাকে মুক্তিযোদ্বাদের পায়ের কাছে রেখে দিলাম যেনো তারা এই দেশটাকে তাদের নিজেদের মন মতো ব্যবহার করতে পারে। দেশটা তাদেরই- নিঝুম রাতে নির্ঘুম অবস্থায় কাধে রাইফেল বা বুকে ষ্টেনগান নিয়ে শাপ , ঝোপ, পোকা মাকড় কোন কিছুর পরোয়া না করে শতরুদের বিরুদ্বে অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে বিজয়কে ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ ততোদিন বিশ্বে এ ক্লাস দেশ হতে পারবে না যতোদিন জীবিত এবং মৃত মুক্তিযোদ্বাদের সম্মিলিত স্বপ্ন কে বাস্তবাযন করার চেষ্টা শুরু না হবে। আমি সেই স্বপ্নগুলোকে খুজে ফিরে একসাথে করে বাস্তাবয়নের জণ্য অনুরোধ করবো এ দেশের সকল বাংলা মায়ের সন্তানদের এবং তাদেরকে যারা জীবনের তোয়াক্কা না করে থানা শাহবাগে একসাথে পৃথিবীর সেরা একটা রেভুল্যূশনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্বাদেরকে আকাশ সম সম্মান দিয়ে বাংলার জয় বাংলা কে অক্ষত করে রেখেছেন । রাজাকার সে তো খালি মুখে জয় বাংলাই বলতে পারে না- এইখানে তাদের প্রজন্ম পালার কথা আসে কি করে- তাদেরকে তো জিহবা টেনে ছিড়ে ফেলা উচিত যেনো তারা কিছু না খাইতে পারে এই মুক্তিযুদ্ব ভিত্তিক স্বাধীন বাংলাদেশে। জয় বাংলার দেশে আমাদের তো হয়রত আজরাইল (আ:) এর সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত যেনো দালাল/রাজাকরের বংশধর রা এই দেশে ঠিকমতো অক্সিজেন ও না নিতে পারে। দালাল রাজাকার দের থেকে তাদের সন্তানেরা আরো বেশী ভয়ংকর কারন তারা তাদের বাপ দাদার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে রেখেছে - তাদের বাপ দাদারা যা এপ্লাই করে আজো অনেকখানে জীবিত আছে -আর তাদের সন্তানদের কে বাংলার বিরুদ্বে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে যাইতাছে। তাদের বিরুদ্বে জয় বাংলার প্রজন্মের যুদ্বটা আরো বিশদ- কারন জয় বাংলায় ভয় নাই। তাদেরকে ভয় না পেয়ে শুধু মাত্র জয় বাংলাকে সংগী করেই আপনি এ যুদ্ব জয় লাভ করতে পারবেন কারন ঐ একটাই- প্রজন্ম দালাল রাজাকার বা দেশবিরোধীরা কখনো এই দেশে খালি মুখে জয় বাংলা বলতে পারে না। আর পারলেও সেটা তার জীবন রক্ষার জন্য- এই দেশটাকে ভালোবেসে বলতে পারবে না। 

আত্মার কোন মরন নাই। আত্মা অবিনশ্বর। থানা শাহবাগ গনজাগরন থেকে বলা হয়েছে- রাজাকাররা অমানুষ। অনেক খানে দেখেছি রাজাকারদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটাধিকারও নাই।তাহলে তারা বাংলাদেশে বেচে আছে কি করে- তাদেরকে কারা সাহায্য করতাছে? যারা সাহায্য করতাছে তারা কি মানুষ? সব মানুষের বিচার হবে হাশরের দিনে- আর যদি দালাল রাজাকারো অমানুষ হয় তাহলে তাদের সাথে আত্মার জগতে যুদ্ব করার কিছু নাই। মুক্তিযোদ্বারাও অবিণশ্বর। দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য প্রান দিয়ে গেছে এবং আত্মার জগত থেকে আমাদেরকে দেখতাছেন প্রতি সেকেন্ডে। একদিন সকলেরই বিচার হবে। নিজের বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করে দেখি - আমার দ্বারা এই দেশের মুক্তিযোদ্বারা কতোটুকু সম্মানিত হচ্ছেন? নাকি অজান্তেই দালাল/রাজাকার বা তাদের বংশধরদের আমরা সহায়তা করে যাইতাছি। 

অনেক রাজাকারকে বলতে শুনেছি মুক্তিযোদ্বারা ৭১ এ আজরাইলের রুপ ধরেছিলো। হয়রত আজরাইল (আ:) ভালোবেসেছিলো বলেই তারা আজরাইল (আ:) এর রুপ পেয়েছিলো সম্ভবত। তো এখনো তারা আজরাইলের (আ:) ক্ষমতা নিয়েই বসে আছে। তারা যদি চায় তাহলে দালাল রাজাকার এবং তাদের প্রজন্ম মুক্ত বাংলাদেশ গড়াটা একদিনের ব্যাপার। 

জয় বাংলাই চির ক্ষমতাবান এই বাংলার রাজত্বে। 


Friday, August 28, 2020

বাংলা সিনেমা দেখার জন্য যুদ্ব বা ষ্ট্রাগল।

 


বাংলা সিনেমা দেখার কারনে ছোটবেলাতে অনেকেই আমাকে ক্ষ্যাত ডাকতো। আমি তেমন কিছু মনে করতাম না। কারন হলে যাইয়া বড় পর্দাতে সিনেমা দেখার সাহস তখনকার দিনে সবার ছিলো না। খুব সুন্দর একটা কম্যুনিটি ছিলো বাংলা মুভি দেখার জন্য।মনে চাইলেই হলে যাইয়া সিনেমা দেখা যাইতো না। কোন সিনেমা যদি হিট না হতো তাহলে সেই সিনেমাটা হলে শুধু এক সপ্তাহ থাকতো। আর যদি হিট হইতো তাহলে ২ সপ্তাহ বা ৩ সপ্তাহ চলতো। একদম সুপার ডুপার হিট মুভি গুলো অনেক দিন ধরে চলতো। একটা মুভি হলে ব্লক ব্লাষ্টার হলো কিনা তা বোঝা যাইতো সেই মুভিটা কয় সপ্তাহ ধরে চলতাছে।তার উপর ভিত্তি করে ডিসিসান নিতে হতো যে মুভি টা দেখবো কি না দেখবো। আমি ম্যাক্সিমামা মুভি দেখতাম যে মুভিটা মিনিমাম ১ সপ্তাহ গড়িয়ে ২য় সপ্তাহে পা দিছে হলে। হলে যাইয়া মাঝে মাঝে সিট পাই নাই বা দাড়াইয়া মুভি দেখার টিকেট পাওয়া গেছে - এরকম কয়েকবার ই হয়েছ্ তবে যতোবারই মুভি দেখার জন্য দাড়াইয়া দেখার টিকেট পাইছি ততোবারই সিড়িতে বসে সিনেমা দেখার সুযোগ মিলেছে আলাদা চেয়ারে আর লোকজন আমাদের কষ্ট দেখে বলতো যে- এরা একদিন ডাইরেক্টর হবে- মুভি বানাবে। কারন আমরা শিক্ষিত ছেলে পেলে ছিলাম , স্কুল কলেজের ড্রেস পড়ে মুভি দেখতে যাইতাম হলে। গ্রামের অশিক্ষিত সহজ সরল মানুষগুলো সহজে এই ধরনের কথা বার্তা বলে ফেলাইতো। যতোদিন মুভি দেখেছি ততোদিন রুবেল, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, জসিম, জাভেদ, সালমান শাহ, মিঠুন এরকম যারা পপুলার তাদের কোন ছবি মিস করতাম না। নায়িকাদের মধ্যে মৌসুমী, শাবনূর, সোনিয়া, পপি বা এরকম আরো অনকে পপুলার দের মুভি দেখতাম।  আর আমাদের সমবয়সী অন্যন্য ছেলে মেয়েরা আমাদের মুভি দেখা নিয়ে কটাক্ষ করতো। যারা কটাক্ষ করতো তাদেরকে কে সালমান শাহ ডেকে মুভি হলে নিয়ে গেছিলো তার মুভি দেখার জন্য। সালমান শাহ এর অন্তরে অন্তরে মুভিটা আমার চোখে লেগে আছে এখনো। 

বাংলা মুভির যারা নিয়মিত অভিনেতা অভিনেত্রী তারা নিয়মিত কষ্ট করতেন অনেকে- অনেক ষ্ট্রাগল করে একটা মুভি বানাতেন। তখন একমাত্র ষ্টুডিও এফডিসি যাকে সারা দেশে সবাই ডাকতো ঢালিউড বলে। অনেকেই অনকেবার সুযোগ করে দিয়েছে একেবারে এফডিসি এর ভিতরে যাইয়া নায়ক নায়িকাদের দেখার জন্য- কিন্তু আমার কেনো জানি পর্দাতে অভিনয় দেখতেই ভালো লাগতো। কোন শুক্রবারে বিটিভি তে ফ্রি দেখানো মুভি মিস করতাম না। যতোগুলা বাংলা ছবি দেখেছি হলে যাইয়া তার পরিমান হবে ২০০-২৫০। ছবির নাম এবং নায়ক নায়িকাদের নাম প্রায়শই  লিখে রাখতাম। কারন কি , জানি না? কোথায় কোন ছবির সুটিং হইতাছে তা আমাদের মধ্যে অনেকেরই  মুখস্থ থাকতো। স্কুল কলেজ বা ক্লাসের পড়া পারতো না - কিন্তু মুভি কখনো মিস হতো না। বাংলাদেশী মানুষ বা গ্রামের সহজ সরল মানুষ যে বাংলা মুভি কে এতো ভালোবাসে তা হলে যাইয়া যদি কেউ সিনেমা না দেখে তাহলে কেউ বলতে পারবে না। আমরা সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী। প্রচন্ড ভিড় ঠেলে হলে সিনেমার টিকেট কাটা, ব্ল্যাকে বেশী দাম দিয়ে টিকেট কেনা, অনেক সময় একই টিকেট ২ জনের নামে ইস্যু হওয়া, সবসময় দল বেধে মুভি দেখতে যাওয়া এবং একবার টিকেট কাটার পরে যেনো আর বের না করতে পারে সেই জন্য সচেষ্ট থাকা এবং ভীড়ের মাঝে হারিয়ে না যাওয়া- সেটাও অনেক বড় ব্যাপার ছিলো। সিনেমা শুরু হবার পরে যদি কেউ হারিয়ে যাইতো তাহলে তাকে হাফ টাইমের আগে ‍খুজে পাওয়া অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। একই সিরিয়ালে বসে থেকে অনেক সময় অনেক কটু কথা বা পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হওয়া- কারো শরীরের উপরে পড়ে যাওয়া বা কারো গায়ে হাত বা ধাক্কা লেগে যাওয়া- এইগুলো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিলো। যে সকল মেয়েরা খুবই সাহসী ছিলো তারা একদম শত শত ছেলের মাঝখানে বসে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ডের সাথে সিনেমা হলে বসে থেকে সিনেমা এনজয় করা- এক অসাধারন ব্যাপার ছিলো। জোড়ে শিস দেয়া বা হাততালি দেয়া বা প্রত্যেকটা সিন সিনারিতে রিয়াকসান করা এইগুলো  খুবই মজার ব্যাপার ছিলো। শিস বা হাততালির জন্য হলে কখনো কেউ কিছু বলে নাই। অনেক অনেক সাহসী মেয়ে ছিলো যারা ২ জনে বা ৩ জনে মিলে সিনেমা হলে চলে আসতো। সিনেমা হল থেকে খাতির হয়েছে আর বাস্তবে সংসার করতাছে এরকম অনেক ছেলে মেয়েকে আমার এখনো মনে পড়ে। 

ময়মনসিংহ শহরে ৫টা মুভি হল ছিলো। ধারে কাচে আরো ছিলো ত্রিশাল, বালিপাড়া, শম্বুগঞ্জ, মুক্তাগাছা এরকম আরো ৫ টি হল। কোন মুভি যদি ব্লক ব্লাষ্টার হিট হতো তাহলে কে কোন হলে মুভি দেখবে তা নিয়ে এক হুলস্থুল কারবার ঘটে যাইতো। কোন হলে মুভি দেখার জন্য টিকেট না পাইলে আর মন খারাপ হইলে দূর দুরান্ত থেকে বন্ধুরা আসতো তাদের হলে নিয়ে যাইয়া মুভি দেখানোর জন্য। তারা স্থানীয় ছেলে বলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের কে ময়মনসিংহ শহরের ছেলে বলে হলে সিট পাওয়াইয়া দিতো এবং ব্ল্যাকমেইল করে হলেও হলে মুভি দেখতাম। ময়মনসিংহ শহরের সবগুলো হল ছিলো খুবই ওয়েল ডেকোরেটেড। থুবই ভালো পর্দা এবং সাউন্ড। অজন্তা, পূরবী স্ক্রিন বলতে গেলে সারা দেশে বিখ্যাত ছিলো। অনেক সময় হলের মালিকেরা ছবির নায়কদের কে নিয়ে আসতো হলে মুভি শুরু হবার আগে। ঢাকা শহরে অনেক সময় ছবির নায়ক নায়িকারা ছদ্মবেশ ধরে হলে চইলা যাইতো ফাষ্ট শো তে মুভি দেখার জন্য। এরকম অনেক রেকর্ড আছে- পরে আমরা বিচিত্রা তে বা অন্য কোন ম্যাগাজিন পড়ে ডিটেইলস দেখতে পারতাম। ১৯৯৮ -৯৯ সালের শেষের দিকে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ক্লাস শুরু হয়ে যায়। সেইখানে যাইয়াও বন্ধুদেরকে পাইলাম ভালো ছবি হইলে হলে যাইয়া মুভি দেখতে কোন না নাই। একবার এক ছবি দেখতে গেলাম ২০০০ সালে সিলেটের সিনেমা হলে- সেখানে ছবির নায়ক ৩ জন। হাসান, মুকুল আর মিজান। আর সিনেমাহলের সিট্রে আমরা ৩ বন্ধু বসেছিলাম - হাসান, মিজান, মুকুল। সব ৫ম ব্যাচের ষ্টুডেন্ট। পরে আস্তে আস্তে হলের টিভি রুমের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সিলেটের লোকাল চ্যানেলেও অনেক সময় অনকে বাংলা মুভি দেখাতো। সময় পাইলেই দেখতাম। ২০০০ সালের পর থেকে হলে যাইয়া সিনেমা দেখা ভুলে গেলাম। একদিন ছুটিতে ময়মনসিংহ আসলাম- সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ েবন্ধ থাকাতে। আমাদের স্থানীয় বাসা ময়মনসিংহ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। ফল মুল কেনার জন্য এবং চরপাড়া মোড়ের কাছে খুব ভালো চা বানানোর কারনে আমি ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে বের হয়ে চরপাড়া তে যাই সাথে মানিব্যাগ শুধু। চরপাড়া মোড়ে যাইয়া চার কথা বলে শুধূ চা টা ঠোটে লাগাইছি - দেখি একসাথে ৪০/৫০ জন মানুষ দৌড়াদৌড়ি করতাছে - আর বলতাছে সিনেমা হলে বোমা ফুটছে- সিনোম হলে বোমা ফুটছে- অনেক মানুষ মারা গেছে। আমি সেদিন সকালে ১১ টার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারলে নিশ্চিত সিনেমা হলের ভেতরে থাকতাম কারন টাইম থাকলে আর হাতে টাকা থাকলে সিনেমার শো কখনো মিস করতাম না তাই । তাই আতকে উঠে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষন।   সম্বিত ফিরে পেতে অনেক মানুষের দৌড়াদৌড়ি দেখে  এবং আরো অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখে সেই এলাকা থেকে একটা রিকশা ঠিক করে বাসাতে চলে আসলাম। কাছেই ভাটিকাশর মিশনারী হাউজ এবং আরেকদিকে পূরবী হল ছিলো। আরকেটু দুরে ছিলো অজন্তা এবং ছায়াবানী সিনেমা হল। আমরা বলতাম জমজ সিনেমা হলে- আরেকটা হলের নাম ছিলো অলকা- একসাতে সব গুলো সিনেমা হলে বোমা হামলা হয় । তখন সারা দেশেই ক্রমাগত বোমা হামলা হইতো। পৃথিবীর কোন গনতান্ত্রিক দেশে এতো পরিমান বোমা হামলা হইতো যো ভাষায় প্রকাশ করার মতোন না। 


২০০১-২০০৬ সালে চার দলীয় ঐক্য জোটের আমলে তৎকালীন সরকার বিএনপি জামায়েতে ইসলাম কে (বর্তমানে অবৈধ) এতো পরিমান পৃষ্টপোষকতা করে যে দেশবাসী হতভম্ব হয়ে পড়ে। অনেক গনতান্ত্রিকমনা ছেলে মেয়েরা বিএনপি কে আগে মন থেকে সাপোর্ট দিতো- কিন্তু চার দলীয় জোট সরকারের আমলে দেশবিরোধী রাজাকারের হাতে দেশের পতাকা তুলে দেয়া, সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা, একই এ টাইমে সারা দেশের আদালতে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা এই সকল পরিস্থিতিতে ভাবতে হতো বা চিনতে হতো এবং পরে চলাফেরা করতে হতো। অনেক সময় রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করার সময়ে মনে হতো- এই বুঝি বোমা হামলা হলো বা এই বুঝি মরে যাবো যে কোন সময় যে কোন খানে। জাতিসংঘের উদ্বেগ আশংকা থাকা সত্বেও সারা দেশে জঙ্গিদের এই বোমা সম্পৃক্ততা এবং সারা দেশে অসংখ্য মানূষের বোমা হামলাতে হত্যা - অনেক মানুষকে চিরকালের জন্য বিএনপির প্রতি থেকে মন মানসিকতা সরাইয়া নেয়। অনেককে দেখেছি রাগে দু:খে কষ্টে দেশে ছেড়ে চলে যাইতে - আর ফিরে আসবে না বলে মুচলেকাও দিয়ে গেছে কারন তারা বিএনপি সাপোর্ট করতো। তখন সারা দেশে আমরা একযোগে শপথ গ্রহন করি যে আর কখনো এই অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। কারন পুরো দেশটা মুসলিম জঙ্গি দের হাতে চলে যাইতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক সরকারেরও  পরিবর্তনের দরকার আছে ১০০%। ২০০৯ সালের ১০টাকা কেজি চালকে এখন কিনতে হয় ৫০ টাকা, ২০ টাকার সয়াবিনের লিটার এখন ১০০টাকা বা ৫ টাকার লবন ৩০/৩৫ টাকা। ১০ টাকার ডাল ৬০/৬৫ টাকা - সব মিলিয়ে গরীব মানুষের জন্য জীবনটা দুর্বিষহ পর্যায়ে। আর আজকে ১০ বছর- নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম ক্রমাগতে বেড়েই যাইতাছে- চলে যাইতাছে হাতের নাগালের বাহিরে। এক ছোট ভাই দিন মজুর এর কাজ করে - সেদিন বলতাছে- ভাই , ১২০ টাকায় বৌ বাচ্চা নিয়ে ৩ বেলা খাইছি ২০০৯ সালে আর আজকে ২০১৯ সালে দৈনিক ৫০০ টাকা দিয়ে ৩ বেলা খাইতে বা পড়তে বা চলতে পারতাছি না - আর রেগুলার কাজ ও পাওয়া যায় না। 

থানা শাহবাগে অনুষ্টিত গনজাগরন ২০১৩ সারা দেশের মানুষের মনে আশা আকাংখা ফুটিয়ে তুলেছে। সারা দেশের সহজ সরল সাধারন মানের ছেলে পেলে দের সপ্রতিভ অংশগ্রহন, রাজাকারের ফাসি কার্যকর  এবং নতুন ইতিহাস তৈরী করার জণ্য এই ছেলে পেলে দের মুখের পানে অনেক সময় দেশবাসী তাকিয়ে থাকে দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য  । এখন শাহবাগ গনজাগরন আন্দোলনে অংশগ্রহনরত অনেকের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আমার খুব ইচ্ছা বাংলাদেশে আমি একটা ১০০% স্বচ্চ পরিস্কার সুষ্ট নির্বাচর দেখবো- যে লক্ষ্যে তৈরী হয়েছে ছবিসহ ভোটার তালিকা। বর্তমানে আমাদের দেশে ৯০% লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে বৈধ। আর ছবিসহ ভোটার তালিকাটা তখনই ১০০% বৈধ ব্যবহার হবে যখন এ দেশের সব মানুষ পরিপূর্ন স্যাটিসফেকশনের সহিত একটি নির্বাচনে ভোট দেবে এবং সঠিক ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যাবে। ২০১৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দিছি হাত পাখাকে- ইচ্ছা আছে সামেনর বার ভেঅট দেবো গনজাগরন পন্থী রাজনৈতিক দলকে। এ বলে সে পপুলার , সে বলে এ পপুলার এই ব্যাপারটির সুরাহা হবে। আশা করি সেই নির্বাচন খুব দ্রুত দেখা যাবে করোনা কালীন সময় শেষ হবার সাথে সাথে। লেবু বেশী কচলাইলে তিতা হয়ে যাবার মতো এখনকার দিনের রাজনৈতিক  সরকার ব্যবস্থা  ভোটের মাধ্যমে  পরিবর্তন করে নতুন একটি সরকার ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতাছে অনেকেই (আমি অনেকের সাথে কথা বলে তাই বুঝেছি)  - প্রত্যেকের মুখেই অভিযোগ- জিনিস পত্রের দাম বেড় যাওয়া, বিদ্যুত, গ্যাস সহ আরো অনেক কিছুর দাম বেড়ে যাওয়া এবং নিত্য দিনের মতো বেড়েই যাওয়া - ক্রমেই জনজীবনকে অসহায় করে তুলতাছে। আমি নিজেও এই সরকারের কাছ থেকে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া আর কোন সাহায্য পাই নাই। আমি মনে করি জন প্রতিনিধি হবে এরকম একজন মানুষ- যে কিনা নির্ভয়ে সকল মানুষের মাঝে ঘুরে বেড়াবে। যাকে ৮/১০/১২/১৫ জন মিলে অস্ত্র সহ পাহারা দিতে হবে না। 

শেষ বড় পর্দাতে সিনেমা দেখেছিলাম - থানা শাহবাগ এলাকাতে। মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির  আয়োজনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কষ্টের উপরে ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র বা প্রামান্য চিত্র বা শর্ট ফিল্ম । দেশটা সকলের - তাই সকলে মিলে দেশ গড়ার অধিকার আছে। গার্মেন্টস এর ছেলে মেয়েদের পোষাক আশাক বা লিভিং ষ্টাইল বলে দেয় যে তারা কি অমানষিক খাটা খাটনি আর কি স্বল্প পরিসরে জীবন যাপন করে থাকে। বাংলাদেশে অনেক অনেক সুন্দর মুভি আছে যেগুলো জীবন যাত্রা পরিবর্তনে এবং মন মানসিকতা পরিবর্তনে অনেক সহায়তা করে এর আমাদের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার মানুষের। আবার এরকম ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে যদি দালাল/রাজাকার/হায়েনা প্রজন্মের চোখ পড়ে তাহলে পর্নোগ্রাফি ঢুকে যেতে খুব বেশী যে সময় লাগে না তার প্রমান আমরা দেখেছি ২০০৬ সাল থেকে কিছু বছরের জন্য। বাংলা ছবির টোটাল প্রজন্ম টাকে একবোরে নষ্ট করে দেবার যে চক্রান্ত তার বিরুদ্বে সকলেই রুখে দাড়িয়ে সেই অপশক্তিকে দূর করে এখন আবার নতুন করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অনেকটাই সফল। এখণ দেখা যায় হলে যাইয়া দ্বারচিনি দ্বীপের দেশের মতো সুন্দর মুভিগুলো ও সহজে। সাউন্ড কোয়ালিটি খুব হাই ফাই শুনে একবার বসুন্ধরা তে গেছিলাম সিনেমা দেখার জন্য কিন্তু আহামরি তেমন কোন কিছু মনে হয় নাই- যে ফিলিংসটা রুমে বসে সাউন্ড থিয়েটারে বা হোম থিয়েটারে দেখা যায়। আমি হলিউডের মুভির ও অনেক পোকা। প্রচুর পরিমানে হলিউডের ছবিও দেখি পারসোনাল এফিটিপি সার্ভারে- এইচ ডি কোয়ালিটির মুভি আর সময় ও লাগে কম - দেখতেও ভালো লাগে। বাংলা ছবিতেও যদি হলিউডের ষ্টাইল ফলো করা হয় তাহলে আশা করি ভালো সাফল্য পাওয়া যাবে- ক্লাসিক কিন্তু দেখতে ভালো। 

বাংলা মুভিতে রাজনীতি বিষয়ক যতোগুলো মুভি দেখেছি সবগুলোতেই সবসময় গরীব মানুষের উপকার করার কথা বলা হয়। আর বাস্তবে যতো পলিটিক্যাল মুভমেন্ট দেখি - সবগুলোই স্বার্থান্বেষী রাজেনৈতিক দলের পকেট ভরার বা গুটিকয়েক মানুষ ভালো রাখার রাজনীতি। একদল ক্ষমতায় আসলে আরেকদলকে দমন পীড়নের রাজণীতি। মাঝে মাঝে দেখে মনে হয় আমরা এমন কিছু রাজনৈতিক দলের কোপানলে পড়েছি যারা আগে থেকেই এক অপরের শত্রু হিসাবে বিবেচিত তাই একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সহায়তায় রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসতে পারলেই শুরু হয় ঝামেলা আর ঝামেলা। এইখানে এখনো এমন মেন্টালিটি তৈরী হয় নাই যে-    এককভাবে কোন রাজনৈতিক দল সরাসরি আপামর দেশের সকল জন মানুষের জন্য করবে। এরকম ভাবে করবে শুধু মাত্র ্ এ প্রজন্মের রাজনৈতিক দলগুলোই যাদের উথ্থান হয়েছে শাহবাগ গনজাগরন আন্দোলন থেকে, বর্তমানে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলও আছে এবং হয়তো সামনের নির্বাচনে তাদের দেখা পাওয়া যাবে ভালো আকারে। আমার কাছে এরাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত দল দেশ রক্ষায় - এরা অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলেছে- স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক কথায় রাজাকারকে ফাসির কাষ্টে ঝুলিয়ে দিয়েছে এবং নিয়মিত দিতাছে যা আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় মুভি দেখা মনে হয়। এরকম আরো কিছু সত্য মুভি জয় বাংলায় দাড়িয়ে দেখতে চাই। 

যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাই  তার বৈধ ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার নাই। সো এদশে বা এদশের পরিপ্রেক্ষিতে তার মতামতের ও কোন দাম নাই। সো এই ধরনের লোকদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র আইনে বা পুলিশ  ভাড়াটিয়া আইনে আডেন্টিফাই করে তাদেরকে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা থেকে ডিলেট করে দিয়ে তার পরে ১০০% সুষ্ট ও সাধারন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে নাটক সিনেমা গুলোকে ও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করতে হবে- এ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সচেতনতা তৈরীকারী নাটক সিনেমা তৈরী করে একটি পরিস্কার সুষ্ট সাধারন নির্বাচন আয়োজন করে দেশের সব মাসুষের মতানুসারে একটি সরকার ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। জয় হোক শুভ বুদ্বির, জয় হোক আপামর সকল ধরনের জন মানুষের। 

Thursday, August 27, 2020

কবীর লাইব্রেরী প্রদর্শন- ময়মনসিংহ গাঙ্গিনারপার। সেবা প্রকাশনীর বই পড়ার স্মৃতি।

 


স্কুল লাইফে (১৯৮৬-১৯৯৮) সেবা প্রকাশনীর বই পড়ে নাই এরকম কোন বাংলাদেশী নাই। তুমুল জনপ্রিয় সেবা প্রকাশনীর বই কিনে পড়ার জন্য বহু ধরনের কসরত করতে হইতো। যেমন ধরেন- বাসা থেকে ২/৫/১০ টাকা নেয়া বা ধার করা বা বাজারের টাকা থেকে মেরে দেওয়া (না মেরে বেশীর ভাগ সময়েই বলেই নেয়া) , নিউজপ্রিন্ট কিনার আগে সেইভ করার চেষ্টা করা, হোয়াইট প্রিন্ট কেনার আগে চেষ্টা করা, বই কেনার আগে সেভ করার চেষ্টা করা বা কলম কেনার আগে সেভ করার চেষ্টা করা) বা যে কোন উপায়ে যে কারো কাছ থেকে চেয়ে হোক বা না হোক সেবা প্রকাশনীর নিত্য নিয়মিত বই কেনার জন্য ১৮-২০ টাকা জমানোর ব্যাপারে অলওয়েজ এলার্ট থাকা। বই কিনে একবার পড়ে আরেকজনের কাছে সেল করে দেওয়া বা কয়েকজন মিলে একসাথে ২ টাকা করে তুলে একটা বই কিনে সেটা ২/৩ দিনে প্রত্যেকে ৩ ঘন্টার সময় করে পড়া ছিলো একটা সাংঘাতিক ব্যাপার। প্রথমবার পড়ে তেমন কিছু বোঝা না গেলেও পরে সেইটা আবার যারা ২ টাকা করে দিতো তারা পড়া শেষ করলে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাইতো। তবে একটা বই পড়ে ফেললে সেটা আর নতুন করে পড়ার মতো কিছু থাকতো না। কোনোদিন যদি  নাই পাওয়া যাইতো সেদিন পুরাতন বই এর দরকার হইতো । সেবা প্রকাশনীর সবচেয়ে বেশী বই ছিলো- মার্ক টোয়েন পাঠাগার নামের একটা পাঠাগারে- যেটা ছিলো লিখন নামের এক বড় ভাই এর। সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা বই পড়ার জন্য টিফিন খাওয়া হতো না তেমন। টিফিনের টাকা অলওয়েজ বাচাইয়া রাখতাম। আবাসিক এলাকার ভেতরে স্কুল হবার কারনে টিফিন টাইমে বাসাতে চলে আসতে পারতাম কিন্তু তারপরেও টিফিনের জন্য একটা এক্সট্রা টাকা পাইতাম। মাঝে মাঝে কনফিউশন তৈরী হতো ২ টাকা দিয়ে সেবা প্রকাশনীর বই কেনার জন্য সিরিয়াল হবো নাকি একটা গোল্ড লীফ কিনে একা একা সেটা ধ্বংস করবো। দুইটাই করতাম মাঝে মাঝে। আরো যাদের কাছ থেকে বই নিতাম তার মধ্যে ছিলো বেষ্ট ওয়েষ্টার্ন কালেকশন - ১ বছর সিনিয়র দানব আজিম এর কাছ থেকে- তার কাছে যদি রাত্রি ২ টা র পরেও যাইতাম তবু সে বই দিতো। তার কন্ডিশন বই সম্পূর্ন অক্ষত অবস্থায় ফিরত দিতে হবে- কোন কাটা ছেড়া হইলে জরিমানা আর তার পরবর্তী বই বের হবার সাথে সাথে জানান দিতে হবে সেবা প্রকাশণীর বই কখন বের হবে তার জন্য সবসময় চোখ রাখতে হতো সংবাদ বা ইত্তেফাক বা সেই সময়কার যে কোন জনপ্রিয় পত্রিকাতে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত কামাল রনজিত মার্কেটে (তখন নাম ছিলো কো অপারেটিভ মার্কেট) একটাই পেপারের দোকান ছিলো যেটাকে পত্রিকার দোকান বলা হতো- এখনো আছে। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মেধাবী ছাত্র কামাল এবং রনজিত কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় যেখানে আমরা সিগারেট কিনতে যাইয়া সিগারেটের দোকানে সিগারেট ধরাইতে যাইয়া দূরে দাড়িয়ে থেকে বুঝতে পারি (আমি দাড়াইয়া ছিলাম শাহাবুদ্দিন ভাই এর সিগারেটের দোকানের সামনে আর গোলা গুলি টা হয়েছিলো ৫০ মিটার পূর্ব দিকে তখন কার দিনে একটা চা পুরি সিংগারার দোকানে)- মনে হয়েছিলো একজন মহিলার মতো দেখতে নিজ হাতে গুলি করে মাইরা ফেলাইছে - পরে আবার ভাবলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতে অপরিচিত  মহিলা আসবে কোথা থেকে - হয়তো ভুল দেখেছি) কিন্তু বাস্তাবে তার কোন প্রমান নাই- তাৎক্ষনিক ভাবে মেধাবী কামাল এবং রনজিত মারা যাবার কারনেই শ্রদ্বাবশত কো অপারেটিভ মার্কেটের নাম পরিবর্তন করে মার্কেটের নাম রাখা হয় শহীদ কামাল রনজিত মার্কেট। লাইফে আরেকটা ক্রস ফায়ার দেখেছিলাম ২০০৬ সালে বর্তমান মহাখালী ফ্লাইওভার এর কাছে। হেটে হেটে যাইতেছিলাম কাকলীর মোড়ের দিকে- মহাখালী রেলক্রসিং পার হয়ে লেফট সাইডের রান ওয়ে ধরে হেটে হেটে বনানী কাকলীর মোড় পর্যন্ত যাওয়া আমার একটা ভালো হেভিট ছিলো- তো একদনি মহাখালী রেল ক্রসিং পার হতেই লেফট সাইডের আইল্যান্ডে উঠার সাথে সাথেই দেখলাম ২ জন স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসার - হাতে থ্রি নট থ্রি এবং কাটা রাইফেল বা শর্টগান নিয়ে দাড়িয়ে আছে- আমাকে বলতাছে এ্খানেই দাড়িয়ে থাকেন। তো আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হইতাছে। বলতাছে মহাখালী কাচাবাজারের ভেতরে একজন সন্ত্রাসীকে ক্রসফায়ার করা হবে। পরে তাকিয়ে দেখি মহাখালী কাচাবাজারের ভেতর আরো কিছু এসবি অফিসার দাড়াইয়া আছে। পরে একটা মুভমেন্ট দেখলাম এবং গোলা গুলি হলো এবং বললো যে সেই সন্ত্রাসী ক্রসফায়ার হয়েছে এবং পরে এসবি অফিসার বললো এখন চলে যান। পরে আমি চলে গেলাম হেটে হেটে কাকলীর দিকে। বড়ই ভয়াবহ ব্যাপার। 

Early to bed, early to rise- Makes a man healthy, wealthy and wise- এই নিয়মনীতি অনুযায়ী সকালে প্রতিদিন গুম থেকে উঠে মসজিদে যাইয়া ফজরের নামাজ পড়তাম। তারপরে বাসাতে ফিরে চা এবং হালকা ২/১ টা বিস্কুট নিয়ে পড়ার টেবিলে বসতাম। তারপরে ২ ঘন্টার মতো সব কিছু রেডি করতাম স্কুলের জন্য। তারপরে নাস্তা করতাম- গরম গরম রুটি এবং ভাজি/ডাল/ডিম/ সেমাই- যখন যেটা বানানো হতো। তারপরে যাইতাম বাজারে- ছোটবেলাতে আমার কাচাবাজার করার অভ্যাস ছিলো। কাচাবাজার করে চলে যাইতাম পত্রিকার দোকানে-পত্রিকাটা হাতে নিয়ে বাসাতে চলে আসা। আর কোনদিন যদি সকালে বাজার না করা লাগতো তাহলে দৌড় দিয়ে বাজারে আইসা পত্রিকাটা নিয়ে চলে আসতাম। এক দৌড়ে যাইতাম ১ কিলোমিটার তারপরে আবার আরেক দৌড়ে ফিরে আসতাম বাসাতে। মাঝে মাঝে সাইকেল নিয়েও যাইতাম এবং নিয়ে আসতাম। মাঝে মাঝে আব্বাও ঘুম থেকে তুলে সাইকেলের চাবি হাতে দিয়ে বলতো যাও তো দৌড়াইয়া যাও- পেপারটা নিয়ে আসো। পেপারটা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে যাবো (আমি নিজেও একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বাবার নেয়া ক্লাস করেছিলাম- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ধরে নিয়ে গেছিলো মজা করার জন্য আর বলেছিলো দেখো তোমার বাবা কি সুন্দর ক্লাস নেয়- একদিন দেশের সবাইকে বলতে পারবা, ছোট ছিলাম বরে একটু উসখুস করলেও ক্লাসের শেস পর্যন্ত ছিলাম। তবে আমার বাবার প্রিয় চিলো সয়েল ফিজিক্স এবং সয়েল কেমিষ্ট্রি নিয়ে খাতা দেখা, পরিক্ষক, পর্যবেক্ষক হওয়া, এক্সটারনাল হওয়া সারা দেশের বিবিন্ন কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় নিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েল খাতা মূল্যায়ন করে আমাকে দিতেন নাম্বার যোগ করতে)। সেদিন পত্রিকা আর উল্টাইয়া দেখতাম না কারন আব্বা খুব পছন্দ করে পত্রিকার নতুন মোড়ক টা খুলতে- কিন্তু এই ধরনের খবর গুলো সম্ভবত পড়তো না- আমি পড়তাম- সে সময় কার পত্রিকা র প্রধান শিরোনাম বিএনপি- আওয়ামী লীগ- জামায়েতে ইসলাম- হত্যা, খুন, ধর্ষন, কিশোরী ধর্ষন, মাথা কাটা দেহ, গ্রামে ক্ষেতের পাশে ধড় বিহীন লাশ, ধর্ষিতা নারীর ক্ষত বিক্ষত লাশ এবং জবাই করা দেহ, রগ কাইটা ফেলানো দেহ, গোলাগুলি, ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের লাশের মিছিল এবং লাশের রাজনীতি। আমি মাঝে মাঝে বসে বসে গুনতাম যে পত্রিকাতে কয়টা লাশের বা মৃত্যুর খবর দেয়া আছে। পরে সংখ্যাটা মনে রাখতাম যে হয়তো একদিন এমন দিন আসবে যে সারা বাংলায় হত্যা, ঘুম , খুন, ধর্ষন একেবারে কমে যাবে। সেই আশাতে এমন ই গুড়েবালি যে- শাহবাগ গনজাগরনের পরে এক পত্রিকাতে দেখলাম যেখানে দৈনিক মৃত্যুর হার ছিলো (খুন খারাপি রেষারেষি)- ১৫০ এর মতো সেখানে সেটা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৫০+। বর্তমানে করোনার কারনে রাস্তা ঘাটে রোড একসিডেন্ট, রাজনৈতিক কারনে হত্যা, খুন এবং ধর্ষন স্লাইট কমেছে। সম্ভবত ১৯৯৪ বা তার আশে পাশেকার সময়ে- সালে আমাদের প্রিয় বন্ধু কাম বড় ভাই গাজীকে (ময়মনসিংহের লোকাল /স্থানীয়) মাঝ রাতে ডেকে কাইট্যা পিছ পিছ করে বস্তাতে ভরে ব্রক্ষপুত্র নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো- পরে সেটা লোকাল পুলিশ তুলে এনেছিলো এবং কবর বা দাফনের ব্যবস্থা করেছিলো)। সেটার বিচার বলে আজো হয় নাই শুনেছি। তারপরে কয়েক বছর পরে আরো একটা কাহিণী খুব নাড়া দেয় মনে- বিটিভির তালিকাভুক্ত ফ্যাশন মডেল ও শিল্পী তিন্নীকে হত্যা করে বুড়িগংগা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিলো। জানি না তার হত্যাকান্ডের বিচার আজো হয়েছে কিনা?




বিচার একদনি হবেই হবে- ইহকালে না হইলেও পরকালে হইলেও হবে। ৪৩ বছর পরে শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী কে রাজাকার প্রমান করে ফাসিতে ঝুলাইয়া দেয়া হইছে। আরো অনেক রাজাকারদের ফাসি হইতাছে বা কার্যকর হইতাছে। শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলনের মাধ্যমে রাজাকারদের ফাসির আদেশের মাধ্যমে আমার মনে একটা শান্তি পাইছি যে- এতোদিন যাবত (১৯৭২ থেকে= আমার ক্ষেত্রে ১৯৯০ থেকে) বাংলায় যে হত্যা, খুন, জখম হইতেছিলো তার একটা প্রতিশোধ নেওয়া দরকার ছিলো - প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির কার্যকরের মাধ্যমে সেই রকম একটা শান্তি পাওয়া গেছিলো। সম্ভবত আরো শান্তি সামনে অপেক্ষা করতাছে।

পাশের বিল্ডিং এ এক সুন্দরী বড় বোন ছিলো যিনি শুধূ হুমায়ুন আহমেদের বই কালেকশন করতো। মাঝে মাঝে যদি বই চাইতাম তবে দিতো আর না পারলে অনেক সময় উনার ছোট বোনের কাছ থেকে নিতে বলতো। উনি মেধাবী ছাত্রী ছিলেণ। হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো তখনকার সময়ে দামী হবার কারনে বই এর মোড়ক খুলে পড়তে হইতো এবং পরে আবার মোড়ক ওকে করে ফেরত দিতে হতো। এর মাঝে যদি উনার সেবা প্রকাশনীর কোন বই লাগতো বা যদি চাইতো  তাহলে আমিও জোগাড় করে দিয়ে আসতাম। হুমায়ুন আহমেদকে আমি সরাসরি দেখেছি কয়েকবার- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয় আবাসিক এলাকা শিক্ষক ক্লা্বে বইসা আড্ডা দিতেন। তখণ আমি ছোট ছিলাম। উনি আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বব্যিধালয়ের শিক্ষক ছিলেন বলে শুনেছি- এগ্রো কেমিষ্টি্র পরে ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের কেমিষ্ট্রির শিক্ষক হোন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাবলিক লাইব্রেরী সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো- সেখানে পেপার পত্রিকা সব ধরনের ম্যাগাজিন প্রচুর পরিমানে বিদেশী বই এবং সেবা সহ  অন্যান্য    প্রকাশনীর ভালো বই ও পাওয়া যাইতো- আর লোক সমাগম ও হইতো ভালো। 

কবীর লাইব্রেরী ছিলো সেই রকম একটা লাইব্রেরী যেখানে সবসময় সেবা প্রকাশনীর বই পাওয়া যাইতো। বাকৃবি আবাসিক এলাকা থেকে সেই খানে যাওয়ার জণ্য উপায়- ১) বহুত কষ্ট করে ৪ কিলোমিটার হেটে যাওয়া, ২) টেম্পোতে করে যাওয়া ভাড়া ছিলো ২ টাকা- যাইতে আসতে ৪ টাকা ৩) একটা দুই চাকার সাইকেল ম্যানেজ করে যাওয়া এবং বই কিনে ফেরত আসা। ২/৩ দিন আগে কবীর লাইব্রেরীতে গেছিলাম- তখন এই স্মৃতিচারন গুলো করলাম। তখন কার সময়ে ময়মনসিংহ শহরের অনেক বড় ভাই অনেক ক্ষেপে যেতো যে তোরা এতো বই পড়স কখন আর বড় ভাইরা প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা শহরে যাইতো কারওয়ান বাজারে মনে হয় সেবা প্রকাশনীর মেইন শো রুম ছিলো। এখন কবীর লাইব্রেরী দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ময়মনিসংহ সিটি কর্পোরেমনের প্রানকেন্দ্রে - গাঙ্গিনারপাড়ে ছিলো সেই শো রুম - এখনো আছে একই খানে। আমার মনে আছে সেবা প্রকাশনীর  ক্লাসিক/থ্রিলার/ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য/ তিন গোয়েন্দা/ মাসুদ রানা/ওয়েস্টার্ন মিলে প্রায় ১০০০ + বই পড়েছি। একসময় হুমায়নু আহমেদের সকল বইও পড়া ছিলো- হিমু এবং মিছির আলি ক্যারেক্টার বলতে গেলে একদম চোখের সামনে তৈরী হয়েছে। বই পড়া যে একটা নেশা ছিলো তা ইন্টারনেটে আসার পরে ভুলে গেছি।যেদিন থেকে ইন্টারনেটে বাংলাদেশে প্রবেশ করলো সেদিন থেকে আমার বই পড়া গায়েব হয়ে গেলো। কলকাতার কয়েকজন লেখকের সব বই আমার পড়া ছিলো- সমরেশ মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং আরো কিছু লেখক- যাদের নাম এখন আর মনে আসতাছে না। আব্বা অনেকদিন শিক্ষা ছুটিতে ইউএসএ, ইউরোপ, মালয়েশিয়া থাকার কারনে ১৯৯০-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত  আমি একটা ভয়াবহ সুযোগ পাই গল্পের বই পড়ার। তখন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম বিটিভি, ভিসিআর এ মুভি দেখা, ডেক সেট বা ওয়াক ম্যানে গান শোনা এবং গল্পের বই পড়া। অনেক  সময় স্যারেরাও বলতো যে- বই পড়ে সময় কাটা- বাহিরে যাস না। কিছু স্কুল কলেজের শিক্ষক ছিলো আমাদের কাছে বই এক্সচেন্জ করতো বা চাইতো। বন্ধুর মতো সেই সকল স্যারেরা এখন আর তেমন চোখের সামনে পড়ে না তবুও তাদের প্রতি অনেক শ্রদ্বা। 

সম্পূর্ন আবাসিক এলাকার স্কুল এবং কলেজে পড়ালেখা করার কারনে অনেক সময় বাহিরের ছেলে পেলেদেরে সাথে কথা বলতে গেলে  তারা বলতো তোরা বই পড়ার সময় পাস কেমনে- আমরা বের করে নিতাম। যে কোন খানে দাড়িয়ে বা বসে দুই ঘন্টা সময় ব্যায় করে একটা বই যদি পড়তে না পারতো কেউ তবে তাকে ডাকা হতো ব্যাক বেঞ্চার হিসাবে। আমি প্রথমে পারতাম না দুই ঘন্টায় শেষ করতে কিন্তু পরে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেছিলো। একটা দিনে স্কুলে ক্লাস থাকতো ৫-৬ টা , ৪৫ মিনিট করে- এর মাঝে একটা নতুন সেবা প্রকাশনীর বই পড়তো মিনিমাম ২/৩ জন ক্লাসে বসে থেকেই। আর মাঝে মাঝে ক্লাস থেকৈ বের হয়ে ব্রক্ষপুত্র নদীর পাড়ে বই পড়তে যাইয়া অনেক অনেক ছাত্র ছাত্রী স্কুলের টিচার বা বাবা মায়ের কাছে ধরা খাইতো। অনেক সময় অনেককে দেখেছি সকালে রওনা হয়ে ঢাকাতে ডুকে সেবা প্রকাশনীর বই কিনে বিকালে ক্লাস শেষ হবার আগেই ময়মনসিংহে ফিরে এসে বই টা পড়ে রাতেই হ্যান্ড ওভার করে দিতো। ৩৫ টাকা ভাড়া ছিলো ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাতে- ছাড়তো বাঘমারা কলেজ গেইট রেল ক্রস থেকে । মহাখালী থেকে ২ টাকা ভাড়া কারওয়ান বাজার- বই এর দাম ১৮/২০/২২ টাকা এবং গোল্ড লীফ সিগারেটের দাম ২টাকা । সব মিলে ১০০ টাকা ম্যানেজ করে বাসা থেকে ঢাকাতে যাইয়া আবার ফিরে আসা যাইতো এবং সাথে সেবা প্রকাশনীর ১ বা দুইটা বই। শুনেছি সেবা প্রকাশনীর যারা ডিষ্ট্রিবিউটর তারা যদি শুনতো যে স্কুল ড্রেস পড়ে ময়মনসিংহ থেকে বই কিনতে ঢাকা এসেছে তখন ১ টা বই এক্সট্রা গিফট  ও করে দিতো। 

বই একটা সামাজিক বন্ধন তৈরী করতো। বই পড়ার নেশা এক দুর্দান্ত নেশা। পাঠ্য বইয়ের পরেও যে বই পড়ে অনকে জ্ঞান আরোহন করা যায় তা ছোটবেলাতেই টের পাইতাম। আর সেই সকল বইয়ের উপরে কতো যে মুভি বা সিনেমা দেখেছি তার কোন ইয়ত্তা নাই। কেউ যদি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয় আবাসিক এলাকা আমার কাছে কি কারনে স্মরনীয়- তো আমি বলবো বই পড়ার জণ্য। মাঝ রাতে টর্চ জালিয়ে বিছানাতে শূয়ে কাথা মুড়ি বা লেপ মুড়ি দিয়ে থ্রিলার বই পড়া আর  শিমুল গাছের ণীচে থাকা আমার বাবার সরকারি কোয়ার্টারের বাসার ভেতর দিয়ে একরুম থেকে আরকে রুমে যাবার মতো বা বাহিরের বাথরুমে যাবার সাহস করা এক বিশাল ব্যাপার ছিলো। গায়ে কাপন দিতো- মাঝে মাঝে ভাবতাম  এই বুঝি জীন পরীর সাথে দেখা হইলো। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয় আবাসিক এলাকার বাসা ছেড়ে দিতে হয়- কোন এক কারনেতৎকালীন সরকার বাসা ভাড়া সব মিলিয়ে প্রায় অনেক চাইয়া বসে- তখন আমরা তড়ি ঘড়ি করে ৫ তালা ফাউন্ডেশন দিয়ে একটা বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে এক তালা করে পার্শবর্তী এলাকাতে বর্তমানে ২০ নং ওয়ার্ডে পূর্বে কিনে রাখা জমিতে বাড়ি করে ফেলি এবং স্থানান্তর হয়ে যাই। ১৯৯৯ সাল থেকে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে যায় এবং সেখানে হলে বসে এইচবিও, ষ্টার ‍মুভিজ  এ ডুবে যাইতাম এবং অনেক সময় ধরে মুভি দেখতে অনেক ভালো লাগতো এবং এক সময় নেশা ধরে যায় যা পরবর্তীতে ডেস্কটপ, মাঠের মধ্যে মুভি স্ক্রিন, প্রজেক্টের মেক করে মুভি দেখা, সিডি ডিভিডি তে মুভি দেখা  এবং অনলাইনে মুভি দেখা, ইউটিউবে মুভি দেখা এবং এফটিপি সার্ভার তৈরী করে মুভি দেখা এইগুলো নিয়ে আরকেদিন লিখবো। তবে বই পড়ার অভ্যাস টা আমি আর কখনোই গড়ে তুলতে পারি নাই। আজো এখনো বই পড়তে পারি না। পড়তে গেলে এক ধরনের নষ্টাল জিয়ায় আক্রান্ত হই। গতকাল একটা নাটক দেখলাম অহনার - গ্রামের মধ্যে পাঠাগার গড়ে তোলা নিয়ে একটা নাটক দেখে এই অনেক গুলো কথা মনে পড়লো এবং শেয়ার করে ফেলাইলাম। 

Wednesday, August 26, 2020

ফ্রি ল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশ নিয়ে অভিজ্ঞতা।

যারা আউটসোর্সিং এবং মার্কেটপ্লেস নিয়ে কাজ করেন তাদের অনেকেই অনেক সময় অনেক ধরনের ক্লায়েন্টকে বাংলাদেশ চিনাতে নিয়ে বেগ পেতে হয়েছে কিনা জানি না তবে আমি অনেক সময় অনেক ক্লায়েন্ট কে বাংলাদেশ চিনাতে নিয়ে বেশ বেগ পেয়েছি ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত। একবার কাজ করতেছিলাম অনেক গভীর রাতে এক ক্লায়েন্টের দেয়া কিছু কাজ- হঠাৎ করে একজন ইংরেজের সাথে কথা স্কাইপেতে। আগে প্রতিযোগতিা কম ছিলো যার ফলে কাজ পাইতে সহজ হইতো। কিন্তু এখন এতো পরিমান ফাইট লেগে যায় কাজ নিয়ে - মাঝে মাঝে ভয় লাগে যে বাস্তব জীবনে হয়তো বা কিছু ঘটে যাবে। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসের কাজ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং টা অনেক বেশী স্বাধীনতা দেয় কাজের ক্ষেত্রে এবং উপার্জনের ক্ষেত্রেও। তাই মার্কেটপ্লেসে কাজ করা কমাইয়া দিয়া এফিলিয়েট মার্কেটিং এ মনোনেবিশ করা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করলাম। মার্কেটপ্লেসে কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের হাজারো প্যারা নিতে হয়- বার বার বলবে এইটা হয় নাই- সেইটা হয় নাই। আরো কাজ রিজেক্ট করে দেবার অপশন ও আছে। আবার অনেক সময় কাজের পেমেন্ট না দিয়ে চলে যায়। আবার অনেক সময় ব্যাড রিভিউ দিয়েও চলে যায়।কয়েক বছল খাইটা একটা প্রোফাইল তৈরী করলাম- একজন আইসা টঠাৎ করে একটা ব্যাড রিভিউ দিয়ে প্রোফাইলের ভ্যালূ টা কমাইয়া দিতে পারে। চাইলে আমিও বাংলাদেশ থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে একটা মার্কেটপ্লেস বায়ার/ক্লায়েন্ট একাউন্ট তৈরী করে সুন্দরী একটা মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল ও করা যাবে তার প্রোফাইরে ব্যাড রিভিউ দেবার কথা বলে এবং চাইলে অনেক ধরনের ফ্যাসিলিটজ ও আদায় করা যাবে। যারা প্রাত্যহিক জীবনে সব ধরনের মানুষের সাথে চলাফেরা করে অভ্যস্ত তাদের জন্য মার্কেটপ্লেস এ কাজ করা সহজ। কারন এইখানে নানান দেশের নানান ধরনের বায়ার বা ক্লায়েন্টরা আসে আর নানান দেশের নানান ধরনের ক্লায়েন্টের মেন্টালিটি বুঝে কাজ করতে হয়- এককথায় সফলতা টা এইখানে অনেকটাই প্রাত্যহিক ডিলিংস এর মতো। আপনি যদি সোসাইটি তে সব ধরনের মানুষের সাথে নেগোশিয়েট না করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করা বা টিকে থাকাটা টাফ হয়ে দাড়াবে কারন একেক দেশের ক্লায়েন্টের কাজ দেবার ধরন একেক রকম। তো সেই কথায় আসি- ইংরেজ ক্লায়েন্ট আমাকে বলতাছে তুমি কোথায় থাকো? তো আমি উত্তর দিলাম - বাংলাদেশে। তখনো গগুল ম্যাপ বা আরো কিছু আইডেন্টিফিকেশন সিষ্টেম পুরোপুরি লাঞ্চে যায় নাই ফলে ক্লায়েন্ট বাংলাদেশ খুজে না পেয়ে আবারো জিজ্ঞাসা করলো আমি কোথায় থাকি? তো আমি উত্তর দিলাম- বাংলাদেশ । সে স্কাইপেতে আমার ফুল ডিটেইলস দেখে বললো- আমি ইন্ডিয়াতে থাকি? আমি আবারো বোঝানোর চেষ্টা করলাম- সে বললো তুমি ইন্ডিয়ার কাছে থাকো। বাংলা এলাকাতে আগে ছিলো ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী। তারপরে বললো আমি কিভাবে পেমেন্ট নেবো কাজের জন্য- তো বললাম ডলারে। পরে বুঝতে পারলাম যে ক্লায়েন্ট  বাংলাদেশ কে  পূর্বে থাকা পূর্ব বাংলা বা তারো পূর্বে  ইন্ডিয়া কোম্পানী হিসাবে নিয়েছে এবং এই তথ্য গুলোই তার কাছে শো করতাছে। 

আরেকবার কথা বলতাছি স্কাইপে চ্যাট করে - একই অবস্থা। আমি যতোবার বলি বাংলাদেশ সে ততোবারই বলে ইন্ডিয়া। তো আমি আরো ডিটেইলস বোঝানোর চেষ্টা করলাম তো বলতাছে আমরা এই এলাকাটা চিনি- এইখানে একজন ইন্ডিয়ান ইন্টারনেটে পৃথিবীর সেকেন্ড স্প্রিডে টাইপ করে থাকে। আমি ওয়ার্ড পার মিনিট জিজ্ঞাসা করলাম- তো বলতাছে ৯০। আমি বললাম তুমি কিভাবে চিনো- তো বলতাছে তার সাথে স্কাইপেতে কন্ট্রাক্ট আছে। এখন বাংলাদেশে কে অনেকেই চিনে। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইষ্ট ইন্ডিয়া দুই সময়েই বাংলা ভাষা প্রচলিত ছিলো। অন্য কোন দেশের পতাকা দিয়ে বাংলাদেশ এখন আর পরিচিত হয় না- এখন বাংলাদেশের আছে নিজস্ব পতাকা । এখন ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান রা বাংলাদেশ কে যদি কেউ নাও চিনে থাকে তাহলে এই লাল সবুজের পতাকা যা শাহবাগ গনজাগরনের সময় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার কারনে সারা বিশ্বের মানুষে এখন বাংলাদেশ কে চিনিয়েছে। ২০১৩ সালে অনুষ্টিত শাহবাগ গনজাগরন বিশ্বের প্রত্যেকটা মিডিয়া, ইলেকট্রনিকস মিডিয়া, সংবাদপত্রে এবং সোশাল  মিয়িডাতে দেখানো হয়েছে। একজনের লেখা পড়েছিলাম ফেসবুকে- এই পৃথিবীর যতো গুলো মাটি কনা আছে পানি ছাড়া শুধুমাত্র মাটির জগতে- প্রত্যেকের কানেই  শাহবাগ গনজাগরনের গর্জন গিয়ে পৌছেছে - শুধূ মাত্র কানে যাইয়া পৌছায় নাই শয়তানের প্রজন্মের। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতাকা তৈরী এবং সেই পতাকা শো ডাউনের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক  অনেক দেশের মানুষেরা এখন বাংলাদেশ কে চিনেছে। আবার সেই সাথে বাংলাদেশ পপুলার হবার পরেও আমাদের দেশের মার্কেটপ্লেসের ফ্রি ল্যান্সার রা পুরোপুরি মেধা সহকারে কাজ না করে কিছু কিছু খারাপ মানের লোক বাজে বাজে কাজ সাপ্লাই দিছে বলে সরাসরি পোষ্টে লিখা থাকতো- বাংলাদেশীরা যেনো কাজের জন্য আবেদন না করে - স্পষ্টত লেখা থাকতো- আমার মতো আরো অনেকেই দেখে থাকবে সেটা এবং মনে মনে কষ্টও পেয়েছে। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে জানা ছিলো অনেক আগে থেকেই। আমিও সাকসেস হবার চেষ্টায় ছিলাম যে কোন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়২০০৩ থেকে  এবং  যেদিন থেকে ইন্টারনেটে কাজ শিখি । ২০১১ সালে আমারা ল্যাপটপ হ্যাক হবার পরে একসাথে সব মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট হারাইয়া ফেলাইলাম। তারপরে এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেস নিয়ে কাজ শুরু করি এবং একই সাথে সেটার এফিলিয়েট ও করা শুরু করি। আগে ছিলো অডেস্ক, ইল্যান্স এবং এখনো আছে ফ্রি ল্যান্সার ডট কম, ফিভার ডট কম সহ আরো অনেক মার্কেটপ্লেস এফিলিয়েট সিষ্টেম। আমি সেগুলো প্রমোটের কাজ ও করেছি। এখন শুধু এসইওক্লার্ক(সহ বাকি আরো ৭টি মার্কেটপ্লেস প্রমোটের কাজ করি বিগত ৯ বছর যাবত। এইটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস আমার জানা মোতাবেক। বিড কিনার কোন ঝামেলা নাই। একটাতে রেজিষ্ট্রেশন করলে ৮ টা মার্কেটপ্লেসে রেজিষ্ট্রেশন হয়ে যায় অটোমেটিক। লিষ্টিং সুবিধাও ফ্রি। আনলিমিটেড প্রোডাক্ট রেজিস্ট্রেশন করা যায় বা লিষ্টিং করা যায়। আবার ১ ডলারের সার্ভিস ও কেনা যায়। শুধূ এসইওক্লার্ক রিলেটেড না- সব ধরনের সার্ভিস সেল করা যায়। পেমেন্ট সুবিধা আছে অনেক- পেপাল/পাইওনিয়ার এবং পেল্যূশন। আর প্রেডাক্ট কেনার জন্য আছে পেপাল/ পাইওনিয়ার/বিটকেয়ন (ইথারিয়াম/ লাইটকয়েন) দিয়েও আপনি প্রোডাক্ট কিনতে পারেন। এসইওক্লার্কে এতোদিন কাজ করার পরে যখন নিজের প্রোফাইলে জয় বাংলা রিলেটেড লাল সবুজের পতাকা দেখানো হয় তখন গর্বে বুকটা ভরে উঠে যে আমার ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস প্রোফাইলে আমার নামের পাশে /ইউজার নেমের পাশে দেখাইতাছে বাংলাদেশের পতাকা। আপনার কোন ধরনের টাকা খরচ হবে না জয়েন করতে। আপনি শুধু মোবাইল ভেরিফাই করলেই দেখা যাবে আপনার প্রোফাইল ভেরিফায়েড। যে কারো ভেরিফায়েড পেপাল ডট কম একাউন্টে ডলার উইথড্র করতে পারবেন। জানা মোতাবেক মিনিমাম ১০ লক্ষ ফ্রি ল্যান্সার একসাথে কাজ করে এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেসে কোন আইডি কার্ড নাম্বার লাগবে না আর আপনি যদি এড্রেস ভেরিফাই করে থাকেন তাহলে আপনাকে ৫ বাকস বোনাস দেয়া হইতে পারে। আপনার ইউজার নেম , ফুল নেম আর ইমেইল এড্রেস। এইখানে সরাসরি বাংলাদেশের কোন ব্যাংকে সুইফট ট্রানজেকশন করা যায় না - সো এইখঅনে আপনাকে কেও অন্য কোন নামে ডাকার সাহস ও পাবে না।

             

প্রথম প্রথম যখন ফ্রি ল্যান্সার রা কাজ শুরু করে তখন এই দেশের অনেক অগ্রপথিক রা বলে দিতো- এইখানে তুমি বাংলাদেশের নামের প্রতিনিধিত্ব করতাছো। সো এমন কিছু করো না যেনো তোমার কারনে বাংলাদেশের নামের অপমান হয় । বাংলার যে পতাকা তা লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে তুমিও একজন। যেখানে সবুজের মানে হলো সারা বাংলার সবুজ গাছ পালার আলো এবং লাল রং এর মানে হলো ১৯৭১ এর স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্বে যে সকল শহীদেরা জয় বাংলা বলে মৃত্যুবরন করেছে তাদের জমাট বাধা রক্তের ধারা- ‍সবুজ পথে প্রান্তরে  মুক্তিযোদ্বারা নির্ভয়ে অকাতরে তাদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে গেছে- শত্রুর সাতে আপোষ করে নাই। এতো বড় সবুজের মাঝে যতো বাঙালী প্রান হারাইছে তাদের সকলের রক্তকে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়ে থাকে গোলাকার রক্ত বৃত্ত। এইখানে এমন কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা বলা হয় নাই যেখানে ম্যাক্সিমাম সবুজ নাই। 

তো এখন এই সময়কার সমস্ত ফ্রি ল্যান্সার দের প্রতি প্রশ্ন- আপনারা যে অনেকেই আপনার বাবা মায়ের নাম দিয়ে রেমিটেন্স উপার্জন করে যাইতাছেন এতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন খানে /বিভিন্ন ডাটাবেজে আপনার বাবা মা এবং বড় ভাই বোন যাদের ইনফরমেশন ব্যভহার করতাছেন তাদের নাম ব্যবহৃত হইতাছে - ধরেন আজকে আমেরিকাতে যারা যারা আউটিসোর্সিং কোম্পানী এবং যারা যারা ডলার কে ব্যবহার করে পেমেন্ট করে থাকে সেখানে আপনার বাবা বা মায়ের নাম টা প্রকাশিত হলো। সেখানে বসবাসকারী বাঙালীদের মধ্যে কেউ একজন তোমার বাবা বা মায়ের বন্ধু। তো সে হঠাৎ করে কোন একটা নথিতে তোমার বাবা বা মায়ের ইনফরমেশন টুকু দেখে ফেলাইলো। তারপরে মনে মনে চিন্তা করলো- ছোটবেলার দোস্ত আমাকে না বলেই ফ্রি ল্যানসিং শুরু করে দিলো- হয়তো বেশী পরিমান কষ্টে আছে। অথচ আপনার বাবা মা কিন্তু বহাল তবিয়তেই আছে আর আপনি তাদেরকে অপমান করে দিলেণ। তাদের নাম উঠে গেলো দেশের রেমিটেন্সের খাতাতে- আর ভ্যাট ট্যাক্স দিতে গিয়ে শুরু হলো এক জটিলতা- আপনি দেশের নাম ফুটাতে যাইয়া করে দিলেন বাবা মার এক মহা ক্ষতি। আজকে বিডিনিউজ ২৪ এর একটা নিউজ এসেছে যেখানে স্পষ্টত বলা আছে যে- আপনি যদি আইডি কার্ডের নাম্বার মিসইউজ করে থাকেন তাহলে আপনার ভয়াবহ সাজা হতে পারে। খবরটি আপনি দেখতে পারেন এইখানে- বিডিনিউজ ২৪


সো আমি মনে করি আপনার যদি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি পরে শুরু করেন ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং। অথবা আপনি শুধু ইন্টারনেটে ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারেন। কারন আপনি যদি অণ্য কারো জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করেন আর সেই এনআইডি নাম্বার দিয়ে যদি আপনি রেমিটেন্স জেনারেট করেন তাহলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আপনি ঝামেলাতে পড়ে যাইতে পারেন কারন বাস্তব জীবনে আপনার বাবা মা বা যারা এনআই ডি কার্ড নাম্বার আপনি ব্যবহার করেছন -আবার তাদের নামে রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবার সেই একই ব্যাংকে আপনারা বাবা মা নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স আয় কর, রিটান দিতে যাইয়া জরিমানায় পড়ে যাইতে পারে তাতে আপনি যা উপার্জন করতাছেন তার চেয়ে বেশী ক্ষতিও হইতে পারে। বর্তমানের ডিজিটাল বাংলাদেশের সমস্ত তথ্যই এক ক্লিকে বের করে ফেলাইতে পারেন রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন। রিসেন্টলি দেখলাম এক আইন ও হয়েছে- বাংলাদেশ দন্ডবিধিতে ৪২০ ধারাতে সাত বছরের সশ্রম জেল এবং কারা দন্ড যদি আপনি বৈধ অনুমতি ছাড়া  অনলাইনে কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে থাকেন। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখেন আপনি কতো বড় ঝামেলা তৈরী করতাছেণ আপনার প্রাত্যহিক জীবনে? তাই আসুন পারলে দেশের সুনাম রক্ষা করি আর না পারলে মার্কেটপ্লেসে কাজ অফ করে দেই। 

Tuesday, August 25, 2020

বাংলা নাটকের তিনকাল। বিটিভি, প্যাকেজ নাটক এবং ইউটিউব মিডিয়া।

মুক্তিযুদ্ব চলাকালীন সময়ে বাংলা নাটক শোনানো হতো রেডিওতে। মুক্তিযোদ্বারা যুদ্ব প্রান্ত থেকে সেই নাটক শুনতো এবং যুদ্বের ময়দানে থেকে পরবর্তী দিনের জন্য উদুদ্ব  হতো তার সাথে সাথে শোনানো হতো জাগরনী গান বা জাগরনী সংবাদ বা আবেগ/ভালোবাসার প্রেমময় কবিতা বা গল্প সংকলন এবং তখনকার দিনে আরো যতো ধরনের নাটক বা সংলাপ সম্ভব। স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালীণ শুনেছি বাংলাদেশের অনেকখানেই রেডিও টাওয়ার ওকে ছিলো আর যে সকল মানুষেরা সাহস করে বেচে ছিলো গ্রামে গন্জের বিভিন্ন খোনে- তারা প্রতিনি রেডিওতে বিবিসি বা ভয়েস অফ আমেরিকা শোনার চেষ্টা করতো বলে শুনেছি। তখেনো টিভির প্রচলণ ছিলো কিনা জানি না বা থাকলেও হয়তো সাদা কালো টিভি সেট থাকতে পারে যা স্বাধীনতার পরে খবর শোনার জন্য বা দেখার জন্য বোধ করি খুব পপুলার ছিলো। ১৯৯০ সালের দিকে ও আমরা দেখেছি সাদা কালো টিভি তে নাটক - এইসব দিনরাত্রি বা ম্যাকগাইভারের মতো প্রোগ্রাম। তখন নাটকগুলো ছিলো মন্ত্র মুগ্ধের মতো।দেখার জন্যে যেমন অপেক্ষা তেমনি থাকতো  কোন উল্টা পালটা চাইলে তা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা- চিঠি লেখালেখি বা সংবাদ পত্রে লেখালেখি বা সম্পাদক কে খোজ নিয়ে জানানো যে নাটক টা কেমন হবে বা কেমন করে করলে ভালো লাগবে- এক কথায় সিরিয়াস একটা ইস্যু। নাটক দেখে নাই এরকম লোক খুজে পাওয়া যাবে না। বাংলা সিনেমার প্রতি অনেকেই যদি বিরাগ ভাজন থাকতো - বাংলা নাটকের প্রতি কাউকে বিরাগ ভাজন দেখি নাই। বই দেখে দেখে বা বাক্য কে সংলাপ তৈরী করে করে নাটকের ডায়ালগ তৈরী হতো। অনেক অজানা অখ্যাত লোকজন নাটকের সংলাপ লিখে দিতো নিউজ প্রিন্ট বা হোয়াইট প্রিন্ট কাগজে - রাত জেগে। আবার সেই নাটক যখন মঞ্চে মঞ্চায়িত হতো বা টিভিতে দেখানো হতো তখন সেটা সেই সংলাপ রাইটার দের জন্য একটা ভীষণ পুলকের বিষয়ও হয়ে দাড়াতো- পরের দিন গল্পের আসর জমে উঠতো। সেই সময় কার সাপ্তাহিক পত্রিকা বা ম্যাগাজিন গুলো ছিলো এক ধরনের আভিজাত্যের বিষয়। অনেকেই রাখতো আর খুব ই আকর্ষনীয় সেই সকল ম্যাগাজিনে এ টু জেড খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তো। যাদের কাছে বাংলা নাটক একটু বোরিং লাগতো তারা দেখতো কলকাতার দূর দর্শন বা ডিডি ১ বা ডিডি ২ চ্যানেলেও। আরা যারা রাতের বেলা মিস করতো সেটা আবার দিনের বেলাতে রিপ্লে হতো এবং সেখানেও তখন দেখতে পারতো। অনেককেই দেখেছি টিফিনের পরে স্কুল কলেজের ক্লাস মিস দিয়ে বাসাতে বসে পুনারবৃত্তি দেখতো। সেই সকল দিনের নাটক সিনেমার ষ্ট্রাগল ভোলা মুসকিল। ময়মনসিংহের কাছে বর্ডার মেঘালয়- সেই জন্য সহজে বিডি ১ বা বিডি ২ দেখা যাইতো। 

স্যাটেলাইট বা ডিশ ক্যাবল কানেক্টিভিটি আসার মোটামুটি চ্যানেলে চ্যাণেলে র ছড়াছড়ি পড়ে যাইতে লাগলো। বাংলা নাটকে যাতে অপসংস্কৃতি বা অপকালচার না ঢুকে সেজন্য নাটকের সাথে জড়িত অনেকে মিলে তৈরী করলো প্যাকেজ নাটক ইন্ড্রাষ্টিজ।মোটামুটি ভালো পয়সার ছড়াছড়ি। অনেক তরুন এবং নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী রা মিলে একদম নতুন গল্প হাতে পাইলো সেটাকে সুনিপুন এবং তরুন নির্মান শৈলী ব্যবহার করে অসাধারন এক ঘন্টার নাটক বানাইয়া ফেলাইতো। স্পন্সর রা অনেক সাহায্য করতো এবং ভালো পেমেন্ট রাখতো সকলের জন্য ফলে একদিনে বা দুইদিনে বা ম্যাক্সিমাম এক সপ্তাহে একটা নাটকে দাড় করানো অনেকের জণ্য অনেক সহজ ব্যাপার হয়ে গেলো। তুলনামূলক ভাবে মঞ্চের কাজ অনেক কমে গেলো। একটানা দৌরাত্ম দেখালো প্যাকেজ নাটক ইন্ড্রাষ্টিজ- ২০১৩ সাল পর্যন্ত বলা যায়। অনেক প্যাকেজ নাটক এখনো চোখে লেগে আছে। কিন্তু প্রথম যখন একুশে টিভি ওপেন হয় তখন মনে আছে একুশে টিভির অনকে সাংবাদিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রোগ্রামের নাটক ও টিভিতে দেখানোর চেষ্টা করতো। এরকম কিছু প্রোগ্রাম আমরাও দেখেছি । আমার করা একটা মঞ্চনাটক টিভিতে দেখানো হয়েছে কয়েকবার এবং অনেকেই বলেছে তারা আমার মঞ্চ নাটকের অভিনয় দেখেছে প্যাকেজ নাটকে। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই মঞ্চ নাটক করেছে। এখনো যদি কাউকে বলেন তাহলে সেও মোটামুটি ৫০% নাটক লিখে দিতে পারবে। শুনেছি ঢাকা শহরে আমাদের বন্ধুরা বলে অনেকেই নাটক লিখেও দেয় ইদানিং -আড়ালে এবং গোপনে।  

২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনের পুরো প্রোগ্রাম ইউটিউবে দেখানোর পর থেকে আস্তে আস্তে ইন্ডাষ্ট্রি টা ঘুরে যেতে লাগলো এবং চমতকার ভাবে ইউটিউবে নাটকের উপস্থিতি শুরু হলো। ২০১৩/১৪/১৫ সালে যখন ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কাজ করতাম তখণ অনেক সময় বোর লাগতো আর মাঝে মাঝে ভাবতাম ইউটিউব ডট কমে যদি নাটক দেখানো হতো বা বানানো হতো তাহলে হয়তো সময় টা ভালো কাটতো। কাজের ফাকে ফাকে ১/২ টা নাটক দেখা যাইতো। ২০০৩ সাল থেকে হল ছাড়ার পর থেকে টিভি রিমোর্ট সচরাচর হাতে নেয়া হয় নাই। হলে যদি কখনো নাটকের চ্যানলে অন করতাম সাথে সাথে বন্ধুরা হই হই করে উঠতো - পাল্টা চ্যানেল , রিমোট দে , কি বলস, নাটক দেখার দরকার নাই- তো আপত্তি করতাম না। ষ্টার মুভিজ না এইচ বি ও তে ডুবে যাইতাম। তারপরে ২০০৩/২০০৪ সাল থেকে প্যাকেজ নাটক গুলো সিডিতেও রিলিজ হওয়া শুরু করলো এবং সেগুলোও কিনে কিনে বা কালেকশন করে দেখা যাইতো ডেস্কটপে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের কাছ থেকে কপি করে আনা যাইতো একসাথে ২০-৫০ টা করে নাটক। বসে বসে দেখা যাইতো। টাচ ফেন আসার পরে ২০০৮ সাল থেকে টাচ ফোনে নাটক কপি করে দেখা শুরু হইলো। ২০১৪/১৫ সালে যখন বাংলা ভাষাতে ইউটিউবে কথা বলা শুরু হলো তখন খুবই পুলকিত হইলাম এবং অনুভব করলাম তরুন প্রজন্ম আগাইয়া যাইতাছে। তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া উচিত। চলে আসলো ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম এবং শুরু হইলো কয়েক ভাবে উপার্জন। নাটকের চ্যানেল তৈরী করে ইনকাম, স্পন্সর থেকে ইনকাম। গুগলের ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজশেণ ইউটিউবে নাটকের ইন্ডাষ্ট্রিজ তৈরী করে আবার চলেও গেলো কয়েকদিন আগে।  ৫ বছরে  আমার কাছে  মনে হয় শ মিলিয়ন ডলার তারা উপার্জন করে নিছে কারন সেটা ছিলো ইউটিউব রেভিনিউ শেয়ারিং প্রোগ্রাম- তারপরে অফ করে দিছে বাংলাদেশ থেকে কারন এখনকার ভিীডওটা দেখে বোঝা গেছে যে কোয়ালিটি গুলো আর ওকে নাই। অন্যান্য মনিটাইজেশন চপ্রোগ্রাম ওপেন আছে যেমন-  http://www.freedom.tm. ফ্রিডম ডট টিএম শুরু হয় ২০১৩ সালে (আমরা সবাই জানি ২০১৩ সাল টা কি) । গুগলের ইউটিউব মনিটাইজেশনে যেখানে একজন বাংলাদেশী পাইতো ৩৫% ডলার (১০০ ডলার উপার্জন করলে ৩৫ ডলার সেখানে ফ্রিডম নেটওয়ার্ক দিতাছে ৬০% ডলার (১০০ ডলার উপার্জন করলে দিবে ৬০ ডলার)।

যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে নাটকের আস্তে আস্তে ১২ টা বাজতে শুরু হলো। এখন আর পরিবার নিয়ে একসাথে কেউ ইউটিউব এ নাটক দেখতে সক্ষম হবে না। সহজেই গালি দেবে বা গালি খেয়ে যাবে। কারন এখন বাবু, সোনা, রুম ডেট , গাফ্রে বা এই ধরনের প্রেম রোমান্স ছাড়া তেমন কাজ চোখে পড়ে না। কিছু কাজ আছে জীবন মুখী নাটক নিয়ে তৈরী করা। কালচার টাকে নিয়ে যাওয়া হইতাছে সেই ১৯৯০-২০০০ সাল পর্যন্ত  বর্ডার এলাকাগুলোতে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে যে নাটকগুলো দেখানো হইতো মাঝরাতে সে রকম- বেড সিন গুলো বা ধর্ষন চেষ্টা বা রতি ক্রিয়া টাইপের। একসময় কলকাতা পুলিশ সেই নাটক গুলো বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন যেহেতু ইউটিউব আর এইখানে পুরোপুরি ন্যুডিটি এলাও করা হয় না- এইখানে ন্যুড সংলাপ আওরালে হয়তো কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না কিন্তু দেশের মুসলিম আইন যদি ক্ষেপে উঠে তাহলে হয়তো তারা অনেকে লসের খাতায় পড়ে যাবে। কারন এই সময়ের কিছু কালচার তারা নাও মেনে নিতে পারে। ইউটিউবে হয়তো টুএক্স লেভেলের নাটকগুলো টিকে যাবে কিন্তু যদি বড় সড় লেভেলের কোন আন্দোলন হয় বা সামজিক অবক্ষয়ের কথা বলে বর্তমানের নাটক সিনেমা ইনড্রাষ্টিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করা হয় তাহলে রেহাই পাওয়া মুসকিল। কারন এইটা ইন্টারনেট মিডিয়া, এইখানে প্রমান থেকে যাবে এবং এইটা নিয়ে হুজুররা হেস্ত নেস্ত করে ফেলাইতে পারে। 

আপনি অভিনেতা অভিনেত্রী হয়ে চরিত্রের প্রয়োজনে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয়ের কথা বলে হয়েতো পার পেয়ে যাবেন কিন্তু যারা নাটক সিনেমা বানাবে বা বানায় তারা হয়েতো কারো না কারো রোষানলে পড়ে যাইতে পারে। আমিও অভিনয় কে অনেক ভালোবাসি। ভালো অভিনয় দেখলে আমারো চোখের পাতা ভেজে উঠে। জীবনে অনেক মঞ্চ নাটকের সাথে টুক টাক কাজও করেছি কিন্তু এই ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বংসের পায়তারা চলতাছে নুডিটি বা খোলামেলা কথা বার্তার মাধ্যমে হয়তো সে ব্যাপারে কারো তেমন কোন খেয়াল নাই। ২০০৬ সালে বাংলা সিনেমাতে যখন পর্নো এড হলো তখন এক মূহুর্তে বাংলা সিনেমার ১২ টা বেজে গেলো।  লক্ষ লক্ষ মানুষ হল ছেড়ে দিলো। হল মালিকেরা মাথাতে হাত দিয়ে বসে পড়লো। সেই ইন্ডাষ্ট্রি হয়তো এখন নামী দামী বা গুনী কিছু শিল্পীর কারনে (অনন্ত জলিল বা বর্ষা, কুসুম শিকদার বা নিপুন, পরীমনি বা আরো কেউ কেউ)   ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে কিন্তু সময় লেগেছে প্রায় ১০ বছর। আর এখণ যদি নাটক পাড়াতেও এই নুডিটি বা সেক্স সিন বা আবেগ ঘন সিনের মাত্রা এড হয় তাহলে হয়তো অল্ড কিছু দিন খুব রম রমা ভিউজ হবে কিন্তু তার বিনিময়ে হয়েতো ইন্ডাষ্ট্রি টা ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।অনেক যত্ন করে গড়ে তোলা নাটক ইন্ডাষ্ট্রি হয়তো উধাও হয়ে যাইতে পারে যে কোন সময়ে। তখন হয়তো আপনারা আর এই ধরনের ভালো মানের কোন নাটক ও দেখতে পারবেন না। 

ইউটিউবে নাটকের চ্যানেলে অভাব নাই। হাজার হাজার চ্যানেলে হাজার হাজার নাটক তৈরী হইতাছে।এইখানে কোন ণীতিমালাও নাই। ইউটিউবে অনেক টু এক্স লেভেলের বিদেশী ভাষার নাটক সিনেমা আছে - ধরতে গেলে এক ধরনের পর্নো। যদি তাদের সাথে তাল মেলাতে হয় বা সে রকম দিকে আগান তাহলে এক সময় হয়তো সব নাটক ডিলেট হয়ে যাইতে পারে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের তেমন কোন দোষ এইখানে থাকবে না কারন নাটক টা বানায় ডাইরেক্ট রা। আর যারা অভিনয় করে তারা জানে যে ঠিক কতোজন মানুষ নাটক দেখে। আমরা একবার হিসাব করে দেখেছিলাম সারা দেশে ১৫ লক্ষ -১.৫ মিলিয়ন মানূষ নাটক দেখে। কারন ব্রডব্যান্ড বা ওয়াই ফাই এর মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে ধীরে ধীরে নাটকের দর্শক ওবেড়ে যাইতাছে কিন্তু এইখানে তো এই ধরনের কোন অপশন নাই যে যতো ভিউজ ততো টাকা। এখানে সম্প্রতি ইউটিউব মনিটাইজেশন  অফ হয়ে যাওয়াতে নাটকপাড়াতে ভাটার তৈরী হবে এবং এখণ শুধূ স্পন্সর এর উপরে ভিত্তি করেই নাটক বানাতে হবে। আর যদি মনে করেন যে না আপনারা বড়লোক- আপনাদের কোটি কোটি টাকা আছে-আপনাদের মনে চাইলো আপনারা নাটক বানিয়ে রেখে দিবেন- ভবিষ্যতে মানুষ দেখতে পারবে তাহলে সেখানে আপনার আশংকা সত্য নাও হতে পারে। কারন যদি হঠাৎ করে কোন নাটক ১ লক্ষ বা দেড় লক্ষ রিপোর্ট পায় তাহলে সেটার মান নেমে যাবে অনেক নীচে- ট্রেন্ডিং এ আর দেখাবে না। আর কতো ভাবে যে ভিউজ তৈরী করা যায়- তা দেখলে যে কারো মাথা খারাপ হয়ে যাবে। ইউটিউবের ভিডিও এর জণ্য কি কি মেথডে ভিউজ বাড়ানো যা তার একটা বাংলা টিউটোরিয়াল আমার আছে। আর সোশাল মিডিয়া এপিাআই মাধ্যমেও আপনি কোটি কোটি ভিউজ কিনে আনতে পারবেন এক দিনে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি মনিটাইজেশন থেকে থাকে আর সেখানে যদি আপনি এপিআই বা যে কোন উপায়ে যদি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ এড করে থাকেন এবং এর বিনিময়ে যদি আপনি মনিটাইজেশন মানি পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি বা আপনাকে মনে রাখতে হবে যে- ইউটিউব ইনকরপোরেশন সেটা জানে আর সে জেনে শূনেই সেটা তারা দিয়েছে বা দিয়ে গেছে। ধরতে গেলে এইটা এক ধরনের দান দক্ষিনার পর্যায়েও তারা ফেলে দিতে পারে। সো এইখানে অন্তত পক্ষে ইউটিউবের নাটকের ক্ষেত্রে সাবধান। 

সচরাচর নাটক সিনেমা একবার দেখানো হয়েছে সবসময়। সো সেইভাবে প্রিপােরেশন নিয়ে নাটক সিনেমা দেখানো হতো। ধরেন -১৯৯০ ২০১০ পর্যন্ত খুব আয়োজন করে নাটক সিনেমা যেদিন দেখানো হতো সেদিন সবাইকে বলে কয়ে নাটক  টা দেখা হইতো টিভি সিনেমার সেটের সামনে এবং ১ ঘন্টা বা কয়েক ঘন্টা সময় ব্যবহার করে নাটকটা বা সিনেমাটা দেখানো হতো। তারপরে যারা নির্মাতা বা অভিনেতা অভিনেত্রী- তারা হয়তো ফিডব্যাক রিসিভ করতো এবং পরবর্তী নাটকের শূটিং এর জণ্য নিজেকে প্রিপেয়ার করতো। বিশ্বের অনকে দেশেই এখনো এতো হারে নাটক আপলোড দেয়া হয় না যে হারে আমাদের দেশে নাটকের আপলোড হইতাছে । কলকাতাতে ঢাকা থেকে অনেক বেশী কাজ হয় কিন্তু তাদের নাটক সিনেমা আপলোড দেবার হার অনেক কম। কলকাতাতে সহজে একটা নাটক বা সিনেমা ইউটিউবে খুজে পাওয়া যায় না (কপিরাইট আইন একটিভ থাকার কারনে) । তো স্ক্রিনে অভিনয় করার পরে যে ফিডব্যাক দিতে হয় একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে - সেটা এখনকার দিনে ইউটিউবের নাটকের অভিনেতা অভিনেত্রী রা কিভাবে দেয়- একসময় যদি শরীরে না কুলায় বা মানসিক ভাবে না পেরে উঠে। যারা অভিজ্ঞ - তারা আগে থেকে এদের উপরে চোখ রাখতে হবে। তাদেরকে কাউন্সেলিং এ সাহায্য করতে হবে কারন আপনাকে মনে রাখতে হবে ইউটিউব একটি গতিশীল মিডিয়া আর মানুষ ইউটিউবের গতির সাথে পেরে উঠবে না এবং একসময় নিশ্চিত হাল ছেড়ে দেবে। আর নয়তো লাইফে পাথর হয়ে যাইতে হবে যেনো মানুষ আমার  অভিনয় দেখে নড়াচড়া করলেও আমি যেনো নড়াচাড়া না করি। 

ইউটিউব ভিউজ

ফ্রিডম মাল্টি চ্যানেল নেটওয়ার্ক- ইউটিউব মনিটাইজেশণ

Monday, August 24, 2020

আপনার ছেলে বা মেয়ে কি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার চুরি করতাছে?

বর্তমানে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং জগতে বা  মার্কেটপ্লেস ইন্ডাষ্ট্রিতে যে কেউই কাজ শুরু করতে চায়। এরা একটা আলাদা জগতের মতো। এইখানে ডলার বা  ইউরো বা পাউন্ড বা যে কোন দেশের মুদ্রা উপার্জন করা যায়। তাও আবার এইখানে ডলারে কনভার্ট ও করা যায়। প্রথমে যখন ফ্রি ল্যান্সার জগত টা শুরু হয় তখন কেউ পাত্তাই  দিতে চাইতো না। নানা ধরনের কথা বার্তা বলতো- ধুর এটা কোন ইন্ডাষ্ট্রি হলো- এইগুলো বেশীদিন থাকবে না। এইগুলো চিটার বাটপারদের জায়গা বা এইগুলো হ্যাকারদের জায়গা। দেশের সবখানে কোন না কোন খারাপ লোক আছে সো ইন্টারনেটেও কোথাও না কোথাও খারাপ লোক আছে। সো তারা অনেক ধরনের ব্লাফ দেয়, চিটার বাটপারি করে বা স্ক্যামিং করে এইটা একদম মিথ্যা না কিন্তু বাস্তব জীবনে আপনি যে ভাবে সহজ সরল ভাবে এবং সাবধানতার সহিত চলাফেরা করেন- সেই ভাবে ইন্টারনেটেও আপনাকে সহজ সরল সাবরলীল বা স্বাভাবিক ভাবে চলতে হবে। এইখানে কোন ধরনের ছল চাতুরীর আশ্রয় নেয়া যাবে না। আপনি যদি যে কোন ধরনের ছল চাতুররী আশ্রয় নেন তাহলে সহজেই আপনি ছিটকে পরে যাবেন। আপনি যদি এখানে কাউকে ঠকান তাহলে আপনি এখানে টিকতে পারবেন না। আপনার কাছে মনে হবে আপনি চোর বা ছল চাতুরী করেছেন সো আপনি আর সহজে ইন্টারনেটে ব্যবহার করতে পারবেন না বা সহজে সাবলীল ভাবে এইটাকে কাজে লাগাতে পারবেন না। আপনার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের শান্তি টা নষ্ট হয়ে যাবে। 

আমি প্রায় ২০ বছর যাবত ইন্টারনেট ব্যবহার করতাছি ফুলটাইম। প্রথমে প্রথমে সাইবার ক্যাফেতে যাইয়া ব্যবহার করতাম- ৬০ টাকা এক ঘন্টা। তারপরে আসলাম ৪৫ টাকা ১ ঘন্টা। তারপরে ৪০/৩৫/৩০/২৫/২০/১৫ টাকা তে ১ ঘন্টা শেষ ব্যবহার করেছি সাইবার ক্যাফেতে বইসা ১ ঘন্টা বা পার ঘন্টা হিসাবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কামাল রনজিত মার্কেট, ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে, সিলেট সদরের শাহী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার, মীরা বাজার, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়, রাজধানী ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান, বনশ্রী, রামপুরা, খিলক্ষেত  এবং আজিজ সুপার মার্কেট সহ আরো বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে আমার প্রচুর যাতায়াত ছিলো। অনেক বড় ভাইরা অনেক সময় আইসা ডাইক্যা নিয়া যাইতো- মাসুদ আজকে সাইবার ক্যাফেতে যাইবা না, মাসুদ তোমার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ভালো লাগে- চলো ইন্টারনেট বিষয়ে কথা বলি- এইগুলো খুব প্রচলিত ব্যাপার ছিলো ২০০৭/২০০৮ সাল পর্যন্ত। তারপরে টাচ ফোন এবং ল্যাপটপের অণার হবার কারনে সাইবার ক্যাফেতে যাওয়া এক প্রকার বন্ধ হওয়া যায়। যখনি কোন ইন্টারন্যাশনাল কন্টেষ্টে বা কাজের জন্য আবেদন করতাম সেখানে ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানদের ভালো প্রায়োরিটি দেয়া হতো। একসময় এক ক্লায়েন্ট কে জিজ্ঞাসা করলাম কি কারনে আমরা প্রায়োরিটি পাইতাছি না বা বেশী পরিমানে কাজ পাইতাছি না- তো তারা উত্তেরে জানাতো যে তোমাদের এসএসএন নাম্বার নাই। এস এস এন মানে হইতাছে- সোশাল সিকিউরিটি নাম্বার যেটাকে বর্তমানে আমাদের দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বলা যাইতে পারে। 

২০০৭/২০০৮ সালে সামরিক শাসনের সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে কাজটা হলো তা হইতাছে - “ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান” যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে খুব সহজে বাংলাদেশ কে আগাইয়া নিয়ে যাইতে সাহায্য করে। ভেরিফায়েড ব্যাংক একাউন্ট তৈরী বা আরো যে কোন কাজে ভালো কাজে লাগলো জাতীয় পরিচয়পত্র। আমার কাছে মনে হয়- বাংলাদেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে সব সময় জাতীয় পরিচয়পত্র পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই ২০০৮ সাল থেকে-কারন আমি মনে করি আমিই যদি শুরু করি তাহলে হয়তো এক সময় সবাই সেটা সহজে নিয়ে নিবে। খুজলে হয়তো আরো অনেকে পাওয়া যাবে কিন্তু আমার চেনা জানা  সার্কেলে আমিই সবসময় জাতীয় পরিচপয় পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। বন্ধুরা পকেটে বা  মানিব্যাগ চেক করলে বলতো দোস্ত জাতীয় পরিচয়পত্র পকেটে নিয়ে ঘুরার দরকার কি? আমি বলতাম এইটা আমার আডেন্টিফিকেশন। এইটা আমাকে সহজে পথ চলতে সাহায্য করে। আর আজকে হয়তো শতকরা ৯০% মানুষের পকেটে বা মানিব্যাগে ই জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যাবে খুজলে কারন এখন দেশের অনেক কাজই এক প্রকার অসম্ভব জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া (এমনকি বসবাসও)। তৈরী হয়েছে- জাতীয় পরিচয়পত্র অধিদপ্তর।একসময়কার জাতিসংঘের অধিভুক্ত প্রজেক্ট- ইউএনডিপির অর্থায়নের প্রজেক্ট (PERP & FINIDC)  আজকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রনালয় বা সচিবালয়ের তালিকাভুক্ত অধিদফতর। প্রত্যেকটা অধিদপ্তরের নিজস্ব কিছূ আইন আছে। তেমনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিদফতর- জাতীয় পরিচয়পত্র অদিদফতর ও খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিভাগ । আমি মনে করি অধিদপ্তরের আইন টুকু   প্রত্যেক সচিবালয়/মন্তনালয়/ডিপার্টমেন্ট, প্রিইভেট বা পাবলিক সেক্টরগুলো উদ্যোগি হয়ে নিজে থেকেই বাস্তবায়ান করে ফেলানো উচিত যেমন আপনি বাড়ি বাড়া দিবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভ্যালিডিটি যাচাই করে নেয়া, আপনি জমির/ফ্ল্যাটের দলিল লিখতাছেন তাহলে আপনাকে নিজে থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটা দেয়া বা লিখে নেওয়া বা আপনি জন গুরুত্বপূর্ন যে কোন কাজ করতাছেন সেখানে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার টা এড করে দিলেন- এতে করে আপনি দেশের জণ্য অনেক বড় একটা দ্বায়িত্ব পালন করলেন। বলা তো যায় না- জাতিসংঘের অর্থায়নে প্রজেক্ট সরকারি অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত জাতিসংঘ নিজে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন বাস্তবায়ন করার জন্য সরেজমিনে চলেও আসতে পারে। বাংলাদেশ নিজেই সারা বিশ্বে জাতিষংঘের শান্তি মিশনে জয়েন করে প্রশংসা কুড়াইতাছে আর এখন যদি বাংলাদেশের কোন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে সেটার আইন ১০০% প্রয়োগ করা না হয় তাহলে হয়তো জাতিসংঘ বলে বসবে বাংলাদেশের একটা শান্তি রক্ষা মিশন দরকার যেখানে ভেরিফাই করে দেখা হবে বাংলাদেশে শতভাগ মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা আর সবখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার এক্টিভেট হইতাছে কিনা? আবার যদি কোন গ্রুপ আবেদন ও করে বসে জাতিসংঘের কাছে যে বাংলাদেশের অনেকেরই জাতয়ি পরিচয়পত্র নাই বা তাার নির্বেঘ্নে  ঘুরে বেড়াইতাছে বা বাংলাদেশের সবখানে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার ও প্রয়োগ শুরু হয় নাই তাহলেও হয়তো তারা নড়ে চড়ে বসতে পারে। তবে আমার কাছে (PERP & FINIDC) প্রজেক্টে একজন এমপ্লয়ি( খন্ডকালিন) হিসাবে কাজ করে মনে হয়েছে- যতোক্ষন জাতীয় পরিচয়পত্র আইন কার্যকর না হবে সবখানে ততোক্ষন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডেবল ভিসা প্রোগ্রাম ও বোধ করি  ১০০% সফল হবে না।  

জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ছাড়া বা বায়োমেট্রিক্স নাম্বার ছাড়া এখন আর মোবাইল ফোন বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা যায় না। এখণ যদি আপনি নিজে থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ব্যবহার করে সমাজের এমন কাউকে মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের সুযোগ করে দেন যে কিনা মোবাইল ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত না তাহলে তো আপনি আইন ভেংগে ফেলাইলেণ? আর আপনি যদি জেনে শুনে আইন কে অমান্য করেন তাহলে আপনি নিশ্চিত জেলের গ্লানি টানলেন। আপনাকে হয়তো জেলেও যাইতে হতে পারে কারন এইটা এ দেশের আইন বিরুদ্ব। আপনি নিজের জাতীয় পরিছয়পত্র নাম্বার দিয়ে আপনি অন্য কাউকে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ দিতে পারবেন না বা একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিয়ে আরেকজন কে মোবাইল বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে পারেন না? আপনি তাহলে লিগ্যালিটির মধ্যে নাই এবং ধরা পড়লে নিশ্চিত জেল। আবার একইভাবে আপনি যদি জন প্রতিনিধি হয়ে থাকেন আর আপনি যদি আপনার এলাকাতে পুনরায় জন প্রতিনিধি হতে চান তাহলে আপনাকে পুরো এলাকার ভেতরে খেয়াল করতে হবে যে কার কার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার আছে আর কার কার নাই? যাদের নাই কি কারনে নাই সেটা আইডেন্টিফাই করে  আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, মন্ত্রনালয় বা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দের কে জানাতে হবে। আর যদি আপনি না জানান বা ছাড় দেন তাহলে একদনি হয়তো ব্যাপারটা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী জানবে, যথাযথ এ্যাকশনও নেবে আর আপনাকেও হয়তো জন সম্মুক্ষে পেদাবে যার কারনে আপনার টোটাল সম্মানটাই আপনি হারাবেন। অনেক খানে দেখেছি- জনপ্রতিনিধারা বলতাছে পুনরায় নির্বাচিত হবার প্রধান শর্ত- তার এলাকায় কোন অবৈধ ভোটার নাই (যাদের ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র আছে এবং যাদের নাম নাই ভোটার তালিকাতে তাদেরকে ডুপ্লিকেট ভোটার বা অবৈধ নাগরিক বলা হয়ে থাকে)। 

এখনকার দিনে আদালতে মামলা করতে, থানাতে জিডি এন্ট্রি করতে, মোবাইল এবং মোবাইল নাম্বার কিনতে, বিভিন্ন খানে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা গ্রহন করতে গেলে আপনাকে মাষ্ট বি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দেখাতে হবে বা সাবমিট করতে হবে বা শো করতে হবে- নয়তো আপনি সরকার নির্ধারিত অনেক সুবিধা পাবেন না। কয়েকদিন আগে দেখলাম-  আমার ভাগিনা বাজিতপুর মেডিকেলে পড়ে তাকে টাকা পাঠাবো তার সেমিষ্টার ফি- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হবে মাষ্ট নয়তো ব্যাংক টাকা নিবে না- বুঝেন অবস্থা- ব্যাংক ও বলতাছে জাতীয় পরিচয়পত্র বৈধ কপি না থাকলে কোথাও টাকা জমা দেয়া যাবে না। যে ব্যাংক কিনা টাকার জন্য ই বসে থাকে সেই ব্যাংক ও এখন যে কারো একাউন্টে টাকা জমা দিতে গেলে এই নিয়ম প্রযোজ্য- উত্তরা ব্যাংকের এই শর্তটুকু প্রশংসার যোগ্য। সমস্ত ব্যাংকেই এই ধরনের কড়াকড়ি আছে বলে শুনেছি। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক একাউন্টের মালিক হতে পারবেন না- ঠেকায় বেঠেকায় কেউ আপনাকে বাংলাদেশের কোন খান থেকে কোন প্রকারের টাকা পয়সা সেন্ড করতে পারবে না। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ডের মালিক ও হতে পারবেন না- ঠেকায় বেঠেকায় আপনার পরিবারের জণ্য আপনি লোন সুবিধা নিয়ে যে কোন সময়ে যে কোন চাহিদা পূরন করতে পারবেন না। এখনকার বাংলাদেশের দুনিয়াতে দুইটা প্রজন্ম তৈরী হইছে- ১) ৯০% মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্ত সমাজে আছে আর ২) ১০% মানুষ জাতীয় পরিছয়পত্র ছাড়া বা ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বসবাস বা চলাফেরা করতাছে। যারা ডুপ্লিকেট বা হত্যা মামলার আসামী বা অবৈধ নাগরিক তাদেরকে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সম্মানিত করবে না। আর আপনি যদি স্বজ্ঞানে স্ব ইচ্ছাতে যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবার যোগ্যতা নাই তাদের সাথে মেলামেশা করেন বা তাদের সাথে উঠা বসা করেন তাহলে আপনি এইখানে আইন কে ভংগ করলেন আর এজন্য আপনাকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যে কোন সময়ে যে কোন শাস্তি গ্রহন করতে হতে পারে। 

প্রথমত আপনার যদি বয়স হয়ে তাকে মিনিমাম ১৮ বছর তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র এর জণ্য আবেদন করতে হবে - এইটা বাংলাদেশ সরকারের আইন। এখণ আপনি যদি আবদেন না করেন আর বাংলাদেশ কে ঘৃনা করে আবেদন না করেন তাহলে আপনি এইখানে আইন কে অমান্য করলেন আর আপনি এজন্য বাংলাদেশে অবৈধ নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হবেন। আর অবৈধ নাগরিক দের জণ্য তেমন কোন আইনি ফ্যাসিলিটজ থাকে না একমাত্র শাস্তি গ্রহন করা ছাড়া- আইন মোতাবেক। আপনাকে অতি অবশ্যই আবেদন করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ১৮ বছর হবা মাত্র- পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার যদি আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিতে দেরী করে বা না দেয় তাহলেও আপনি আপনার ভোটার রেজিষ্ট্রেশনের ফর্মের রিসিপট যে কোন খানে শো করতে পারবেন। আর আপনাকে যদি একবোরেই না দেয়া হয় তাহলে হয়তো আপনি এমন কোন ক্রিমিনাল যেখানে রাষ্ট্র আপনাকে নাগরিকত্ব দিতে অপরাগ। সারা দেশের ১১ কোটি মানুষের ভোটার ডাটাবেজ আছে- সেখানে যদি আপনার নাম ও নাম্বার না থাকে তাহলে তো বুঝতে হবে যে আপনি যে কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় আসামী এবং আপনাকে অবিলম্বে আপনি যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের জন্য স্থানীয় থানা, র‌্যাব বা পুলিশের কাছে আত্মসমর্মন করতে হবে নয়তো আপনি এদশের অবৈধ নাগরিক হিসাবে বসবাস করতাছেন এবং আপনার কোন সামাজিক ভ্যালূ থাকবে না। ইভেণ আপনি ভিক্ষা করেও বসবাস করতে পারবেন না কারন সকলেই বুঝে যাবে যে আপনি অবৈধ নাগরিক- চুরি করে বা লূকোছাপা করে বসবাস করতাছেণ। বীরের মতো বা ভীরের বেশে না। এক সময় না এক সময় ধরা পড়ে যাবেন আর আপনাদেরকে সহায়তা কারীরা ও ঠকে যাবে বিশালাকারে আ বিশাল আয়তনে। 

ইন্টারনেটে ফ্রি ল্যান্সার বা আউটেসোর্সার হতে গেলেও আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার প্রদান করতে হবে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে দেরী হওয়াতে অনেকেই তার বাবা মা, বড় ভাই বোন বা চাচা মামা খালা ফুফা দের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার সাবমিট করে বা তাদের স্ক্যান কপি নিয়ে মার্কেটপ্লেস ওয়েবাসাইট গুলোতে একাউন্ট ওপেন করতাছে। রিয়েলিটি  অনুযায়ী-  "First Impression is the best analyse" হিসাবে একজন বায়ার বা ক্লায়েন্ট মার্কেটপ্লেসে প্রথমেই আপনার বাবা মা বা বড় বাই বোন যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করেছেন তাদের চেহারা দেখে থাকবে তা তাদের ডিটেইলষ পাবে- সেখানে যে কাজ দিতাছে সে নিশ্চয়ই এতাটা বোকা না যে সে বুঝতে পারবে না যে সে কাকে কাজ দিতাছে? সে তো কোন না কোন কোম্পানীর মালিক বা বহুজাতিক জনগোষ্টী নিয়ে হাজারো চিটার বাটপারদের মাঝখানে বসে থেকে যে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো শহরে জীবন যাপন করতাছে- এইখানে যারা বাবা মা বা অন্য কারো আইডি কার্ড ইনফরমেশন বা ডিটইলস সাবমিট করে কাজ করতাছেন- তাদের কাছে উপার্জন টুকু কতোটুকু হালাল হইতাছে যেখানে খ্রীষ্টান বা ইহুদিরা ১০০% সততার জীবন যাপন করে। তারা তো বড়লোক এই বিশ্বে - সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে  অডেল সম্পদের মালিক বানাইয়া দেন পৃথিবীতে- তাদের তো কোন কিছু তে কমতি নাই তাহলে তার সাথে কি এক ধরনের চিটিং হয়ে গেলো না এইখানে। বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সারদের একটা গ্রুপের মডারেটর কাম পেজ এডমিন আমি- যেখানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮৫০০০ এবং যেখানে প্রচুর পরিমানে ছেলে পেলে আইসা বলে তারা তাদের বাবা মা বা অন্য কারো আইডি দিয়ে একাউন্ট ওপেন করে কাজ করতাছে। দুর্মূল্যের এই বাজারে যে যেভাবে পারে সেভাবে অর্থ উপার্জন করে যাইতাছেন কিন্তু একবার কি আপনি ভেবে দেখেছেন এইটা বাংলাদেশ আইনে কতোটুকু ভ্যালিড? যদি আপনোকে হঠাৎ করে ব্যাংক প্রশ্ন করে বা আপনার রেমিটেন্স যদি ব্যাংক আটকে দেয় আর প্রশ্ন করে যে আপনার বাবা মা বা যার নামে একাউন্ট ওপেন করেছেন তাকে নিয়ে আসেন আর সেখানে যদি আপনার কাজের ব্যাপার   বা আপনার অন্যের দেয়া আইডি পারসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যে আপনি কি কাজ করেছেন বা কিভাবে আপনি এই কাজ করে থাকেন ডিটেইলস টা বলেন তাহলে কি সে উত্তর দিতে পারবে? সে ক্ষেত্রে আপনি কি চুরি করতাছেন মার্কেটপ্লেস ইন্ডাষ্ট্রিজ থেকে। বা ধরেন আপনি রেগুলার যতো পরিমান রেমিটেন্স উপার্জন করতাছেন সেই হিসাবটা বাংলাদেশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে গেলো বা স্পশাল ব্রাঞ্চ বা ডিবি পুলিশের কাছে গেলো এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য পাইলো এবং দেখতে পারলো যে যে লোক রেমিটেন্স উপার্জন করতাছে সে বাহিরে ঘূরে বেড়াইতাছে বা সে কোন অফিসের পিয়ন বা সে কোন অশিক্ষিত বা সে কোন বাড়ির দারোয়ান বা সে কোন বাসার কাজের মহিলা বা সে কোন খানে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করে চলতো তাহলে কি আইন পুলিশের মনে সন্দেহ বাড়বে কিনা আর আপনি লাম ছাম যদু মুধূ টেকনিক এপ্লাই করে এই ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং বা মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি রিস্ক জেনারেট করতাছেন, বাংলাদেশের সামিাজিক প্রেক্ষাপটে এর অবস্থান নষ্ট করতাছেন বা আপনি এই ওয়েবসাইট গুলোকে একেবারে বাংলাদেশে থেকে চলে যাবার ব্যাপারে প্রেশার তৈরী করতাছেন কারন ওয়েবসাইট গুলোর টার্মস আর কন্ডিশনে নিশ্চয়ই বলে দেয়া আছে যে- আপনি অন্য কারো ডিটেইলস ব্যবহার করতে পারবেন না?  অন্তত পক্ষে এইটা তো বলে দেয়া যাবে যে- সততার দুনিয়াতে আপনার নাম নাই। আর আপনি অযাচিত ভাবে অনেকের রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমের ইন্ডাষ্ট্রিজ টাকে ধ্বংস করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধাবোধ করতাছেন না। এরকম আর কোন ইন্ডাষ্ট্রিজ নিশ্চয়ই আপনার বাপ দাদারা তৈরী করে দিয়ে যায় নাই আর আপনিও চাইলে তৈরী করতে পারবেন না। আর আপনি যদি সত্যিই আপনার বাবা মায়ের বা অন্য কারো ইনফরমেশন ব্যবহার করে এইখানে জয়েন করেন তাহলে তো উপরে থাকা স্যাটেলাইট বা বৈদিশিক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরে পড়ে যাইতাছেন যারা ভালো অংকের এমাউন্ট উপার্জন করার কারনে আপনার সিটিতে আপনার পাড়া বা মহল্লাতে আপনোকে আইসা রেকি করে যাইতাছে এবং তথ্যগত মিসটেক টুকু নোট কের নিয়ে যাইতাছে।ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান রা নিশ্চয়ই এতো বোকা না যে আপনি লাম ছাম যদু মধু বুঝাইয়া দিলেন আর সেও তা বুঝে চলে গেলো- ব্যাপারটা সেরকম না। তারাও ব্যাপারটা ফলো করতাছে এবং এই ব্যাপারে এক সময় তারা এ্যাকশন নিতে পারে। হয়তো ব্যাংক বন্ধ করে দিতে পারে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আন্তর্জাতিক লেনাদেনা অফ করে দিতে পারে বা বাংলাদেশ প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর ক্ষতি হতে পারে। আমার কাছে অসংখ্য প্রমান আছে যেখানে প্রতিনিয়ত এই ধরনের ইনফরমেশন মিসইউজ করে ফরেনার কোম্পানী গুলোকে ঠকানো হইতাছে বা যেখানে বাংলাদেশের বিনা কারনে বদনাম হইতাছে মানে বদনাম উপার্জন হইতাছে। 

সো এই সকল ব্যাপারে আপনি যদি সন্তানের পিতা হয়ে থাকেন বা আপনার সন্তানের হাতে যদি ইন্টারনেট সহ মোবাইল থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অতি অবশ্যই সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে কারন আপনি হয়তো জানতেই পারতাছেন না আপনার সন্তানেরা আপনাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা আপনার ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন চুরি করে প্রতিনিয়ত আপনার বিরুদ্বে রিপোর্ট গড়ে তুলতাছে যার কারেন আপনি হয়তো কখনো কোথাও যে কোন বিপদে পড়ে যেতে পারেন। কারন আপনার নাম ঠিকানা ছবি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বা আপনার আঙুলের ছাপ আন্তর্জাতিক ভাবে রেকর্ড হইতাছে আর আপনি আপনার পারিবারিক প্রয়োজনে অনেক ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে পারেন সহজে। সো আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারটা মিসইউজ হইতাচে কি না সেই ব্যাপারে আশা করি আপনি পুরোপুরি সতর্ক থাকবেন। একটা জিনিস আপনাকে বোঝা দরকার যে- ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান দেশগুলোতে এই সকল ব্যাপারে আইন কানুন খুবই কড়া এবং এ ব্যাপারে তারা কখনো কোন আপাষ করে না। তাদেরকে আপনি কখনোই বোকা বানাতে পারবেন না কারন এই কম্পিউটার , ইন্টারনেট, অপারেটিং সিষ্টেমের পুরো ব্যাপারটাই তাদের তৈরী করা। আর এই সকল ব্যাপার মেইনটেইন করার জন্য তাদের স্যাটেলাইটের সংখ্যাও কম না। গুগল আর্থ স্যাটেলাইটের কল্যানে নিশ্চয়ই আপনি অলরেডী জেনে গেছেন যে কতো কাছ থেকে পৃথিবীর যে কোন খানে যে কোন কিছু অবলোকন করা যায় বা বিশ্বের প্রতিটা ইঞ্চি প্রতিটা সেকেন্ডে কিভাবে রেকর্ড হইতাছে। 

হাজারো কোটি মুক্তিযোদ্বার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ বা বাংলা রাজ্য কে আপনি এতো সহজে অবহেলা করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্বারা গভীর রাতে দালাল রাজাকার, পা ক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্বে লড়াই করে জেতা এক জাতি আর এইটা তাদের ই দেশ। এই দেশে বসে থেকে আপনি কোন খারাপ কাজ কন্টিনিউয়াস করে যাবেন আর সেটা ধরা পড়বে না এরকম কখনো হবে না। দেখতেই পারতাছেন বাংলা এবং বাংলাদেশী স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও রাজাকারকে ঝুলাইয়া দিতে বাঙালী দ্বিধাবোধ করতাছে না। সো এক সময় আপনাকেও হয়তো সেই বিচারের সম্মুক্ষীন হতে হবে এবং সেটা হয়তো যে কোন সময়- হতে পারে আজকে, হতে পারে এক্ষুনি। 

আপনার পরিচয়পত্রের সাথে কয়েকটা জিনিস জড়িত- ১) এই দেশের লাল সবুজের পতাকা এবং ২) এই দেশের মান সম্মান। আপনি যদি বৈধ ফ্রি ল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিয়া আসতাছেন দেশের জন্য সম্মান আর আপনি যদি চুরি চামারি ফেইকইজম করে থাকেন তাহলে আপনি নিয়ে আসতাছেন দেশের জন্য বদনাম আর আপনার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হইতাছে দেশ। হয়তো আপনার বা আপনাদের দুই নম্বরগিরি র কারনে বাংলাদেশে বৈদিশিক বানিজ্য কমে যাইতাছে, হয়তো বাংলাদেশের গার্মেন্টস এর অর্ডার ও কমে যাইতাছে কারন আপনি যে ক্লায়েন্টের কাজ করতাছেন সে যদি আপনার কাজে ্সন্তুষ্ট না হয় তাহলে তো সে আপনার বা আপনার দেশের বিরুদ্বে ইউরোপ বা  আমেরিকার কোথাও না কোথাও কিছূ না কিছূ তো বলে থাকবে। আর এই পদ্বতিতে যারা সাহায্য করতাছেন ২ নাম্বার ফ্রি ল্যান্সারদের( যাদেরকে আমরা ফেইক ফ্রি ল্যান্সার বলে থাকি) কে তারাও তো একার্থে দেশের সুনাম নষ্ট করে যাইতাছে- যেমন অসাধূ  ব্যাংক কর্মকর্তা বা অসাধূ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা বা অসাধূ র‌্যাব পুলিশ কর্মকর্তারা। জানেন তো ৭১ এর দেশবিরোধী শক্তির প্রধান চাহিদা হইতাছে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের ক্ষতি করে যাওয়া যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের কোথাও মাথা উচু করে না দাড়াতে পারে যেমন আজকাল কার দিনে অনেকেই পেপার পত্রিকাতে ডাইরেক্ট বলে ফেলায় বাংলাদেশ কে বলে ভারত কিনে ফেলাইছে বা বাংলাদেশকে বলে ভারত কন্ট্রোল করে।

Sunday, August 23, 2020

শয়তানের মাথা দর্শন - যার কারনে প্রতিনিয়ত ঠকে যাইতাছি।

শয়তান এমন এক জাত যা মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে ঠকাইয়া যাবে- কারন শয়তানকে মহান রাব্বুল আলামিন কেয়ামত পর্যন্ত লানত দিয়ে রেখেছেন। সে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষকে বিপথে নিয়ে যাবে এবং মানুষকে ঠকাইয়া যাবে। এছাড়া সে বেচে থাকতে পারবে না কারন মানুষকে বিপথে পরিচালিত করা বা মানুষরে বিরুদ্বে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাওয়া হইতাছে তার ধর্ম । আমাদের দেশেও আপনি এই ধরনের ক্যারেক্টার/মানুষ/পারসন খুজে পাবেন যাদের একমাত্র কাজ হইতাছে বিনা কারনে তারা মানুষের ক্ষতি করে যাবে (যুগের পর যুগ- যাদের কোন বোধ শক্তি কাজ করবে না। নিজে বেচে থাকাকে শ্রেয় মনে করবে- বাকি সব মানুষের মরে যাওয়াকে জায়েজ মনে করবে) প্রতিনিয়ত কারন এতে তারা একটা পিক্যুলিয়ার টাইপের মজা পায়। তারা শয়তানকে আদর্শ করে বেচে থাকার চেষ্টা করে। একখানে হাদিসে পড়েছিলাম দুনিয়াতে ৪ ধরনের মানুষ আছে : 

১. যারা দুনিয়াতে সুখী , আখেরাতেও সুখী। (সবচেয়ে সফল)

২. দুনিয়াতে সুখী কিন্তু আখেরাথে অসুখী। (বাতিল জীবন)

৩. দুনিয়াতে অসুখী কিন্তু আখেরাতে সুখী। (লক্ষ্যস্থলে সুখী)

৪. দুনিয়াতে এবং আখেরাতে দুই খানেই অসুখী।   (টোটালি অসুখী)

এই ৪ নাম্বার টাইপের মানুষ হইতাছে শয়তানের প্রজন্ম। তারা দুনিয়াতে থেকেই জাহান্নাম কে উপার্জন করে ফেলাইবে এবং পরকালে হিসাব কিতাব শুরু হবার আগেই বিনা হিসাবে জাহান্নামে চলে যাবে যাদেরকে বলা হয়- বিনা হিসাবে জাহান্নামী। এই ধরনের মানুষেরা পৃথিবীতে সবার জন্য ক্ষতিকর। অনেক খানেই ভালো ভাবে বলা হয়েছে- শয়তানকে জীবন থেকে উপড়ে ফেলানেরা কথা। মানে শয়তানকে ধ্বংস করে ফেলানোর কথা। শযতান নিজে তার চেহারা কখনো দেখায় না (শুনেছি)। সে দেখতে কেমন তাও বোঝা যায় না তবে দজ্জালের বর্ননা থেকে অনেকটা তার ব্যাপারে আন্দাজ করা যায় তবে শয়তান অনেক সময় মানুষ হবার চেষ্টা করে- না পেরে মানুষের অবয়ব ধারন করার চেষ্টা করে)। মানুষকে ধোকা দেবার চেষ্টা করে। 

শয়তান এক সময় জীন জগতের বাসিন্দা ছিলো। জীন রা যেহেতু অদৃশ্য আর সৃষ্টিকর্তাকে অনুধাবন করার সুযোগ পায় বেশী সেই কারনে শুনেছি জিন যদি কখনো নাস্তিক হয়ে যায় তাহলে তার নাকি আর আস্তিক হবার কোন উপায় থাকে না। কারন অদৃশ্য অবস্থায় থেকে সে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করেছে এবং এই কাজটা করেছিলো শয়তানও। সেও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে মানুষকে সরাসরি অস্বীকার করে বসে এবং তার ভেতরে অহংকার আসার কারনে সে চিরকালের জন্য লানত প্রাপ্ত হয় এবং কুৎসিত আকার ধারন করে। আরো একখানে পড়েছিলাম শযতান এতো পরিমান কুৎসিত যে সে কখনো তার রুপ দেখানোর চেষ্টা করে না- সে শুধূ তার মাথা দেখানোর চেষ্টা করে কারন সে মনে করে মানুষের মেইন হইতাছে তার ব্রেইন। এ দুনিয়াতে যে সকল মানুষ তার হাত থেকে বেচে থাকে সে সকল মানুষ তাদের ব্রেইনের জোরেই বেচে থাকে। তাই সে ব্রেইন কে মেইন ক্ষমতাবান মনে করে আর সেই ভাবেই সে সুযোগ পাইলেই তার মাথা দেখানোর (মাথার অবয়ব ধারন করার চেষ্টা করে)। 

আবার আরো একখানে পেড়েছি- শয়তানের উচ্চতা বলে ৪ ফুট হয় যখন সে মানুষ হবার চেষ্টা করে।  সৃষ্টিকর্তার লানত আছে বলে সে কখনো ই মানুষ কিংবা জিন বা সৃষ্টি জগতের কোন কিছুর রুপ ধরতে পারবে না একুরেটলি -  তার চোখ, কান, নাক মুখ এগুলো কিছুই দেখা যায় না। তবে সে নিজেকে মানুষ মনে করে বা সে রকম চেষ্টা করে ফলে তার একটা প্রতিকৃতি ফুটে উঠে। কিন্তু আদতে সে কখনো মানুষের রুপ ধরতে পারবে না কারন সে মানুষকে অস্বীকার করেছিলো সৃষ্টিকর্তার প্রিয় সৃষ্টি হিসাবে। সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে ভালোবেসে তৈরী করেছে মানুষকে আর দুনিয়াতে দিয়ে রেখেছে তার জন্য অসংখ্য পরীক্ষা। কিন্তু দুনিয়াতে ভালো মানুষ হবার কারনে রিভিলড নামের একটা ব্যাপার আছে যেখানে শয়তান আর মানুষকে স্পর্শ করতে পারে না এবং তার পদ্বতিও মানুষের জন্য কাজ করে না। তখন সে পদ্বতি সেট আপ করে। সে তার অনুসারীদের মাঝে নিজেকে মহা ক্ষমতাবান হিসাবে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করে। মানুষের মনে খারাপ ধারনা তৈরী করে এবং মানুষকে খারাপ বা বিপথে পরিচালিত করে। তখন শয়তানের বংশধরেরা শুধু ক্ষতি ই করতে চায় শয়তানের টার্গেটেড পারসন কে। যারা শয়তানের অনুসারী তারা শুধূ মানুষের ক্ষতিই করতে পারে। তারা কখনো মানুষের উপকার করতে পারে না। সবসময় ক্ষতি করতে করতে একসময় তারা মনে করে যদি এই মানুষটাকে মাইরা ফালানো যাইতো তাহলে তারা প্রকৃত খুশী হইতো। কিন্তু আদতে তারা কখনো খুশী হইতে পারবে না আর বাচা মরা তো আল্লাহর হাতে। সারা দুনিয়ার মানূষ যদি চায় কাউকে মাইরা ফালাইতে আর আল্লাহ যদি না চায় তাহলে সেই মানুষ মরবে না। আর সারা দুনিয়ার মানুষ যদি না চায় আর আল্লাহ যদি চায় তাহলে উনি যে কাউকে মাইরা ফালাইতে পারবে। তবে প্রকাশ থাকে যে এ দুনিয়ার সব ভালো মানুষ মিলে যদি খারাপ কে মাইরা ফালানোর চেষ্টা করে এবং মাইরা ফালায় তাহলে বোধ করি সেখানে সৃষ্টিকর্তা খুশী হাবে। কারন কে খারা কে মারা মানে শয়তানকে মেরে ফেলা আর শয়তানকে মেরে ফেলা মানে সৃষ্টিকর্তার খুশী পাওয়া। 

শয়তানকে অনেক সময় ব্ল্যাক ডেভিল নোমে ডাকা হয়। বেসিক্যালি ডেভিল বলা হয় শয়তানকে আর ডেভিল জেনারেশন বলা হয় এ বিশ্বে যারা শয়তানের অনুসারী তাদেরকে। ডেভিলের সাথে যোগাযোগ পৃথিবীর সেরা সেরা নাস্তিকদের আর তারা কখনো নাস্তিক থেকে আস্তিক হতে পারে না। শুনেছি বা একখানে লেখাও দেখেছি যে- ১৯৭১ বা তৎ পরবর্তী যারা দেশ বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলো এবং ৭১ এ মা বোনের ইজ্জতহানি , ধর্ষন, ধর্ষন করতে করতে মাইরা ফালানো, গনহত্যা তৈরী করা, গনকবর তৈরী করা বা গনহারে বাঙালীকে কারনে ছা্ইড়া মাইরা ফালানোকে শয়তানের কার্যকলাপ বলে অভিহিত করা হয়। ২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনে শয়তানের প্রজন্ম বা বংশধর- দালাল রাজাকারদের কে শয়তান নামে সর্ব সম্মতি ক্রমে অভিহিত করা হয় (ফেসবুকে বা যে কোন নিউজ ফিডে দেখেছি) এবং অভিশাপও দেয়া হয় যেনো তারা চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামের জন্য বিবেচিত হয় এবং তাদেরকে শয়তান এর বংশধর নামে অভিহিত করা হয়। শুধুমাত্র শয়তানের পক্ষেই এই ধরনরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ তৈরী করা সম্ভব (৭১ এ দেশবিরোধী গনহত্যা )এবং তার পর থেকে যে দালাল রাজাকারেরা ছলে বলে কৌশলে বেচে আছে- ছলচাতুরী করে এবং কলা কৌশল করে - এইটাকেও এক ধরনের শযতানী বলে অভিহিত করা হয়। আর তাদেরকে যারা সাহায্য সহযোগিতা করতাছে জেনে শুনে স্বজ্ঞানে বা স্ব ইচ্ছাতে, তাদেরও নিশ্চয় বিচার হবে একদিন এ দুনিয়াতে বা কাল হাশরের দিন। তাদের প্রতিও আছে অভিশাপ জয় বাংলা র গ্রাউন্ড থেকে। 

গনজাগরনের আশা আকাংখা কে প্রতিনিয়ত যারা চুরি করতাছে- গনজাগরনরে সহজ সরল ছেলে পেলে দের আশা আকাংখা কে সাময়িক স্বার্থের জন্য বা সাময়িক বেনিফিটের জণ্য গলা টিপে হত্যা করে যাইতাছে - তাদের প্রতি ও আছে হাশরের দিনে বিচারের সম্মুখীন হবার অভিশাপ আর নয়তো চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামের অভিশাপ । তাই আসুন জেনে শুনে শয়তানকে এবং শয়তানের বংশধরদের কে সাহায্য করা বন্ধ করে দেই এবং নিজ জ্ঞানে জেনে শূনে কাল হাশরের দিন মহান রাব্বুল আলামিনের বিচারের সম্মুক্ষীনে না পড়ে যাই । সবাই বলে হাশর খুব কঠিন জায়গা। 

শয়তানের বংশধর ৭১ এ দেশ বিরোধী ভূমিকা পালনকারী দালাল রাজাকারদের সামাজিক ভাবে বয়কট করেছে জয় বাংলার সকল সন্তানেরা - আশা করি দেশের আইন ও প্রশাসনও  তাদের কে বয়কটের মাধ্যমে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শয়তানের বংশধরদের ফাসির দাবী কার্যকর করে নিজেকে, দেশকে, আইন কে, প্রশাসনকে তথা দেশকে হেফাজত করবেন আর নয়তো জন মানুষের ঘৃনা বা অভিশাপে এক সময় মরেও যাইতে পারেন। যদি শয়তানের বংশধর সাধারন ভাবে মৃত্যুবরন করে তাহলে  ৭১ এর দালাল রাজাকরদের ফাসির দাবীতে আন্দোলন করে আসা প্রজন্ম (১৯৯০-২০১৩ গনজাগরন) এক ধরনের হার হেরে যাবে বলে আমি মনে করি। আর যদি দালাল রাজাকর শয়তানের বংশধর রা ফাসি না নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরন করে তাহলে সেটা হবে বাংগালীর বিপক্ষে শয়তানের একটা কারসাজি বা শয়তানের একটা মাথা খাটানো বুদ্বি। দালাল রাজাকারদের ফাসির রায় হয়েছে- সে রায়ের প্রতি সন্তুষ্টি জানিয়ে সকল দালাল রাজাকারদের উচিত আদালতে আত্ম সমর্মন করা এবং স্বেচ্চায় জেলখানাতে চলে যাওয়া বা নিজে নিজেই ফাসির রায় কার্যকর করা মানে সুইসাইড করে ফেলা- তাহলেও জয় বাংলা বিজয়ী হবে নিশ্চিত। গনমানুষের রায় কে উপেক্ষা করে যে সকল দালাল রাজাকারেরা এই দেশের সমাজে ছরে বলে কৌশলে বেচে থাকার ধান্দা করা প্রত্যেক সেকেন্ডে- তাদেরকে আমরা চিনি। তারা এ সমাজের পশু, জানোয়ার, কুত্তা বা হায়েনা- তাদেরকে একাত্তর থেকেই পশু বা হায়েননা বা কুত্তা বলেঅিভিহিত করা হয় এবং তারা এ সমাজে সে রুপেই ধরা দেয়। তাদেরকে ফাসি দেয়া বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের দ্বায়িত্ব। জয় বাংলার সহিত এ দ্বায়িত্ব দ্রুত পালন করে ফেলা উচিত।