ইন্টারনেটে বাংলা লেখালেখি করতে অনেকেই ভালোবাসে। অনেকেই লেখালেখির বিষয়ে কথা বলতে চায়। গল্প সাহিত্য উপন্যাস কবিতা ছড়া প্রবন্ধ বা ব্লগ বা রচনা যা মনে চায় তাই লিখতে পছন্দ করে অনেকেই। আমাদের দেশে এক ধরনের লোক আছে যারা ইন্টারনেটে বাংলা লেখাকে ঘৃনা করে। এইটা সত্য ইন্টারনেট যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসছে আর যুক্তরাষ্ট্রও সারা বিশ্বে ইন্টারনেট প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব কে এক করে রেখেছে । এখন আর কেউ কোথাও কোন ভয় পায় না। কারন সকলেই জানে ইন্টারনেটে যদি জানায় তাহলে মূহুর্তে সেটা বুলেটের গতি আকারে সারা বিশ্বে ছড়াইয়া দেয়া হবে। আর সারা বিশ্ব জেনে গেলে েকোন ভ্যাপারে প্রতিকার বা প্রতিরোধ তৈরী করা একদমই সহজ। ইন্টারনেট একটি গতিশীল মিডিয়া। পেপার পত্রিকা একবার প্রিন্ট হলে আরেকবার প্রিন্ট হতে ২৪ ঘন্টা সময় নেয়। নিউজ বুলেটিন স্যাটেলাইট এ একবার প্রকাশ হলে আরেকবার প্রকাশ হতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় নেয়। কিন্তু ইন্টারনেটে সেকেন্ডে সেকেন্ডে নতুন নতুন নিউজ বা সংবাদ এড হয়। ২০০ি০৬ সালে অনুষ্ঠিত ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লগর রেভ্যুলমন, ২০১১ সালে কায়রো গনজাগরন, ২০১৩ সালে শাহবাগ গনজাগরন আর ২০১৭ সালে কাতালুনিয়া গনজাগরন এগুলো সবই ইন্টারনেট থেকে তৈরী গনজাগরন।
স্পেনের কাতালুনিয়া গনজাগরন ২০১৭
আর গুগল ও ইন্টারনেটে সব দেশের ভাষাকে এলাও করে। তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাষা এড করার জন্য কাজ চালাইয়া যাইতাছে। জাতিসংগ ও সম্ভবত দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলাখে স্বীকৃতি দেবার জন্য অপেক্ষা করতাছে। বাংলা ভাষাতে কথা বলার জন্য প্রচুর ত্যাগ তিতীক্ষা করেছে বাংগালী। একসশয় এই এলাকাকে বাংলা নামেও ডাকা হতো। ভারতীয় পূর্ব বাংলা অংগরাজ্য ও ছিলো একসময়। ইষ্ট বেংগল রেজিমেন্ট এর কথা কে না জানে - যাদরে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্প ছাড়া বাংলাকে স্বাধীন করা যাইতো কিনা- তরুন প্রজন্মের অনেকেই কিছুটা সংশয় ফিল করে। স্বাধীনতা আসতোই তবে সেটা তরান্বিত অথবা দীর্ঘান্বিত - সেটাই বিষয়। বাংলাতে বসবাস করে বাংলা য় কথা বলে বাংলায় লেখালেখি কররে যারা বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে তারা কি মানুষ নাকি বেজন্মা কুত্তার প্রজন্ম?
ইন্টারনেটে বাংলা লেখা এমনি এমনি তৈরী হয় নাই্। বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশে আরো একটি যে ভাষা বহুল ভাবে প্রচলিত তা হইতাছে ইংরেজী। ইন্টারনেটের ভাষাও ইংরেজী। ডলার যেমন সারা বিশ্বে একচ্ছত্র ভাবে আধিপত্য খাটায় তেমনি ইংরেজীও সারা বিশ্বে বহুল ভাবে আধিক্য খাটায়। তাই ইংরেজী না শেখলে বা বলতে না পারলে যে কেউ যে কাউকে খোটা দেয়। আসলে ইংরেজী সবার ভেতরে আছে গ্রামার পড়ে স্কলে পড়াশোনা করে পাশ করে আসতে হয়েছে সকলকে। কেউ না পড়ে বা না শিখে ইংরেজী না জেনে স্কুল কলেজ পাশ করে আসে নাই। ইংরেজরা ইংরেজীকে ভালোবেসে ইন্টারনেট সারা বিশ্বে আসার আগেই সমস্ত শব্দ ইন্টারনেটে তুলে রাখে। তেমনি বাংলা শব্দ সম্ভােরের কাজও চলতাছে। যাকে বলা হয় ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ব করা। প্রথমে ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়। সেখানে পিডিএফ দিয়ে কাজ করা হতো প্রথমে। তারপরে আসে ফোনেটিক। ফোনেটিকের মাধ্যমে যখন বাংলা ভাষা লেখার প্রচলন শুরু হয় তখণ থেকেই একদল বাংলা মায়ের সন্তান ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে শুরু করে আর ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ব করা শুরু করে। আর অপরদিকে বেজন্মা প্রজন্ম ইন্টারনেটে খারাপ খারাপ পর্নোষ্টোরি লিখা শুরু করে যা কখনো কেউ কল্পনাই করে নাই। ফলে বাংলা ভাষাবিদ রা বা ইন্টারনেটে বাংলা গবেষকরা থেমে যায় বা কষ্ট পায়। কিভাবে এই জিনিসটাকে আপডেট করা যায় এবং তাদের কে ওভার টেক্কা দেয়া যায়: সেরকম একটা ধারনা থেকে গুগলের মনিটাইজেশনে বাংলাকে এড করার জণ্য চেষ্টা শুরু হয়। প্রায় ১০-১২ বছর চেষ্টা করার পরে গুগলের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন সেকসানে বাংলা কে এড করা যায়। যেনো বাংলা লিখলেও আপনি পেমেন্ট পান ডলারে আর কন্টেন্ট মনিটােইজেশন সেকসানেও যে যা পারে তা লিখতে শুরু করে। আপনার যদি মনে চায় আপনিও ফ্রি একটি ব্লগ তৈরী করে বাংলা কন্টেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে জয়েন করে বাংলা ভাষাকে ইন্টারনেটে সমৃদ্ব করার কাজে অংশ গ্রহন করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl