Translate

Thursday, September 10, 2020

সোশাল মিডিয়া থেকে সম্পর্ক ও সোশাল মিডিয়া হ্যারাজমেন্ট নিয়ে কিছূ কথা।

[লেখাটি শুধূমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। আমার এই লেখাটি কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয় নাই তবে একদল খারাপ লোক যারা ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত কারন ছাড়াই গ্যানজাম করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা। লেখাগুলোর চরিত্র আপনি কারো সাথে মেলাবেন না এবং আপনার বাস্তব জীবনের সাথেও মেলাতে চেষ্টা করবেন না। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন]


সোশাল মিডিয়া তে বাংলাদেশের অনেকেই প্রতিনিয়ত হ্যারাজ হয়।যেমন- আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বসলেন কেউ আইসা আপনাকে থ্রেড দিলো যে কোন উপায়ে- মোবাইল বা বাসার ল্যান্ডলাইন, বা কোন আত্মীয় স্বজন মারফত বা ফেসবুক বা ইমেইল মারফত। আর আপনি ভয় পেয়ে বিগড়ে গেলেন। একইসাথে একটা অপূরনীয় ক্ষতিও হয়ে গেলো কারন আপনি হয়তো কোন দরকারি কাজে বসেছিলেন ইন্টারনেটে এবং আপনার মেজাজটা বিগড়ে যাওয়াতে আপনি অনেক কষ্ট পাইলেন। বাংলাদেশের ইন্টারনেটের জগতে অতি পন্ডিত কিছু লোকজন আছে যাদের নিজস্ব কোন জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা ইন্টারনেট ব্যবহারের যোগ্যতা নাই কিন্তু ইন্টারনেটে আইসা মানুষের খুটি নাটি বিষয় নিয়া নাড়াচাড়া করবে (বিশেষ করে তারতাদের ব্যাপারে কিছু পাইলে আর রেহাই নাই) এবং মানুষকে বিরক্ত করবে আর হ্যারাজমেন্ট করবে প্রতিনিয়ত। মনে করবে যে- সে খুব সেয়ানা আর বাকী সকলে ১০০% বোকা। এইভাবে তারা অনেক সময় অনেক মেয়ের অনেক ধরনের সর্বনাশ ও করে থাকে। যে কোন তথ্য বা মিডিয়া তে তথ্য পাইলেই মেয়েদেরকে কিডন্যাপ বা হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। সাইকোলজিক্যালি কিডন্যাপ বা হ্যারাজমেন্ট করে থাকে অলওয়েজ। যে কোন ধরনরে চান্স পাইলেই তারা মেয়েদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেবার চেষ্টা করে থাকে- এইটা তাদের নেচার। ইন্টারনেট একটি যোগাযোগের এবং সাম্পৃতিককালে বিনোদনেরও  মাধ্যম। ইন্টারনেটের কল্যানে অনেক সময় সহজে বন্ধুত্ব বা ফ্রেন্ডশীপ হয়ে যায় সম মন মানসিকতা সম্পন্ন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে। আর যারা হিংসুটে বা পারে না তারা চিন্তা করে যে কিভাবে কি হলো এবং শেষ পর্যন্ত কোন তাল গোল হয় না। ইন্টারনেটের কল্যানে হাজার হাজার জুটি এখন পরস্পরকে পছন্দ করে  বিয়ে করে সংসার করতাছে। হয়তো দেখা গেছে কোনো মেয়েকে এমন জটিল কোনো প্যাচে ফালানো হয়েছে গতানুগতিক সমাজ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে- তখন দেখা গেছে ভালো মন মানসিকতা সম্পন্ন মেয়েগুলো তাদের পছন্দ সই পাত্র খুজে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে সংসার করতাছে। এসিড সন্ত্রাস বা ধর্ষন বলতে গেলে অনেকটা কমে গেছে ইন্টারনেটের কল্যানে পারস্পরিক আনডারস্টেন্ডিং থাকার কারনে - কিন্তু যেটা বেড়ে গেছে সেটা হচ্ছে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌনকর্ম। সারা বিশ্বে যদি রেটিং করা হয় যে কারা কারা বা কোন কোন দেশ ইন্টারনেটে কে ফাকিং সোশাল মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করতাছে তাহলে নিশ্চিত বাংলাদেশের নামও পাওয়া যাবে। এ প্রসংগে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো: 

কয়েক বছর আগে ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে একটা গ্রুপের সাথে তুমুল ঝগড়া শুরু হলো। তারা বলতাছে ফেসবুক একটা ফাকবুক। আমি বলতাছে এইটা কিভাবে ফাকবুক হলো? তো উত্তরে বলতাছে- এইখানে সব মেয়েদের আকর্ষনীয় ছবি দেয়া থাকে যা দেখে অনেকেই ইণ্টারেষ্টেড হয় এবং তারপরে তারা বাস্তবে মিলন করে থাকে। আমি বললাম যাদের ছবি দেয়া আছে তারা কি প্রাপ্তবয়স্ক? বলতাছে যে হ্যা। প্রাপ্তবয়স্ক। তাহলে আপনার সমস্যা কি যদি কেউ কাউকে ফেসবুক ডট কম থেকে পছন্দ করে এবং বান্তব জীবনে মিলিত হয়। এইটা তো তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। বাংলাদেশের আইনেও তো আছে- প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে যে কোন খানে মিলিত হতে পারে।  তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? বলতাছে- এই মেয়েগুলো আগে রাস্তাতে ঘুরে বেড়াতো ফলে বখাটেদের অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু এখন ফেসবুক ডট কম আসাতে তারা আর রাস্তা ঘাটে বখাটে দের সাথে কথাও বলে না আর তেমন ক্রাইম ও তৈরী করা যায় না আগের মতো। পরে বূঝতে পারলাম যে - তারা দেশবিরোধী প্রজন্ম যারা বাংলাদেশের মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। পরে আমি বললাম যে ভাই- রাস্তাতে তো কুত্তার জাত যারা তারা বসবসা করে আর যারা খুবই গরীব দুখী মানুষ (কপালদোষে- বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এরকম কায়িক পরিশ্রম নাই) তারা খেটে খায়। নয়তো বর্তমানে কোন ভদ্র ঘরের  মেয়েই রাস্তা থেকে কারো সাথে কানেকটেড হয় না। সাথে আরো আছে- মোবাইল ফোন, নানা ধরনের এ্যাপস, হোয়াটস এ্যাপ, বিভার, বিগো, ইমু, টুইটার বা ইনষ্ট্রাগ্রাম বা আরো অনেক ধরনের সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তারা এক অপরের সাথে কানেক্টেড হয়। তারপরে আইসা আরেকদিন বলতাছে ফেবুক ডট কম তো একটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম- ফাক বা যৌন চাহিদা পূরন করার জন্য আপনারা অন্য আরেকটা ওয়েবসাইট মেক করে নেন। তো উত্তরে বললাম যে- আপনারা ই  না বললেনে যে ফেসবুক একটা ফাকবুক। তো দেখি আর কিছু বলতাছে না। তো কয়েকদিন পরে দেখি সত্যিই ফাকবুক ডট কম নামে আরো একটা ওয়েবসাইট ওপেন হয়েছে । যেখানে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মাসে ৫ ডলার চার্জ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে । বর্তমান সরকারের পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সাথে সাথে সেগুলোও অফ করে রেখেছে। ভিপিএন ছাড়া সেই সকল ওয়েবসাইট দেখার কোন উপায় নাই। তো মনে মনে চিন্তা করলাম যে কি ধরনের হ্যাকার যে- সোশাল মিডিয়া থেকে গ্যানজাম করে ক্রেডিট কার্ড প্রসেসিং সহ একটা ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলাইছে যেখানে হয়তো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কোন খোজ ই নাই (যদি বাংলাদেশীরা বা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহার  করে তৈরী করে থাকে)। 

তারপরে একা একা বসে ভাবতেছিলাম যে - ব্যাপারটা অনেকটাই সত্য। ফেসবুক থেকে আপনি রিয়েল লাইফে সেক্স করতে গেলে সোশাল মিডিয়া ল আপনাকে আটকাবে যদি মেয়ের সম্মতি না থাকে। মানে আমেরিকান ল  তে ফেসবুক কে সোশাল সেক্সের ওয়েবসাইট হিসাবে ব্যবহার করতে নিষেধ আছে। আর ফেসবুকে পুরোপুরি পর্ন ধরনের ওয়েবসাইট পাবলিশ ও করা যায় না। যদিও কখনো কোন মেয়ের সাথে কেউ গভীরতর সম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে তারা সেখানে থেকে বের হয়ে যায়। ফেসবুকে কোটি কোটি গার্ল ফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড এডাল্ট টাইপের কথা বলতাছে প্রতিনিয়ত যারা বাস্তবেও  গার্লফ্রেন্ড এবং বয়ফ্রেন্ড এবং এইটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আবার অনেক সময় অনেকেই সরাসরি ফেসবুক থেকেই মজা করা শুরু করে এবং বাস্তব জীবনে তার একটা রুপ দেবার চেষ্টা করে। আবার এই সম্পর্ক গুলোর মধ্যে অনকেগুলো দাগ কেটে যাবার মতো। আগে যখন বাবা মারা ছেলে মেয়েদেরকে বাসা থেকে বের হয়ে একটু হাটাচড়া করতে দিতো আর এর মধ্যেই কোন মেয়ের হয়তো কোন রাজপুতের মতো ছেলেকে ভালো লেগে যেতো এখন সৃজনশীলতার পড়াশোনার চাপে ছেলে মেয়েদের হাতে সেই সময়টা কম। সো তারা সোশাল মিডিয়া থেকে ই পারস্পরিক ভাবে চেনাজানা এবং পরিচিত হতে পছন্দ করে। আগে যেখানে ছোট্টবেলার এক টুকোর প্রেমে একটু আবেগ থাকতো হাত ধরাতে বা জড়িয়ে ধরাতে সেটা এখন ইন্টারনেটে এস দাড়িয়েছে সেলফি বা ভিডিও চ্যাট বা একটু গভীরতর ভিডিও চ্যাট যা আজকালকার দুনিয়ার ইউটিউবে রচিত নাটকগুলোতেও অনেকটা খোলামেলা ভাবেই বলা হইতাছে।অনেক ভালো ভালো মেয়েকে দেখেছি ইনষ্ট্রাগ্রামে প্রোফাইল খুলে বলতাছে- ভাইয়া ফেসবুক আর ব্যভহার করার মতোন অবস্থা নাই- ছ্যাচড়াগুলোল অত্যাচারে প্রাইভেটে ইনষ্ট্রাগ্রাম ব্যবহার করতাছি। 

একটা ব্যাপার ততোক্ষন আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন না যতোক্ষন না এই ব্যাপারে কোন নীতিমালা তৈরী না হয়। সবচেয়ে মজা লেগেছে একটা ঘটনাতে- ২০০৯ সালে ফেসবুক থেকে পরিচিত হওয়া এক ছেলে এবং এক মেয়ে আশুলিয়াতে ঘুরতে যায়। সেখানে তারা পাশাপাশি বসে থাকা অবস্থায় একজন শিমেইল চলে আসে। যারা অনেকটা হিজড়াদের মতো বা সেই অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বসবাস করে থাকে। সে আইসা সেখানে বলতাছে সে পুরুষ- কিন্তু তার বুকে স্তন আছে। ছেলেটি একটু হতভম্ব হয়ে গেলো। মেয়েটি বললো যে সে এই লোকাটাকে চেনে। এইটা সত্য। তুমি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দাও চলে যাবে। পরে ছেলেটা এবং মেয়েটা দুজনে মিলে কিছু টাকা পয়সা দিলো এবং সেই শিমেলটা চলে গেলো। তো ছেলেটার মনে একটা ভয় থেকে গেলো আর সে মাঝে মাঝে ভাবতো যে- বুকে স্তন আবার বলতাছে পুরুষ - এইটা কিভাবে সম্ভব। পরে বাংলাদেশে পর্নো সাইট ওপেন থাকার কারনে সে খুজে পেতে বের করে দেখলো যে - সারা বিশ্বে ই এক ধরনের বিকৃত মন মানসিতকার লোকজন আছে যারা নিজেদেরে জেন্ডার পরিবর্তন করে নেয় কারন তাদের স্কেসুয়াল অরিয়েন্টেশন ভিন্ন। সেই থেকে ছেলেটাকে ইন্টারনেটে যখনি কোন মেয়ে প্রস্তাব দিতো তখনি সে একটা কাজ করতো- সে মেয়েটাকে রিকুয়েস্ট করতো  তাকে ন্যুড শো করতে কারন আন্তর্জাতিক বিশ্বে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো পুরোপুরি ওপেন। সেখানে ১৩ বছরের যে কোন মেয়ে ই ইন্টারনেটে ন্যুড শো বা ন্যূড ক্যামেরাতে ক্যাম মডেল হিসাবে কাজ করার সুয়োগ পায় এমনকি আমাদের দেশেও অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায় এ সকল ব্যাপারে (ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের এ্যাপে)। আর এইটা এখন হেভিটুয়াটেড ব্যাপার আমাদের দেশের ইন্টারনেট সোসাইটিতে। প্রেমিক  প্রেমিকা ওয়েব ক্যামেরাতে একজন আরকেজনের সাথে ডিপলি ভাব বা আবেগ বিনিময় করতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ভালোবেসে ইন্টারনেটে এডাল্ট ক্যামেরা সাপোর্ট করে এরকম কোন এ্যাপে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবকিছূ খুলে দেখায় আর যদি বলে যে সে হিজড়া না বা শিমেল না তাহলে এইখানে ব্যাপারটা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি কোন আইডিয়া করে এই ধরনের ব্যাপারে চিৎকার চেচামেচি করে থাকেন তাহলে তো লোকজন আপনাকে হিজড়া বা শিমেল বলবে কারন এইটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের একান্ত গোপনীয় ব্যাপার। এই ব্যাপারে তা আপনি কখনো কোনো হ্যারাজমেন্টের মামলাও করতে পারবেন না কারন মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক। আপনি যদি কোন মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে থাকেন তাহলে মেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে কিন্তু আপনি যদি আদালতে যাইয়া বলেন- ইন্টারনেটে ওয়েব ক্যামেরাতে দুইটা ছেলে মেয়ে মাষ্টারবেশণ করেছে বা নত্ন অবস্থায় দেখা করেছে ওয়েব ক্যামেরাতে - তখন তো  আদালত বা আইন পুলিশ আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করবে কারন বাংলাদেশে এতো জটিল জটিল ব্যাপার কাজ করতাছে যে- র্রাব/পুলিশের এই সকল মাষ্টারবেশণ/ন্যুড ক্যামেরা টাইপ এর অভিযোগ কানে নেয়ার কোন সময় নাই। কোন মেয়ের সম্মান হালি হলো কিনা, কোন মেয়ে বাস্তবে রেপড হলো কিনা, কোন প্রেমিক তার প্রেমিকার বিরুদ্বে কোন ছবি ইন্টারনেটে পাবলিশ করে দিলো কিনা, কোন মেয়ের কোন আবেগী লেখা আপনি পাবলিশ করে দিলেন কিনা সেইগুলো হইতাছে বিচার আচারের বিষয়সম্পর্ক থাকাবস্থায় কোন ছেলে এবং মেয়ের সম্পর্ক কতোটা ডিপ ছিলো , তারা কি ধরনের বিহ্যাবিয়ার করতো বা তারা কি কি করেছে এইগুলো কথনো আদালন ভেবে দেখবে না। আদালত ভেলে দেখবে মিন্নীর মতো মেয়ে কিভাবে মার্ডার করেছে সিফাত ফরাজীকে পর্নো করার পরে ও বা এই ধরনের কাহিনীকে। কোন মেয়ে ইন্টারনেটে একটা সম্পর্কে  আছে- সে প্রাপ্তবয়স্ক আর সে কোনভাবেই  স্বজ্ঞানে স্বইচ্ছায় ছাড়া কোন কাজ ইন্টারনেটে করে নাই আর তার কোন অভিযোগও নাই তাহলে আপনি বা আপনারা কিভাবে সে ব্যাপারে বা ব্যাপারগুলোতে কথা বলবেন। তাহলে তো লোকজন বলবে আপনি হিজড়া। হিজড়ারা কিন্তু মানসিক ভাবেও হিজড়া শুধূ শারিরীক ভাবে না। তারা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়েদের সম্পর্ক কে ঘৃনা করে থাকে। কারন তারা মনোগত ভাবেও হিজড়া (আমি যতোটুকু অবলোকন করেছি আমার জীবনে)। তারপরে আবার যদি কখনো জানতে পারে কোন সম্পর্কের ব্যাপারে তাহলে সেটা রাষ্ট্র করে বেড়াবে। যদি ভালো মানুষ হয় তাহলে তারা দোয়া করবে যেনো প্রেমিক বা প্রেমিকারা সফল হয় কিন্তু যদি খারাপ মন মানসিকতার হয় তাহলে প্রথমেই সম্পর্কের বিরুদ্বে বলে উঠবে বা বলে বসবে। অথচ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্ক এই দুনিয়াতে ১০০% সাপোর্টেড। প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে যে কোন সময়ে যে কোন ব্যাপারে সিদ্বান্ত নেবার মতো  আইনগত অধিকার রাখে (যার প্রমান- লুকাইয়া বিয়ে করেছে বা পালাইয়া বিয়ে করেছে. বাবা মার আপত্তির মুখে আদালতের সামনে দাড়িয়ে প্রেমিকের পক্ষে অবস্থান নিছে এরকম হাজার হাজার কাহিনী আছে। আদালত মেয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে কারন মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক)। সারা বিশ্বের সব দেশে এডাল্ট ক্যামেরা ওয়েবসাইট গুলো ওপেন আছে। সেখানে যে কোন মেয়ে তার ঘরে বসে থেকেই মাসে ১০,০০০ ডলারের  মতোও উপার্জন করতাছে। আমাদের দেশেও সকল ধরনের ইন্টারনেট মিডিয়াতে এই ধরনের প্রচুর প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখা যায়।  কিন্তু সম্প্রতি আমাদের দেশে সকল ধরনের পর্নো ওয়েবসাইট এবং এডাল্ট ক্যামেরা রিলেটেড ওয়েবাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  এডাল্ট ক্যাম একটা ইন্ডাষ্ট্রিজ ও ছিলো কিন্তু আমাদের দেশে ধর্ম  মোতাবেক সেটা জায়েজ না। মুসলিম ধর্ম ্ডাল্ট ক্যাম ইন্ডাষ্ট্রিজ কে জায়েজ বলবে না কখনো । আমাদের দেশে যেমন খারাপ থেকে খারাপতর প্রজন্ম ও আছে তেমনি ভালো থেকে ভালো প্রজন্মও আছে। 

ইন্টারনেটে হ্যারাজমেন্ট বলা হবে তখনি যখন কোন মেয়ে আপনার বিরুদ্বে স্বহস্তে লিখিত ভাবে থানা পুলিশের কাছে বা কমুনিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবে। আর যদি সেটা কিছুদিন পুরাতন হয় তাহলে পুলিশও তেমন পাত্তা দিবে না।    এখন হয়তো আমি  কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালাম আর আপনি কানা ঘূষা শুনে কিছু অভিযোগ দেয়া শুরু করলেন তাহলে তো সেটা কোন কাজে আসবে না। কারন অভিযোগ করতে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। আপনার মনে চাইলো আর আপনি ইন্টারনেট থেকৈ গড়ে উঠা বন্ধুত্ব বা যে কোন প্রেমিক প্রেমিকার বিরুদ্বে অভিযোগ দিয়ে বসলেন- আপনার সেই অভিযোগ কোন ভিত্তি পাবে না কারন যিনি হ্যারাজমেন্ট হয়েছেন তিনি যদি কোন অভিযোগ না করেন তাহলে কোন কিছুই হবে না। এই সমাজে প্রতিনিয়ত কতো মেয়ে ধর্ষিত বা র‌্যাপ হইতাছে সেই সকল ব্যাপারেই এ দেশের মেয়েরা মান সম্মান হারানোর ভয়ে কোথাও কোন অভিযোগ করে না আর  এই দেশে কিছু অতি জ্ঞাণী গজাইয়া উঠেছে হ্যারাজমেন্ট রিলেটেড কথা বলতে। সত্যি বলতে কি- ভালোবেসে কোন মেয়ে যদি তার প্রেমিককে ইন্টারনেটে তার ন্যুড বডিও প্রদর্শন করে থাকে সেখানেও কোন হ্যারাজমেন্ট হবে না-  কারন এই ব্যাপারটা প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে প্রাইভেট এবং সিক্রেট। আর এই ব্যাপারে যদি কেউ এ্যাকশন নিতে চায় সেটা নিতে পারবে শুধু সোশাল মিডিয়া বা রিলেটিড এ্যাপসগুলো। বাংলাদেশ তো আর সিলিকন ভ্যালি না যে তারা ইন্টারনেটের মালিক কিংবা সোশাল মিডিয়ার মালিকও না। আর হাজার হাজার কোটি কোটি মেয়ে বর্তমানে সোশাল মিডিয়া এ্যাপ ব্যবহার করে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ড বা ভালোবাসার মানুষের সাথে ইন্টারনেট ওয়েব ক্যামেরা ব্যবহার করে একান্তে সময় কাটাইতাছে।  এইখানে যারা চিন্তা করে অন্য কিছু তাদেরকে মানুষ বলা যাবে না কারন এইটা সিক্সথ সেন্স বা কমন সেন্স এর ব্যাপার। আমার একটা ব্যক্তিগত রিসার্চে আমি দেখেছি- যারা টেষ্টটিউব প্রজন্ম (তাদের কে প্রথমে তো ইনসিমিনেশন করা হয় পুরুষ এবং মহিলার আলাদা বীর্য থেকে। যারা টেষ্টটিউব রিলেটেড ভিডিও দেখেছেন তারা ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। পুরুষ এবং মহিলার বীর্য  কে আলাদা ভাবে কালেকশন করে তারপরে ল্যাবরেটরি তে টেষ্টটিউব চাইল্ড তৈরী করা হয়)। একমাত্র তাদেরকেই দেখেছি মাষ্টারবেশন করেছে শুনলেই ক্ষেপে যায়। আর হিজড়া দেরকে দেখেছি ছেলে এবং মেয়ের বৈধ প্রেমের সম্পর্ক দেখলেই ক্ষেপে যায়। এই দুইটা ক্যারেকটারিষ্টিকস থেকে তাদেরকে মানুষ বলে মানা যায় না। মুসলমান ধর্মে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও নিষেধ বা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক ও নিষেধ। কিন্তু সেটা মানতাছে কয়জন? সম্পর্ককে যারা ঘৃনা করে তাদেরকেও মানুষ বলা যাবে না কখনো। 


সোশাল মিডিয়া থেকে কোটি কোটি বিবাহ সম্পন্ন হইতাছে। প্রতিনিয়ত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী হইতাছে। এইটা এখন একটা স্বীকৃত মিডিয়া। ইন্টারনেটে ভালো মনের মানুষগুলোও অনেক সময় অনেক খানে হৃদ্যতার ছোয়া পায়। জীবনে চলার পথে তারা অনেকসময় অনেকধরনের মানুষের সাথে মনে চাইলেও মেলামেশা করতে পারে না। কারন সেরকম সুযোগ ও পাওয়া যায় না বা সে রকম সাহসও করে উঠতে পারে না।কিন্তু ইন্টারনেট মানুষকে সেই সুবিধা করে দিয়েছে। নিজ মনের মতো মানুষকে খুজে পাওয়া এবং সেই রকম মন মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের সাথে আড্ডা দেয়া লাইফে অনেক ধরনের চার্ম তৈরী করে- অনেক কর্মস্পৃহা তৈরী করে। অনেক অজানা বিষয় কে জানার জণ্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা একটা সাধারন ব্যাপার এখনকার দিনে। যতো বেশী যোগাযোগ ততো  বেশী বেনিফিট এখন কার দিনে। আমরা বলি যতো বেশী কানেক্ট ততো বেশী লাভবান। আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকৈ দেখেছি- আমার ক্লায়েন্টের সাথে আমাকে নিয়ে অনেক কুৎসা রটনা করতে কারন যে লোক এই কাজ করেছে আমি খেয়াল করে দেখছি সে মানুষের গোত্রের মধ্যে পড়ে না। আমি এপিআই ব্যবহার করে আমার ক্লায়েন্টের সাথে কানেক্টেড হয়েছি কিন্তু সে বিশ্বাস করে না যে- এপিআই এ জাভা স্ক্রিপ্ট লুপ বানানো যায় এবং তা দিয়ে প্রোগ্রামিং করে অনেক ধরনের ডেভেলপিং কাজ করা যায়। সেই সম্পর্ক টা সোশাল মিডিয়াতে বন্ধুত্ব আছে এবং একই সাথে সে আমার ফ্রিল্যানসিং জগতের ক্লায়েন্টও। 

সোশাল মিডিয়ার সম্পর্ক কে সারা বিশ্বের মিডিয়া স্বীকৃতি দেয়। এইখানে কোন ধরনের খারাপ মানুষের সাথে পরিচিত হইলেও তার সাথে কাটানো ভালো মূহুর্ত গুলো মনে রাখার মতো হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের সাথে কানেক্টেড হবার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ার প্রধান মজা। এইখানে কারো সাথে বন্ধুত্ব হবার পরে যদি সে ডাম্প ও করে তারপরেও তার সাথে কিছু মধুর ব্যাপার সারা জীবনের জন্য থেকে যাবে। যা অবসর সময়ে বসে বসে স্মরন করা যাবে কিন্তু দীর্ঘ নিশ্বাস ফালানো যাবে না কারন সোশাল মিডিয়ার সম্পর্কগুলোতে কখনো কেউ ডিসকানেক্টেড হয় না। সেখানে সবাই সবাইকে নক করার সুযোগ পায়। সো মনে চাইলেই বন্ধুর সাথে সারা জীবন কানেক্টেড থাকা যাবে। আমার সোশাল মিডিয়াতে যতো বন্ধু আছে আর যাদের সাথে আমার যতো ফিলিংস বিনিময় হয়েছে তাদের সকলের কথাই আমার মনে আছে। আমি মাঝে মাঝে বসে ভাবি যে- সৃষ্টিকর্তা আমাদের কি ফাটাফাটি এক নিয়ামত দিয়েছে ইন্টারনেটে- যার মাধ্যমে যে কোন দেশের যে কারো সাথে ফ্রেন্ডশীপ করা যাইতাছে। আর ন্দিুকেরা (যদিও তাদের সংখ্যা খুবই কম) হঠাৎই আপনাকে প্রশ্ন করে বসবে যে- আপনি ইন্টারনেট কোথা থেকে ব্যবহার করতাছেন বা কিভাবে ব্যবহার করতাছেন- বলে আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। সে নিজে জানার চেষ্টা করবে না যে- ক্যালিফোর্নিয়া তে অবস্থিত সিলিকন ভ্যালিতে কি বা সেখানে কিভাবে ইন্টারনেট ডাউনলোড হইতাছে ব্রডব্যান্ড আকারে- এই সকল ব্যাপারে যদি সে নিজে জানার চেষ্টা করতো তাহলে সে কোন বোদারিং বিষয় হইতো না। আর নয়তো তারা ইন্টারনেটে এক ধরনের বোদারিং বিষয়। খোজ নিলে হয়তো দেখা যাবে তার নিজস্ব কোন সত্ত্বা নাই । তার বা তাদের কাজ হইতাছে খালি মানুষের ভুল ধরা। ভাবখানা এমন যে, তাদেরকে মনে হয় বাংলাদেশ সরকার আ ইউএসএ সরকার দ্বায়িত্ব দিছে ইন্টারনেটে কারো না কারো কোন না কোন ভুল ধরার জন্য।অথচ খুজলে কোন ধরনের ইন্টারনেট সোসাইটিতে তাদের নামও খুজে পাওয়া যাবে না।  কোন না কোন কারনে তারা ইন্টারনেটে নিজেদেরকে অনেক ক্ষমতাবান মনে করে। ইন্টারনেট একটা মহা সমুদ্রের মতো। এইটার কোন শেষ নাই। মহাসমুদ্রে যেমন বিশাল জাহাজ ও হারিয়ে যায়- তেমনি ইন্টারনেটে আপনার জ্ঞানের পরিধি ও কখনো শেষ হবে না।  সো এইখানে আপনি আর  আমি বা যে কেউ কোন ক্ষমতার বিষয় না। এইখানে ক্ষমতার কোন পরিধি নাই। আর যারা বোকা তারাই নিজেদেরকে ইন্টারনেটে - বিশেষ করে এই প্রচন্ড গতিশীল মিডিয়াতে নিজেদেরকে সামথিং মনে করে কিন্তু আদতে কিছুই না।

ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়াতে বা যে কোন উপায়ে কারো সাথে বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা তৈরী হলো- সেখানে সে আপনাকে বেশী পাত্তা না দিয়ে চলে গেলো বা ব্রেক আপ করলো বা আপনোকে কষ্ট দিলো- এইটা আদতে কোন হ্যারাজমেন্ট হিসাবে গন্য হবে না। হয়তো আপনি তাকে অভিশাপ দিতে পারেন। হয়তো সে আপনার জন্য যোগ্য ছিলো না কিন্তু তার কথা মনে রেখে যদি আপনি আপনার লাইফটাকে থামাইয়া রাখেন তাহলে আপনি আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আপনাকে আরো বেশী বেশী থেকে মানুষের সাথে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্বি করতে হবে যার সাথে আপনার মিলে বা যার প্রতি আপনার ভালো লাগা থাকে। সেইখানে যদি থেমে থাকা হয় তাহলে যেই সকল নিন্দুকেরা ঘুরে বেড়াবে আর চান্স নিবে। তাদেরকে কোন চান্স দেয়া যাবে না তাহলে সেটা গসিপের জন্ম দিবে- আর একবার যদি কেউ গসিপের মধ্যে পড়ে তাহলে আর লাইফে সেই গসিপের অবসান হবে না কারন কিছু কিছু মানুষই আছে প্যারাসাইটের মতো। তারা একবার যেটা পাবে সেটাকে লাইফ টাইম কামড়ে ধরে রাখবে আর আপনাকে হ্যারাজমেন্ট করার চেষ্টা করবে। সোশাল মিডিয়া বা অনলাইনে তেমন কোন হ্যারাজমেন্ট নাই এই বিশ্বে। তবে সোশাল মিডিয়া থেকে যদি আপনি বাস্তবে কাউকে পরিচিত হয়ে ঝামেলাতে ফেলান বা কিডন্যাপ করেন বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেন তাহলে সেটা হ্যারাজমেন্ট আকারে ধরা দেবে। একজনের সাথে ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়াতে পরিচয় হলো। তাকে আপনি বাস্তবে ডেকে আনলেন এবং ব্যবহার করলেন তারপরে ছুড়ে ফেলে দিলেন- এইটা হ্যারাজমেন্ট এর পর্যায়ে পড়ে কারন এই ক্ষেত্রে এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির জন্য হয়তো ছুড়ে ফেলা মানুষটা তৈরী ছিলো না। এই ধরনের পরিস্থিতি- পরিচিত হয়ে বাস্তবে আসা আর বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া- শারিরীক এবং মানসিক ভাবে তাহলে তাকে হ্যারাজমেন্টর সংগায় সংগায়িত করতে পারেন। যেমন - স্ন্যাপচ্যাটে ঢুকলেই আপনি দেখবেন হাজার হাজার মেয়ে ন্যুড হয়ে আপনাকে এডাল্ট চ্যাটের জন্য আমন্ত্রনও জাানাইতাছে। স্ন্যাপচ্যাট এ্যাপ কিন্তু বাংলাদেশে ওপেন ও হয়। আর খুজলে অনেককেই পাওয়া যাবে  পরিচিত। যেহেতু এইটা বাংলাদেশে ওপেন হয় আর এইখানে কম বেশী ন্যুড চ্যাট করা যায় তাহলে তো বলতে হবে যে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যারা কন্ট্রোল করে তারা আমাদেরকে এইখানে হ্যারাজ করতাছে। 

অনলাইনে হ্যারাজমেন্ট বলে কোন শব্দ চলে না। তবে অনলাইনে প্রতারনা বলে একটা শব্দ আছে যা চলে সারা দেশে। অনলাইনে প্রতারকরা অনেক ধূর্ত এবং অনেক শেয়ানা। তাই ইন্টারনেটে কোন মেয়ে কোন ছেলের সাথে চ্যাটা বা এডাল্ট চ্যাট বা ন্যুড চ্যাট করতাছে তা না খুজে বরঞ্চ  নতুন নতুন কিছু   জানার চেষ্টা করুন বা প্রতিণিয়ত ইন্টারনেট থেকে কিছু না কিছু শিখার চেষ্টা করেন, বা গান শোনেন বা মুভি দেখেন।  


  


1 comment:

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl