বাংলাদেশে প্রায় পৌনে ছয় কোটি মানুষ গরীব মানুষ।তারা দিন আনে দিন খায়। তারা তিন বেলা খাইতে পারলো কিনা তাতে বাংলাদেশ সরকার বা সমাজের ধনী ব্যক্তি বর্গের কিছুই যায় আসে না। কারন আমাদের দেমে এমন এক ধরনের দালাল(ফাসি)/রাজাকারি(ফাসি)/দেশবিরোধী (ফাসি) পন্থা চালূ আছে যেখানে গরীব মানুষকে সরাসরি কেউ সাহায্য করতে চায় না। সরাসরি বলে বসবে আর কতো সাহায্য করবো- সারাজীবন কি গরীব মানুষকে সাহায্য করতেই করতেই যাবে। একটা কথা মনে রাখা দরকার দেশটাকে ১৯৭১ সালের পরে দেশবিরোধী দালাল (ফাসি) এবং রাজাকারের (ফাসি) বেচে থাকার কথা ছিলো না। তারা ১৯৭১ এ দেশবিরোধী ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছিলো। দেশের সকল খানে তারা দেশবিরোধী স্লেগানে নিজেকে দেশবিরোধী হিসাবে অবস্থান দেখিয়েছে এবং আজো তারা অনেক সময় দেশের অনেক খানে স্বগর্বে তাদের দাপট দেখাইয়া যাইতাছে। তাদের নাম এসেছে দেশবিরোধী তালিকাতে- তাদেরকে ১৯৭২ এর প্রথম প্রহরেই গুলি করে মেরে রাখা দরকার ছিলো। মুক্তিযোদ্বারা যেহেতু এই দেশে তাদের অস্ত্র জামাদান করেছিলো বা তাদের হাতে যেহেতু আর অস্ত্র রাখতে দেয়া হয় নাই- সেহেতু তারা এই ব্যাপারে দায়মুক্ত। দায়যুক্ত তারা যাদের হাতে অস্ত্র আছে আর যারা এখনো দালাল(ফাসি) রাজাকার(ফাসি) দেখেও না দেখার ভান করতাছে। যাদের উদার বদান্যতায় ৭১ এর দেশবিরোধী প্রজন্ম এখনো বহাল তবিয়তে থাকে খায় বা পুনরায় যুদ্বের জন্য পায়তারা করে বা পরিকল্পনা করে। একটা দেশের সামরিক বাহিণী কতোটা অকার্যকর হলে দেশ স্বাধীন হবার ৫০ বছর পরেও এদেশে দেশবিরোধী প্রজন্ম রা বসবাস করতে পারে বা থাকতে পারে। আবার জায়গায় জায়গায় পায়তারা করে সাধারন মানুষকে ঘোট পাকিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাইতাছে। এতোবড় করোনা পরিস্থিতি - দেশের সরকার তো সারা দেশের মানুষকে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইতাছে না ২/৩/৪/৫/৬/৭/৮ মাস যাবত, কিন্তু বড় সড় ব্রীজ কালভার্ট বানানোর জন্য ঠিকই অনুমোদন দিয়ে যাইতাছে। আপনার যদি বাংলাদেশের মানুষকে ঘৃনা করেন বা না খাওয়াইয়া মারতে চান তাহলে আপনারা সেটা সরাসরি বলতে পারেন্। তাহলে এদেশের মানুষজন বুঝতে পারবে যে: গরিববিরোধী প্রজন্ম দেশের ক্ষমতায় আছে- তাহলে এদেশের সাধারন মানুষের ক্ষতি হইতাছে- তাই তারা অন্য রাস্তা বা বিকল্প চিন্তা করতো। আপনার মুখ দিয়ে বলতাছেন বাংলাদেশ, স্লোগান দিতাছেন জয় বাংলা আর সারা দেশের মানুষকে বিগত ১০ বছর যাবত ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি (২০০৯ সালেল ২টাকা আলুর বর্তমান দাম ৪৮ টাাকা/কেজি- ভাবা যায় এদশের সরকার বাচবে কি করে) গরীব মানুষকে মাইরা ফালানোর জণ্য আয়োজন করতাছেন। তাদের ৫টি মৌলিক সুবিধা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদান না করে সমানে রোড ঘাটের উন্নয়ন করতাছেন- কাহিণী টা কি? আপনাদের দেশে কি কেউ বেড়াতে আসবে নাকি? রাজনৈতিক সরকার যা বলবে আপনার কি তাই করে বেড়াবেন নাকি? রাজনৈতিক সরকার তো লুটপাট, দুর্নীতি আর খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথথি মেরে তারা তাদের নিজেদের পকেট ভরার জণ্য নানা ধরনের প্রজেক্ট দেখাবে বা বলবে। কিন্তু গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তো হুশ জ্ঞান হারালে চলবে না।
পদ্মা সেতুর পরে আর কোন বড় সড় ব্রীজ বা রোড ঘাট কালভার্টের কাজ আমি ব্যক্তিগতভাবে সাপোর্ট করি না। আপনি করলে আপনি এদশের শতরু কারন এদেশের মানুষেরা হাড় ভাংগা পরিশ্রম করে যা মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে আন্তর্জাতিকভাবে। এই যুমনা রেলব্রীজ না করে সেতুর দুই প্রান্তে দুটি ইন্জিন ঘোরানোর মেশিন সেট আপ করলেই এনাফ আমার মতে। দেশের টাকা দেশের মানুসের ভাগ্যোউন্নয়নের কাজে ব্যবহার করুন।
আপনাকে আগে সাধারন মানুষের ৩ বেলা ৩ মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারি তরফ থেকে- তারপরে রোড ঘাট ডেভেলপ করার চিন্তা করবেন। বিশ্বের সব দেশে করোনা কালীন সময়ে তাদের নাগরিক দের বিশাল ভর্তূকি দেয়া হইতাছে- আর আমাদের দেশে নতুন নতুন রোড ঘাট বানানোর প্রজেক্টের খবর আসতাছে। বলি বাংলাদেশে কেউ বেড়াতে আসবে না। সাগরপাড়ে এখণ আমেরিকান রনতরী বা যুদ্বতরীর রমরমা শূনতে পাওয়া যায়। আবার চারিদিকে ভারতের সাথে ইসরায়েল আর্মি এবং ইউএসএ আর্মির অস্ত্র বেচা কেনার খবর সবাই জানে। বিশ্বে এমন কোন পরাশক্তি ণাই যে ভারতকে ডিংগিয়ে পুনরায় আক্রমন করবে বাংলাদেশকে। তাই বাংলাদেশের রোড ঘাটের উন্নয়ন বাদ দিয়ে আগে সাধারন মানুষের পেটের ক্ষুধা মেটানোর চেষ্টা করেন প্রত্যেক নাগরিককে ভর্তুকি দিয়ে মাস প্রতি মিনিমাম ৫০০০ টাাকা /পার হেড যেনো মানুষজন ঘর থেকে কম বের হয় আর করোনা তে আক্রান্ত না হয়। আর যদি না পারেন তাহলে এই রাজনৈতিক সরকার ভেংগে দিন বা আপনি নিজে যদি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে থাকেন আর আপনি যদি সাহায্য করতে না পারেন, আপনার মন যদি রাজী না হয় আর আপনি যদি দেশবিরোধী দালাল/রাজাকার প্রজন্মের ধারক ও বাহক হয়ে থাকেন তাহলে সেটা সরাসরি প্রকাশ্য দিবালোকে বলে দেন। আমরা আসলে কোন গুপ্তঘাতককে বাংলাদেশের সরাকরি চাকুরীতে রাখতে চাই না। তারা যেনো স্বেচ্চায় সড়ে দাড়ায় কারন বাংলাদেশ পুনরায় ক্ষেপে গেলে বিপদ আছে- একবার ক্ষেপেছিলো তাতেই সারা দেশের রাজাকারেরা ফাসির দড়ি গলায় নিয়ে বসে আছে। আর কুলাংগার যারা তারা জনগনের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা খেয়ে জনগনের সাথেই বেঈমানী করে যাইতাছে প্রতিনিয়ত। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তার কাছে: বাংলোদেশে করোনা আক্রান্ত হলে -পেনডেমিক শুরু হলে যেনো সেই বেজন্মা প্রজন্মটা ই মারা যায় যাদের সব কানা বন্ধ থাকলেও একটি কানা খোলা থাকে। গবেষণাতে দেখা গেছে: করোনা ভাইরাস যে কোন ছেদা (কানা) দিয়েই ঢুকতে পারে, লিকুইড ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে। করোনা শুরু হবার সময়ে আমরা সবাই দেখেছি: একজনরে হাচিতে যে লিকুইড ড্রপ থাকে সেটা আরেকজনের নাকের ছেদা দিয়ে যদি ঢুকে বা মুখ দিয়ে যদি ঢুকে বা কান দিয়ে যদি ডুকে তাহলে সেই জনেওর করোনা এফেক্ট হবে। এখণ কারো যদি রক্তে করোনা থাকে আর সে যদি নিয়মিত যৌন কার্য করে তাহলে তার রক্ত থেকে তৈরী হওয়া বীর্যতেও তো করোনা থাকবে। করোনার মহামারির সময়ে দেখেছি মানুষের লিংগ এবং বীর্য দুইখানেই করোনা পাওয়া গেছে।
জীবনের অন্যতম প্রধান পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষা। বলা যায় লাইফের ভাইটাল পরীক্ষা। এরকম পরীক্ষা কখনো নিজে না লিখে বা না পড়ে পাশ করা যায় না। ১৯৯৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা দিছি আমি। আজকে থেকে প্রায় ২২ বছর আগে। সব গুলো সাবজেক্টে গড়ে ৭৩.৮% মার্কস নিয়ে পাশ করেছি ১০০ এর মধ্যে। একটা কাহিনী এখনো মনে আছে। একজন বন্ধুর কাছ থেকে বায়োলজী সেকেন্ড পার্ট এর একটা প্রশ্ন (৫ মার্কস) দেখে লিখেছিলাম পুরোটা। একটা সাবজেক্ট পুরোটা দেখে লিখে নাই। একটা প্রশ্ন- বন্ধুকে বলেছিলাম: উত্তর টা না দেখালে আমি ফেল কের ফেলাইতে পারি। তার আগেই আমার ৫৭ এর মতো আনসার হয়ে গেছে। পরে তার কাছ থেকে একটা প্রশ্ন দেখি এবং সেটা ৫ নম্বরের। পরে বাকীটা যতোটা পারি লিখেছি। সেখানে আমি পেয়েছি ৬৩ (৪২+২১) এর মধ্যে। সেই ব্যাপারটাও এখনো অনেকখানে মনের মধ্যে খচ খচ করে। বন্ধুর সেই প্রশ্ন থেকে আমি কোন নাম্বার পাই নাই- আমি শিওর। তো আমার ৫৭ মার্কস থেকে ৪২ হইছে। আর প্রাকটিক্যাল ২৫ এ ২১। এই সব মিলে ৬৩ পাইছি। তো একটা প্রশ্নের একটা ৫ মার্কস দেখে লিখেছি তাতেই আজকে প্রায় ২২ বছর পরেও মনের মধ্যে কিছুটা খচ খচ করতাছে। আর করোনার কারনে পুরো বাংলাদেশের সকল এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একেবারে অটোপাশ (এইটা তো যারা ভালো ষ্টুডেন্ট তাদেরকে সারা জীবন খচ খচ করাবে) - এই অটোপাশ তো দেয়া দরকার ছিলো বিশ্ববদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে এবং মেয়েদের। এইটা তো ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ব না- এইটা ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্বের ৫০ বছর পূর্তি। ৫০ বছর পূর্তিতে একেবারে সব অটোপাশ। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সেমিষ্টারকে অটোপাশ দিয়ে রাখা উচিত কারন তারা চাকুরীর জণ্য পড়াশোনা করে। ভাইটাল একটা এক্সাম (এইচএসসি কলেজ পাশ) কে এই সরকার একেবারে অটোপাশ মেরে দিলো- মাথা টাথা ঠিক আছে তো? সমস্ত পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ক্লাশ করে যাইতাছে তাদেরকে অটোপাশ দিয়ে রাখা উচিত। কারন এখণ আর আগের মোত ১২ বছল সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা যায় না। এখণ ৬-৭ বছরের মধ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদেরকে ৮-১০ টা সেমিষ্টোর কমপ্লিট করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় না খোলা টা একটা বুদ্বিমানের সিদ্বান্ত। কারন হলে বা হলের গনরুমে বসবাস নিশ্চিত করোরা নিশ্চিত করতো সকল ধরনের ছাত্র ছাত্রীদেরকে।
একদম সম্পূর্ন ফ্রি ও বিনা খরচে সারা দেশের ১০ কোটি মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে হবে। সকল মানুষ যেনো টিকা পায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। জাতয়ি পরিচয়পত্র নাম্বার বা ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার বা ভোটার নাম্বার দিয়ে ধরে ধরে সকল মানুষের টিকা প্রদান করতে হবে। একটি ভ্যাকসিনের দাম যদি ৩০০০ টাকা হয় তাহলে ১০ কোটি মানুষের কাছ থেকে সেই টাকা নেওয়া যাবে না। সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই টিকার ফুল কস্ট ৩০০০০ কোটি টাাকা প্রদান করে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যার কোন দেশের বৈধ নাগরিকত্ব নাই তাকে কোন ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। কারন তার জন্য প্রদানকৃত ভ্যাকসিন সরকারি হিসাবের খাতাতে তোলা যাবে না। আর যদি ভ্যাকসিন না দেয়া হয় সরকারের তরফ থেকে তাহলে নিশ্চিত থাকা যায় যে : আগামী বছরেও বাংলাদেশ কে চালূ করা যাবে না। সকল মহলের সকল লোক একসাথে সব খানে সব কাজ করতে পারবে না। করোনা কালীন বাংলাদেশে অনেক দুর্নাম আসতাছে। হাসপাতালের ডাক্তার রোগী সরকারি হাসপাতাল যোগসাজশে শুধূ মাত্র ব্জর উঠলেই তাকে করোনা বলে হাসপাতালে ট্রান্সফার করে তার কাছে অবৈধ উপায়ে টাকা আদায় ও করা হয়েছে। গতকাল রাতে ইউটিউবে একটা নাটক দেখলাম যেখানে দেখােনো হয়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুবরন করা একজন মানুষের মৃত লাশ নিয়ে দুইজন ব্যক্তি দর কষাকষিতে লেগে গেছে। যে দেশে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে ব্যবসা হতে পারে সে দেশে তো করোনা সিচুয়েশন নিয়ে ব্যবসা হলেও ভ্যাকসিন নিয়ে কোন ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে আগে থেকে সকল মহল থেকে সরব থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl