মুক্তিযুদ্ব চলাকালীন সময়ে বাংলা নাটক শোনানো হতো রেডিওতে। মুক্তিযোদ্বারা যুদ্ব প্রান্ত থেকে সেই নাটক শুনতো এবং যুদ্বের ময়দানে থেকে পরবর্তী দিনের জন্য উদুদ্ব হতো তার সাথে সাথে শোনানো হতো জাগরনী গান বা জাগরনী সংবাদ বা আবেগ/ভালোবাসার প্রেমময় কবিতা বা গল্প সংকলন এবং তখনকার দিনে আরো যতো ধরনের নাটক বা সংলাপ সম্ভব। স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালীণ শুনেছি বাংলাদেশের অনেকখানেই রেডিও টাওয়ার ওকে ছিলো আর যে সকল মানুষেরা সাহস করে বেচে ছিলো গ্রামে গন্জের বিভিন্ন খোনে- তারা প্রতিনি রেডিওতে বিবিসি বা ভয়েস অফ আমেরিকা শোনার চেষ্টা করতো বলে শুনেছি। তখেনো টিভির প্রচলণ ছিলো কিনা জানি না বা থাকলেও হয়তো সাদা কালো টিভি সেট থাকতে পারে যা স্বাধীনতার পরে খবর শোনার জন্য বা দেখার জন্য বোধ করি খুব পপুলার ছিলো। ১৯৯০ সালের দিকে ও আমরা দেখেছি সাদা কালো টিভি তে নাটক - এইসব দিনরাত্রি বা ম্যাকগাইভারের মতো প্রোগ্রাম। তখন নাটকগুলো ছিলো মন্ত্র মুগ্ধের মতো।দেখার জন্যে যেমন অপেক্ষা তেমনি থাকতো কোন উল্টা পালটা চাইলে তা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা- চিঠি লেখালেখি বা সংবাদ পত্রে লেখালেখি বা সম্পাদক কে খোজ নিয়ে জানানো যে নাটক টা কেমন হবে বা কেমন করে করলে ভালো লাগবে- এক কথায় সিরিয়াস একটা ইস্যু। নাটক দেখে নাই এরকম লোক খুজে পাওয়া যাবে না। বাংলা সিনেমার প্রতি অনেকেই যদি বিরাগ ভাজন থাকতো - বাংলা নাটকের প্রতি কাউকে বিরাগ ভাজন দেখি নাই। বই দেখে দেখে বা বাক্য কে সংলাপ তৈরী করে করে নাটকের ডায়ালগ তৈরী হতো। অনেক অজানা অখ্যাত লোকজন নাটকের সংলাপ লিখে দিতো নিউজ প্রিন্ট বা হোয়াইট প্রিন্ট কাগজে - রাত জেগে। আবার সেই নাটক যখন মঞ্চে মঞ্চায়িত হতো বা টিভিতে দেখানো হতো তখন সেটা সেই সংলাপ রাইটার দের জন্য একটা ভীষণ পুলকের বিষয়ও হয়ে দাড়াতো- পরের দিন গল্পের আসর জমে উঠতো। সেই সময় কার সাপ্তাহিক পত্রিকা বা ম্যাগাজিন গুলো ছিলো এক ধরনের আভিজাত্যের বিষয়। অনেকেই রাখতো আর খুব ই আকর্ষনীয় সেই সকল ম্যাগাজিনে এ টু জেড খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তো। যাদের কাছে বাংলা নাটক একটু বোরিং লাগতো তারা দেখতো কলকাতার দূর দর্শন বা ডিডি ১ বা ডিডি ২ চ্যানেলেও। আরা যারা রাতের বেলা মিস করতো সেটা আবার দিনের বেলাতে রিপ্লে হতো এবং সেখানেও তখন দেখতে পারতো। অনেককেই দেখেছি টিফিনের পরে স্কুল কলেজের ক্লাস মিস দিয়ে বাসাতে বসে পুনারবৃত্তি দেখতো। সেই সকল দিনের নাটক সিনেমার ষ্ট্রাগল ভোলা মুসকিল। ময়মনসিংহের কাছে বর্ডার মেঘালয়- সেই জন্য সহজে বিডি ১ বা বিডি ২ দেখা যাইতো।
স্যাটেলাইট বা ডিশ ক্যাবল কানেক্টিভিটি আসার মোটামুটি চ্যানেলে চ্যাণেলে র ছড়াছড়ি পড়ে যাইতে লাগলো। বাংলা নাটকে যাতে অপসংস্কৃতি বা অপকালচার না ঢুকে সেজন্য নাটকের সাথে জড়িত অনেকে মিলে তৈরী করলো প্যাকেজ নাটক ইন্ড্রাষ্টিজ।মোটামুটি ভালো পয়সার ছড়াছড়ি। অনেক তরুন এবং নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী রা মিলে একদম নতুন গল্প হাতে পাইলো সেটাকে সুনিপুন এবং তরুন নির্মান শৈলী ব্যবহার করে অসাধারন এক ঘন্টার নাটক বানাইয়া ফেলাইতো। স্পন্সর রা অনেক সাহায্য করতো এবং ভালো পেমেন্ট রাখতো সকলের জন্য ফলে একদিনে বা দুইদিনে বা ম্যাক্সিমাম এক সপ্তাহে একটা নাটকে দাড় করানো অনেকের জণ্য অনেক সহজ ব্যাপার হয়ে গেলো। তুলনামূলক ভাবে মঞ্চের কাজ অনেক কমে গেলো। একটানা দৌরাত্ম দেখালো প্যাকেজ নাটক ইন্ড্রাষ্টিজ- ২০১৩ সাল পর্যন্ত বলা যায়। অনেক প্যাকেজ নাটক এখনো চোখে লেগে আছে। কিন্তু প্রথম যখন একুশে টিভি ওপেন হয় তখন মনে আছে একুশে টিভির অনকে সাংবাদিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রোগ্রামের নাটক ও টিভিতে দেখানোর চেষ্টা করতো। এরকম কিছু প্রোগ্রাম আমরাও দেখেছি । আমার করা একটা মঞ্চনাটক টিভিতে দেখানো হয়েছে কয়েকবার এবং অনেকেই বলেছে তারা আমার মঞ্চ নাটকের অভিনয় দেখেছে প্যাকেজ নাটকে। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই মঞ্চ নাটক করেছে। এখনো যদি কাউকে বলেন তাহলে সেও মোটামুটি ৫০% নাটক লিখে দিতে পারবে। শুনেছি ঢাকা শহরে আমাদের বন্ধুরা বলে অনেকেই নাটক লিখেও দেয় ইদানিং -আড়ালে এবং গোপনে।
২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনের পুরো প্রোগ্রাম ইউটিউবে দেখানোর পর থেকে আস্তে আস্তে ইন্ডাষ্ট্রি টা ঘুরে যেতে লাগলো এবং চমতকার ভাবে ইউটিউবে নাটকের উপস্থিতি শুরু হলো। ২০১৩/১৪/১৫ সালে যখন ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কাজ করতাম তখণ অনেক সময় বোর লাগতো আর মাঝে মাঝে ভাবতাম ইউটিউব ডট কমে যদি নাটক দেখানো হতো বা বানানো হতো তাহলে হয়তো সময় টা ভালো কাটতো। কাজের ফাকে ফাকে ১/২ টা নাটক দেখা যাইতো। ২০০৩ সাল থেকে হল ছাড়ার পর থেকে টিভি রিমোর্ট সচরাচর হাতে নেয়া হয় নাই। হলে যদি কখনো নাটকের চ্যানলে অন করতাম সাথে সাথে বন্ধুরা হই হই করে উঠতো - পাল্টা চ্যানেল , রিমোট দে , কি বলস, নাটক দেখার দরকার নাই- তো আপত্তি করতাম না। ষ্টার মুভিজ না এইচ বি ও তে ডুবে যাইতাম। তারপরে ২০০৩/২০০৪ সাল থেকে প্যাকেজ নাটক গুলো সিডিতেও রিলিজ হওয়া শুরু করলো এবং সেগুলোও কিনে কিনে বা কালেকশন করে দেখা যাইতো ডেস্কটপে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের কাছ থেকে কপি করে আনা যাইতো একসাথে ২০-৫০ টা করে নাটক। বসে বসে দেখা যাইতো। টাচ ফেন আসার পরে ২০০৮ সাল থেকে টাচ ফোনে নাটক কপি করে দেখা শুরু হইলো। ২০১৪/১৫ সালে যখন বাংলা ভাষাতে ইউটিউবে কথা বলা শুরু হলো তখন খুবই পুলকিত হইলাম এবং অনুভব করলাম তরুন প্রজন্ম আগাইয়া যাইতাছে। তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া উচিত। চলে আসলো ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম এবং শুরু হইলো কয়েক ভাবে উপার্জন। নাটকের চ্যানেল তৈরী করে ইনকাম, স্পন্সর থেকে ইনকাম। গুগলের ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজশেণ ইউটিউবে নাটকের ইন্ডাষ্ট্রিজ তৈরী করে আবার চলেও গেলো কয়েকদিন আগে। ৫ বছরে আমার কাছে মনে হয় শ মিলিয়ন ডলার তারা উপার্জন করে নিছে কারন সেটা ছিলো ইউটিউব রেভিনিউ শেয়ারিং প্রোগ্রাম- তারপরে অফ করে দিছে বাংলাদেশ থেকে কারন এখনকার ভিীডওটা দেখে বোঝা গেছে যে কোয়ালিটি গুলো আর ওকে নাই। অন্যান্য মনিটাইজেশন চপ্রোগ্রাম ওপেন আছে যেমন- http://www.freedom.tm. ফ্রিডম ডট টিএম শুরু হয় ২০১৩ সালে (আমরা সবাই জানি ২০১৩ সাল টা কি) । গুগলের ইউটিউব মনিটাইজেশনে যেখানে একজন বাংলাদেশী পাইতো ৩৫% ডলার (১০০ ডলার উপার্জন করলে ৩৫ ডলার সেখানে ফ্রিডম নেটওয়ার্ক দিতাছে ৬০% ডলার (১০০ ডলার উপার্জন করলে দিবে ৬০ ডলার)।
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে নাটকের আস্তে আস্তে ১২ টা বাজতে শুরু হলো। এখন আর পরিবার নিয়ে একসাথে কেউ ইউটিউব এ নাটক দেখতে সক্ষম হবে না। সহজেই গালি দেবে বা গালি খেয়ে যাবে। কারন এখন বাবু, সোনা, রুম ডেট , গাফ্রে বা এই ধরনের প্রেম রোমান্স ছাড়া তেমন কাজ চোখে পড়ে না। কিছু কাজ আছে জীবন মুখী নাটক নিয়ে তৈরী করা। কালচার টাকে নিয়ে যাওয়া হইতাছে সেই ১৯৯০-২০০০ সাল পর্যন্ত বর্ডার এলাকাগুলোতে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে যে নাটকগুলো দেখানো হইতো মাঝরাতে সে রকম- বেড সিন গুলো বা ধর্ষন চেষ্টা বা রতি ক্রিয়া টাইপের। একসময় কলকাতা পুলিশ সেই নাটক গুলো বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন যেহেতু ইউটিউব আর এইখানে পুরোপুরি ন্যুডিটি এলাও করা হয় না- এইখানে ন্যুড সংলাপ আওরালে হয়তো কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না কিন্তু দেশের মুসলিম আইন যদি ক্ষেপে উঠে তাহলে হয়তো তারা অনেকে লসের খাতায় পড়ে যাবে। কারন এই সময়ের কিছু কালচার তারা নাও মেনে নিতে পারে। ইউটিউবে হয়তো টুএক্স লেভেলের নাটকগুলো টিকে যাবে কিন্তু যদি বড় সড় লেভেলের কোন আন্দোলন হয় বা সামজিক অবক্ষয়ের কথা বলে বর্তমানের নাটক সিনেমা ইনড্রাষ্টিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করা হয় তাহলে রেহাই পাওয়া মুসকিল। কারন এইটা ইন্টারনেট মিডিয়া, এইখানে প্রমান থেকে যাবে এবং এইটা নিয়ে হুজুররা হেস্ত নেস্ত করে ফেলাইতে পারে।
আপনি অভিনেতা অভিনেত্রী হয়ে চরিত্রের প্রয়োজনে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয়ের কথা বলে হয়েতো পার পেয়ে যাবেন কিন্তু যারা নাটক সিনেমা বানাবে বা বানায় তারা হয়েতো কারো না কারো রোষানলে পড়ে যাইতে পারে। আমিও অভিনয় কে অনেক ভালোবাসি। ভালো অভিনয় দেখলে আমারো চোখের পাতা ভেজে উঠে। জীবনে অনেক মঞ্চ নাটকের সাথে টুক টাক কাজও করেছি কিন্তু এই ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বংসের পায়তারা চলতাছে নুডিটি বা খোলামেলা কথা বার্তার মাধ্যমে হয়তো সে ব্যাপারে কারো তেমন কোন খেয়াল নাই। ২০০৬ সালে বাংলা সিনেমাতে যখন পর্নো এড হলো তখন এক মূহুর্তে বাংলা সিনেমার ১২ টা বেজে গেলো। লক্ষ লক্ষ মানুষ হল ছেড়ে দিলো। হল মালিকেরা মাথাতে হাত দিয়ে বসে পড়লো। সেই ইন্ডাষ্ট্রি হয়তো এখন নামী দামী বা গুনী কিছু শিল্পীর কারনে (অনন্ত জলিল বা বর্ষা, কুসুম শিকদার বা নিপুন, পরীমনি বা আরো কেউ কেউ) ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে কিন্তু সময় লেগেছে প্রায় ১০ বছর। আর এখণ যদি নাটক পাড়াতেও এই নুডিটি বা সেক্স সিন বা আবেগ ঘন সিনের মাত্রা এড হয় তাহলে হয়তো অল্ড কিছু দিন খুব রম রমা ভিউজ হবে কিন্তু তার বিনিময়ে হয়েতো ইন্ডাষ্ট্রি টা ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।অনেক যত্ন করে গড়ে তোলা নাটক ইন্ডাষ্ট্রি হয়তো উধাও হয়ে যাইতে পারে যে কোন সময়ে। তখন হয়তো আপনারা আর এই ধরনের ভালো মানের কোন নাটক ও দেখতে পারবেন না।
ইউটিউবে নাটকের চ্যানেলে অভাব নাই। হাজার হাজার চ্যানেলে হাজার হাজার নাটক তৈরী হইতাছে।এইখানে কোন ণীতিমালাও নাই। ইউটিউবে অনেক টু এক্স লেভেলের বিদেশী ভাষার নাটক সিনেমা আছে - ধরতে গেলে এক ধরনের পর্নো। যদি তাদের সাথে তাল মেলাতে হয় বা সে রকম দিকে আগান তাহলে এক সময় হয়তো সব নাটক ডিলেট হয়ে যাইতে পারে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের তেমন কোন দোষ এইখানে থাকবে না কারন নাটক টা বানায় ডাইরেক্ট রা। আর যারা অভিনয় করে তারা জানে যে ঠিক কতোজন মানুষ নাটক দেখে। আমরা একবার হিসাব করে দেখেছিলাম সারা দেশে ১৫ লক্ষ -১.৫ মিলিয়ন মানূষ নাটক দেখে। কারন ব্রডব্যান্ড বা ওয়াই ফাই এর মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে ধীরে ধীরে নাটকের দর্শক ওবেড়ে যাইতাছে কিন্তু এইখানে তো এই ধরনের কোন অপশন নাই যে যতো ভিউজ ততো টাকা। এখানে সম্প্রতি ইউটিউব মনিটাইজেশন অফ হয়ে যাওয়াতে নাটকপাড়াতে ভাটার তৈরী হবে এবং এখণ শুধূ স্পন্সর এর উপরে ভিত্তি করেই নাটক বানাতে হবে। আর যদি মনে করেন যে না আপনারা বড়লোক- আপনাদের কোটি কোটি টাকা আছে-আপনাদের মনে চাইলো আপনারা নাটক বানিয়ে রেখে দিবেন- ভবিষ্যতে মানুষ দেখতে পারবে তাহলে সেখানে আপনার আশংকা সত্য নাও হতে পারে। কারন যদি হঠাৎ করে কোন নাটক ১ লক্ষ বা দেড় লক্ষ রিপোর্ট পায় তাহলে সেটার মান নেমে যাবে অনেক নীচে- ট্রেন্ডিং এ আর দেখাবে না। আর কতো ভাবে যে ভিউজ তৈরী করা যায়- তা দেখলে যে কারো মাথা খারাপ হয়ে যাবে। ইউটিউবের ভিডিও এর জণ্য কি কি মেথডে ভিউজ বাড়ানো যা তার একটা বাংলা টিউটোরিয়াল আমার আছে। আর সোশাল মিডিয়া এপিাআই মাধ্যমেও আপনি কোটি কোটি ভিউজ কিনে আনতে পারবেন এক দিনে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি মনিটাইজেশন থেকে থাকে আর সেখানে যদি আপনি এপিআই বা যে কোন উপায়ে যদি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ এড করে থাকেন এবং এর বিনিময়ে যদি আপনি মনিটাইজেশন মানি পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি বা আপনাকে মনে রাখতে হবে যে- ইউটিউব ইনকরপোরেশন সেটা জানে আর সে জেনে শূনেই সেটা তারা দিয়েছে বা দিয়ে গেছে। ধরতে গেলে এইটা এক ধরনের দান দক্ষিনার পর্যায়েও তারা ফেলে দিতে পারে। সো এইখানে অন্তত পক্ষে ইউটিউবের নাটকের ক্ষেত্রে সাবধান।
সচরাচর নাটক সিনেমা একবার দেখানো হয়েছে সবসময়। সো সেইভাবে প্রিপােরেশন নিয়ে নাটক সিনেমা দেখানো হতো। ধরেন -১৯৯০ ২০১০ পর্যন্ত খুব আয়োজন করে নাটক সিনেমা যেদিন দেখানো হতো সেদিন সবাইকে বলে কয়ে নাটক টা দেখা হইতো টিভি সিনেমার সেটের সামনে এবং ১ ঘন্টা বা কয়েক ঘন্টা সময় ব্যবহার করে নাটকটা বা সিনেমাটা দেখানো হতো। তারপরে যারা নির্মাতা বা অভিনেতা অভিনেত্রী- তারা হয়তো ফিডব্যাক রিসিভ করতো এবং পরবর্তী নাটকের শূটিং এর জণ্য নিজেকে প্রিপেয়ার করতো। বিশ্বের অনকে দেশেই এখনো এতো হারে নাটক আপলোড দেয়া হয় না যে হারে আমাদের দেশে নাটকের আপলোড হইতাছে । কলকাতাতে ঢাকা থেকে অনেক বেশী কাজ হয় কিন্তু তাদের নাটক সিনেমা আপলোড দেবার হার অনেক কম। কলকাতাতে সহজে একটা নাটক বা সিনেমা ইউটিউবে খুজে পাওয়া যায় না (কপিরাইট আইন একটিভ থাকার কারনে) । তো স্ক্রিনে অভিনয় করার পরে যে ফিডব্যাক দিতে হয় একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে - সেটা এখনকার দিনে ইউটিউবের নাটকের অভিনেতা অভিনেত্রী রা কিভাবে দেয়- একসময় যদি শরীরে না কুলায় বা মানসিক ভাবে না পেরে উঠে। যারা অভিজ্ঞ - তারা আগে থেকে এদের উপরে চোখ রাখতে হবে। তাদেরকে কাউন্সেলিং এ সাহায্য করতে হবে কারন আপনাকে মনে রাখতে হবে ইউটিউব একটি গতিশীল মিডিয়া আর মানুষ ইউটিউবের গতির সাথে পেরে উঠবে না এবং একসময় নিশ্চিত হাল ছেড়ে দেবে। আর নয়তো লাইফে পাথর হয়ে যাইতে হবে যেনো মানুষ আমার অভিনয় দেখে নড়াচড়া করলেও আমি যেনো নড়াচাড়া না করি।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl