আমাদের দেশে ইন্টারনেটে এখন অন্যতম আতংক হ্যাকার গ্রুপ। যারা হ্যাকার তাদের মেন্টালিটি ঘাটলেই বোঝা যায় তারা মানুষের জাতের মধ্যে পড়ে না। উন্নত বিশ্বে প্রোগ্রামারদের মধ্যে এই নেগেটিভ প্রোগ্রামিং এর আয়োজন করা হয় মাঝে মাঝে জানার জন্য যে একটি জাতি বা একটি দেশ বা একটি শহর বা একটি বিভাগে যে ইনফরমেশন টেকনোলজী ইন্ডাষ্ট্রিজ আছে সেখানে কি কি ধরনের হ্যাক হতে পারে - তা জানার জন্য। যেটাকে উন্নত বিশ্বে হ্যাকাথন বা তাদের ব্যবহৃত প্রোগ্রাম গুলো কি কি ধরনের হতে পারে তা জানার চেষ্টা করা হয়। তা দেখে- বাংলাদেশের কিছু উজবুক যদি মনে করে যে- হ্যাকার রা বৈধ আর সে কারনে তারা সমানেই হ্যাক করে যাবে - তাহলে তাদের চেয়ে মগা এবং দাগী আসামী আর কখনো জন্মাবে না। একজন আইনের লোকের সাথে কথা বলে জানা গেলো- কেউ যদি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংকে হ্যাক করার চেষ্টা করে- রাষ্ট্রীয় সেনসিটিভ ইস্যু হবার কারনে তার সব্বোর্চ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। কারন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। কোন রাজনৈতিক দলও যদি সেটাকে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে তবে তাদের জন্য একই শাস্তি বলবৎ থাকবে। কারন এইটা কোন বৈধ কাজ না। বাংলাদেশ সরকারের দনডবিধিতে হ্যাকারদের বিরুদ্বে আইন আছে। হ্যাকারদেরকে ধরতে পারলে নূন্যতম ৭ বছরের শাস্তির বিধান আছে। এখন যদি আপনি মনে করেন যে- হ্যাকাররা বৈধ- তাহলে আপনি ভুল করবেন। কারন এ সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইন ও আছে। যদি ধরতে পারে তাহলে স্বাক্ষাৎ জেল। আর যদি ধরতে না পারে তাহলে বাংলাদেশীদের অভিশাপ থাকবে সারা জীবন- কারন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক - এই দেশের ১০ কোটি ভোটারের সম্পদ। আমার মতে- হ্যাকাররা এক ধরনের চোর। কারন তারা প্রকাশ্য দিবালোকে টিভি ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে বলতে পারবে না যে - তারা হ্যাকার। কারন তারাও জানে যে- তারা অপরাধী।এখণ যদি কেউ অন্য কারো ফেসবুক একাউন্টও হ্যাক করে থাকে তাকেও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় আনা হবে। তাৎক্ষনিত ভাবে আপনি যদি অভিযোগ করেন আর আপনি যদি ধরা পড়েন হ্যাক করে- তাহলে আর উপায় নাই মেথড এ চলে যাইতে হবে। আপনি যদি মিনিমাম হ্যাকার ও হন আর তথ্য প্রযুক্তি আইন কে বুড়ো আঙুল দেখাতে চান তাহলে আপনি নিজে বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি সকসান এবং বা বাংলাদেশ র্যাব এর ডিজিটাল তথ্য প্রযু্ক্তি সেকসানে জানান- তাহলে আপনি বূজতে পারবেন যেেএইটা বৈধ বা অবৈধ? আমাদের বাংলাদেমেল সমাজে আগে যেমন চোর রা চুরি করতো বা চুরি করে বসবাস করতো সে রকম হ্যাকারদের কেও আমি চোর বলেই অভিহিত করবো কারন তারা কখনো নিজেদের অরিজিনাল নাম ঠিকানা প্রকাশ করে না? বাংলাদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে- “চোরের কোন ধর্ম নাই”। সো সেই হিসাবে বলা যায় যে- আমাদের দেশের হ্যাকারগুলো এক ধরনের নাস্তিকও কারন আমরা সবাই জানি নাস্তিক বলা হয় যার কোন ধর্ম নাই তাকে।
আমাদের দেশে হ্যাকারদের কে এক প্রকার ঘৃনা করা হয়। কারন হ্যাকরার আমাদের জন্য আতংক। আমরা অলওয়েজ তাদেরকে নিয়ে একটা আতংকে থাকি। যারা এক্সপার্ট তারা কোন ভয়ে থাকে না। আগে যখন হ্যাকিং হইতো তখন ইন্টারনেটে সিকিউরিটি সিষ্টেম অনেক দুর্বল ছিলো। ফলে সহজেই হ্যাকারার পার পেয়ে যাইতো। নরমালি পাসওয়ার্ড মেক করে সেটা মনে রাখতে হতো। আবার লিখে রাখলেও কোথাও না কোথাও চুরির ভয় থাকতো। কিন্তু এইভাবে মনে রাখা ঠেকানোর জন্য ওয়েবসাইট বা এ্যাপ বা সফটওয়্যার রিলেটেড পাসওয়ার্ড মেকিং শুরু হলো। সেখান থেকে পাসওয়ার্ড হ্যাকিং শুরু হলো। অনবরত হ্যাকিং এর নিউজ। আর মাঝে মাঝে সারা বিশ্বে ব্যাংক হ্যাকিং এর নিউজ ছিলো ২০১১ পর্যন্ত নিয়মিত আপডেট। ২০১১ সাল থেকে ব্যাপারটা অনেক আপডেট হয়ে গেলো- ২ ফ্যাক্টর অথেনটিকেশণ সিষ্টেম পাসওয়ার্ড চালু হবার পরে অনেকেই হাফ ছেড়ে বাচলো। মোবাইল ভেরিফিকেশন সিষ্টেম বর্তমানে ইন্টারনট ব্যবহারকারীদেরকে অনেক সেফ রেখেছে। আরো এসেছে ফেইস আইডেণ্টফিকেশন, ফিংগারপ্রিণ্ট আইডেন্টিফিকেশন, কিউ আর কোড, অথেনটিকেশণ- এই ধরনের উন্নত প্রযুক্ত এখণ সবকিছুকে একেবারে বিশাল শক্তিশালী করে রেখেছে। আমি একবার ২০০৬ সালে আমার প্রথম ফেসবুক একাউন্ট টা হারিয়েছি। আমার প্রথম ফেসবুক একাউন্টে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি বন্ধু/গ্রপ/ফ্রেন্ড কানেকশন ছিলো প্রোফাইলটাতে (তখণ ৫০০০ বন্ধুর মতো কোন লিমিটেশন ছিলো না) । আর সেটা থেকেই যুগোপযুগী অনেক কাজের সাথে জড়িত হই। সে একাউন্ট টা হ্যাক বা হারানোর মূল কারন ছিলো: একটা ইন্টারনেটরে আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকা- নাম: Want Punishment Liberation war criminal of Bangladesh.২০০৩ সালে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের গ্রুপের সাথে জড়িত থাকার কারনে একটা থ্রেড খাই যে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হবে। আমি একটু ভাবনায় পড়ে গেলাম। সাথে সাথে প্রায় সেইম নাম দিয়ে আরেকটা ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করে সেই গ্রুপের সাথে নিজেকে এড করাইয়া রাখি যাতে প্রথম একাউন্ট টা হারাইয়া ফেলাইলে দ্বিতীয় একাউন্ট দিয়ে কাজ চালাতে পারি। অনেক হাত ঘুরে সেই প্রথম একাউন্ট টা এখনো একটিভ আছে এবং সেই একাউন্ট টা ঠিকই হ্যাক হয়। চট্রগ্রাম থেকে একজন ইন্টারনেট হ্যাকার আমাকে থ্রেড দিয়ে আমার প্রথম ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে। আমি তখন দ্বিতীয় একাউন্ট রান করা শুরু করি এবং সেটা আজো একটিভ আছে। আমার এখন কার একাউন্টের বয়স ধরতে গেলে ১৩ বছর + মাসুদবিসিএল বা masudbcl পরে এই আন্দোলণ টাই সফলতার মুখ দেখে- থানা শাহবাগে র গনজাগরন ২০১৩ সালে- যা সারা বিশ্বে এক বিরাট বিস্ময় হয়ে আছে। ৪৩ বছর পরে প্রকাশ্য দিবালোকে দেশদ্রোহীদের/দালাল/রাজাকারদের ফাসিতে ঝুলাইয়া দেয়া সম্ভব হয় জয় বাংলার ক্ষমতাবলে।
আজকে এতোদিন পরে আইসা দেখি (২০ বছর ব্যবহার করার পরে) ফেসবুকের বেটা টেষ্টিং ফেইজ শেষ হয়েছে। আমার প্রথম একাউন্টটাতে অনেক অনেক বন্ধু ছিলো। পৃথিবীর সব বড় বড় ফেসবুক গ্রুপের সাথে যোগাযোগ ছিলো এবং আমি সদস্য ছিলাম। অনেক অনেক বেশী মজা করতাম। লক্ষ লক্ষ মেয়ের সাথে পরিচিত হয়েছি ফেসবুক থেকে। তাদের কথা যেমন আজো আমার মনে আছে- আমি নিশ্চিত তাদেরও আমার কথা একইভাবে মনে আছে। ফেসবুক ডট কম থেকে বাস্তবে পরিচিত হয়ে বা ইন্টারনেট লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা যে কতো মজা করেছি, হ্যাং আউট করেছি- তা এখনকার সময়ের পোলাপানেরা করতে পারে নাই- এইটা আমরা ১০০% নিশ্চিত। তখন কার দিনে এতো রাফ টাফ ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করা যাইতো না। পর্নোগ্রাফি বা ন্যুডিটি এলাও ছিলো না। গনজারগন চলাকালীণ সময়ে সারা বিশ্বের জন্য একটা আইনের কথা শুনেছি- "Picture method fu....ing system is not available for this country of Bangladesh." তারপরে আমি অনেক ভেবে চিন্তে সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা শুরু করি কারন আমি আমার এখনকার রানিং একাউন্ট টা হারাতে পারবো না। তাছাড়া আমি মূলত আমার ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কাজের জন্যই ব্যবহার করে থাকি ফেসবুক সহ অণ্যান্য সকল সামাজিক যোগাযোগের জন্য। মাঝে মাঝে আপডেট দেই। বিগত ২০ বছর আমি বুঝিই নাই লাইক বা ফলোয়ার এর কি ব্যাপার? আমি আমার পারসোনাল কোন বন্ধুদেরকে এলাও ই করি নাই আমার ফেসবুক প্রোফাইলে। মাঝে ভালো সময় মতো আমার আইডিটা ১০০% ভেরিফায়েড করে নেই। এখন আর একাউন্ট নিয়ে তেমন ভয় পাই না। কিন্তু এখন একাউন্টে অনেক বন্ধুরা এবং পরিচিত জনরা এড হইতাছে- সেজন্য কোন ছবি দিলে মোটামুঠি ৪০/৫০+ লাইক আসে। আমার পরিচিত বন্ধুর সংখ্যা বড়জোড় ২০০-৩০০ এখন। আস্তে আস্তে সারা বিশ্বের ফ্রেন্ডরা যারা একাউন্ট হারাবে তাদের ছবি এবং ফ্রেন্ড শীপ রিমুভ করে নতুন বন্ধুদেরকে এড করে নেবো।
হ্যাকার হতে পারে কিন্তু ট্যালেন্ট।
যত্ন করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাকিং হওয়া টাকা রিটার্ন আসতে পারে।
পত্র পত্রিকা পড়ে যতো ধরনের হ্যাকার দেখেছি তাদেরকে নিম্নের কয়েক টা ভাগে ভাগ করা যায়:
- রেমিটেন্স হ্যাকার
- রিজার্ভ হ্যাকার
- ব্যাংক হ্যাকার
- প্রাইভেট ব্যাংক হ্যাকার
- ব্যাংক একাউন্ট হ্যাকার
- ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার
- ডিভাইস হ্যাকার
- এটিএম হ্যাকার
একবার ২০০৭ সাল ইন্টারনেটে বসে কাজ করতেছিলাম। এক আফ্রিকান ছেলে আমাকে একটা নোটপ্যাড দিলো ইন্টারনেটে। আমি সেটা রিসিভ করে দেখি - হাজার হাজার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার যা তাদের দোকানে ব্যবহৃত পজ মেশিন থেকে সে কালেক্ট করেছে। আমি বললাম এইটা তুমি আমাকে দিলা কেনো? তো সে বলতাছে- সে গরীব মানুষ। আমার দ্বারা সে উপকৃত হয়েছে। এই নোট প্যড টা থেকে আমি যখন যেই ক্রেডিট কার্ড নাম্বার মনে চায় সেটা নিয়ে ইন্টারনেটে বা অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবো। তখনো পর্যন্ত অনলাইনে ডলার উপার্জন করা এবং সেটা কে ইন্টারনেট ব্যাংকে নিয়ে আসা এবং সেটাকে পরিবর্তন করে নগদ টাকাতে কনভার্ট করা- সেটাই ছিলো ইন্টারনেটে মানি সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা। তখন ক্রেডিট কার্ড পাওয়া এবং সেটা ইন্টারনেটে ব্যবহার করা এ যেনো বিরাট এক স্বপ্ন িছিলো- কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে আমি সততা বজায় রেখে চলি। তাই সেই আফ্রিকান ছেলেটার সেই নোটপ্যাডটা আমি কম্পিউটার থেকে ডিলেট কের দিয়ে তাকে বললাম যে- ভাই এইগুলো চুরি। আশা করি আপনি আর কখনো ইন্টারনেটে এগুলো বিলাবেন না আর আপনার দোকানের বা শো রুমের পস মেশিনের ডাটাবেজেও হাত দিবেন না। এই ঘটনা থেকে একটা জিনিস শিখলাম যে- যে সকল শো রুমে পস মেশিনে কার্ড এক্সেস করতে বলে সেই সকল শো রুমের পস মেশিন গুলো যদি ডিভাইস হ্যাকারদের কাছে যায় তাহলে তো নিশ্চিত ধরা এবং এইজন্য অনলাইনে কেনা কাটার কার্ড গুলোতে খুব বেশী পরিমান টাকা রাখতে হয় না। যতোটুকু দরকার ততোটুকু লোড করে রাখলেই এনাফ। ধরেন আপনার একটা ক্রেডিট কার্ড আছে যেখানে আপনি বিশাল অংকের টাকা লোড করে রেখেছেন। তো আপনি সেই কার্ডটা এয়ারপোর্টে বা বিভিন্ন খানে এক্সস করলেন। তাতে আপনি যে কোন এক সময় পস মেশিনের কি বোর্ডে আপনার গোপন পিন নাম্বারটা ব্যবহার করেছেন। তখন সেই ডিভাইসটাতে যে কোন একখানে গোপন পিন নাম্বারটা সেভ হয়ে থাকার কথা- একোবার আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন না?
ইদানীং কালের একটা ইউটিউব ভিডিওতে দেখলাম যে কিভাবে এটিএম মেশিন হ্যাক করে সমানে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করতাছে। দেখে আমি একটু হতবাক হয়েছি যে এইটা কিভাবে সম্ভব? ইন্টারনেটে হ্যাকারদের কাছ থেকে দূরে থাকার প্রধান উপায় হলো কোন অপরিচিত লিংক ওপেন না করা, কোন অপিরিচিত ইমেইল ওপেন না করা এবং অপিরিচিত ইমেইলে থাকা লিংক কে ওপেন না করা। ইউটিউব, উইকিপিডিয়া বা পরিচিত বা ট্রাস্টেড বিশ্বব্যাপী সেরকম লিংক গুলো আপনি ওপেন করতে পারেন। খুব সহজ কোন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। অতি অবশ্যই মোবাইল নাম্বার দ্বারা ভেরিফিকেশন সিষ্টেম ব্যবহার করবেন। এমন ভাবে সেটিংস থেকে সব ওয়েবসাইটের ফাংশন একটিভেট করবেন যাতে যতোবার আপনি লগইন করবেন ততোবার আপনার মোবাইলে কোড নাম্বার আসবে। সেই কোড নাম্বার ছাড়া আপনি সেই ওয়েবসাইটের একাউন্টে লগ ইন করতে পারবে না। আমার মতে যতো ব্যাংক আছে এবং যতো ব্যাংক অফিসার আছে তারা যদি এই মোবািইল ভেরিফিকেশন সিষ্টেম ব্যবহার করে তাতে করে রিস্ক অনেক কমে যাবে। মোবাইল ভেরিফিকেশণ সিষ্টেমের এই একটা সুবিধা যে আপনি চাইলেও আপনার মোবাইলে কোড না আসা পর্যন্ত সফটওয়্যারে লগইন করতে পারতাছেন না। আবার পাইরেটেড উইন্ডোজ এর মধ্যে আপনি এন্ট্রি ভাইরাস দিয়ে রাখেন সেটা হবে হ্যাকারদের আড্ডা। যদি মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সিষ্টেম চালু থাকে তাহলে আপনি যতোবার কম্পিউটার থেকে উঠে যাবেন ততোবারই আপনি কুকিজ বা টেম্পোরারী পাসওয়ার্ড পরিস্কার করে উঠবেন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কল্যানে হ্যাকাররা একোবরে আইএসপি পর্যন্ত অবস্থান করে। সো আপনি যদি সফটওয়্যারে লগইন করার সময়ে নিজেই নিজের পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা কুকিজ বা টেম্পোরারী পাসওয়ার্ডে থেকে যাবে। ফলে হ্যাকাররা সহজেই আপনি সফটওয়্যারে প্রবেশ করার সাথে সাথেই তারা ও প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু আপনি যদি মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই সিষ্টেম টা অন রাখেন তাহলে আপনি লগইন করার পরে আপনার মেশিন থেকে কুকিজ কালেক্ট করে যখন হ্যাকাররা লগইন করতে যাবে তখণ তার মোবাইল ভেরিফিকেশনের খপ্পড়ে পড়বে। ফলে তারা আর আপনার ইউজার নেম দিয়ে ব্যাংকের সফটওয়্যারে ঢুকতে পারবে না আর আপনার ইউজার নেম এর এগইনেষ্টে কোন হ্যাকের রেকর্ড ্ও এড হবে না। এই ব্যাপারে স্থানীয় আইএসপি ব্যবসায়ীদের সাথেও হ্যাকারদের সংযোগ থাকতে পারে। কারন কোন হ্যাকার গ্রুপ যদি কোন ব্যাংক কে টার্গেট করে তাহলে প্রথমে সে দেখবে যে কোন ব্রডব্যান্ডের আইএসপি ব্যবহার করতাছে আর তাদের ডিটেইলস টা কি? রাস্তার পাশে গড়ে উঠা আইএসপি বা যত্র তত্র তারের সংযোগে আইএসপি এর ডিভাইস হ্যাক করা মনে হয় না এক্সপার্ট হ্যাকারদের জন্য কোন ব্যাপার। আমি অনেক সময় ব্যাংকে গেলে দেখি যে- ক্যাশ অফিসার রা তাদের ষফটওয়্যারে সরাসরি লগইন করতাছে। কিন্তু একটু আগে সে তার ডেস্কে বা ডিভাইসে ছিলো না। সে সময়ের মধ্যে যদি হ্যাকার এসে বসে থাকে তাহলে সে আপনি আপনার সফটওয়্যারে পাসওয়ার্ড দেবার সাথে সাথেই কুকজি বা টেম্প ফাইলের মাধ্যমে সেও পেয়ে যাবে। যতোদূর জানি - যে কোন পাসওয়ার্ডই টেস্প ফাইলের রুপ নিয়ে থাকতে পারে।
আমি দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারনে হ্যাকারদের কিছু কিছু আচরন ধরতে পারি। আমার জীবনে আমি হ্যাকিং রিলেটেড কোন প্রোগ্রাম শিখি নাই। কিন্তু অন্যান্য প্রোগ্রাম শিখার পরে আমি অনেক সময় বুঝতে পারি যে- তারা কোন ধরনের আচরন করে। আমি দেখেছি আমার ডিটেইলস যখন হ্যাক করার চেষ্টা করতো তখন তারা আগে থেকে আমার ডেস্কটপে আইসা ঘাপটি মাইরা বইসা থাকতো। পরে আমি যখন কম্পিউটারে বসতাম ২০০৬-২০১১ পর্যন্ত আমি ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট করে ১০০ সেকেন্ডস অপেক্ষা করতাম বা পোষ্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করতাম। ৪ সেকেন্ড ডিভাইসের পাওয়ার বাটন ধরে রাখতাম এবং ১০০ সেকেন্ডস পরে কম্পিউটার বা ইন্টারনটে নরমালি ওপেন করতাম। বাংলাদেশে হ্যাকিং ঠেকানোর প্রথম এবং প্রধান উপায়- বিশ্বমানের নিজস্ব অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করা। তাতে যারা হ্যাকার তারা প্রথমে অপারেটিং সিস্টেমের গ্যানজামে পড়বে। তারপরে সেটার সাথে কম্পাটিবল করে ভালো ইন্টারনেট সিষ্টেম ডেভেলপ করা। রাষ্ট্রায়ত্ত শুধু ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য একটা আলাদা টপ সিকিউরড ইন্টারনেট সিষ্টেম ব্যবহার করা যেমন বাংলালায়নের মতো। ওয়াই ফাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সিষ্টেম। আপনি যদি সহজ সরল রাস্তার পাশের অবস্থান করা আইএসপি দিয়ে সরকারি ব্যাংক এর ইন্টারনটে চালান তাহলে তো আপনার ব্যাংকের হ্যাকিং কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারন সহজ সরল মানের আইএসপি গুলো থেকে যে কোন উপায়ে হ্যাকার রা কানেকশন ডিটেইলস জেনে আপনার ব্যাংকের সফটওয়্যারে ঢুকা একদম ই সহজ। আর যদি একবার ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে পারে আর ডলার বা রিজার্ভ চুরি করতে পারে আর নিয়মিত সেটা পরিবর্তন করে ডলারকে বাংলা ক্যাশ করে বলবে রেমিটেন্স আর টাকা কে ডলারে মেক করে বলবে সুইফট ট্রানজকেশন বা ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রানজেকশন। এই্ভাবে রাষ্ট্রীয় হিসাব নিকাশ পরিবর্তন করা একেবারে ওয়ান টু এর ব্যাপার ই হ্যাকারদের কাছে।
তো জনজীবনে হ্যাকারদের অত্যাচার অনেক । কিছুদিন আগে ডিবিবিএল এর বুথে যাইয়া দেখি হ্যাকারদের ভয় রিলেটেড নোট টাংগাইয়া রেখেছে। তখন বুঝতে পারলাম যে এই দেশের ইন্টারনেট ব্যবহার ওকে নাই - সেই জন্য তারা এখনো হ্যাকারদের খপ্পড়ে পড়ে বা ভয় পায়। আপনারা আগে সিষ্টেমের ডেভেলপ করেন- হ্যাকাররা আপনার বালও ফালাইতে পারবে না। আর যদি আপনি ইচ্ছা করে সিষ্টেম লস রাখেণ বা ইনসিকিউরড রাখেন তাহলে বোঝা যাবে যে- সেখানে আপনারও শেয়ার আছে বোধ করি। আগে নিজে ভালো তো জগত ভালো। আপ ভালো তো জগত ভালো। সো জনজীবনে হ্যাকারদের ভয় না দেখিয়ে আপনার টোটাল সিষ্টেম ওকে করে ফেলান এবং গোপন তথ্যাদি গোপন রাখার চেয়ে যে সকল ভেরিফিকেশন সিষ্টেম আছে সেগুলোই ব্যবহার করেন। হ্যাকারকে আপনি এক্সস দিলেই তারা এক্সেস পাবে। তারা যেনো এক্সেস না পায় সেই ভাবে আপনার ইনফ্রাষ্ট্রাকচার সাজাতে হবে। তাতে আপনি দুই নাম্বারি করলেও আপনার সিষ্টেম দুই নাম্বারি করবে না। আশা করি এ যাবত কালে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল ধরনের হ্যাকার দের আইনের আওতায় আনা যাবে। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে তাদেরকে তাদের প্রাপ্য শাস্তির ব্যবস্থা করেত হবে এবং হ্যাককৃত এমাউন্ট কে ফেরত আনতে হবে। যে কোন একটা মহল মাষ্ট বি জানে যে - কে বা কারা হ্যাক এর সাথে জড়িত? কারন ইন্টারনেট, সফটওয়্যার, ডিভাইস , অপারেটিং সিষ্টেম এইগুলো সব চলে ০ এবং ১ বাইনারি মেথডের মাধ্যমে । সো যারা হ্যাক করেছে তাদের ট্রেসিং আছে। শুধু সত ইচ্চাটাই যথেষ্ট।
আপনি যদি জেনে থাকেন কেউ একজন হ্যাকার এবং আপনার কাছে যদি সুনির্দিষ্ট প্রমান থাকে তাহলে আপনার প্রথম দ্বায়িত্ব হইতাছে সেটা আইন ও পুলিশ কে জানিয়ে দেয়া। আর দ্বিতীয় দ্বায়িত্ব হইতাছে তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা। বাংলাদেশে ইন্টারনেটে যে কোন হ্যাকারদের বিরুদ্বে আইন আছে। সো আপনি যদি তাকে জেনে শূনে সাহায্য করে থাকেন তাহলে আপনিও আইনের চোখে আসামী। বাংলাদেশে সব ধরনের গোয়েন্দা বা পুলিশ যেহেতু হ্যাকারদের বিুরদ্বে একজোট আছে সো আপনার যদি কিছু জানা তাকে তাহলে আপনি অতি অবশ্যই র্যাব এর ডিজিটাল আইসসিটি সেকসানে জানাবেন, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি সেকসানে জানাতে পারেন বা বাংলোদেশ পুলিশের ৯৯৯ এর সাাহয্য নিতে পারেন বা তথ্য প্রযুক্তি আইনের সাহায্য নিবেন।
(ভালো লাগলে পার্ট ৪ আসবে )
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl