Translate

Monday, August 17, 2020

টেষ্ট টিউব চাইল্ড দের কি সিক্সথ সেন্স (আই কিউ) কাজ করে?

একজন মানুষ আমার কাছে প্রায়শই আসে আর আমাকে জিজ্ঞাসা করে : সে প্রায় ৩০ বছর ধরে যৌনকর্ম করতাছে কিন্তু তার কোন বাচ্চা হয় না- কারন কি? তো আমি তাকে উত্তর দিলাম- তুই  সম্ভবত একজন টেষ্টটিউব চাইল্ড - টেষ্ট টিউব চাইল্ডদেরকে কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা হয় বলে তাদের প্রজনন ক্ষমতা অনেক সময় কাজ করে না। সেই জন্য তাদের বাচ্চা হয় না। এবং এ ব্যাপারে কারো কিছু করার নাই। এইটা উপর ওয়ালার বিষয়। এই খানে সেই পুরুষের বীর্য দিয়েও ল্যাবরেটরি তে কিছু করা যাবে না কারন সে নিজে টেষ্টটিউব চাইল্ড হবার কারনে তার সেই বীর্য ক্ষমতা কোন কাজ করে না অনেকসময়। তবে সে যদি কাউকে একক ভাবে ভালোবেসে থাকে তাহলে তাদের জন্য সমাধান একটাই- তার স্ত্রী যদি মানুষ হয় তাহলে তার স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে যৌন কর্ম করতে হবে এর ফলে সে এক সময় প্রেগন্যান্ট হইতে পারে (যেটা মুসলিম ধর্মে নিষেধ)। আর যদি তার স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের সাথে যৌনকর্ম করতে রাজী না হয় তাহলে সেই মেয়েকে অণ্য কারো বীর্য কে সাথে নিয়ে 

ল্যাবরেটরিতে টেষ্টটিউব চাইল্ড তৈরী করে প্রেগন্যান্ট হতে হবে। আসলে মানুষ তো আসে সৃষ্টিকর্তার দরবার থেকে।  মুসলিম ধর্ম পালন করে যতোটুকু বুঝি-  মহাজাগতিক বিশ্ব তৈরী হবার আগেই সৃষ্টিকর্তা তার কুল শব্দের মাধ্যমে মানুষকে লওহে মাহফুজে তৈরী করে রেখেছিলেন। দুনিয়াতে সঠিক বাবা মার মাধ্যমে - সঠিক বাবা মার ভালোবাসার মাধ্যমে তাদেরকে পৃথিবীতে স্বাগতম জানায় সৃষ্টিকর্তার বিশ্ব। বাবার ভালোবাসায় মায়ের গর্ভে জন্ম হয় সন্তানের। ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে মা সেই সন্তানকে নিয়ে আসেন পৃথিবীতে। তারপরে সেই মায়ের বুকের দুগ্ধ পান করতে হয় টানা ২ বছর। আর এভাবেই সন্তানেরা পৃথিবীতে বড় থেকে বড় হতে থাকে। শুনেছি- পবিত্র কোরানে অনেক ডিটেইলস ভাবে বলে দেয়া আছে কিভাবে মানুষের জন্ম হয় পৃথিবীতে? 

পৃথিবীতে মানুষৈর সাথে মানুষের যে ভালোবাসা বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক- সেই ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব শুনেছি লওহে মাহফুজ  থেকে তৈরী হয়েছে কারন সেখানে আমরা একসাথে ছিলাম? তারপরে সৃষ্টিকর্তার মনসায় সঠিক বামা সিলেকসনের মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে বাবার ভালোবাসায় মায়ের গর্ভে জন্ম দিয়েছেন এবং সেই সাথে মায়ের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ১০ মাস ১০ মিন মায়ের গর্ভে অন্ধকার জগতে বসবাস করে এই পৃথিবীতে আমাদের আগমন ঘটেছে আর তারপরে ২ বছর শুধু মায়েরে বুকের দুধ পান করেই আমাদের জীবনের সূচনা হয়েছে। আর যারা টেষ্ট টিউবে জন্মগ্রহন করে তাদেরকে ল্যাবরেটরি থেকে মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়  এবং এইখানে মানুষের হাতের ছোয়া থাকার কারনে অনেক সময় কৃত্রিম উপায়ে জন্মগ্রহন করা বাচ্চার অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তার মধ্যে একটা এরকম যে সে  প্রাপ্ত বয়সে বিবাহিত জীবনে বাচ্চা প্রদানে সক্ষম হয় না। তারপরেও সৃষ্টিকর্তার দুনিয়াতেও এরকম থাকতে পারে অনেক বা যদি পৃথিবীতে ক্রমান্বয়ে কেউ থারাপ কাজ করে তাকে তাহলে তাদেরকে বা সেই জুটিকে সৃষ্টিকর্তা বাচ্চা নাও উপহার দিতে পারেন। এরকম ক্ষেত্রে শুনেছি অনেকেই ভারতে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষনায় দেখা গেছে- সেখানে গরীব মহিলারা  কৃত্রিম উপায়ে টেষ্টটিউব চাইল্ডকে গ্রহন করে- যাদের সন্তান হয় না তাদের বীর্যের মাধ্যমে- প্রথমে স্বামী এবং স্ত্রীর বীর্য কালেকশন করা হয় এবং তারপরে সেইগুলোকে ল্যাবরেটিতে টেষ্টটিউব সেল বানানোর পরে সেইটাকে ভারতীয় গরীব মহিলারা গর্ভে  ধারন করে এবং  এর বিনিময়ে তারা যে পারিশ্যামিক পান তার পরিমান প্রায় মিনিমাম ৩০০০০ ডলারের মতোন। টেষ্ট টিউব চাইল্ডের ব্যাপারে সব ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা কি তা আমি ঠিক জানি না বুঝি না কিন্তু আমি মনে করি এইটা এক ধরনের দুর্ভাগ্য যদি কোন হতভাগা স্বমী স্ত্রী এর বাচ্চা না হয়? 

সৃষ্টিকর্তার সিলেকসনে- বাবার ভালোবাসায় মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহন করাটা এক বিরাট সৌভাগ্যের  ব্যাপার - আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি। এই পৃথিবীতে মানুষকে নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয় - আছে লাইফ সায়েন্স নামের এক সায়েন্স ও । যেখানে জীবন কে নিয়ে গবেষনা করা হয়। বাংলাদেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সিলেট সরকারি বেটেরিনারি কলেজ (বর্তমানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), সিলেট সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ একসময় অন্তর্ভূক্ত ছিলো। আমিও একসময় ছাত্র ছিলাম সিসভেক এর- ফ্যাকাল্টি অফ লাইফ সায়েন্স , শাবিপ্রবি এর। 

আগেকার দিনের মুরব্বীদের বলতে শুনেছি যে- যদি বাচ্চা না হয় তাহলে সেটা সৃষ্টিকর্তার রাজী না হিসাবে ধরে নিয়ে সংসার করে যাওয়া। অনেক সময় শয়তানও মানুষের রুপ ধরার চেষ্টা করে বলে শুনেছি। জীন রাও অনেক সময় অনেক খানে মানুষের রুপ ধরতে পারে।। তাই সঠিক ভাবে মানুষ হিসাবে  জন্ম গ্রহন করা এবং মনুষ্যত্ব নিয়ে বাচতে পারা এক বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি পৃথিবীতে মানুষেরই জয় হবে- অমানুষের না। 

রাব্বুল আলামিন কোরানে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন একখানে- “ নিশ্চয়ই তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে তৈরী করেছি শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্য।” সো জ্বীন এবং ইনসান ছাড়া আর কোন পদ্বতিতে জন্মগ্রহন মনে হয় না সৃষ্টিকর্তার ৬৫০০০ মাখলুকাত স্বাভাবকি ভাবে নেবে তারপরেও এই বিশ্বে সকল মানুষের মতামতের উপরে ভিত্তি করে অনেক খানে অনেক পদ্বতি গড়ে উঠেছে যাকে অনেকেই পিক্যুলিয়ার বলে উঠে। মানুষেল সাথে মানুষেল যেটা কাজ করে সেটা হইতাছে ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব যা কৃত্রিম উপায়ে মানুসেল মধ্যে কাজ কের কিনা সন্দেহ!!!(প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ)।



আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে অনেক সময় - বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে - টেষ্টটিউব চাইল্ডদেরকি সিক্সথ সেন্স কাজ করে কিনা? আমার কাছে উত্তর হইতাছে না- আমার অভিজ্ঞসা থেকে যে না- টেস।ট টিউব চাইল্ডদের সিক্সথ সেন্স কাজ করে না বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে? 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl