Translate

Thursday, August 20, 2020

ব্লগার এবং নাস্তিক ব্লগার, ব্লগার রেভিন্যু বলতে কি বোঝেন?

শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ সালের প্রেক্ষাপটে (গনজাগরন সংঘটিত হবার দিন সাতেক পরে) একটি নাম সারা দেশে খুব দ্রুত ছড়াইয়া পড়ে যার নাম হইতাছে নাস্তিক ব্লগার (বাংলাদেশের সাধারন মানুষকে ভড়কে দেবার একটা পদ্বতি)। শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ কে পরিকল্পিতভাবে নস্যাৎ করার জন্য (আমি ইন্টারনেটে দেখে তাই বুঝেছি) একটি ব্লগ কে নাস্তিক ব্লগ আখ্যা দিয়ে সারা দেশে গুজব রটাইয়া দেয়া হয় যে এইখানে নাস্তিক ব্লগারদের সম্মেলন বসেছে (বাস্তবে জয় বাংলা পন্থীদের সম্মেলন বসেছিলো যাদের প্রধান দাবী ছিলো দেশের সকল দালাল রাজাকার দের প্রকাশ্য দিবালোকে ফাসি দেওয়া)। এই পৃথিবীতে যদি কেউ নাস্তিক হয়ে থাকে তাহলে সে সেটা করে থাকবে ধর্মের সামনে/ধর্মীয় মানুষজনের সামনে কারন সে নিজেকে ধর্মীয় নাস্তিক মনে করে সেই কথা গুলো বলবে কিন্তু আদতে নাস্তিকদের কোন ভ্যালূ নাই। সারা দেশের দেশবেরাধী দালাল রাজাকার এবং তালিকাগ্রস্থ রাজাকারদের যেনো সহজে ফাসি না হয় সে জন্য বোধ করি এতো বড় একটা ব্যাপার (মিথ্যা প্রেপাগান্ডা- নাস্তিক) শাহবাগ গনজাগরন থেকে সারা দেশে ছড়াইয়া দেয়া হয়- আদতে শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ ছিলো সারা দেশের রাজাকারদের ফাসির দাবীতে একটা আন্দোলন- এইখানে কোন ধর্মীয় আন্দোলন হয় নাই যে এইখান থেকে কোন নাস্তিকতা ছড়াইয়া দেয়া হবে । সারা দেশের মুক্তিকামী মানুষ আশায় যখন বুক বেধেছে তখনি পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এই ধরনের একটা গ্যানজাম সারা দেশে ছড়াইয়া দিয়ে (বেনেফিট আদায়ে মাঠে নেমে পড়ে) যেনো আমরা একসাথে সারা দেশের সকল দালাল রাজাকারকে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাসি না দিতে পারি। এইখানে যারা ব্লগার ছিলো (অনেককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি- তারা ছিলো সব প্রজন্ম ব্লগার)। প্রজন্ম ডট কম বা ব্লগ ডট প্রজন্ম ডট কম এই রকম একটা ওয়েবসাইট যে যা মনে চায় তা লিখতো আর থানা শাহবাগের আড্ডা (রাজধানী  ঢাকা শহরের আরো অন্যান্য খানেও আড্ডা হতো) তে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। আরো কয়েকটা ব্লগ ছিলো- যার নাম ছিলো সামহোয়ার ইন ব্লগ ডট নেট বা আরো কিছু। কিন্তু কখনোই কাউকে শুনি নাই যে বলতাছে যে- ভাই আমি একজন গুগল ব্লগার। গুগল ব্লগার মূলত ব্লগার ডট কম। (blogger.com) 

ব্লগ বলতে সাধারনত ডায়েরী কে বোঝানো হয়। অনলাইন ডায়েরী বা ডিজিটাল ডায়েরী। আপনার প্রতিদিনকার রোজ নামচা বা যে কোন বিষয়ে আপনি নিয়মিত লিখতে থাকলে সেই স্পেসটাকে আপনি ব্লগ বলে পরিচয় দিতে পারেন। আর যদি অনেকে মিলে একটা ওয়েবসাইটে লিখে থাকেন তাহলে সেটাকে ব্লগার কম্যুনিটি বলে থাকতে পারেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে শাহবাগ গনজাগরনে ঢাকা তে উপস্থিত থাকি নাই। অনেকটা দেশে যুদ্ব শুরু হয়েছে কিন্তু আমি উপস্থিত নাই সেরকম আর কি? তবে আমি ২৫ শে অক্টোবর ২০১২ সাল পর্যন্ত শাহবাগে রেগুলার যাওয়া আসা করতাম বা সমমনা মানুষের সাথে আড্ডা ও দিতাম এবং ২০১৩ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর কসাই কাদেরর ফাসি কার্যকর হবার পরে উপস্থিত হই। অনেকটা দিগ্বিদিক বিজয়ের মতো- কিন্তু আমি তো জানি আমি কতোটা কেলাসের মতো কাজ করেছি কারন আমি মূল যুদ্বে উপস্থিত ছিলাম না - মূল রঙ্গ মঞ্চে। কিন্তু আমি সারা দেশের জেলা সদরে ক্যাম্পেইন গুলোর অংশ হিসাবে ময়মনসিংহ গনজাগরনে উপস্থিত ছিলাম। এখানে থেকেই আমরা সারা দেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি- শাহবাগের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করে থাকি এবং শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলনের সাথে সাথে নিজেকে জড়িত রাখি। কিন্তু আমি যখন ফেসবুকে দেখি যে- কেউ একজন বলতাছে যে নাস্তিক একটা ব্লগ শাহবাগ থেকে ছড়াইয়া দেয়া হয়েছে- তখনি আমি বূঝতে পারি যে আন্দোলনের গতি পথ কে ভিন্ন দিকে ঘোরানোর জন্য এ প্ল্যান ফাটানো হয়েছে। কারন আমরা দেশদ্রোহীদের ফাসির দাবীতে সারা দেশে একসাথে হয়েছি (যা ১৯৭২ সাল থেকে কেউ করে দেখাতে পারে নাই)। সারা দেশের তালিকাগ্রস্থ রাজাকার এবং দালাল দেরকে একসাথে ঝুলাইয়া দেবো - সেই জন্য একসাথে দাড়িয়েছি কিন্তু এইখানে এমন একজনের নামে এই প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হলো যে- তার নামে নামাংকিত একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে ম্যাসজে দিয়ে জানানো হয়েছিলো যে - একদল লোক পরিকল্পিতভাবে একটা নাস্তিক ব্লগ তার ম্যাসেজ বক্সে দিয়ে দিয়েছে, সে নিজে থেকে এইটা লিখে নাই। তো আমি উত্তরে বললাম- ব্যাপারটা পরিকল্পিত হতে পারে। আপনি দয়া করে আপনার বন্ধুদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করেন বা কাছের মানূষদেরকে জানাইতে পারেন কারন যেহেতু আপনি বলতাছেন যে আপনি নিজে লিখেন নাই- সেহেতু আপনি হয়তো বন্ধুদেরকে জানিয়ে রাখলে পরে কোন ঝামেলা হলে উপকার পাবেন। তো আমি বললাম আপনি কি সেই ব্লগ টা পড়েছেন? বলতাছে যে হ্যা ভাই ওপেন করেছিলাম? তো আমি বললাম যে কেউতো আপনার নামে ব্লগ লিখে ছড়াইয়া দিতে পারে। সো আপনি আর এইটা নিয়ে তেমন কিছু বইলেন না। আমিও ওয়েবসাইট এড্রস টা ওপেন করে দেখলোম যে সেখানে আমাদের মুসলিম ধর্ম বিরোধী কিছূ কথা লিখা আছে। ১/২ লাইন পড়ে বন্ধ করে দিলাম এবং সাথে সাথে তওবা পড়ে নিলাম। 

আসলে ব্লগার ডট কম ব্যাপারটা চালু হয় ২০০৬ সালে। আমি ২০০৬ সালে আমাদের বাসা ময়মনসিংহে বসে থেকে প্রোগ্রামিং চর্চা করতাম। সেই সময় আমি একদিন ইনভাইটেশন পাইলাম ক্যালিফোর্নিয়া তে অনুষ্টিতব্য একটা প্রোগ্রামে লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে জয়েন করা জন্য। আমি সেই ইনভাইটেশন একসেপ্ট করলাম এবং লাইভ ক্যামেরা প্রোগামে জয়েণ করলাম। আর ১০ জনের মতো আমিও সাজেসনস দিলাম, ছোটো খাটো  প্রোগামিং ২/১ টা করে দেখালাম অনকেটা ইয়াহু লাইভ চ্যাট রুমের মতোন। তার কয়েকদিন পরেই ব্লগার ডট কমে বিশ্বে ওপেন হলো। ব্লাগর ডট কমের মেইন ফ্যাসিলিটিজ হলো যে - এইটা আনলিমিটেড হোষ্টিং দেয় যে কাউকে। একটা জিমেইল এড্রেস দিয়ে আপনি একটা জিমেইল ব্যবহার করে  প্রায় ৯৯ টা ব্লগ ওপেন করতে পারবেন। এইটা গুগল ডট কমের একটা ফ্রি সুবিধা। এইখানে  আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সকল কাজ করতে পারবেন।  মুভি বা পিকচার আপলোড করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি গান অডিও বা এমপিথ্রি আপলোড করতে পারবেন। অনকে অনেক কিছু এড করতে পারবেন। একধরনের রোজনামচা বা ডায়েরীর মতোন। গুগল ডট কমের যে ব্যবসা হয় সেখান থেকে তারা এই প্রফিট টা শেয়ার করে আনলিমিটেড হোষ্টিং এর মাধ্যমে। সম্প্রতি ব্লগার ডট কমের টোটাল ইনটার ফেস পরিবর্তন করা হয়েছে। 

এখন ব্লগার ডট কম (blogger.com) একটা ওয়েবসাইট এড্রেস । একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ এড্রেস কি কখনো নাস্তিক হতে পারে? একটা ওয়েবসাইট এড্রেস তো একটা অবজেক্ট। একটা অবজেক্ট কি কখনো জান্নাতে যাবার জন্য বিবেচিত হবে বা হতে পারে? পবিত্র কোরানে বা ইন্জিলে বা যবুর বা তাওরাত বই সহ অন্যান্য সহিফা তে যে সকল পশু পাখির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই কাল হাশরের দিন উপস্থিত থাকবে। মানুষ এবং জিন ছাড়া তো পৃথিবীর আর কাউকে সৃষ্টিকর্তা জান্নাত যাবার জন্য মনোনীত করে নাই। আর একটা ওয়েবসাইট এড্রেস কে নাস্তিক বলে আখ্যা দিয়ে দিলো। 

একটা ওয়েবসাইট এড্রেস কোথা থেকে ওপেন করা হয়েছে , কোন অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, কোন ইন্টারনেটে ব্যবহার করে ওপেন করা হয়েছে এবং কোন দেশ থেকে কয়টার সময় ওপেন করা হয়েছে এইগুলো সব রেকর্ড ব্লগার ডট কমের ডাটাবেজে রেকর্ড করা আছে। যার নামে নাস্তিক ব্লগ খোলা হয়েছিলো তার বাসা ছিলো কালসী- বনানীর কাছে বা তুরাগ থানার কাছে । আর যেখান থেকে নাস্তিক ব্লগটা ওপেন করা হয়েছে তার বাসা ছিলো ঝিগাতলা- ধানমন্ডি তে। যারা লিখেছে তারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পেজ ওপেন করে লিখেছে- পরে শুধু ব্লগার ডট কমে আইসা কপি পেষ্ট করেছে। অল ডিটেইলস আরো বিস্তৃত ভাবে রেকর্ড আছে ক্যালিফোর্নিয়া সিলিকন ভ্যালিতে। এই দুইটা তথ্য তাৎক্ষনিক ভাবেই ইন্টারনেট বা ফেসবুক ফিড থেকে জানতে পারি। সো বুঝতে পারি গভীর একটা গেম খেলা হয়েছে গনজাগরন কে বানচাল করার জন্য। যাই হোক এইটা ছিলো শাহবাগ গনজাগরনের জন্য একটা আঘাত যার কারনে বিচার কাজ ডিলে হইতে হইতে আজকে এতোদূর। পরিকল্পিতভাবে রাজাকার বা দালালদেরকে বাচাইয়া নিয়ে যাবার একটা চেষ্টা বলে আমি মনে করি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নাই- ফাসি কার্যকর হয়েছে কসাই কাদের, নিজামী সহ আরো কয়েকজেনর যাদের ফাসির দাবী ছিলো বিগত ১৯৭২ সাল থেকে- তরুন প্রজন্মের জন্য ১৯৯০ সালের গন আন্দোলনের পর থেকে। প্রত্যেকটা আন্দোলনের কিছু ত্যাগ তিতিক্ষা থাকে। শাহবাগ গনজাগরনের আন্দোলনরে  ত্যাগ তিতিক্ষা অনেক বেশী। সো থানা শাহবাগে অনুষ্টিত জয় বাংলার গনজাগরনে যারা অংশ গ্রহন করেছে তাদের মধ্যে এখণ পর্যন্ত প্রায় ৩৫-৪০ জন হত্যা করা হয়েছে। ১৯৯০ সারেল গনজাগরনে মারা গেছিলেন একজন শহীদ নূর হোসেন- বুকে পিঠে সেই বিখ্যাত স্লোগান লিখে-”স্বৈরাচার নিপাত যাক- গনতন্ত্র মুক্ত হোক “।সেই একজন নূর হোসেনের রক্তের বদলে আজকে ৩০ বছর- গনতন্ত্র আজ ভূলুন্ঠিত। তাহলে স্বীকৃত আন্দোলন- সফল আন্দোলন শাহবাগ গনজাগরনের আত্মা হুতি দানকারী মানুষের সংখ্যা অনেক - তাদেরকে আগামী কতো বছর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য গ্রহন করতে হবে বা হতে পারে। শাহবাগ গনজাগরনে অংশগ্রহন কারী প্রত্যেকটা মানুষ শিক্ষিত। তাদের এখন কয়েকটা রাজনৈতিক দল আছে- তারা সবাই গ্রাম বাংলার সন্তান। তাদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ। অন্তত এদেশের মানুষকে তারা ৫০ টাাক কেজি তে চাল খাওয়াবে না- কারন সেই গরীব দুখী প্রজন্ম টা তাদের বাবা দাদাদের প্রজন্ম। আবার তারা সবাই বিশ্ববিধ্যালয়, পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স /মাষ্টার্স কমপ্লিট তাহলে এই ধরনের একটা শিক্ষিত প্রজন্মের হাতে দেশের পরবর্তী  একশো বছর ছাইড়া দিতে সমস্যা কি- বুঝি না। 

আপনি যদি ব্লগার ডট কমে ছবি আপলোড না করে, বাংলা না লিখে , মুভি আপলোড না করে , এডসেন্স কন্টেন্ট মনিটাইজেশন না করে, গান আপলোড না করে হঠাৎ করে নাস্তিক ধর্মী কিছু কথা লিখে দেন তাহলে সেটা তে ব্লগার ডট কমের কোন ক্ষতি হবে না। কারন আপনি কথাটা লিখেছেণ বাংলাতে আর ব্লগার শব্দটা ইংরেজীতে। আর এই বিশ্বে প্রায় ৪৫ কোটি ব্লগার আছে, ব্লগ আছে ১০০ কোটির ও বেশী, পৃথিবীর প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের পারসোনাল ব্লগ আছে যেখানে তারা ওয়েবসাইটের ডাটা রেগুলার হাল নাগাদ করে থাকে। আর ব্লগার ডট কমে উপার্জনের সুযোগ ও আছে। আনলিমিটেড হোষ্টিং ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহার করে ব্লগার ডট কমে নিয়মিত লেখালেখি করে (যে কোন ভাষাতে) যেনো কেউ ডলার বা রেভিনিউ উপার্জন না করতে পারে সেজন্য এই পরিকল্পিত চক্রান্ত করা হয়েছে বলে আমি মনে করে থাকি। বাংলাদেশে এখণ কোটির ও উপরে ব্লগ আছে আর প্রচুর পরিমানে মানুষ আছে যারা ব্লগার কমুনিটির সদস্য এবং নিয়মিত ব্লগ লিখে গগুল ইনকরপোরেশন থেকে ভালো অংকের অর্থ প্রতি মাসে উপার্জন করে থাকে। যদি কেউ ব্লগে ধর্মবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কথা লিখে থাকেন তাহলে তার জন্য বাংলাদেশে নতুন আইন আছে। আপনি যদি মনে করে থাকনে কেউ নাস্তিক বা দেশদ্রোহী কোন কথা লিখাতছে তাহলে সেটা আপনি নিকটস্থ র‌্যাব পুলিশকে কল দিয়ে জানাতে পারেন। তাদের কাছে সিষ্টেম আছে যেটাতে তারা যে কোন ব্লগ পোষ্ট মুছে দিতে পারেন। 


শুধু শুধূ বেহুদা বা অযথা সমাজে বা সমাজ ব্যবস্থায় ব্লগারদের কে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে বেনিফিট আদায় করার চেষ্টা করাটা ঠিক না। মানুষ জন অশিক্ষিত না। সবাই জানে যে একটা ওয়েবসাইট এড্রস কখনো নাস্তিক হতে পারে না। পরিশেষে বলতে পারি দেশে আইন আছে। আইন মোতাবেক নাস্তিক ব্লগারদের ফাসির দাবী জানানো আছে এবং আর যেনো কেউ এ ব্যাপারে কোন ধরনের খারাপ কথা না লিখে সে জন্য আইন পুলিশ সদা সতর্ক আছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের কে সকল ধরনের নাস্তিকদের হাত থেকে রেহাই করেন। 

আমার খোদাই  কাল হাশরের দিন জানাইয়া দিবেন কে কে নাস্তিক আর কে কে আস্তিক? যে মানুষ স্বেচ্চায় স্বজ্ঞানে স্ব ইচ্ছায় সৃষ্টিকর্তা এবং মুসলিম বা যে কোন নবীজির ধর্মের বিরোধিতা করে লিখবে তাকেই আপনি নাস্তিক বলে আখ্যা দিতে পারেন- এখন যদি সে লেখালেখি করার জন্য ব্লগার প্লাটফর্ম কে ব্যবহার করে, তাহলে তাদেরকে অনেক সময় নাস্তিক ব্লগার বলে ফেলেন কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক না। এইখানে ব্লগার ডট একটি আমেরিকান কোম্পানী। সো তার কোন দোষ আপনি দিতে পারবেন না। আপনি বরঞ্চ বলতে পারেন যে লোকটা নাস্তিক লেখক বা নাস্তিক বিষয়ে লেখালেখি করে থাকে। আমি এইখানে কাউকে এই ধরনের লেখা লিখতে নিষেধ করি কারন প্রথমত এইটা ধর্মীয় নিষেধ। এই বিশ্বে প্রায় ৬০০ কোটি + মানুষ  আছে, মূলত ০৩ ধর্মে  বিশ্বাসী ইহুদি, খ্রীষ্টান এবং মুসলিম। সো একজন নাস্তিকের কোন দামই নাই পৃথিবীতে- তাকে পৃথিবীর শতকরা ৯৯.৯৯% মানুষই ঘৃনা করবে এবং বর্ত মানে বাংলাদেশে আইন আছে- মিনিমাম ৭ বছরের জেল হতে পারে যদি কেউ ধর্মবিরোধী কথা লিখে থাকে- আর সাথে সাথে সেটা ডিলেট করে দেবার সিষ্টেম ও আছে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের কাছে বা আইন পুলিশের কাছে। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সকল ধরনের নাস্তিক এবং তাদের নাস্তিকতার হাত থেকে রেহাই বা হেফাজতে রাখেন। আমি বিশ্বাস করি- জয় বাংলায় কোন নাস্তিক নাই। 


এইখানে এই  ভিডিওটা দেখলে আপনি দেখতে পারবেন যে কিভাবে একদম ফ্রিতে এক টাকাও খরচ না করে গুগল ইনকরপোরেশনের কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের আবেদন করে প্রতি মাসে নিতে পারবেন আনলিমিটেড ডলার। তাই মিথ্যা প্রেপাগান্ডা বিশ্বাস না করে আপনিও কাজ শুরু করতে পারেন একজন ব্লগার হিসাবে রেভিন্যু উপার্জন করতে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl