Translate

Friday, September 25, 2020

ইন্টারনেটের কারনে জনজীবনের পরিবর্তন। মোবাইল ব্যাংকিং।

 মোবাইল ব্যাংকিং বলতে উন্নত দেশে এ্যাপ ভিত্তিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে বোঝানো হয়। যেমন: পেপাল মোবাইল। একজন আরেকজন কে পেপালের মাধ্যমে মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে লেনাদেনা করা হয়। ইমেইলের মাধ্যমে মানি রিসিভ এবং সেন্ড করার পদ্বতির নাম হইতাছে পেপাল বা এই রিলেটেড ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্বতি। বাংলাদেশ অবশ্য তার চেয়ে এক ডিগ্রী বেশী আগে। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর নামে একটা মোবাইল নাম্বারের বিপরীতে ব্যাংখ একাউন্ট ওপেন করার সুযোগ দেয়া হয় যার নাম রকেট বা বিকাশ। রকেট বা বিকাশে যদি আপনার একটা একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে যে কোন ব্রাক ব্যাংকের  এটিএম এ বা রকেটের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম এ যাইয়া নগদ খ্যাশ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

আপনি যে ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংক ব্যবহার করে থাকেন সে ব্যাংক আপনাকে এই সেবা বা ফ্যাসিলিটিজ দান করে থাকে। তবে আপনি ব্রাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক এর একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যাংকরে এটিএম এ যাইতে হবে। তারপরে সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং লেখা বুথ টাকে সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে মোবাইল ব্যাংকিং বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। তারপরে সেই নাম্বার রিলেটেড যেমোবাইল  ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করেছেন সেই একাউন্টের সাথে রিরেটেড পিন নাম্বার দিতে হবে। ভয় নাই যে আপনার পিন নাম্বার কেউ চুরি করে নিবে না। তারপরে আপনার কাংখিত এমাউন্ট টা দিতে হবে যেটা আপনি তুলতে চাইতাছেন। তারপরে আপনার মোবাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সফটওয়্যার বা সার্ভার থেকে একটা মোবািইল কোড নাম্বার কল করে জানাতে হবে যেটা আপনি আনপার সামনে থাকা এটিএম বুথের স্ক্রিনে দিবেন। তারপরে আপনি কনফার্ম করবেন। তারপরে আপনার কাচে একটা ম্যাসেজ আসবে যে আনপরা একাউন্ট থেকে এতো পরিমান টাকা কাটা হচ্ছে। তারপরে আপনার ক্যাশ ট্রেতে আপনি টাকা দেখতে পারবেন।সেটা কারেক্ট করে গুনে নিবেন। তবে এইখানে যদি কখনো ছেড়া বা কসটেপ দেয়া টাকা পড়ে সেটা পাল্টানেরা জন্য আপনাকে কেয়াল রাখতে হবে যে- আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং করে থাকেন তাহলে আপনি ভ্যাংকের ব্রাঞ্চের নীচে থাকা এটিএম বুথ থেকে করবেন। তাতে আপনার ক্যাশে কোন সমষ্যা থাকলে আপনি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। 

এখণ আপনি যদি একজন অশিক্ষিত আর নিরক্ষর মানুষ হয়ে থাকেন আর মনে মনে চিন্তা করে থাকেন যে- এটিএম বুথ থেকে আপনি কিভাবে কার্ড ছাড়া টাকা তুললেন - তাহলে তো আপনি ব্যাংক, ব্যাংকের সিষ্টেম এবং এ সংক্রান্ত সবাইকে অস্বীকার করলেন। এইটা তো সরকার নির্ধারিত পদ্বতি। আর আপনি আহামরি এমন কেউ হয়ে উঠেন নাই যে সরকার  নির্ধারিত পদ্বতিকে আপনি সহজেই হ্যাকার বলে উঠবেন আর মনে করবেন যে তারা হ্যাকার। যারা বিকাশের সুবিধা ব্যবাহর করে সারা দেশের ব্রাক ব্যাংকের এটিএম থেকে বা যে সকল ব্যাংক  মোবাইল ব্যাংকিং এবং এটিএম সুবধিা দেয়া থাকে সে সকল ব্যাংকে আপনি কার্ড ছাড়াই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে টাকা তুলবেন সেখানে আপনি কোন ধরনের হ্যাকং এর সাথে জড়িত না। নীচের ভিডিও দুইটা দেখলে আপনার সকল ভুল ধারনা ভেংগে যাবে যে - ক্রেডিট কার্ড বা ডেবটি কার্ড ছাড়াও বাংলাদেশে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। 


আর এটিএম থেকে কিভাবে বিকাশ এর গ্রাহকেরা ক্যাম আউট করবেন সেই ব্যাপারে বিকাশের ওয়েবসাইট এবং ডিটেইলস নিয়মটা ণীচে দেয়া হলো।  BKash Cash Out From ATM

এ সংক্রান্ত একটা কাহিণীর কথা মনে হলো। [ কাহিণীটার সত্য মিথ্যা যাচাই না করে ফ্যাক্ট টা চিন্তা করবেন আশা করি। কাহিণীর সাথে বাস্তাবের কোন মিল নাই] আমাদের বাংলাদেশের একদল ফ্রি ল্যান্সার একবার একটা ফরেনার গ্রুপকে ইন্টারনেটে কাজের জন্য  হায়ার করলো। ইন্টারনেটে কাজের যে কেউ যে কাউকে হায়ার করতে পারে যারা কাজের জন্য আবেদন খুজতাছে বা করতাছে।তো সেই গ্রুপটার কাজ সংক্রান্ত অনেক পেমেন্ট ডিউ ছিলো। ঘটনাক্রমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মার্কেটপ্লেস রিলেটেড এসাইনমেন্ট কাজ করতেছিলো। তো তারা কয়েকজন মিলে ইন্ডিয়া ঘুরতে আসে এবং বাংলাদেশের তাদের ট্রানজিট হয় বিমানের কয়েক ঘন্টা। তখন হঠাৎ করে তারা মনে করলো যে - তারা তো বাংলাদেশে আর তাদের বায়ার রা বাংলাদেশী। বাংলাদেশী বায়ারদের মোবাইল নাম্বার তাদের কাছে ছিলো। তাই তারা এয়ারপোর্টে নেমে কল দিয়ে বসে যে তারা বাংলাদেশে এবং তাদের এক্ষুনি পেমেন্ট দরকার। তো ঘটনাক্রমে সেই গ্ররপটা ঢাকা থেকে বাহিরে ছিলো। তো তারা বললো আমরা তোমাদেরকে মার্কেটপ্লেসে ডলার এ পেমেন্ট দিতে পারবো। তো ফরেনার রা বলথাছে যে আমাদের এই দেশের লোকাল কারেন্সী দরকার। তখন বাংলাদেশীরা বললো যে - তুমি তোমার ধারে কাছে এটিএম এ যাও। আর মোবাইল ব্যাংকিং অপশন সিলেক্ট করো। সে সিলেক্ট করলো। তারপরে বললো একটা নাম্বার দাও। বাংলাদেশী বায়ারের যে মোবাইল নাম্বার- সে নাম্বার দিলো। তারপরে কোড রিসিভ করে কোডটাও দিতে বললো। বাংলাদেশী বায়ারের কাছে দুইটা মোবাইল কানেকশন। ১) ফরেনারের সাথে কথা বলতাছে  ২) আরেকটা তে ব্যাংকের সার্ভারে কানেক্টেড। তো সেই ফরেনার কোড নাম্বার পাইলো। নির্দিষ্ট সংখ্যক এমাউন্ট ও দিলো। আর উইথড্র থেকে ক্যাশ পেয়েও গেলো। আর  ব্যাংকের সার্ভারে সেটা দেখে ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকার বা ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার নামও দিয়ে বসলো। অথচ ফরেনার রা কিন্তু তাদের পাওনা টাকাই নিলো। এইটা সত্য যে - যারা নামে মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট সে বুথে যায় নাই। এইটা এক ধরনের অপরাধ কিন্তু সেটা তো আর বড় সড় অপরাধ না। এই দেশে কতো ধরনের খুন, চাদাবাজি বা ছিনতাই হয়, ঘরের ভেতরে আইসা চাপাতি, রামদা, ক্ষুর ধইরা বসে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করে, ধর্মীয় ভাবে নানা টাল বাহানা করে - সাধূ সন্নাসী , বুজেুর্গের রুপ ধরে চুরি , বাটপারি, চিটারি করে যাইতাছে, গোপনে টাকা তোলে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হুন্ডি ব্যবসা হইতাছে আর সেখানে কিছু ফরেনার বৈধ ভাবে ঘুরতে আইসা টাকা তুলতে যাইয়া বাংলাদেশের আইন পুলিশের কাছে হ্যাকার হয়ে গেলো অথচ তারা তাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়তো বা ছাত্র। জানিনা এরকম ঘটনা সত্য কিনা- কিন্তু মিলিয়ে দেখেন যে- এটিএম কার্ড ছাড়া বুথে ঢুকে টাকা তুললেই সে হ্যাকার হয়ে যায় না। সে সাময়িক ভাবে অপরাধী বিবেচ্য হইতে পারে কারন সে তার নিজস্ব কার্ড বা একাউন্ট নিয়ে  এটিএম বুথে ডুকে নাই। [ঘটনাটা কাল্পনিক] 

ঘটনাটা বলার কারন হলো আমরা আমেরিকান/ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে সিষ্টেম নিয়ে বাংলাদেশে ডেভেলপ করতাছি। সেখানে যদি এই ধরনের কোন লোক বা ঘটনা ঘটে তাকে তাহলে তা আরো একবার ভেরিফাই করে দেখা দরকার- কারন ভুল তো মানুষেরই হতে পারে। টাকা পয়সা দিয়ে অনেক ধরনের  গুন্ডা কিনে রাখা যায়। তাদেরকে দিয়ে যা বলা যায় তাই করানো যায়। কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝতে হবে যে- অপরাধ টা সিরিয়াসলি সংঘটিত হয়েছে কিনা?স্বভাবত দেখা যায়- খ্রীষ্টানরা বা ইহুদিরা অপরাধ প্রবন না। এইটা তাদের মধ্যে তেমন কাজ করে না। অপরাধ প্রবনতা টা কাজ করে বেশী আফ্রিকা এবং এশিয়ানদের মধ্যে।  

বাংলাদেশের ভেতরে আর কোন দেশ নাই বা নতুন কোন দেশ কখনো তৈরী হবে না। বাংলাদেশ সরকারের এই ধরনের কোন পরিকল্পনা নাই। বরঞ্চ গনজাগরনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটাকে আরো বড় হিসাবে ভাবা হয়। জয় বাংলার দেশ হয়তো আরো অনেক বঢ় দেশ। আমরা ১০০% সত না বিধায় আজো ঠকে আছি বা ঠকে যাইতাছি।  

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl