Translate

Monday, August 24, 2020

আপনার ছেলে বা মেয়ে কি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার চুরি করতাছে?

বর্তমানে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং জগতে বা  মার্কেটপ্লেস ইন্ডাষ্ট্রিতে যে কেউই কাজ শুরু করতে চায়। এরা একটা আলাদা জগতের মতো। এইখানে ডলার বা  ইউরো বা পাউন্ড বা যে কোন দেশের মুদ্রা উপার্জন করা যায়। তাও আবার এইখানে ডলারে কনভার্ট ও করা যায়। প্রথমে যখন ফ্রি ল্যান্সার জগত টা শুরু হয় তখন কেউ পাত্তাই  দিতে চাইতো না। নানা ধরনের কথা বার্তা বলতো- ধুর এটা কোন ইন্ডাষ্ট্রি হলো- এইগুলো বেশীদিন থাকবে না। এইগুলো চিটার বাটপারদের জায়গা বা এইগুলো হ্যাকারদের জায়গা। দেশের সবখানে কোন না কোন খারাপ লোক আছে সো ইন্টারনেটেও কোথাও না কোথাও খারাপ লোক আছে। সো তারা অনেক ধরনের ব্লাফ দেয়, চিটার বাটপারি করে বা স্ক্যামিং করে এইটা একদম মিথ্যা না কিন্তু বাস্তব জীবনে আপনি যে ভাবে সহজ সরল ভাবে এবং সাবধানতার সহিত চলাফেরা করেন- সেই ভাবে ইন্টারনেটেও আপনাকে সহজ সরল সাবরলীল বা স্বাভাবিক ভাবে চলতে হবে। এইখানে কোন ধরনের ছল চাতুরীর আশ্রয় নেয়া যাবে না। আপনি যদি যে কোন ধরনের ছল চাতুররী আশ্রয় নেন তাহলে সহজেই আপনি ছিটকে পরে যাবেন। আপনি যদি এখানে কাউকে ঠকান তাহলে আপনি এখানে টিকতে পারবেন না। আপনার কাছে মনে হবে আপনি চোর বা ছল চাতুরী করেছেন সো আপনি আর সহজে ইন্টারনেটে ব্যবহার করতে পারবেন না বা সহজে সাবলীল ভাবে এইটাকে কাজে লাগাতে পারবেন না। আপনার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের শান্তি টা নষ্ট হয়ে যাবে। 

আমি প্রায় ২০ বছর যাবত ইন্টারনেট ব্যবহার করতাছি ফুলটাইম। প্রথমে প্রথমে সাইবার ক্যাফেতে যাইয়া ব্যবহার করতাম- ৬০ টাকা এক ঘন্টা। তারপরে আসলাম ৪৫ টাকা ১ ঘন্টা। তারপরে ৪০/৩৫/৩০/২৫/২০/১৫ টাকা তে ১ ঘন্টা শেষ ব্যবহার করেছি সাইবার ক্যাফেতে বইসা ১ ঘন্টা বা পার ঘন্টা হিসাবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কামাল রনজিত মার্কেট, ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে, সিলেট সদরের শাহী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার, মীরা বাজার, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়, রাজধানী ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান, বনশ্রী, রামপুরা, খিলক্ষেত  এবং আজিজ সুপার মার্কেট সহ আরো বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে আমার প্রচুর যাতায়াত ছিলো। অনেক বড় ভাইরা অনেক সময় আইসা ডাইক্যা নিয়া যাইতো- মাসুদ আজকে সাইবার ক্যাফেতে যাইবা না, মাসুদ তোমার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ভালো লাগে- চলো ইন্টারনেট বিষয়ে কথা বলি- এইগুলো খুব প্রচলিত ব্যাপার ছিলো ২০০৭/২০০৮ সাল পর্যন্ত। তারপরে টাচ ফোন এবং ল্যাপটপের অণার হবার কারনে সাইবার ক্যাফেতে যাওয়া এক প্রকার বন্ধ হওয়া যায়। যখনি কোন ইন্টারন্যাশনাল কন্টেষ্টে বা কাজের জন্য আবেদন করতাম সেখানে ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানদের ভালো প্রায়োরিটি দেয়া হতো। একসময় এক ক্লায়েন্ট কে জিজ্ঞাসা করলাম কি কারনে আমরা প্রায়োরিটি পাইতাছি না বা বেশী পরিমানে কাজ পাইতাছি না- তো তারা উত্তেরে জানাতো যে তোমাদের এসএসএন নাম্বার নাই। এস এস এন মানে হইতাছে- সোশাল সিকিউরিটি নাম্বার যেটাকে বর্তমানে আমাদের দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বলা যাইতে পারে। 

২০০৭/২০০৮ সালে সামরিক শাসনের সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে কাজটা হলো তা হইতাছে - “ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান” যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে খুব সহজে বাংলাদেশ কে আগাইয়া নিয়ে যাইতে সাহায্য করে। ভেরিফায়েড ব্যাংক একাউন্ট তৈরী বা আরো যে কোন কাজে ভালো কাজে লাগলো জাতীয় পরিচয়পত্র। আমার কাছে মনে হয়- বাংলাদেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে সব সময় জাতীয় পরিচয়পত্র পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই ২০০৮ সাল থেকে-কারন আমি মনে করি আমিই যদি শুরু করি তাহলে হয়তো এক সময় সবাই সেটা সহজে নিয়ে নিবে। খুজলে হয়তো আরো অনেকে পাওয়া যাবে কিন্তু আমার চেনা জানা  সার্কেলে আমিই সবসময় জাতীয় পরিচপয় পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। বন্ধুরা পকেটে বা  মানিব্যাগ চেক করলে বলতো দোস্ত জাতীয় পরিচয়পত্র পকেটে নিয়ে ঘুরার দরকার কি? আমি বলতাম এইটা আমার আডেন্টিফিকেশন। এইটা আমাকে সহজে পথ চলতে সাহায্য করে। আর আজকে হয়তো শতকরা ৯০% মানুষের পকেটে বা মানিব্যাগে ই জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যাবে খুজলে কারন এখন দেশের অনেক কাজই এক প্রকার অসম্ভব জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া (এমনকি বসবাসও)। তৈরী হয়েছে- জাতীয় পরিচয়পত্র অধিদপ্তর।একসময়কার জাতিসংঘের অধিভুক্ত প্রজেক্ট- ইউএনডিপির অর্থায়নের প্রজেক্ট (PERP & FINIDC)  আজকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রনালয় বা সচিবালয়ের তালিকাভুক্ত অধিদফতর। প্রত্যেকটা অধিদপ্তরের নিজস্ব কিছূ আইন আছে। তেমনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধিদফতর- জাতীয় পরিচয়পত্র অদিদফতর ও খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিভাগ । আমি মনে করি অধিদপ্তরের আইন টুকু   প্রত্যেক সচিবালয়/মন্তনালয়/ডিপার্টমেন্ট, প্রিইভেট বা পাবলিক সেক্টরগুলো উদ্যোগি হয়ে নিজে থেকেই বাস্তবায়ান করে ফেলানো উচিত যেমন আপনি বাড়ি বাড়া দিবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভ্যালিডিটি যাচাই করে নেয়া, আপনি জমির/ফ্ল্যাটের দলিল লিখতাছেন তাহলে আপনাকে নিজে থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটা দেয়া বা লিখে নেওয়া বা আপনি জন গুরুত্বপূর্ন যে কোন কাজ করতাছেন সেখানে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার টা এড করে দিলেন- এতে করে আপনি দেশের জণ্য অনেক বড় একটা দ্বায়িত্ব পালন করলেন। বলা তো যায় না- জাতিসংঘের অর্থায়নে প্রজেক্ট সরকারি অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত জাতিসংঘ নিজে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন বাস্তবায়ন করার জন্য সরেজমিনে চলেও আসতে পারে। বাংলাদেশ নিজেই সারা বিশ্বে জাতিষংঘের শান্তি মিশনে জয়েন করে প্রশংসা কুড়াইতাছে আর এখন যদি বাংলাদেশের কোন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে সেটার আইন ১০০% প্রয়োগ করা না হয় তাহলে হয়তো জাতিসংঘ বলে বসবে বাংলাদেশের একটা শান্তি রক্ষা মিশন দরকার যেখানে ভেরিফাই করে দেখা হবে বাংলাদেশে শতভাগ মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা আর সবখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার এক্টিভেট হইতাছে কিনা? আবার যদি কোন গ্রুপ আবেদন ও করে বসে জাতিসংঘের কাছে যে বাংলাদেশের অনেকেরই জাতয়ি পরিচয়পত্র নাই বা তাার নির্বেঘ্নে  ঘুরে বেড়াইতাছে বা বাংলাদেশের সবখানে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার ও প্রয়োগ শুরু হয় নাই তাহলেও হয়তো তারা নড়ে চড়ে বসতে পারে। তবে আমার কাছে (PERP & FINIDC) প্রজেক্টে একজন এমপ্লয়ি( খন্ডকালিন) হিসাবে কাজ করে মনে হয়েছে- যতোক্ষন জাতীয় পরিচয়পত্র আইন কার্যকর না হবে সবখানে ততোক্ষন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডেবল ভিসা প্রোগ্রাম ও বোধ করি  ১০০% সফল হবে না।  

জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ছাড়া বা বায়োমেট্রিক্স নাম্বার ছাড়া এখন আর মোবাইল ফোন বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা যায় না। এখণ যদি আপনি নিজে থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ব্যবহার করে সমাজের এমন কাউকে মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের সুযোগ করে দেন যে কিনা মোবাইল ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত না তাহলে তো আপনি আইন ভেংগে ফেলাইলেণ? আর আপনি যদি জেনে শুনে আইন কে অমান্য করেন তাহলে আপনি নিশ্চিত জেলের গ্লানি টানলেন। আপনাকে হয়তো জেলেও যাইতে হতে পারে কারন এইটা এ দেশের আইন বিরুদ্ব। আপনি নিজের জাতীয় পরিছয়পত্র নাম্বার দিয়ে আপনি অন্য কাউকে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ দিতে পারবেন না বা একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিয়ে আরেকজন কে মোবাইল বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে পারেন না? আপনি তাহলে লিগ্যালিটির মধ্যে নাই এবং ধরা পড়লে নিশ্চিত জেল। আবার একইভাবে আপনি যদি জন প্রতিনিধি হয়ে থাকেন আর আপনি যদি আপনার এলাকাতে পুনরায় জন প্রতিনিধি হতে চান তাহলে আপনাকে পুরো এলাকার ভেতরে খেয়াল করতে হবে যে কার কার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার আছে আর কার কার নাই? যাদের নাই কি কারনে নাই সেটা আইডেন্টিফাই করে  আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, মন্ত্রনালয় বা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দের কে জানাতে হবে। আর যদি আপনি না জানান বা ছাড় দেন তাহলে একদনি হয়তো ব্যাপারটা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী জানবে, যথাযথ এ্যাকশনও নেবে আর আপনাকেও হয়তো জন সম্মুক্ষে পেদাবে যার কারনে আপনার টোটাল সম্মানটাই আপনি হারাবেন। অনেক খানে দেখেছি- জনপ্রতিনিধারা বলতাছে পুনরায় নির্বাচিত হবার প্রধান শর্ত- তার এলাকায় কোন অবৈধ ভোটার নাই (যাদের ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র আছে এবং যাদের নাম নাই ভোটার তালিকাতে তাদেরকে ডুপ্লিকেট ভোটার বা অবৈধ নাগরিক বলা হয়ে থাকে)। 

এখনকার দিনে আদালতে মামলা করতে, থানাতে জিডি এন্ট্রি করতে, মোবাইল এবং মোবাইল নাম্বার কিনতে, বিভিন্ন খানে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা গ্রহন করতে গেলে আপনাকে মাষ্ট বি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দেখাতে হবে বা সাবমিট করতে হবে বা শো করতে হবে- নয়তো আপনি সরকার নির্ধারিত অনেক সুবিধা পাবেন না। কয়েকদিন আগে দেখলাম-  আমার ভাগিনা বাজিতপুর মেডিকেলে পড়ে তাকে টাকা পাঠাবো তার সেমিষ্টার ফি- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হবে মাষ্ট নয়তো ব্যাংক টাকা নিবে না- বুঝেন অবস্থা- ব্যাংক ও বলতাছে জাতীয় পরিচয়পত্র বৈধ কপি না থাকলে কোথাও টাকা জমা দেয়া যাবে না। যে ব্যাংক কিনা টাকার জন্য ই বসে থাকে সেই ব্যাংক ও এখন যে কারো একাউন্টে টাকা জমা দিতে গেলে এই নিয়ম প্রযোজ্য- উত্তরা ব্যাংকের এই শর্তটুকু প্রশংসার যোগ্য। সমস্ত ব্যাংকেই এই ধরনের কড়াকড়ি আছে বলে শুনেছি। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক একাউন্টের মালিক হতে পারবেন না- ঠেকায় বেঠেকায় কেউ আপনাকে বাংলাদেশের কোন খান থেকে কোন প্রকারের টাকা পয়সা সেন্ড করতে পারবে না। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ডের মালিক ও হতে পারবেন না- ঠেকায় বেঠেকায় আপনার পরিবারের জণ্য আপনি লোন সুবিধা নিয়ে যে কোন সময়ে যে কোন চাহিদা পূরন করতে পারবেন না। এখনকার বাংলাদেশের দুনিয়াতে দুইটা প্রজন্ম তৈরী হইছে- ১) ৯০% মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্ত সমাজে আছে আর ২) ১০% মানুষ জাতীয় পরিছয়পত্র ছাড়া বা ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বসবাস বা চলাফেরা করতাছে। যারা ডুপ্লিকেট বা হত্যা মামলার আসামী বা অবৈধ নাগরিক তাদেরকে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সম্মানিত করবে না। আর আপনি যদি স্বজ্ঞানে স্ব ইচ্ছাতে যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবার যোগ্যতা নাই তাদের সাথে মেলামেশা করেন বা তাদের সাথে উঠা বসা করেন তাহলে আপনি এইখানে আইন কে ভংগ করলেন আর এজন্য আপনাকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যে কোন সময়ে যে কোন শাস্তি গ্রহন করতে হতে পারে। 

প্রথমত আপনার যদি বয়স হয়ে তাকে মিনিমাম ১৮ বছর তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র এর জণ্য আবেদন করতে হবে - এইটা বাংলাদেশ সরকারের আইন। এখণ আপনি যদি আবদেন না করেন আর বাংলাদেশ কে ঘৃনা করে আবেদন না করেন তাহলে আপনি এইখানে আইন কে অমান্য করলেন আর আপনি এজন্য বাংলাদেশে অবৈধ নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হবেন। আর অবৈধ নাগরিক দের জণ্য তেমন কোন আইনি ফ্যাসিলিটজ থাকে না একমাত্র শাস্তি গ্রহন করা ছাড়া- আইন মোতাবেক। আপনাকে অতি অবশ্যই আবেদন করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ১৮ বছর হবা মাত্র- পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার যদি আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিতে দেরী করে বা না দেয় তাহলেও আপনি আপনার ভোটার রেজিষ্ট্রেশনের ফর্মের রিসিপট যে কোন খানে শো করতে পারবেন। আর আপনাকে যদি একবোরেই না দেয়া হয় তাহলে হয়তো আপনি এমন কোন ক্রিমিনাল যেখানে রাষ্ট্র আপনাকে নাগরিকত্ব দিতে অপরাগ। সারা দেশের ১১ কোটি মানুষের ভোটার ডাটাবেজ আছে- সেখানে যদি আপনার নাম ও নাম্বার না থাকে তাহলে তো বুঝতে হবে যে আপনি যে কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় আসামী এবং আপনাকে অবিলম্বে আপনি যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের জন্য স্থানীয় থানা, র‌্যাব বা পুলিশের কাছে আত্মসমর্মন করতে হবে নয়তো আপনি এদশের অবৈধ নাগরিক হিসাবে বসবাস করতাছেন এবং আপনার কোন সামাজিক ভ্যালূ থাকবে না। ইভেণ আপনি ভিক্ষা করেও বসবাস করতে পারবেন না কারন সকলেই বুঝে যাবে যে আপনি অবৈধ নাগরিক- চুরি করে বা লূকোছাপা করে বসবাস করতাছেণ। বীরের মতো বা ভীরের বেশে না। এক সময় না এক সময় ধরা পড়ে যাবেন আর আপনাদেরকে সহায়তা কারীরা ও ঠকে যাবে বিশালাকারে আ বিশাল আয়তনে। 

ইন্টারনেটে ফ্রি ল্যান্সার বা আউটেসোর্সার হতে গেলেও আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার প্রদান করতে হবে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে দেরী হওয়াতে অনেকেই তার বাবা মা, বড় ভাই বোন বা চাচা মামা খালা ফুফা দের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার সাবমিট করে বা তাদের স্ক্যান কপি নিয়ে মার্কেটপ্লেস ওয়েবাসাইট গুলোতে একাউন্ট ওপেন করতাছে। রিয়েলিটি  অনুযায়ী-  "First Impression is the best analyse" হিসাবে একজন বায়ার বা ক্লায়েন্ট মার্কেটপ্লেসে প্রথমেই আপনার বাবা মা বা বড় বাই বোন যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করেছেন তাদের চেহারা দেখে থাকবে তা তাদের ডিটেইলষ পাবে- সেখানে যে কাজ দিতাছে সে নিশ্চয়ই এতাটা বোকা না যে সে বুঝতে পারবে না যে সে কাকে কাজ দিতাছে? সে তো কোন না কোন কোম্পানীর মালিক বা বহুজাতিক জনগোষ্টী নিয়ে হাজারো চিটার বাটপারদের মাঝখানে বসে থেকে যে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো শহরে জীবন যাপন করতাছে- এইখানে যারা বাবা মা বা অন্য কারো আইডি কার্ড ইনফরমেশন বা ডিটইলস সাবমিট করে কাজ করতাছেন- তাদের কাছে উপার্জন টুকু কতোটুকু হালাল হইতাছে যেখানে খ্রীষ্টান বা ইহুদিরা ১০০% সততার জীবন যাপন করে। তারা তো বড়লোক এই বিশ্বে - সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে  অডেল সম্পদের মালিক বানাইয়া দেন পৃথিবীতে- তাদের তো কোন কিছু তে কমতি নাই তাহলে তার সাথে কি এক ধরনের চিটিং হয়ে গেলো না এইখানে। বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সারদের একটা গ্রুপের মডারেটর কাম পেজ এডমিন আমি- যেখানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮৫০০০ এবং যেখানে প্রচুর পরিমানে ছেলে পেলে আইসা বলে তারা তাদের বাবা মা বা অন্য কারো আইডি দিয়ে একাউন্ট ওপেন করে কাজ করতাছে। দুর্মূল্যের এই বাজারে যে যেভাবে পারে সেভাবে অর্থ উপার্জন করে যাইতাছেন কিন্তু একবার কি আপনি ভেবে দেখেছেন এইটা বাংলাদেশ আইনে কতোটুকু ভ্যালিড? যদি আপনোকে হঠাৎ করে ব্যাংক প্রশ্ন করে বা আপনার রেমিটেন্স যদি ব্যাংক আটকে দেয় আর প্রশ্ন করে যে আপনার বাবা মা বা যার নামে একাউন্ট ওপেন করেছেন তাকে নিয়ে আসেন আর সেখানে যদি আপনার কাজের ব্যাপার   বা আপনার অন্যের দেয়া আইডি পারসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যে আপনি কি কাজ করেছেন বা কিভাবে আপনি এই কাজ করে থাকেন ডিটেইলস টা বলেন তাহলে কি সে উত্তর দিতে পারবে? সে ক্ষেত্রে আপনি কি চুরি করতাছেন মার্কেটপ্লেস ইন্ডাষ্ট্রিজ থেকে। বা ধরেন আপনি রেগুলার যতো পরিমান রেমিটেন্স উপার্জন করতাছেন সেই হিসাবটা বাংলাদেশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে গেলো বা স্পশাল ব্রাঞ্চ বা ডিবি পুলিশের কাছে গেলো এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য পাইলো এবং দেখতে পারলো যে যে লোক রেমিটেন্স উপার্জন করতাছে সে বাহিরে ঘূরে বেড়াইতাছে বা সে কোন অফিসের পিয়ন বা সে কোন অশিক্ষিত বা সে কোন বাড়ির দারোয়ান বা সে কোন বাসার কাজের মহিলা বা সে কোন খানে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করে চলতো তাহলে কি আইন পুলিশের মনে সন্দেহ বাড়বে কিনা আর আপনি লাম ছাম যদু মুধূ টেকনিক এপ্লাই করে এই ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং বা মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি রিস্ক জেনারেট করতাছেন, বাংলাদেশের সামিাজিক প্রেক্ষাপটে এর অবস্থান নষ্ট করতাছেন বা আপনি এই ওয়েবসাইট গুলোকে একেবারে বাংলাদেশে থেকে চলে যাবার ব্যাপারে প্রেশার তৈরী করতাছেন কারন ওয়েবসাইট গুলোর টার্মস আর কন্ডিশনে নিশ্চয়ই বলে দেয়া আছে যে- আপনি অন্য কারো ডিটেইলস ব্যবহার করতে পারবেন না?  অন্তত পক্ষে এইটা তো বলে দেয়া যাবে যে- সততার দুনিয়াতে আপনার নাম নাই। আর আপনি অযাচিত ভাবে অনেকের রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমের ইন্ডাষ্ট্রিজ টাকে ধ্বংস করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধাবোধ করতাছেন না। এরকম আর কোন ইন্ডাষ্ট্রিজ নিশ্চয়ই আপনার বাপ দাদারা তৈরী করে দিয়ে যায় নাই আর আপনিও চাইলে তৈরী করতে পারবেন না। আর আপনি যদি সত্যিই আপনার বাবা মায়ের বা অন্য কারো ইনফরমেশন ব্যবহার করে এইখানে জয়েন করেন তাহলে তো উপরে থাকা স্যাটেলাইট বা বৈদিশিক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরে পড়ে যাইতাছেন যারা ভালো অংকের এমাউন্ট উপার্জন করার কারনে আপনার সিটিতে আপনার পাড়া বা মহল্লাতে আপনোকে আইসা রেকি করে যাইতাছে এবং তথ্যগত মিসটেক টুকু নোট কের নিয়ে যাইতাছে।ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান রা নিশ্চয়ই এতো বোকা না যে আপনি লাম ছাম যদু মধু বুঝাইয়া দিলেন আর সেও তা বুঝে চলে গেলো- ব্যাপারটা সেরকম না। তারাও ব্যাপারটা ফলো করতাছে এবং এই ব্যাপারে এক সময় তারা এ্যাকশন নিতে পারে। হয়তো ব্যাংক বন্ধ করে দিতে পারে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আন্তর্জাতিক লেনাদেনা অফ করে দিতে পারে বা বাংলাদেশ প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর ক্ষতি হতে পারে। আমার কাছে অসংখ্য প্রমান আছে যেখানে প্রতিনিয়ত এই ধরনের ইনফরমেশন মিসইউজ করে ফরেনার কোম্পানী গুলোকে ঠকানো হইতাছে বা যেখানে বাংলাদেশের বিনা কারনে বদনাম হইতাছে মানে বদনাম উপার্জন হইতাছে। 

সো এই সকল ব্যাপারে আপনি যদি সন্তানের পিতা হয়ে থাকেন বা আপনার সন্তানের হাতে যদি ইন্টারনেট সহ মোবাইল থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অতি অবশ্যই সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে কারন আপনি হয়তো জানতেই পারতাছেন না আপনার সন্তানেরা আপনাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা আপনার ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন চুরি করে প্রতিনিয়ত আপনার বিরুদ্বে রিপোর্ট গড়ে তুলতাছে যার কারেন আপনি হয়তো কখনো কোথাও যে কোন বিপদে পড়ে যেতে পারেন। কারন আপনার নাম ঠিকানা ছবি জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বা আপনার আঙুলের ছাপ আন্তর্জাতিক ভাবে রেকর্ড হইতাছে আর আপনি আপনার পারিবারিক প্রয়োজনে অনেক ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে পারেন সহজে। সো আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারটা মিসইউজ হইতাচে কি না সেই ব্যাপারে আশা করি আপনি পুরোপুরি সতর্ক থাকবেন। একটা জিনিস আপনাকে বোঝা দরকার যে- ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান দেশগুলোতে এই সকল ব্যাপারে আইন কানুন খুবই কড়া এবং এ ব্যাপারে তারা কখনো কোন আপাষ করে না। তাদেরকে আপনি কখনোই বোকা বানাতে পারবেন না কারন এই কম্পিউটার , ইন্টারনেট, অপারেটিং সিষ্টেমের পুরো ব্যাপারটাই তাদের তৈরী করা। আর এই সকল ব্যাপার মেইনটেইন করার জন্য তাদের স্যাটেলাইটের সংখ্যাও কম না। গুগল আর্থ স্যাটেলাইটের কল্যানে নিশ্চয়ই আপনি অলরেডী জেনে গেছেন যে কতো কাছ থেকে পৃথিবীর যে কোন খানে যে কোন কিছু অবলোকন করা যায় বা বিশ্বের প্রতিটা ইঞ্চি প্রতিটা সেকেন্ডে কিভাবে রেকর্ড হইতাছে। 

হাজারো কোটি মুক্তিযোদ্বার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ বা বাংলা রাজ্য কে আপনি এতো সহজে অবহেলা করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্বারা গভীর রাতে দালাল রাজাকার, পা ক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্বে লড়াই করে জেতা এক জাতি আর এইটা তাদের ই দেশ। এই দেশে বসে থেকে আপনি কোন খারাপ কাজ কন্টিনিউয়াস করে যাবেন আর সেটা ধরা পড়বে না এরকম কখনো হবে না। দেখতেই পারতাছেন বাংলা এবং বাংলাদেশী স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও রাজাকারকে ঝুলাইয়া দিতে বাঙালী দ্বিধাবোধ করতাছে না। সো এক সময় আপনাকেও হয়তো সেই বিচারের সম্মুক্ষীন হতে হবে এবং সেটা হয়তো যে কোন সময়- হতে পারে আজকে, হতে পারে এক্ষুনি। 

আপনার পরিচয়পত্রের সাথে কয়েকটা জিনিস জড়িত- ১) এই দেশের লাল সবুজের পতাকা এবং ২) এই দেশের মান সম্মান। আপনি যদি বৈধ ফ্রি ল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিয়া আসতাছেন দেশের জন্য সম্মান আর আপনি যদি চুরি চামারি ফেইকইজম করে থাকেন তাহলে আপনি নিয়ে আসতাছেন দেশের জন্য বদনাম আর আপনার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হইতাছে দেশ। হয়তো আপনার বা আপনাদের দুই নম্বরগিরি র কারনে বাংলাদেশে বৈদিশিক বানিজ্য কমে যাইতাছে, হয়তো বাংলাদেশের গার্মেন্টস এর অর্ডার ও কমে যাইতাছে কারন আপনি যে ক্লায়েন্টের কাজ করতাছেন সে যদি আপনার কাজে ্সন্তুষ্ট না হয় তাহলে তো সে আপনার বা আপনার দেশের বিরুদ্বে ইউরোপ বা  আমেরিকার কোথাও না কোথাও কিছূ না কিছূ তো বলে থাকবে। আর এই পদ্বতিতে যারা সাহায্য করতাছেন ২ নাম্বার ফ্রি ল্যান্সারদের( যাদেরকে আমরা ফেইক ফ্রি ল্যান্সার বলে থাকি) কে তারাও তো একার্থে দেশের সুনাম নষ্ট করে যাইতাছে- যেমন অসাধূ  ব্যাংক কর্মকর্তা বা অসাধূ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা বা অসাধূ র‌্যাব পুলিশ কর্মকর্তারা। জানেন তো ৭১ এর দেশবিরোধী শক্তির প্রধান চাহিদা হইতাছে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের ক্ষতি করে যাওয়া যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের কোথাও মাথা উচু করে না দাড়াতে পারে যেমন আজকাল কার দিনে অনেকেই পেপার পত্রিকাতে ডাইরেক্ট বলে ফেলায় বাংলাদেশ কে বলে ভারত কিনে ফেলাইছে বা বাংলাদেশকে বলে ভারত কন্ট্রোল করে।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl