কয়েকদিন আগে একজন তারকা বাংলাদেশের মিডিয়াতে অভিযোগ করেছেন যে- সোশাল মিডিয়া জগতে তাকে ভার্চুয়ালি ধর্ষন করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ বাংলাদেশে নতুন। উনার জ্ঞাতার্থে বলতে হয়ে যে- সোশাল মিডিয়া এবং ভার্চুয়াল ২ টা ভিন্ন জগত। সোশাল মিডিয়া থেকে মানুষ ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু ভার্চুয়াল দুনিয়ার মুভমেন্ট এবং সোশাল মিডিয়ার মুভমেন্ট কিছুটা ভিন্নতা আছে। ভার্চুয়াল জগত টা অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তা কন্ট্রোল করে বলে আমি জেনে এসেছি ছোটবেলা থেকেই। ভার্চুয়ালি যদি কেউ হ্যারাজমেন্ট হয় বা কষ্ট হয় তহালে তার ব্যাপারে খোদার কাছে অভিযোগ জানাতে হয় বলে শুনেছি কারন এইটা হয় বায়বীয় সিচুয়েশনে। আর যদি সোশাল মিডিয়া তে যদি কেউ আপনাকে ঝামেলা তে ফেলায় বা ঝামেলা তৈরী করে তাহলে তার ব্যাপারে আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন কিন্তু সেটা সাথে সাথে- র্যাব এর ডিজিটাল আইসটি আইনে বা বাংলাদেশ পুলিশের সিআইড সেকসানে। তারপরেও একটা ঝামেলা থেকে যাবে কারন আপনি স্পেফিক্যালি জানেন না যে- সে কি হ্যাকার নাকি অন্য কেউ। অনলাইনে নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারনে এবং এই সকল ব্যাপারে সঠিক ট্রাকিং না থাকার কারনে এখন পর্যন্ত অপরাধীরা পার পেয়ে যাইতাছে। যে ধরনের সফটওয়্যারে এই ব্যাপার গুলো ট্রাক করা যায় সেগুলোতে জেনুইন উইন্ডোজ থাকতে হবে এবং স্পেসিফিক ভ্যালিড আইপি এড্রেস ও থাকতে হবে। ইউরোপ আমেরিকাতে কেউ ডুপ্লিকেসি না করার কারনে কোথাও কোন অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ তাৎক্ষিনিক ভাবে তার বিরুদ্বে এ্যাকশন নিতে পারে। তো আমাদের দেশেও যদি সেই ধরনের সুবিধা থাকতো তাহলে ও অনেক দূর আগাতে পারতো অপরাধ নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা।
একটি অপরাধ সংঘটিত হবার এক বছর পরে যদি আপনি কোথাও কোন অভিযোগ নিয়ে যান তাহলে সেটার আর রেশ থাকে না। সে ব্যাপারে পুলিশ ও কখনো এগ্রেসিভ হবে না। তারা বলবে ব্যাপারটা পুরানো হয়ে গেছে। নতুন করে অপরাধীর বিরুদ্বে অভিযোগ গঠন করতে হবে। নতুন করে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে। মানুষেরে ভেতরে ঢুকে তারে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করলও আইন দেখবে যে সে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলো কিনা এবং সকল অপরাধ তার সামনে স্বজ্ঞানে হয়েছে কিনা? যদি উভয় পক্ষের সম্মতি থাকে তাহলে সেখানে কোর অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। সোশাল মিডিয়াতে যে কোন সময় যে কোন কিছু হয়ে যাইতে পারে পারহেপ্স প্রতি মুহুর্তেই সোশাল মিডিয়াতে ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে মাঝে নতুন নতুন সম্পর্ক হইতাছে- ধরতে গেলে প্রতি সেকেন্ডেই। সারারাত কথা বলে সকাল বেলাতে দেখা করা বা একেবারে রুম ডেট করে ফেলা এখন খুব সাধারন বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সোশাল মিডিয়া থেকে পরিচিত হবার পরে বাস্তবে যৌনকর্ম করে একজন আরেকজনকে ছেড়েও দিয়েছে- এগুলো এখন উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের আলোচনার বিষয়। আপনি কোন ভাবেই তাদেরকে থামাতে বা কন্ট্রোল করতে পারবেন না। আপনি যদি তাকে জিজ্ঞাসা করেন এবং সে যদি আপনার কাছে অভিযোগ করে যে - একজন মানুষ সোশাল মিডিয়া থেকে হ্যারাজ হয়েছে তাহলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটার বিরুদ্বে তাৎক্ষনিক ভাবে এ্যাকশন নিতে পারবে। ইন্টারনেটে কোন অপরাধ সংঘটিত হবার পরে যদি আপনি র্যাব পুলিশকে জানান তাহলে তারা আপনাকে বাহবা দিবে এবং যদি আপনার ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে তাহলে তারা আপনার অভিযোগটা গ্রহন করবে। আর যদি আপনার কোন ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনার অভিযোগের কোন দাম থাকবে না- বড়জোড় পুলিশ ব্যাপারটা খতাইয়া দেখতে পারে। এখন ইন্টারনেটে একটা প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে একটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে সাথে ইন্টারনেট ডেটিং বা ঘনিষ্ট হলো আর আপনি সেটা জেনে পুলিশের কাছে বা আদালতের কাছে অভিযোগ করা শুরু করলেন তাহলে আদালত প্রথমেই বিষয়টাকে ফালতু হিসাবে কাউন্ট করবে। কারন অভিযোগ করার নিয়ম ভুক্তভোগীদের। যে কেউ যাইয়া যে কোন অভিযোগ করলে কোন লাভ হবে না। কিছু কিছু স্পেফিসিক ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে হয় সরাসরি ভুক্তভোগীদের। আর যদি প্রমান থাকে এখানে যে উভয়পক্ষ সমান ভাবে সোশাল মিডিয়া থেকে করাপ্টেড হয়েছে - তাহলে উল্টা তৃতীয় পক্ষের রিবুদ্বে মানহানি মামলা করা যাবে।
সোশাল মিডিয়া থেকে অনেকে সম্পর্ক তৈরী করে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। বড়লোক দেখে মেয়েদেরকে টার্গেট করে সোশাল মিডিয়া থেকে বাস্তবে আইনা রিলেশেন তৈরী করে তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতাছে এরকম বহু কাহিণী এখণ পত্র পত্রিকাতে শোনা যায়। কি জিনিস এই ইন্টারনেট। সুদূর ১৩০০০ কিলোমিটার দূর থেকে এস স্রেফ বাঙালীর মাথা খারাপ করে দেবার মতো অবস্থা। আবার অনেক ভালো ভালো বন্ধুত্ব ও হইতাছে। সবচেয়ে মজা লেগেছে- আমাদের দেশে ম্যাক্সিমাম রাজাকারেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না মানে। আমি কয়েখজনকে চিনি ব্যক্তিগতভাবে- ফেস চেনা তারা কখনো নিজে মোবাইলে বা ল্যাপটপে বা ডেস্কটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। তাছাড়া তারা ব্যক্তিগতভাবে দেখলাম আমেরিকানদের কে অনেক ঘৃনা করে। কারন আমেরিকা ২০০১-২০০৬ সালে সন্ত্রাসের বিরুদ্বে যুদ্বে অংশ হিসাবে পা কিস্তানে অনেক পরিমান অপারেশন করে তাকে যাকে আল কায়েদা বিরোধী অপারেশনও বলা হয়ে থাকে। তালেবানা, আল কায়েদা সহ আরো অনেক শীর্ষ সন্ত্রাষী কে চিরতরে নির্মুল করে তারা অনেক বাহবা কুড়িয়েছে। ২০০১ সালের এমন দিনে পা কিস্তানে/ আফগানিস্তানে বসবাস করা আল কায়েদার সহযোগিতায় নিউ ইয়র্ক শহরের টুইন টাওয়ারে আক্রমন করে এবং প্রায় ৩০০০ লোক মারা যায় তাৎক্ষকি ভাবে। শ্রদ্বা ভরে স্মরন করি তাদেরকে যাারা বিনা কারনে এরকম এক দিনে প্রান দিয়ে গেছে। অপরদিকে ইন্টারনেট আমেরিকা থেকে আসার কারনে এ দেশের দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম রা ইন্টারনেট কে অনেক ঘৃনা করে কারন তারাও (দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম) তো পা কিস্তান কে ভালোবাসে। দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম পা কিস্তানী হবার কারনে তারা অনেক সময় পা কিস্তানের বিরুদ্বে আমেরিকার অপারেশন কে ঘৃনা করে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। কতো বড় ঘাদ্দার, বাংলার বুকে দাড়িয়ে- বাংলাতে নি:শ্বাস নিয়ে পা কিস্তান কে ভালোবাসে আর বাংলা এবং আমেরিকাকে ঘৃনা করে। দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্মেএর দেশকে একসময় সন্ত্রাসের মুকুট বলা হতো বা টেরিরোষ্টান বলে ডাকা হতো। এখনো প্রচুর পরিমানে সন্ত্রাসী দল বর্তমান। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে যখন কোন সম্পর্ক দাড়া হয় বা বিয়ে শাদীর ব্যাপারে কথা হয় তখন তারা ঠিকই নাক গলায়। ইন্টারনেট সবার জন্যই প্রযোজ্য। রাজাকারদের ফাসির আইন কার্যকর হবে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কই? আমার বাবা- মা বৃদ্ব বয়ষ্ক, তারপরেও তারা সময় পাইলেই ইমু এবং ইউটিউবে নিউজ দেখে, সময় কাটায় এবং অনেক অজানা তথ্য জানতে পারে। মেন চাইলে বসে ধর্মীয় তেলাওয়াতও শুনে। প্রজন্ম দালাল রাজাকারকে এমনও বলতে শুনেছি যে- ইন্টারনেট কোথা থেকে এসেছে তা তারা জানে না। সেজন্য তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। পৃথিভতে আরো একটা গ্রুপ ইন্টারনেট ব্যবহার করে না বা দিন রাত ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটে থাকতে পছন্দ করে না- তারা বাই সেক্সুয়াল। তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা অনেক পপুলার হবার কারনে বিশ্বের অনেক দেশে তাদেরকে দৈনিক ১৫ মিনিট সময় বেধে দেয়া হয় - তারা সেই ১৫ মিনিট সোশাল মিডিয়া দেখে বা চেক করে বা ডাটা বা তথ্য আপডেট করে।
সৃষ্টিকর্তা ইনফিনিটিভ ক্ষমতাবান। তার ক্ষমতার কোন শেষ নাই। এ বিশ্বে অনেক কিছু আছে ইনফিনিটিভ পাওয়ার ধারন করে যেমন- সমুদের্র পানি আপন কখনো শেষ করতে পারবেন না গুনে। বাতাস- যা সারা বিশ্বে ইনফিনিটিভ ক্ষমতা নিয়ে বয়ে যাইতাছে। আরো অনেক ভ্যাপার ষ্যাপার আছে যা ইনফিনিটি ধারন করে। ইন্টারনেটও একটা ইনফিনিটিভ ব্যাপার। এইখানে অনেক ধরনের ধর্মীয় আচার আচরন ও বিদ্যমান। অনেক ধর্ম নিয়ে ধর্ম বিশারদরা আলোচনা করে থাকে। সেজন্য অনেক সময় যারা নাস্তিক টাইপের বা অনেকখানে শুনেছি যারা বাই সেক্সুয়াল (তারা কিছুটা নাস্তিক টাইপের) তারা সবসময় ইন্টারনেট ব্যভহার করেত পারে না সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও। কারন এইটা একটা রিসোর্স আর এই রিসোর্স ব্যবহার করে অনেকেই অনেক ভালো আছে। ইন্টারনেটে অনেক ভালো ভালো কাজও হয়।
সোশাল মিডিয়া তে মিস বিহেভ বা সামান্য মেলামেশাতে যদি আপনার মাথা ব্যথা করে তাহলে এডাল্ট ক্যাম ওয়ার্ল্ড বা পর্নো জগতে যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী মেয়েদের ফটো বা ভিডিও আপরোড করতাছে ন্যুড বা পর্নো টাইপের - তাদের বিরুদ্বে আগে এ্যাকশন নিতে হবে। কারন তারা অভিযোগ ছাড়াই বাংলাদেশের আইন ভেংগে ফেলাইছে। সো তাদের বিরুদ্বে ডিজিটাল এবং বাস্তব এ্যাকশন নেওয়া উচিত কারন তারা প্রতিনিয়ত এডাল্ট সেকাসনে তাদের বেডরুমে সংঘটিত যৌনকর্মের ভিডিও আপলোড দিয়ে যাইতাছে এবং দেশের আইনের প্রতি বৃদ্বাংগুলি দেখাইয়া যাইতাছে। অনেকে আছে কোন ধরেনর প্রোগ্রামিং জানা ছাড়াই বা স্টাডি করা ছাড়াই জ্ঞান ফলারো শুরু করে। ব্যাঙ কে যদি আপনি পুকুর থেকে সাগরে ফালাইলে যে রকম খুশী হবে প।লাস লাফ পারবে সেরকম করা শুরু করে কিছু কিছু লোকজন। তােরা মনে করে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাদের কে কোন লিখিত বা প্রজ্ঞাপন আকারে কোন দ্বায়িত্ব দিয়ে দিছে ইন্টারনেটের ব্যাপারে নাক গলানোর জন্য বা যে কাউকে ইন্টারনেটে হ্যাক বা তথ্য পাচার বা আরো যা যা খাারপ কিছু আছে তা করার জণ্যই। পারলে আপার মুখের সামের বলে বসবে যে- তারাই জুভি ইন্টারনেট কন্ট্রোল করে। আজকে যদি সাগরের উচ্চতা কয়েক সেন্টিমিটার বেড়ে যায় তাহলে যেভাবে জোয়ারের পানি বাংলাদেশের ভেতরে ডুকে ২০/২৫ জেলাকে প্ল্যাবিত করবে, ইন্টারনেটে ডাটা ব্যাংক বা তথ্য গতি তার চেয়ে ও জোড় গতিতে প্রবেশ করবে প্রতি সেকেন্ডে। এইটাকে কন্টো্রল করার মতো ক্ষমতা নাই বিশ্বের কারো। কিছু নিয়ম নীতি তৈরী করা যাইতে পারে যার আলোকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাইতে পারে। যেমন - বিশ্বের অনেক জেলে (যে সকল জেলে ইন্টারপোলের কাভারে বা আন্তর্জাতিক মানে) যাার দীর্ঘ দিনের বন্দী সাধঅরন তাদের জন্য সপ্তাহে ১৫ মিনিট থেকে প্রায় ১ ঘন্টা সয়মকাল ইন্টারনেট ব্যভহারের জন্য বলে দেয়া আছে বা আইন করা আছে। বাংলাদেশের দুইটা জেলকে আন্তর্জাতিক মানের বলা যায়- ১) কেরানীগঞ্জ এবং ২) কাশিমপুর।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি ভলতে পারি ধর্মভিত্তিক মুসলিম বাংলাদেশে স্ট্রেইট সেক্সুয়াল অলিয়েন্টেশন ছাড়া আর কোন প্রকারের সেকসুয়াল অরিয়েন্টেশন কে এলাও করা হয় না। তো সেই ভাবে যদি এর মাঝে কেউ বাই টাইপের হয়ে থাকে গোপনে- তারা যেনো দৈনিক ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রাপ্ত বয়স্কে আই সেকসুয়াল প্রজন্ম কে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘৃনা করি ঠিক যে রকম ঘৃনা করি এ দেশের দালাল রাজাকার প্রজন্ম কে সেরকম। আমি ডেফিনিট শিওর- যারা বাই তারাও ঠিক মতো জয় বাংলাবলতে পারে না। সোশাল মিডিয়াতে তাদের এক্টিভিটিজ আছে অনেক। তাদের কারো সাথে যে কোন ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে খুবই সাবধান। আমি মনে করি প্রাপ্তবয়স্কে বাই সেকসুয়াল টাইপের মানুষজন বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে হ্যারাজমেন্টও।
জয় হোক শুভ বুদ্বির, জেয় হোক শুভ চেতনার।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl