Translate

Saturday, August 29, 2020

৭১ এর দেশবিরোধী প্রজন্ম দালাল রাজাকার পালতে আমি রাজী নই।

স্বাধীনতা যুদ্বে যাদের দেশবিরোধী ভুমিকা ছিলো তাদেরকে আমরা জয় বাংলা বিরোধী শক্তি বা দালাল রাজাকার বলে থাকি। বাংলায় বসবাস করে বাংলা ভাষাতে কথা বলে বাংলাদেশের বিরোধিতা করা - ব্যাপারটা পৃথিবীর ৮ম আশ্চর্যের মধ্যে পড়ে। মাতৃভাষাকে ভালোবাসে না এরকম কোন মানুষ পৃথিবীতে নাই। প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ মাতৃভাষাতে বেড়ে উঠে- এবং ধর্ম কর্ম ও পালন করে থাকে। যে ভাষাতে ধর্মীয় কার্যকলাপ করলো সেই ভাষার বিরোধী হয়ে আতাত করে তৈরী করা গনহত্যা -সত্যিই বিস্ময়ের এবং কষ্টের। বিশ্বে সকল গনহত্যা কে স্মরন করে একটা দিন জাতিসংঘ পালন করে থাকে। কিন্তু যুদ্বের ভয়াবহতা বিবেচনা করে ৭১ এ সংঘটিত বাংলার গনহত্যাকে আলাদা করে স্বীকৃতি দেবার জন্য একটি মহল বহু দিন ধরে চেষ্টা চালাইয়া যাইতাছে। গনহত্যা বিশ্বের একেকদেশে একেক সময় সংঘটিত হয়েছে যার যার দেশের স্থান/কাল/পাত্র ভেদে যুদ্বের  পরিমন্ডলে। যুদ্বে গনহত্যা সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমান হিসাবে থাকে। তেমনি বাংলাদেশে সংঘটিত গনহত্যায়   অংশগ্রহন করেছিলো পা ক হানাদার বাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, পা ক হানাদার বাহিনীর সমমনা মানুষগুলো বা দলগুলো, বাংলাদেশী দালাল, রাজাকার এবং আরো কিছু অপশক্তি। এতো শক্তির বিরুদ্বে লড়াই করে জিতে ছিলো বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্বারা। আর তাদের প্রজন্মের সন্তানেরা ও সেই অকুতোভয় সন্তানের মতো বেচে আছে আজো। মুক্তিযোদ্বারা যুদ্বের কারনে  দানবীয় রুপ ধারন করতে পারে। শুনেছি যুদ্ব চলাকালীন মুক্তিযোদ্বারা যে সকল পাক হানাদার বাহিণীর সদস্য আর দালাল রাজাকার বাহিনীর লোকজনকে গনহারে মেরেছে তাদেরও কবর বা গনকবর আছে  এই  দেশের মাটির নীচে (দোয়া করি যেনো ৮৮ বা ৯৮ এর বণ্যার পানির তোড়ে তাদের লাশ গুলো ভেসে চলে যায়)   - কারন যুদ্ব চলাকালীন সময়ে শুধূ বাংগালীই মারা যাই নাই- বহু (উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক পা ক হানাদার, দালাল, রাজাকার মরেছেও) আর  যাবার আগে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনদিন বাংগালীর সংগে যুদ্ব লাগবে না। মাফও চেয়েছে। গনহত্যার জন্য পা ক হানাদার বাহিণীকে বলা হয়েছিলো যেনো ক্ষমা চায়- কিন্তু তারা জাতিগত ভাবে কিছু প্লেকার্ড প্রদর্শন বা বিবৃতির মাধমে ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে জাতিসংঘের কাছে এখনো ক্ষমা চায় নাই ৭১ এ সংঘটিত বাংগালী গনহত্যার জন্য। পা কিস্তান যেনো আন্তর্জাতিক অংঘনে লিখিত ভাবে  ক্ষমা চায় ১৯৭১ এর গনহত্যার জন্য, সে ব্যাপারে মুভমেন্ট করা উচিত। বিশ্বের একেক দেশে একেকদিন গনহত্যার দিন বিবেচিত হয়। এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ  গনহত্যা আমার কাছে মনে হয় - ইসরায়েলে একসাথে ৬০ লক্ষ লোককে হত্যাি করা হয়েছিলো- যাকে হলোকাষ্ট বলে ডাকা হয়। আর এখণ কয়েকদিন আগে দেখলাম- ইসরায়েল বিশ্বের দ্বিতীয় সামরিক পরাশক্তি ডাকা হয়। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় পাওয়ার বা বন্ধু হইতাছে আমেরিকা। তাদের সমস্ত নাগরিক সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত- বৃদ্ব এবং বাচ্চা কাচ্চা ছাড়া- যেনো যুদ্ব লাগলে প্রয়োজনে সকলে দেশের জন্য প্রান দিতে পারে সে জন্য সকলেই একসাথে যেনো লড়াই করতে পারে। সম্পৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এডমিনিষ্ট্রেশন এর সহায়তায় জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষনা করা হয়েছে। পৃথিবীর সকল নবীজির জন্য তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত - জেরুজালেম কে ইসরায়েলের রাজধানী বিবেচনা করায় আমি  ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশী হয়েছি। বাংলাদেশ থেকে না পারলেও ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করে একবার ভিজিট করার জন্য- হাদিসে আছে বলে শুনেছি- নবীজি বলেছেন- যদি সামর্থ্য থাকে একবার যেনো জেরুজালেম ভিজিট করে এবং সখোনে যেনো পারলে জেরুজালেম মসজিদে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে।  


স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালীন যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা বাংলা ভাষার স্বাধীনতা চায় নাই তাদেরকেই বাংলা ভাষা বিরোধী শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা যাবে সহজেই। সারা বিশ্বে বৃটিশদের শাসন ছিলো- বলা হইতো ব্রিটিশদের স্বাধীনতার সূর্য কখনো অস্ত যাইতো না। তো ব্রিটিশরা যখন যে দেশকে স্বাধীন ঘোসনা করেছে সেখানে একটা ব্যাপার খেয়াল করা গেছে যে- তারা ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করেছে। যেমন- হিন্দী তে কথা বলে হিন্দুস্তান, উ র্দু তে কথা বলে উ র্দুস্তান, আফগান ভাষাতে বলে আফগানিস্তান, মালয় ভাষাতে কথা বলে মালয়েশিয়া, মালে ভাষাতে কথা বলে মালদ্বীপ, ভুটানিজ ভাষাতে কথা বলে ভুটান, নেপালিজ ভাষাতে কথা বলে নেপাল এরকম আরো অনেক দেশ ই ভাষার ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে। শুধূমাত্র ২ টা দেশে একটা ভিন্নতা রয়ে  গেছে। ভারত এবং স্পেন। ভারতের  অনেক  রাজ্যের অনেক লোকজন বাংলা ভাষাতে কথা বলে কিন্তু দেশ হিসাবে পালন করে ইন্ডিয়াকে। আবার স্পেনের ভেতর ২টা ভাষা ব্যভহৃত হয়- কাতালুনিয়া অংগ রাজ্যের ভাষা কাতালুনিয়ানিজ আর স্পেনের ভাষা স্পেনিশ। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ কিন্তু ভাষার ভিন্নতার কারনে কাতালুনিয়ার রাজধানী হিসাবে বিবেচতি হয় বার্সেলোনা। ভাষার ভিন্ন্তা থাকা সত্বেও স্পেনের লোকজন এক দেশে এক পতাকা তলেই বসবাস করে। আর আমাদের ২ দেশে ভাষা এক হলেও আমরা বসবাস করি ২ দেশে- ভারতের রাষ্ট্রভাষা অবশ্য হিন্দী- এমন কোন ভারতীয় খুজে পাওয়া যাবে না যে হিন্দী জানে না কিন্তু আঞ্চলিক ভাবে তারা অনেক রাজ্যে বাংলা ভাষাকে প্রধান ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালে ভারতীয় বাংগালীরা আমাদেরকে সীমাহীন সাহায্য করেছে। থাকার জায়গা দিয়েছে, ট্রেনিং ক্যাম্প দিয়েছে, অস্ত্র জোগাড় করে  দিছে, ট্রেনিংপ্রাপ্ত করে যুদ্বে অংশগ্রহন করে জিততেও সাহায্য করেছ, সম্মিলিত ভাবে যুদ্বে  অংশগ্রহন করেছে পা ক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্বে। হানাদারকে চিরতরে বাংলা থেকে হঠাতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ আসলে বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্বা এবং ভারতীয় বাংগালীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে। স্বাধীনতা যুদ্ব শেষে যারা যারা সেই দেশে থাকতে চেয়েছে শুনেছি তাদেরকে থাকতে ও দিয়েছে আবার এখনো মুক্তিযুদ্বে ব্যবহৃত অনেক অনেক ট্রেনিং ক্যাম্পকে অক্ষত করে রাখা আছে যেনো যে কোন বাংগালী যেয়ে দেখতে পারে । ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্বে যদি কেউ ভারতীয় বাংগালী এবং ভারতীয় সেনাবাহিণীর ভুমিকা এবং সাহায্য কে অস্বীকার করে তাহলে তাদেরকে ভারতীয় রাজাকার বললে ভুল হবে না। একসাথে বাংলা ভাষাতে কথা বলে এরকম সকলে মিলেই প্রতিহিত করেছিলো পা ক হানাদার বাহিনী আর দালাল রাজাকার গুলোকে যাদের ফাসির কার্যক্রম বর্তমানে চলতাছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী। বাংলাদেশের তিন দিকেই ভারতীয় বাংগালী এবং ভারতীয় বাংলা রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। মাঝখানে বাংলাদেশ। অনেকটা দেশের ভেতরে দেশ- যেমন ইটালীর ভেতের অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটি আর ভারতের ভেতরে অবস্থিত বাংলাদেশ নামক লাল সবুজের একটি দেশ। বর্তমানে ভারতীয় সামরিক বাহিণীর শীক্ত সারা বিশ্বে প্রশংসিত- রিসেন্টলি তারা সামরিক চুক্তি করেছে অস্ত্র লেনাদেনার ব্যাপারে- ইসরোয়েল এবং ইউএসএ এর সাথে।  রিসেন্টলি তাদের মধ্যে এড হয়েছে পারমানবিক শক্তিধর নেভী শিপ বা জাহাজ। 

শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ শেষ হবার পরে যখন নিয়মিত হারে রাজাকারদের ফাসির আয়োজন আর কার্যকারিতা চলতোছে তখন এক রাজাকার এর সাথে কথোপকথন চলতাছে আমার একদিন। আমি কয়েকজন তালিকাগ্রস্থ রাজাকারকে চিনি (যাদের সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নাই এবং আত্মীয়তার সম্পর্কও নাই) মানে তাদের নাম বিভিন্ন লিষ্টিতে আছে। বলতাছে- তারা তো দালাল, রাজাকার দেশবিরোধী- তাদের একদিন ফাসি হবে এবং তাদের বিরুদ্বে ফাসির রায়ও এসেছে। তো আমি কি সেই রায় সাপোর্ট করি কিনা? আমি প্রথমে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে জয় বাংলা বললাম  এবং তারপরে বললাম- আসি সাপোর্ট তো করিই বরঞ্চ আমি চেয়েছিলাম একদিন প্রকাশ্য দিবালোকে সব রাজাকারকে রাজ পথে ফাসি দিয়ে দিতে বা ল্যাম্পপোষ্টে ঝুলাইয়া ফাসি কার্যকর করতে বা প্রকাশ্য দিবালোকে সব গুলোকে এক সিরিয়ালে দাড় করিয়ে গুলি করে মাইরা ফালাইতে বা প্রকাশ্য দিবালোকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে? তো সে উত্তরে বলতাছে- তাদের কোন ক্ষমা নাই তারা তো ফাসি খাবেই কিন্তু তাদের একটা অনুরোধ আছে। আমি বললাম - দালাল রাজাকার দের কোন অুনরোধের দাম দেওয়া নিষেধ আছে। তোর অুনরোধ শোনার আমার দরকার নাই। তো বলতাছে ভাই শেষ একটা প্রশ্ন ছিলো জানবার- যে তাদের বংশধরদের কি হবে? তো আমি বললাম আমার মতে  তাদের বংশধরদের নূন্যতম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে হবে। কারন শাহবাগ গনজাগরনের একটি ডায়ালগ আছে- “প্রজন্ম রাজাকার, গোষ্টী সহ করবো মার্ডার “। মানে বলা যায় গনজাগরনের শক্তি যেদিন এ দেশে ক্ষমতায় বসবে বা বাংলা জমির শাসন  ক্ষমতা  পাবে সেদিন সম্ভবত প্রজন্ম রাজাকার, প্রজন্ম দালাল, প্রজন্ম পা ক হানাদার বাহিণী গায়েব হয়ে যাবে। তো সেই রাজাকার বলতাছে- তাদেরকে কি পালা সম্ভব? আমি সাফ সাফ উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিলাম- তাদেরকে পালা সম্ভব না। 

আমি রাজাকারের কথোপকথন শূনে একটু ভাবলাম- যে বা যারা কিনা বাংলাতে কথা বলে ৭১ এ বাংলা ভাষা বা বাংলা দেশ বা বাংলাদেশীদের বিরুদ্বে লড়াই করতে দ্বিধাবোধ করে নাই- তারা জানে যে তাদের নিশ্চিত মৃত্যু যদি তারা পরাজিত হয় -তারপরে দেশ স্বাধীন হবার পরে থাদের অনেকেই বেচে থাকলো- বলতে গেলে সব রকমের সুবিধা নিয়ে বেচে ছিলো- তারা আবার শাহবাগ গনজাগরনের পরে রাজাকারের ফাসি কার্যকর হবার পরে তারা তাদের নিশ্চিত ফাসি জেনে তাদের বংশদরদের কথা বিবেচনা করতাছে- কি আজব আর তাজ্জব? যেই দেশটাকে তারা এক সময় ঘৃনা করলো সেই দেশেরে ভেতরে আবার তারা তাদের বংশধরদের জণ্য চিন্তা ভাবনা করতাছে- তাদেরকে খাইতে, শুইতে, চলতে, ফিরতে দেয়া হয় আবার তারা ঘর সংসার সমাজও করতে পারলো কিন্তু তাদেরকে শুধু সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত চাকুরী দেয়া হলো না বা তাদেরকে সরকারি নির্ধারিত কোন ভাতাও দেয়া হলো না  (এই একটা পয়েন্টে আমি বাংলাদেশ অনেষ্টি পেয়েছি)-  এই নিয়ে তাদেরকে ভাবতেও দেখেছি। (যেমন আজো এই দেশে এমন কোন দালাল/রাজাকার নাই যে ঠোটে মুখে বলতে পারবে যে একাত্তরে তারা দেশবিরোধী ছিলো-যদি সাহস থাকে তবে তারা যেনো সকল ধরনরে ঠিভি ক্যামেরার সামনে বলে দেয় যে তাার ৭১ এ দালাল/রাজাকার ছিলো - পরে দেকবেন দেশবাসী কি বলে) দেশ স্বাধীনতার বিপক্ষে থেকে রাজাকারেরা সব সুবিধা পেয়ে গেলো- ইভেন মুক্তিযোদ্বা না হয়েও এ দেশের অনেক সুবিধা নিয়ে বেছে থাকলো এবং আনন্দ ফুর্তি করে যাইতাছে এর কারন কি? তারা তো তাদের তথাকথিত পুর্ব পা কিস্তান বানানোর জন্য বা রাখার জন্য  বাংলাদেশের বিরুদ্বে যুদ্ব করলো- তারা আবার স্বাধীন বাংলাদেশে বেচেও থাকলো- সব সুযোগ সুবিধা গ্রহন করলো- অক্সিজেন নিলো, কাপড় চোপড় কিনে পড়লো- আয়োজন করে বিয়েও করলো- সন্তান হইলো নাকি ধার করে নিয়ে আসলো বা থাকতে পারলো- তাদরেকে এতো ধরনের সুবিধাটা দিলো কে? নিশ্চয়ই প্রশাসনের ভেতরে তাদের বড় সড় হাত ছিলো যাতে করে তারা তাদের সমস্ত সুবিধা আদায় করে নিতে পারলো। শুনেছি রাজাকারেরা চিরস্থায়ী জাহান্নামি - বাংগালীর অভিশাপে সেজন্য কি দুনিয়াটা/দেশটা তাদের কাছে বেহেশত হয়ে গেলো নাকি?  দালাল রাজাকারেরা তো দেশবিরোধী ছিলো এবং বাংলাদেশটাকে স্বর্গ হিসাবে ব্যবহার করে গেলো- কিন্তু তাদের প্রজন্ম কে কখনো এদেশে স্বর্গ হিসাবে থাকতে দেয়া হবে না। জয় বাংলায় যতোটুকু ক্ষমতা আছে তা দিয়ে তাদের জন্য নরক গুলজার বানাবো বা বানিয়ে রাখবো । বিশ্বে সমস্ত ধরনের গনহত্যার বিচার হয়েছে এবং বিচারে তাদের মৃত্যুদন্ড ফাসির রায় এসেছে। সব দেশেই গনহত্যার বিচার হয়- বাংলাদশেও শুরু হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রজন্ম কে পালতে স্বক্ষম না কারন আমার শরীরের ভিতরে অবস্থানকারী জয় বাংলার অস্তিত্ব- সে সায় দিবে না এবং আমি পারবোও না। 

শাহবাগ গনজাগরন থেকে রাজাকারদের কে হায়েনা, কুত্তা, শুয়োর এবং রক্তচোষা প্রানীর সাথে তুলনা করা হয়েছে-   তাদেরকে চশমখোর ও বলা হয়েছে। তাদেরকে আরো বলা হয়েছে অমানুষ। সো তাদের সন্তানেরা বা বংশধরেরা আর কতোটুকু মানুষ হবে- হয়তো তারা মানুষের রুপ ধারন করতে পারবে আর চান্স পাইলেই তারা আবারো ছোবল দেবার চেষ্টা করবে। দেশটাকে আবারো পা কিস্তান বানানোর ধান্ধা করবে। মুক্তিযোদ্বাদের কথায় বলতে হয়- কথা বলি বাংলা ভাষায় - আইসা বলে পূর্ব সামথিং।  সেই সকল মুক্তিযোদ্বাদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত  ২ টাই হেভেন - যারা দেশ স্বাধীন করে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকাতে (পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ) পরিস্তার সুষ্ট সুন্দর বাতাসে বসে তার  প্রেমিকা /পাড়া প্রতিবেশীদের কথা ভাবতাছে আর নীরবে তাদের সাথে আত্মার সম্মেলনে ব্যস্ত আছে আর ভাবতাছে। তারা এই দেশ থেকে শত্রু কে খেদাইয়া দিছে এবং তারা মাথা নত করে এ দেশে ছেড়ে চলে গেছে আর মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনদিন আসবে না বাংগালীর সাথে যুদ্ব করতে। আমি কিছু মুক্তিযোদ্বা আংকেলকে কে অনেক কাছ থেকে দেখেছি- তারা আসলেই মহান, ফেরেশতাদের মতো তাদের ভেতরটা। পরিস্কার, ধবধবে সাদা এবং শান্তির এক বিরাট আধার। দেশ স্বাধীন হবার পরে- তারা ক্লান্ত ছিলো, হয়তো তারা বিষন্ন ছিলো- তাদের আত্মীয় স্বজন কে হারিয়ে তারা হয়তো একটা কষ্টের মধ্যে পড়ে গেছিলো হয়তো তারা আধারে পড়ে গেছিলো- বেচে থাকাকে আবারো নতুন যুদ্ব হিসাবে গ্রহন করেছে এবং শাহবাগ গনজাগরনের মাধ্যমে সময় এসেছে এদেশে মুক্তিযোদ্বাদেরকে নতুন করে সম্মানিত করার জন্য। ৪৩ বছর পরে দাগ কাটা রাজাকারদের গলা কাটা ফাসি কার্যকর করার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্বাদেরকে আমরা সম্মানিত করেছি - কিন্তু আরো বড় সম্মানিত করতে পারবো যদি তাদের বুকে জমে থাকা কষ্টটাকে লাঘব করার জন্য , তাদের অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করতে দেবার মাধ্যমে বা তাদের মরে যাওয়া বন্ধুদের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার জন্য একজোট হই- পৃথিবীতে সব স্বপ্নেরই দাম আছে। সবার স্বপ্নই সত্যি হওয়া উচিত। সামনের বছর বিজয়ের ৫০ বছর পুর্তি- স্বাধীনতা এবং বিজয়ের রজত জয়ন্তী। এই রজত জয়ন্তী ক্ষনে আমি আমার এই দেশটাকে মুক্তিযোদ্বাদের পায়ের কাছে রেখে দিলাম যেনো তারা এই দেশটাকে তাদের নিজেদের মন মতো ব্যবহার করতে পারে। দেশটা তাদেরই- নিঝুম রাতে নির্ঘুম অবস্থায় কাধে রাইফেল বা বুকে ষ্টেনগান নিয়ে শাপ , ঝোপ, পোকা মাকড় কোন কিছুর পরোয়া না করে শতরুদের বিরুদ্বে অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে বিজয়কে ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ ততোদিন বিশ্বে এ ক্লাস দেশ হতে পারবে না যতোদিন জীবিত এবং মৃত মুক্তিযোদ্বাদের সম্মিলিত স্বপ্ন কে বাস্তবাযন করার চেষ্টা শুরু না হবে। আমি সেই স্বপ্নগুলোকে খুজে ফিরে একসাথে করে বাস্তাবয়নের জণ্য অনুরোধ করবো এ দেশের সকল বাংলা মায়ের সন্তানদের এবং তাদেরকে যারা জীবনের তোয়াক্কা না করে থানা শাহবাগে একসাথে পৃথিবীর সেরা একটা রেভুল্যূশনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্বাদেরকে আকাশ সম সম্মান দিয়ে বাংলার জয় বাংলা কে অক্ষত করে রেখেছেন । রাজাকার সে তো খালি মুখে জয় বাংলাই বলতে পারে না- এইখানে তাদের প্রজন্ম পালার কথা আসে কি করে- তাদেরকে তো জিহবা টেনে ছিড়ে ফেলা উচিত যেনো তারা কিছু না খাইতে পারে এই মুক্তিযুদ্ব ভিত্তিক স্বাধীন বাংলাদেশে। জয় বাংলার দেশে আমাদের তো হয়রত আজরাইল (আ:) এর সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত যেনো দালাল/রাজাকরের বংশধর রা এই দেশে ঠিকমতো অক্সিজেন ও না নিতে পারে। দালাল রাজাকার দের থেকে তাদের সন্তানেরা আরো বেশী ভয়ংকর কারন তারা তাদের বাপ দাদার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে রেখেছে - তাদের বাপ দাদারা যা এপ্লাই করে আজো অনেকখানে জীবিত আছে -আর তাদের সন্তানদের কে বাংলার বিরুদ্বে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে যাইতাছে। তাদের বিরুদ্বে জয় বাংলার প্রজন্মের যুদ্বটা আরো বিশদ- কারন জয় বাংলায় ভয় নাই। তাদেরকে ভয় না পেয়ে শুধু মাত্র জয় বাংলাকে সংগী করেই আপনি এ যুদ্ব জয় লাভ করতে পারবেন কারন ঐ একটাই- প্রজন্ম দালাল রাজাকার বা দেশবিরোধীরা কখনো এই দেশে খালি মুখে জয় বাংলা বলতে পারে না। আর পারলেও সেটা তার জীবন রক্ষার জন্য- এই দেশটাকে ভালোবেসে বলতে পারবে না। 

আত্মার কোন মরন নাই। আত্মা অবিনশ্বর। থানা শাহবাগ গনজাগরন থেকে বলা হয়েছে- রাজাকাররা অমানুষ। অনেক খানে দেখেছি রাজাকারদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটাধিকারও নাই।তাহলে তারা বাংলাদেশে বেচে আছে কি করে- তাদেরকে কারা সাহায্য করতাছে? যারা সাহায্য করতাছে তারা কি মানুষ? সব মানুষের বিচার হবে হাশরের দিনে- আর যদি দালাল রাজাকারো অমানুষ হয় তাহলে তাদের সাথে আত্মার জগতে যুদ্ব করার কিছু নাই। মুক্তিযোদ্বারাও অবিণশ্বর। দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য প্রান দিয়ে গেছে এবং আত্মার জগত থেকে আমাদেরকে দেখতাছেন প্রতি সেকেন্ডে। একদিন সকলেরই বিচার হবে। নিজের বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করে দেখি - আমার দ্বারা এই দেশের মুক্তিযোদ্বারা কতোটুকু সম্মানিত হচ্ছেন? নাকি অজান্তেই দালাল/রাজাকার বা তাদের বংশধরদের আমরা সহায়তা করে যাইতাছি। 

অনেক রাজাকারকে বলতে শুনেছি মুক্তিযোদ্বারা ৭১ এ আজরাইলের রুপ ধরেছিলো। হয়রত আজরাইল (আ:) ভালোবেসেছিলো বলেই তারা আজরাইল (আ:) এর রুপ পেয়েছিলো সম্ভবত। তো এখনো তারা আজরাইলের (আ:) ক্ষমতা নিয়েই বসে আছে। তারা যদি চায় তাহলে দালাল রাজাকার এবং তাদের প্রজন্ম মুক্ত বাংলাদেশ গড়াটা একদিনের ব্যাপার। 

জয় বাংলাই চির ক্ষমতাবান এই বাংলার রাজত্বে। 


No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl