আমার মতে ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সিং ওয়ার্কার দের জন্য ২ ধরনের মার্কেটপ্লেস আছে।
১) জব বিড করে কাজের জন্য আবেদন করা (ফ্রি ল্যান্সার ডট কম বা আপওয়ার্কস ডট কম বা এসইওক্লার্ক ডট কম)।
২) সার্ভিস সেল করা (ফিভার ডট কম বা এসইওক্লার্ক ডট কম).
ফিভার এ এখন বায়ার রিক্যুয়েস্ট ও
সেন্ড করা যায়। ফিভারে অনেক আগে কাজ করেছিলাম। সেই সকল একাউন্ট এখন হারিয়ে গেছে বা খুজে পাওয়া মুসকিল। ২০১১ সাল পর্যন্ত ফিভারে যতো বায়ার বা ক্লায়েন্ট দেখেছি প্রায় সবারই অনেক ভালো ইনফরমেশন পাওয়া যাইতো তাদের ডেলিভারি করা কাজের সাথে। মানে মধ্যসত্বভোগী দালাল বা ফরিয়া এই ধরনের কোন অত্যাচার ছিলো না। বায়ার নিজেই তার প্রোফাইল খুলে কাজ দিতো। আর সেলার রা ও সরাসরি কাজ করতো বায়ার বা ক্লায়েন্টের সাথে। ক্লায়েন্টের নিজস্ব প্রপার্টি বা ব্যবসা রিলেটেড যে কাজ সেখানে ক্লায়েন্টের আবেগ বা ভালো বাসা টুকু পাওয়া যাইতো। আর সেলার রা ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতো কারন সেখানে কাজের চেয়েও বেশী পাওয়া যাইতো ক্লায়েন্টদের টেক কেয়ার মেথড। অনেক সময় বায়ার বা ক্লায়েন্টরা নিজেরা কাজ শিখাতো ভিডিও রেকর্ডিং .mpeg ফাইল দেবার মাধ্যমে বা এম এস ওয়ার্ড পেজে ষ্টেপ বাই ষ্টেপ কাজ দেখাইয়া দিতো।
ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে আমাকে মাঝে মাঝে বড় সড় একটা
ফেসবুক গ্রুপে ম্যানেজ করতে হয়। অনেক সময় সেখানে নতুন নতুন ফ্রি ল্যান্সার রা অনেক
ফিভার রিলেটডে গিগ তৈরী করে পোষ্ট দেয়- সেগুলো কখনো এপ্রুভ করা হয় না তবে তাদের গিগস গুলো দেখি। তাদের পোষ্টিং গুলো দেখতে হয় এবং তাদের পোষ্টিং এ অনেক সময় ফ্রি ফেভারিট মার্ক করে দেই। সে জন্য পুনরায় নতুন করে আমার
ফিভার প্রোফাইল খুলা এবং ২/৩ টা সার্ভিস দিয়ে রেখেছি। মূলত আমি
এসইওক্লার্ক এর সেলার। ফিভার আমার কাছে এখন অনেক কমপ্লিকেটেড মার্কেটপ্লেস। এইটা থেকেও সরাসরি পাইওনিয়ার ব্যাংকে ডলার উইথড্র করা যায় (আগে ২/১ টা লেখাতে যদি উল্লেখ করে থাকি যে ফিভারের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কানেকশন আছে সেটা ভুল। আমি নিজে আজকে ভিডিও এর মাধ্যমে দেখাইয়া দিবো যে কিভাবে ফিভারের সাথে
পাইওনিয়ার ব্যাংক বা
পাইওনিয়ার কার্ড একাউন্ট এড করতে হয়। ব্যালান্স দেখবেন জিরো কারন আমার ম্যাক্সিমাম লেনাদেনাই হয়
পেমেন্ট বিডি এর
পেপালের মাধ্যমে) । এসইওক্লার্ক এর এই একটা পদ্বতি খুব চমতকার- তাদের নিজস্ব ব্যাংক আছে নাম
পেল্যুশণ যা দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক ভাবে সারা বিশ্বে
ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার করে থাকে। যেহেতু এসইওক্লার্ক সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার উইথড্র সুবিধা প্রদান করে না - সেজন্য আমি প্রথম থেকেই
এসইওক্লার্ক এর সাথে জড়িত আছি। প্রথম থেকেই আমি তাদের
এফিলেয়েশন ও করে থাকি।
ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতটকে বাংলাদেশে প্রথম যারা নষ্ট করে তারা ছিলো বিভিন্ন ধরনের ল্যান্সার প্রোগ্রাম ২০০১-২০০৬ সালে। তারপরে যারা নষ্ট করার চেষ্টা করে তারা হইতাছে এই মধ্যসত্বভোগী দালাল বা ফরিয়া গুরপের লোকজন। তারা মূলত এক মার্কেটপ্লেসের কাজ আরেক মার্কেটপ্লেসের ওয়ার্কারকে দিয়ে করাতো আর নিজে মাঝখানে বসে কাজ না করে মুনাফা বা বেনেফিট আদায় করতো কিন্তু যারা ক্লায়েন্ট বা বায়ার তাদের একসাথে কয়েকটা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট থাকার কারনে অনেক সময় তাদের নিজস্ব জব পোষ্টিং দেখে ফেলাইতো আর এর ফলে তীব্র একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও হইতো। যদি কেউ এই ধরনের কাজ ক্লায়েণ্ট কে বলে করতো তাহলে হয়তো কোন সমস্যা হইতো না। কিন্তু ক্লায়েণ্ট বা বায়ারের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে সে আবার সেই জবটা অন্য মার্কেটপ্লেসে পোষ্ট করতো যেখানে হয়তো ক্লায়েণ্ট বা বায়ার আগেই পোষ্ট দিয়ে রেখেছিলো এবং অনেকটা কপি রাইট বা জব টাইপ সেম হবার কারনে সেটা আবার ক্লায়েন্টের চোখে ধরা পড়তো বা মার্কেটপ্লেস নিজে থেকেই ক্লায়েন্টকে দেখাতো ফলে ক্লায়েন্ট বা বায়ার রা নাখোশ হতো। আর এভাবেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে বাংলাদেশের বাজারে ক্লায়েণ্ট বা বায়ারদের উপস্থিতি। ক্লায়েন্ট রা অসততাকে একবারেই এলাও করে নাই। Major Number of Clients বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস ছেড়ে চলে যায়। ডাইরেক্ট বলে বসে বিভিন্ন জব পোষ্টিং এ বাংলাদেশীরা যেনো আবেদন না করে। প্রথমত ২০০১-২০০৬ সালে যারা বিভিন্ন ধরনের ল্যান্সার প্রোগ্রামে ক্লিক করার কথা বলে বিপুল পরিমান টাকা হাতাইয়া নিয়ে দেশ থেকে চলে যায় তারা ছিলো প্রথম লেভেলের চিটার এবং ধান্দাবাজ এবং একসাথে বিপুল পরিমান মানুষ সারা দেশের ইউনিয়ন বা গ্রাম এলাকা থেকে জনপ্রতি ৭/৮ লক্ষ টাকা ধরা খেয়ে বসে (২০০১-২০০৬ সালেল ৭ /৮ লক্ষ টাকার দাম বর্তমানে প্রায় কোটি টাকা)। দ্বিতীয় পর্যায়ে যারা এই ধরনের মধ্যসত্বভোগী কাজ করে তারাও অনেকটা রিয়েল বেনিফিট হয় এবং ম্যাক্সিমাম ই দেশের বাহিরে চলে যায় বা অন্য কোন কাজে নিজেকে ইনভলব করে ফেলায়। আর তৃতীয় পর্যায়ে বর্তমানে যারা সমানে টাকা চেয়ে বেড়াইতাছে- ইন্টারনেটে যে কোন কাজের কথা উল্লেখ করে তাদের ব্যাপারে ও অনেকের সমান সন্দেহ- বিভিন্ন ধরনের যোগসাজশে- এরা বিপুল পরিমানে অর্থ কামাইয়া নিয়া যাইতাছে যেখানে দেশের আভ্যন্তরীন স্থবিরতা নষ্ট হয়ে যাইতাছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করে থাকি। দেশের ব্যাংকেই যে সব টাকা জমা থাকবে ব্যাপারটা সেরকম না। দেশের মুদ্রাবাজরে ব্যবসায়ীরাও বিপুল পরিমানে অর্থ জমা রাখে কারন সেটা বাংলাদেশের মানুষের স্বভাব। আপন িকখনোই সেই টাকা কে শেষ করেত পারবেন না- কিন্তু সেই টাকার উপরে চাপ পড়তে পারে কারন যারা বর্তমানে ইন্টারনেটে টাকা পয়সা দিতাছে এবং ধরা খাইতাছে তারা শুধু একবারই টাকা দিয়ে ধরা খাইতাছে আর তার আশে পাশের ১০/১৫/২০ জন সতর্ক হয়ে যাইতাছে। খেয়াল করে দেখবেন- একই দেশের বাংলা মায়ের সন্তানেরা একজন আরেকজনকে ঠকাইয়া যাইতাছে। বিশ্বের আর কোন দেশে একই জাতের মায়ের সন্তানেরা একজন আরেকজনকে কখনো ঠকায় না বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকাতে -ফলে তারা দিনে দিনে আরো উন্নত থেকে উন্নত তর হইতাছে। আমার একটা ব্যক্তিগত গবেষনাতে দেখলাম: একই মায়ের জাত- একই বাংলার সন্তান একজন আরেকজন কে ঠকানোর মূল কারন - একই সমাজে দেশবোরধী বা স্বাধীনতাবিরোধী দের অবস্থান। তারা বসে থেকে একজন আরেকজনকে ঠকাতে শেখায়।তারা ৭১ এও দেশবিরোধী ছিলো- আজো দেশবিরোধী ই আছে। তারা ৭১ এও বাংলার সন্তানকে নানা ধরনের কুবুদ্বি দিয়ে ঠকাইছে- আজো বাঙালীদের কে সেই ধরনের বুদ্বি দিয়ে যাইতাছে। যার ফরে বাংগালী তরুন প্রজন্ম ইনফিনিটিভ ডলার ইন্ডাষ্ট্রিজে ছেড়ে লিমিটেড টাকার পিছে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে ইন্টারনেটে যা একটা কলংকজনক বিষয়।সকলে মিলে যে ভালো থাকা যায় (যারা বৈধ বাংলাদেশী নাগরিক) এইটা বোধহয় বাংগালী রা জানে না। জাতীয় পরিচয়পত্র আইন কার্যকর হলে সব বৈধ বাংগালী একসাতে থাকতে পারবে এবং ভালোও থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
আমাকে ২০১১ সাল থেকে একটি সংঘবদ্ব চক্র এমন ভাবে প্রেশার তৈরী করে সাইকোলজিক্যালি যেনো আমরা ফ্রি ল্যান্সার রা তাদেরকে বা সারা দেশের বিভিন্ন নামে চলাফেরা করা চক্রকে আর্থিকভাবে সহায়তা বা তাদেরকে যেনো % দেই বা তারা এই ধরনের ধারনা পোষন করে যে- সারা দেশের ফ্রি ল্যান্সার দের কাছ থেকে তারা % খাবে। তো প্রথমেই আমার জয় বাংলা মারফত তাদেরকে এই জিনিসটা বুঝাতে স্বক্ষম হই যে- আমরা সরকারকেই ভ্যাট বা ট্যাক্স দেই না - আর তোরা কোথাকার কোন হেডম? আমরা যারা রেমিটেন্স আনি তাদের জন্য তো আর ভ্যাট বা ট্যাক্স কার্যকর নাই। যখন ইন্টারনারলি লেনাদেনা করে থাকি তখন সে না সরকারকে ভ্যাট বা ট্যাক্স দিয়ে থাকি। পরে দেখি তারা ধর্মীয় ফাদ পাতে। পরে আমরা সারা দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা মিলে সিদ্বান্ত নেই যে: আমরা এতিমখানা বা পথশিশুদের জন্য প্রয়োজনে খরচ করবো যেটা বা যে অর্থটা আমরা যাকাত বা ফেতরা হিসাবে ভাববো সেটা এবং যেটা ঐচ্ছিক ভাবে আসে সেটা। পরে খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম যে- এইটা স্বাধীনতাবিরোদী বা দেশবিরোধী চক্র যাদেরকে আমরা দালাল রাজাকার বা তাদের বংশধর বলে থাকি। ফ্রি ল্যান্সার রা যে রেমিটেন্স উপার্জন করে তার উপরে তারা % বা ভাগ চাইয়া বসে। শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ সারা দেশের ফ্রি ল্যান্সার দেরকে সেই বিপদ থেকে অনেকটা বাচিয়ে দিয়েছে এবং আমার মনে হয় আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ফ্রি ল্যান্সার যে রেমিটেন্স এনেছে সে এই ধরনের কোন ভুল করে নাই। প্রয়োজনে ট্রিট বা গাফ্রে বা পরিবার এর পিছনে সব টাকা খরচ করেছে কিন্তু কখনো দেশবিরোধী কোন চক্রকে কোন পেমেন্ট বা % দেয় নাই। আর তাদেরকেই আমরা বলে থাক জয় বাংলার ফ্রি ল্যান্সার। যারা % চায় তাদেরকে চেনা যায় মূলত কয়েক ভাবে:
- এরা দেশবিরোধী চক্র। বাংলাদেশ কে নিজের দেশ ভাববে কিন্তু বাস্তবে কোন বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাই।
- এরা প্রয়োজেন ধর্মীয় ফাদ পাতবে ফ্রি ল্যান্সার দেরকে ধর্মীয় ভাবে হ্যাক করার জণ্য। কিন্তু সেখানে ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য বরাদ্দকৃত যাকাত ফেতরা খরচ করার নিয়ম। আর যদি খুব ভালো কোন ধর্মীয় প্রোগ্রাম হয় তাহলে সেটা সম্পূর্নই আপনার উপরে কিন্তু আপনি ফাদে পাড়া দিবেন না। তাছাড়া ডলার উপার্জন করে সেখানে রেমিটেন্স এনে যাকাত ফেতরা দেওয়া যাবে কিনা সেটার মাসআলা আপনাকে নিজে খুজে বের কের নিতে হবে।
- এরা যেখানে সেখানে যে কোন সময় যে কোন খানে কোন ধরনের আগাম নোটিফিকেশন ছাড়া আপনার কাছে হাত পেতে বসবে- সে বুঝতেই চাইবে না যে সেটাও কোন না কোন দেশের জণ্য রেমিটেন্স।
- কোন ভাবেই তাদেরকে আপনি বাংলাদেশ বুঝাতে পারবেন না।
আমাদের দেশে যে কয়েকটা চক্র আমাদের এই ফ্রিল্যান্সার/আউটসোর্সিং/মার্কেটপ্লেস জগতটাকে নষ্ট করেছে তাদের অনেকই মিথ্যা এবং বিভ্রান্তে আক্রান্ত। তারা মনে করতো যে: বাংলাদেশের মেধা পাচার হয়ে যাইতাছে।বাংলাদেশে প্রথম যখন ইন্টারনেট কানেক্টেড করার আহবান আসে আন্তর্জাতিক ভাবে তখন অনেকেই বলে যে: বাংলাদেশের সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরে অনেকেই অনেকভাবে বুঝাইতে স্বক্ষম হয় যে: বাংলাদেশের কি এমন গোপন তথ্য আছে যে - পাচার হয়ে যাবে। বাংলাদেশ কানেক্টড হবার পরে সকলেই বুঝেছে যে: কি তথ্য পাচার হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সার রা তাদের ১০০% ভেরিফায়েড প্রোফাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপস্থিতি জানান দিছে এবং আডেন্টফািই হয়েছে যে : এদেশে সামাজিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশবিরোধী চক্র এবং চক্রান্ত আছে যাদেরকে ইন্টারনেট গনজাগরনের (২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরন বা ২০১৩ বসন্ত জাগরন) মাধ্যমে আইডেন্টফাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাসি দিয়ে সেই অপশক্তি কে দূর করার চেষ্টা শুরু করা হয়েছে ( রাজাকার কসাই কাদের থেকে শুরু)। এখনো সারা দেশের অনেকখানে বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া দালাল/রাজাকার দেশীবরোধী শক্তি প্রকাশ্য দিবালোকে বসবাস করতাছে যাদের একমাত্র জায়গা ছিলো জেলখানা। জানি না এই দেশের দুর্নীতি আর অপশক্তি আর কতো অপমান করবে বাংলাদেশের জনগনকে বা তরুন প্রজন্মকে। এই ধরনের দালাল রাজাকার প্রকাশ্য দিবালোকে বসবাস করার দরুন বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম কোটি কোটি ডলারের রেমিটেন্স এবং কাজ থেকে বঞ্চিত হইতাছে দারুন ভাবে (মনের চোখে সারা বিশ্ব দেখা যায়। আর একজন ক্লায়েন্ট যখন কাজ দেয় সে আগে মনের চোখে সারা বাংলাদেশ কে দেখে নেয় যাকে আমরা বলি ক্লায়েন্টর বিচক্ষনতা বা বিচক্ষন ক্লায়েন্ট)। পৃথিবীতে বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যেখানে কিছু লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রীয় পোশাক পড়ে, রাষ্ট্রীয় তকমা ঝুলিয়ে দুই নম্বরি করে যাইতাছে। শাহবাগ গনজাগরনের পরে (ইন্টারনেটে গনজাগরন) এ দেশে দালাল/রাজাকার বা দেশবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী চক্র বা চক্রান্তকে দেশের মুক্ত পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ দিয়ে এদেশের আইন বা পুলিশ একটি অনিরাময়যোগ্য অপরাধ করে যাইতাছে। দেশবিরোধী অপরাধীর একমাত্র জায়গা হইতাছে জেলখানা। আর দেশবিরোধীরা তালিকা মোতাবেক জেলখানাতে থাকার যোগ্য। আর এদেশের আইন পুলিশ যদি মনে করে থাকে এতে তাদের স্বার্থ সিদ্ব হবে এবং ফ্রি ল্যান্সার দের পেটে লাথ্থি মেরে তারা ভালো থাকবে- তাহলে আপনাদের জেনে রাখা উচিত একজন ফ্রি ল্যান্সারের ক্ষমতা আছে বিশ্বের যে কোন খানে বসে থেকে কাজ করার। বর্তমানে যদি কারো বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকে তাহলে সে বিশ্বের ১১০ টি দেশে অন এরাইভেল ভিসা ফ্যাসিলিটজ পাবে এবং তারা যে কোন সময় যে কোন খানে বসে থেকে কাজ করতে পারবে- চাইলে এয়ারপোর্টের ট্রানজিটে বসে থেকেও। পারহেপস - অনেকই তাও করতাছে কারন তারা ১০০ % সত প্রোফাইল গড়ে তুলেছে। অনেষ্টলি কাজের বিনিময় পাইতাছে। বাংলাদেশের প্রত্যেক ফ্রি ল্যান্সারকে জয় বাংলা বলার সহিত কাজ করার অনুরোধ করি। যখনি কোন ফ্রি ল্যান্সার কাজ করতে বসবে তখনি যদি সে মনে মনে একবারও জয় বাংলা বলে নেয় তাহলে সে আর দালাল রাজাকারের চক্রান্তে পড়বে না এবং তার প্রোফাইলের অনেষ্টি মোতাবেক সে সারা বিশ্ব থেকে কাজ পাবে বা কাজের অর্ডার পাবে।
ডলার (Dollar) শব্দটার সাথে সোসাইটি (Society) জড়িত। যদি কেউ বলে থাকে যে- ফ্রি ল্যান্সার রা সমাজে ডলার উপার্জন করে তাহলে আপনার বুজতে হবে যে- সেখানে দুই নম্বরি আছে। ফ্রি ল্যান্সার রা সমাজে ডলার উপার্জন করে না- ফ্রি ল্যান্সার রা আমেরিকান সোসাইটিতে ডলার উপার্জন করে থাকে। কারন ডলারের একচ্ছত্র মালিক ইউনাইটেড ষ্টেটস অফ আমেরিকা (United States of America)। সমাজে যারা ডলার উপার্জন করার কথা বলে তারা দুই নম্বরি করতাছে। আপনাকে অতি অবশ্যই সোসাইটিতে ডলার উপার্জন করতে হবে। বাংলাদেশের সমাজে/সামাজিক ব্যবস্থায় আপনি রেমিটেন্স এক্সচেন্জ করে টাকা উপার্জন করতাছেন একজন ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে। বাংলাদেশ সরকার আপনার উপার্জিত রেমিটেন্স গ্রহন করে আপনাকে নগদ বা ক্যাশ টাকা প্রদান করতাছে। ইন্টারনেট আমেরিকা থেকে আসে। বিশ্বে একমাত্র আমেরিকাই ইন্টারনেট প্রদান করে থাকে যাকে বলে সিলিকন ভ্যালি থেকে ইন্টারনেট সারা বিশ্বে ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে। আপনার হাতে যে ডিভাইস (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, পামটপ, পিডিএ ) যে কোন ডিভাইস আপনি ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো সবই আমেরিকান সিষ্টেম বা নিয়মানুযায়ী বা আমেরিকান সরকারের অনুমতি নিয়ে বা ইন্টারনেট কোম্পানীর অনুমতি নিয়ে চলতাছে সারা বিশ্বে- সেখানে একজন ফ্রি ল্যান্সার কাজ শিখে মেধা খরচ করতাছে যার বিনিময়ে রেমিটেন্স উপার্জিত হইতাছে - গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আপনার উপার্জিত অর্থ কে ক্যাশ টাকা বা নগদ টাকাতে কনভার্ট করে দিতাছে আর আপনি আমেরিকান সোসাইটিতে ডলার উপার্জন করতাছেন। বাংলাদেশের সোসাইটিতে কেউ ডলার উপার্জন করে না। বাংলাদেশের সোসাইটিতে টাকা উপার্জন করে আর আমেরিকান সোসাইটি তে আপনি ডলার উপার্জন করতাছেন যা আমেরিকার সরকারের জন্য হইতাছে রেভিনিউ/রেমিটেন্স আর সারা বিশ্বের সব দেশের জন্য হইতাছে রেভিনিউ/ রেমিটেন্স। ডলার একচ্ছত্র ভাবে সারা বিশ্ব কন্ট্রোল করে থাকে- মুদ্রানীতি, অর্থ এবং বানিজ্যকে। সেখানে আপনি যখন ডলার উপার্জন করতাছেন তখণ আমেরিকার সরকার ও অর্থণীতি কে প্রতিনিয়ত শক্তিশালী করে যাইতাছেন আর আপনি একই সাথে আপনার নিজের দেশের জণ্য এবং আমেরিকান সরকারের জন্য অবদান রেখে যাইতাছেন আপনার ফ্রি ল্যান্সার প্রোফাইলে আসা কাজের বিনিময়ে। আমেরিকান সরকার এ যাবতকালে গনহারে সারা বিশ্ব থেকে লোকজন কে নাগরিকত্ব দিয়ে ভুল করেছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। যে বা যারা আমেরিকান সরকার বা আমেরিকান সোসাইটিতে, আমেরিকান অর্থ, বানিজ্য করে ডলার উপার্জন করে যাইতাছে, আমেরিকান অর্থনীতিতে মিনিমাম অবদান রেখে যাইতাছে শুধূ মাত্র তাদেরকেই আমেরিকার উচিত ছিলো তাদের দেশে নাগরিকত্ব দেয়া (ভেরিফিকেশণ স্বাপেক্ষে) যেনো এই ডলার উপার্জনকারীরা আমেরিকার (প্রায় ৪৮ দেশকে একসাথে আমেরিকা বলা হয়ে থাকে। সাউথ আমেরিকা + নর্থ আমেরিকান দেশগুলোকে একসাথে আমেরিকা বলা হয়ে থাকে ভারবালি। যারা আমেরিকান অর্থণীতিতে অবদান রাখতে পারতো শুধূ মাত্র তাদেরকেই নাগরিকত্ব দেয়া দরকার ছিলো। ) ভেতরে বসে আমেরিকার জণ্য আরো বেশী পরিমান ডলার জেনারেট করতে পারে। ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্স উপার্জন করতে স্বক্ষম বলে তারা আমেরিকার মতো দেশে বা বিশ্বের যে কোন উন্নত দেশে বসে সেই দেশের জন্য ডলার জেনারেট করতে পারে যা সেই দেশের অর্থণীতিকে শীক্তশালী করবে।
আর সেজন্য মূলত দরকার বৈধ বাংলাদেশী ফ্রি ল্যান্সারদের নাম জাতীয় পরিচয়পত্রে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা। যাদের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজের এক্সস আছে তারা যখন বাংলাদেশী ডাটাবেজে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের নাম দেখবে একজন ফ্রি ল্যান্সার বা মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে, তখন সেখানে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরী হবে সারা বিশ্বে। সেজন্য প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহায়তা। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান জাতিসংঘের একটি প্রজেক্ট বা প্রকল্প ছিলো যা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একটি সচিবালয়ের অধীনে একটি অধিদপ্তর হিসাবে গ্রহন করেছে এবং একীভূত করেছে। যার নাম: জাতীয় পরিচয়পত্র অধিদপ্তর বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সুদীর্ঘ ৯/১০ বছর জাতীয় পরিচয়পত্র প্রজেক্ট থাকার দরুন অনেকেই এখনো এইটাকে প্রজেক্ট ই ভাবে। কিন্তু এইটা এখন আর প্রজেক্ট নাই। এইটা এখন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিদপ্তর বা বিভাগ বা অনুবিভাগ। সেইখানে জাতীয় পরিচয়পত্র নাগিরক ডাটাবেজ আছে। সেখানে পেশা হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের নাম এবং পেশা ফ্রিল্যান্সার বা মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে নথিভুক্ত করা দরকার।আর এইখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যারা রেমিটেন্স উপার্জনকারী হিসাবে নথিভুক্ত তারাই মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে প্রযোজ্য। তারাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে রিয়েল এবং ভেরিফায়েড ফ্রি ল্যান্সার।
যে এক ডলারও রেমিটেন্স কখনো বাংলাদেশে আনে নাই বা উপার্জন করে নাই - ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে তার দাপট কখনো কেউ মেনে নেবে না। বর্তমান সরকার ফ্রি ল্যান্সার দের আলাদা আইডি কার্ড দেবার যে পরিকল্পনা করেছে তার মূল ব্যাপার হইতাছে (ফ্রি ল্যান্সার দের বাড়ি বা গাড়ি নাই বলে)- ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সারদের সুদের বিনিময়ে লোন দেয়া যেনো তারা বাড়ি বা গাড়ি করতে পারে। তাই আমার মতে ফ্রি ল্যান্সার রা যেনো কোন রকমের ঝামেলায় না পড়ে সেজন্য এই আইডি কার্ড থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যে ডাটাবেজ সেখানে নিজেদের পেশা অন্তর্ভুক্ত করে তাতে পেশা ইন্টারনটে প্রফেশনাল এড করা -বিভিন্ন দেশে ফ্রি ল্যান্সার দের জণ্য বরাদ্দকৃত সুবিধা পাইতে সহজ হবে- ভিসা প্রসেসিং সহ। কারন আমরা যাদের কাজ করে থাকি তারা বিশ্বের বিভিন্ন নামী দামী দেশের নাগরিত। তাদের সাথে ব্যবসায়িক লেনাদেনা থাকার কারন েতাদের দেশের সরকার আমাদের ট্রনাজকশন বা ডিটেইলস জানে বা তাদের ডাটাবেজে আছে।
ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ওয়ার্কারদের জন্য পারসোনাল প্রোফাইল থাকাটা বিশাল ব্যাপার। আমার প্রোফালটাই আমার ক্যারিয়ার। ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্স আনে। আর যারা রেমিটেন্স আনে তারা এই দেশের ১ নম্বর নাগরিক। রেমিটেন্সের উপরে কখনো ভ্যাট ট্যাক্স বসে না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার যদি গুগলের এডওয়ার্ডের উপরে % না ধরতো তাহলে হয়তো ইউটিউব রেভিনিউ শেয়ার প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ছেড়ে যাইতো না। আমার ধারনা মোতাবকে একদিন হয়তো ফেসবুকের এডভার্টাইজিং সেকসানও চলে যাবে কারন তারা ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে হয়তো বাংলাদেশে ব্যবসা করবে না। আমরা হয়তো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির জন্য আর কখনো ফেসবুকে মার্কেটিং নাও করতে পারি। সময় থাকতে সাবধান হওয়া উচিত।
আমার প্রোফাইলে ৩০০ পজিটিভ থাম্ব আসার পরে লেভেল ৪ দেখাচ্ছে (আমি খুশী অনেক)। এসইওক্লার্কে সবচেয়ে বড় বেনিফিট হইতাছে যদি কেউ ইচ্ছা করে আপনাকে ব্যাড রিভিউ দেয় তাহলে আপনি কাষ্টমার কেয়ারে যোগোযোগ করে সেই ব্যাড রিভিউ টা তুলে ফেলার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এসইওক্লার্ক যদি আপনাকে অনেষ্ট পায় তাহলে আপনার ভ্যাড রিভিউ টা রিমুভ করে দেবে।