যখণ প্রথম ফ্রি ল্যান্সার আউটসোর্সিং ই্ডাষ্ট্রিজ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে তখনি এক ধরনের লোকের রোষানলে পড়ে যায় এই ইন্ডাষ্ট্রিজ। কিভাবে একজন আরেকজন কে সাহায্য করা যায় - কিভাবে এই ইন্ডাষ্ট্রিজটা বাংলাদেশে দাড় করানো যায় বা কিভাবে পাড়া বা মহল্লাতে ছড়াইয়া ছিটাইয়া যায় সেটাই ছিলো প্রধান চেষ্টা। মানুষজন খেটে না খেটে বা কষ্ট করে বা একজন আরকেজনকে হাত ধরে বলতে গেলে এই ইন্ডাষ্ট্রিজটা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কাজ শিখায় এবং কাজ শিখতে সাহায্য করে। পারস্পরিক একটা কম্প্রো্মাইজের মাধ্যমে সবাই একসাথে হয়ে কাজ করে- ডলার উপার্জন করে এবং ডলার রেমিটেন্স আনতে সাহায্য করে। কেউ কাউকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখে নাই। ২০১১ পর্যন্ত আমার কখনোই মনে হয় নাই যে: আমাকে কেউ ঝামেরাতে েপলাতে পারে বা কষ্ট দিতে পারে। একসাথে সব একাউন্ট হারিয়ে ফেলি ২০১১ সালের একদিনে হ্যাকারদের আক্রমনে। বাংলাদেশী হ্যাকার- নাম দিয়েছিলো “সোনিয়া।” আরো ডিটেইলেস খোজ খবর নিয়ে জানলাম যে: তারা এদশের দালাল/রাজাকার প্রজন্ম কর্তৃক সমর্থিত একটি শক্তি। বাংলাদেশে রেমিটেন্স আসাটা তারা পছন্দ করতাছে না। তাদেরকে ভাগ ভাটোয়ারা দিতে হবে। আমি তখন মনে মনে বললাম: দালাল/রাজাকার প্রজন্ম ছাড়া তো আর কারো পক্ষে সম্ভব না একজন আরকেজনের ক্ষতি করা। বিনা কারনে একজন আরকেজনের ক্ষতি থেকেই তো তৈলিী হয়েছিলো ৭১ এর স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ব। জাতে বাংগালী কারো না করো তো ইন্ধন ছিলো- নয়তো এতো বড় গনহত্যা কিভাবে তৈরী হয়? প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ট্যাংক এনে বাংলাদেশে রেখে সমর সাজিয়ে অতর্কিতে হামলা - মূদূ পরিকল্পনা মাফিকই হয়েছে। মুক্তিযোদ্বারা যেমন পরিকল্পনা মাফিক ছক কষে যুদ্বে অংশগ্রহন করে জিতেছে তেমনি দালাল/রাজাকার/দেশবিরোধীরা ও একটা পরিকল্পনা করেই বাংলাদেশে গনহত্যা রচনা করেছিলো। যেই গনহত্যার বিচার আজো প্রলম্বিত আকারে চলতাছে- ৪৯ বছল পরেও এখনো অনেক দালাল/রাজাকার/দেশবিরোধী রা ঝীবিত - কারো না কারো ইংগিত, প্রচ্ছন্ন সাহায্য তো অবশ্যই আছে। তো এখণ ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোসিং এর জগত টা হয়ে গেছে কমপ্লিকেটেড অনেক। একজন আরেকজনের বিরুদ্বে বিনা কারনে লেগে যাইতাছে- যা কখনোই কাম্য ছিলো না।
শুনেছি একদল রাজাকার যারা ৭১ এ সবচেয়ে কমবয়সী ছিলো ১০-১২ বা ১২-১৬ বা ১৬-১৮ বছর বয়ষী স্বজ্ঞানে স্বইচ্চায় ১৯৭১ এ বাংগালীদেরকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে নাই, যারা দালাল রাজাকারের বা দেশবিরোধীদের সন্তান ছিলো, প্লাষ্টিক সার্জারী করে প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব বয়স কমিয়ে রেখেছে ১০ থেকে ১২ বছর যার বয়স ৬৫ বছর তারে দেখলে মনে হবে ৫৫ বছর এরকম করে রেখেছে তারাই নাকি এদেশের ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং নিয়ে ঘোট তৈরী করতাছে। কারন তারা এই দেশের এই উন্নয়নটাকে সহ্য করতে পারতাছে না। বাংগালী জাতে মেধাবী- আর এইখানে বাংগালী অতি অবশ্যই উন্নতি করবে- তাই না পেড়ে তারা বাংগালীদের বিুরদ্বে লেগেছে। দেখবেন খুব বড় বড় লেকচার দিবে কিন্তু তাদের বৈধ নাগরিকত্ব নাই বাংলাদেশে বসবাস করার। জাতীয় পরিচয়পত্র নাই কিংবা ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার নাই। কিন্তু কথা বলবে একেবারে দেশের রাজার মতো। তাদের কথা বার্তা শুনলে যে কেউ হাসাহাসি শুরু করবে। শুনেছি তারা বলে বেড়ায় যে বাংলাদেশে এমপি বা মন্ত্রী হতে নাকি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে না- এরকম ধারনা পোষন করে চলে।
তো আমি ভাবতাম: ঝঞ্জা বিক্ষুব্দ দেশ বাংলাদেশ। ১০০ হাত মাটির নীচে পুতে রাখলেও ঠিকই সঠিক পথটা খুজে বের করে নিবে। আজকে ১৩/১৪ বছর পরে এখন সারা দেশের লোকজন জানে যে এইটা একটা ইন্ডাষ্ট্রিজ বা ডলারও জেনারেট করতাছে বা প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স ও আসতোছে তবে কিনা তা অনেক সময় অনেকের মনেই অনেক সন্দেহের জন্ম দিতাছে। নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই সমানে যার যার বাবা বা মায়ের নাম ব্যবহার করে প্রোফাইল ভেরিফিকেশন করে কাজ করে যাইতাছে। যারা আগে ইনকাম ট্যাক্স দিতো এখন তাদের নামে রেমিটেন্স আসতাছে। ফলে সরকারের ভেতরে তৈরী হইতাছে জটিলতা। এক সময় এই দেশটা ছিলো ভারতীয় পূর্ব বাংলা। বাংলা ভাষাতে কথা বলার পরেও এইখানে শুরূ হলো পূর্ব সামথিং এর গ্যানজাম। যা ৭১ এ পুরোপুরি ফিনিশ হবার পরেও জীবিত দালাল/রাজাকার/দেশবিরোধীরা সদ্য ঘটিত বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করতে না পেরে ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠলো। তারই প্রতিক্রিয়ায় এখন দেখা যাইতাছে- ইনকাম ট্যাক্সধারী লোক রেমিটেন্স নিয়ে আসতাছে তারপরে আবার ইনকাম ট্যাক্স ও দিতাছে। জানা মোতাবেক: যারা রেমিটেন্স উপার্জন করে তাদের কে রেমিটেন্সের উপরে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না্ সাধারনত রেমিটেন্সের উপরে ট্যাক্স দিতে হয় না। ট্যাক্স দিতে হয় আভ্যন্তরীন আয় উপার্জনের উপরে। যেমন: বিগত অনকে বছর বাংলাদেশের লোকাল একটা এজন্সীর মাধ্যমে পেপাল ডলার উপার্জন করার পরে সেখানে এজেন্সীকে চার্জ দিতে হয়েছে ৫%, প্রতিবার মানি রিসিভ করার সময়ে ট্রানজেকশন নাম্বারও তৈরী হয়েছে। সেই এজেন্সী আবার ইনকাম ট্যাক্স বা ভ্যাটও দিতাছে আবার যে ব্যাংকের কাছে পেপাল ডলার সেল দিতাছে সেটাকে সেই ব্যাংক রেমিটেন্স আকারে নিতাছে। তাহলে একটি প্রতিষ্টানও ইনকাম ট্যাকস ও দিলো, আবার ভ্যাটও দিলো আবার রেমিটেন্সেও এড হলো। কি তামাশার এক দেশ- বাংলাদেশ!
ফ্রি ল্যান্সার রা ও আগে পারস্পরিক অনেক হেল্প করতো একজন আরকেজনকে। এখন সারাক্ষনই ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়: কে কখন কাকে কোথায় কোন েকারন ছাড়াই বাশ না দেয়। ১০/১২০০০ একসাথে হয়ে ক্রমান্বয়ে রিপোর্ট দিতে দিতে ফেসুবকের েপোষ্টিংও ডিলেট করে দেয়। বিনাকারনে মার্কেটপ্লেসে হায়ার করে ব্যাড রিপোর্টও দেয়। সমানে রিপার্ট দিতে থাকে কন্টিনিউয়াসলি। ভিপিএন দ্বারা ফরেন একাউন্ট মেক করে নিজেই নিজেদেরকে ক্ষতি করে যাইতাছে। নিজেরাই নিজেদের দেশে মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট হয়ে যাইতাছ্ েযে দেশের পৌনে ছয় কোটি মানুষ দৈনিক আয় রোজগার করে খোয় সে দেশের সাধারন মানূষ যদি হঠাৎ করে নিজেদেরকে বায়ার বলে ফেলায় তাহলে যারা ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান বায়ার বা ক্লায়েন্ট তারা কই যাবে। কোন মুক্তিযোদ্বার সন্তান বা জয় বাংলার সন্তান কি একজন আরকেজনের ক্ষতি করতাছে বলে মনে করেন? যারা েএকজন আরকেজনের উন্নতি দেখতে পারতাছে না তাদের শরীরের রক্তের ভিতরে রয়ে গেছে সেই ৭১ এর দেশবিরোধীদের রক্তের ধারা। জয় বাংলার ছেলে পেলেদের উন্নতি দেখলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কিভাবে সেই ছেরেটাকে ধ্বংস করা যায় বা তার ঝীবনটার সর্বনাশ করা যায়- এইটাই থাকে তাদের একমাত্র িদ্বিধা। বিনাকারনে লক্ষ লক্ষ রিপোর্ট মেরে আমার ২/৩ টা ওয়েবসেইট কে স্পাম মার্ক করে দিছে। হাজার হাজার ছেরে পেলে দের প্রোফাইল বা ভিডিও চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ ডিলেট করে দিতাছে। একজন কে আসক করেছিলাম: বলতাছে রিপোর্ট খাওয়া ভালো। মার্কেটপ্লেসের যারা মালিক তারা রিপোর্ট এনালাইসিস করতে পারে বিধায় সারা দেশের সব ফ্রি ল্যান্সার রা টিকে আছে। মার্কেটপ্লেসের যে ওয়েবসাইট তাদের ফ্রি ল্যান্সারদের কাছ থেকে % খায প্রতি সেকেন্ডে- তাই এইখানে কোটি কোটি রিপোর্ট মারলেও লাভ হবে না। ফেসবুকের রিপোর্ট হয়তো কাজে দেয়।
তো এই ধরনের ব্যবহার যাদের তারা তো আর কম্পোমাইজ মাইন্ডের ফ্রি ল্যান্সার না। তারা হইতাছে ধ্বংসাত্মক মাইন্ডের ফ্রি ল্যান্সার। তাদের মন মানসিকতা ইন্টারনটে বিরোধী। তাদের এই ধরনের কার্যাবলীতে একদিন হয়তো বাংলাদেশ তেকে ইন্টারনেট বন্ধও হয়ে যাইতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশেই ফুল ফেজ ইন্টারনটে নাই। যারা কম্প্রোমাইজিং মাইন্ডের ফ্রি ল্যান্সার- তারা কখনোই একজন আরকেজনের ক্ষতি করবে না। তারা সবসময় ই চাইবে অপরে ও ভালো করুক আর নিজেরও ভালো হোক। ডলার উপার্জন কররেই ফ্রি ল্যান্সার হওয়া যায় না- ভালো মানের ফ্রি ল্যান্সার হতে গেলে ভালো কমেপ্রামাইজ মাইন্ডের ও হতে হয়। কম্প্রোমাইজ মাইন্ডের একজন ফ্রি ল্যান্সার সবসময় আপনার ভালো কামনা করবে এবং আপনাকে ভালো পথ দেখাইয়া দিবে।
৭১ এ দেশবিরোধী দালাল/রাজাকার প্রজন্মের হাতে ইন্টারনেট সুবিধাটা প্রদান করলো কে বা কারা? তারা তো তাদের বাপ দাদাদের রক্তের বাহিরে না। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ছাড়া তারা যেনো ইন্টারনেট ব্যবহার না করতে পারে সেই আইন করা উচিত। যদি এই আইন কার্যকর করা হয় তাহলে একজন দিনমুজরও যে কিনা সারা দিন খাটা খাটনি করে সে ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ভীড়ে তার মন মতো কিছু কাজ করতে পারবে। এই রকম ভাবে বৈধ জাতীয় পরিছয়পত্র নম্বার ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারনে বাংলাদেশ হয়ে যাইতে পারে দেশী/বিদেশী হ্যাকার দের আখড়া যা আপনি পরে আর কখনো কন্ট্রোল করতে পারবেন না। ইদানিং কালে অনেকের প্রোফিইলেই দেখা যায়- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছেলে রা বা মেয়েরা ঢাকা তে আইসা তাদের সোশাল মিডিয়া বন্ধুদের সাথে হ্যাং আউট করতাছে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতাছে এবং আরো কতো ধরনের তথ্য হাতাইয়া নিতাছে তা বোধ হয় এক মাবুদই জানে। সো বড় সড় বিপদে পড়ার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত। ফ্রি ল্যান্সারদের ও অথি অবশ্য নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই কাজ করা উচিত নয়তো একটা অযাচিত ফাইট শুরু হয়ে যায় যে কোন মার্কেটপ্লেসে। অনেকদিন আগে আপওয়ার্কে একদিন দেখেছিলাম যে েএকজন রাষ্ট্রীয় সচিব ফ্রি ল্যানসিং করতাছে এবং তার প্রোফাইল। পরে কয়েক বছর যাবারপ রে বুঝতে পারলাম যে: সেটা হয়তো তার ছেলে বা মেয়ে করতাছে। এই ধরনের ব্যাপারগুলো ইন্টারনেটে অপরাধ। যে সকল মার্কেটপ্লেসে আমরা কাজ করি সে সকল মার্কেটপ্লেস নিশ্চয়ই বলে দেয়া নাই যে: আপনি আপনার বাবা বা মায়ের আইডি দিয়ে কাজ করতে পারেন। সুকৌশলে সেই দেশবিরোধী চক্র আমাদের দেশের সোসিও ইকোনমিক্যাল সিষ্টেমে একটা ঝামেরা লাগাইয়া দিতাছে। পরে এইগুলো বিশালাকারের ফাইন হিসাবে দাড়া হইতে পারে। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দারা হয়তো ক্লায়েন্ বা বায়ার সেজে তথ্য হাতাইয়া নিতাছে যা বাংলাদেশী কম্পোমাইজিং ফ্রি ল্যাণ্সারদের জণ্য আরো বড় আঘাত হিসাবে দেখা দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl