আপনি যদি ইউরোপ আমেরিকা অলরেডী ভিজিট করে থাকেন তাহলে দেখবেন বিভিন্ন ছোট ছোট শহরে আমাদের দেশের কাচাবাজারের মতোন তাদের মার্কেট জমে যেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কেনা বেচা করে থাকে। যে কেউ তাদের পন্য সেখানে সেল করে থাকে। আর বাকীরা সেখান থেকে কেনাকাটা করে থাকে। এরকম প্রেসগুলোকে বিভিন্ন শহরে শহরে মার্কেটপ্লেস বলে থাকে। সেই মার্কেটপ্লেস ধারনা টা যখন অনলাইনে স্থাপিত হয় সেটাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বলে। বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি প্রতিষ্টান এবং সাধারন জিনিস পত্র ও অনলাইনে সমাহার হয় এবং সেগুলোকে মার্কেটপ্লেস বলে পরিচিত করা হয়। ওয়েবসাইটে যখন কেনা বেচা হয় এবং সেটা যখন ওয়েবসাইটের কোন পেমেন্ট প্রসেসর প্রসেস করে থাকে তাকে রেভিনিউ মানি বলে যদি একই দেশের ওয়েবসাইট এবং পেমেন্ট প্রসেসর হয়। যেমন: পেপাল একটি পেমেন্ট প্রসেসর। পেমেন্ট প্রসেসরের মূল কাজ হলো ইন্টারনেটের লেনাদেনাকে সহজলভ্য করে তোলা। অনেকাংশে তারা ভ্যাট, ট্যাক্স নির্ধারন করে থাকে বা নিজেরাই দিয়ে দেয় বা পন্যের মূল্য পরিশোধের সময় এড করে দেয় এবং যে পন্য কিনবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে তাকে সেই ভ্যাট ট্যাক্স এবং আরো কিছু % থাকলে সেটা পরিশোধ করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সাররা মেধা কেনা বেচা করে থাকে। এক দেশের ফ্রি ল্যান্সার কে আরেক দেশের বায়ার বা ক্লায়েন্ট হায়ার করে থাকে। এই মেধা কেনা বেচার মধ্যে যখন আপনি একই দেশের মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট এবং পেমেন্ট প্রসেসর (পেপাল) ব্যবহার করবেন তখন সেটা ওয়েবসাইট মালিকের জন্য হবে রেভিনিউ আর যে উপার্জন করবে এবং সে যদি অন্য আরেক দেশের নাগরিক হয় তখন সেটাকে বলা হবে রেমিটেন্স। আপনার জণ্য যেটা রেমিটেন্স - ওয়েবসাইটের মালিকের জণ্য সেটা রেভিনিউ। সেই রেভিনিউ এর উপরে ভিত্তি করে ওয়েবসাইটের মালিককে সেই দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হবে। যেমন আমাদের দেশের মার্কেটপ্লেস ওযেবসাইট আছে ২/৩ টা যেমন: কাজকি বা বিল্যান্সার। এরা যখন আমাদের দেশের মুদ্রাতে কারেন্সী কালেক্ট করবে তখন তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হবে কিন্তু তারা যখন কোন না কোন দেশের সেলার বা ওয়ার্কারকে পেমেন্ট দিবে ডলারে- সেটা সেই দেশের সরকারের জণ্য রেমিটেন্স হিসাবে এড হবে। ভাবতে পারেন: আমাদের দেশের ছেলে বা মেয়েরা অন্য আরেক দেশের ছেলে বা মেয়েকে রেমিটেন্স ও দিতে পারে। আমরা ফ্রি ল্যান্সার রা কোথায় চলে যাইতাছি। আমার কাছে অনেক সময় মনে হয় শান্তি তে কাজ করার জন্য ফ্রি ল্যান্সার রা পৃথিবীর বাহিরে একটা আলাদা স্পেসশিপ বানিয়ে নিবে যেখান বৌ / গাফ্রে সহ বসবাস করবে এবং ৫ বছরের কমে পৃথিবীতে ফেরত আসা যাবে না। এরকম একেকটা ওয়ার্কষ্টেশন পৃথিবীকে দিন রাত ২৪ ঘন্টা পদক্ষিন করবে আর ফ্রি ল্যান্সার রা সেখানে বসে কাজ করবে।
ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি ব্যাংকে যে পেমেন্ট হয় বা ওয়েবসাইট থেকে পাইওনিয়ার বা যে কোন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যাংকে ডলার আইসা ক্যাশ টাকাতে কনভার্ট হয় সেটাকে রেমিটেন্স মানি বলা হয় উইথড্র করার পরে। যে ডলার টা এড হয় সেটাকে রেমিটেন্স ডলার বলা হয়। সুইফট ট্রনাজকেশন/ ব্যাংক টু ব্যাংক এর মাধ্যমে যে ডলার ব্যাংক টু ব্যাংক মেথডে বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকে এড হয় (ডলার/ইউরো/পাউন্ড) সেটাকে প্রাইভেট ব্যাংক রেমিটেন্স বলা হয়। প্রাইভেট ব্যাংকের নিজস্ব সুইফট কোড বা আইবিএন নাম্বার আছে যা দ্বারা সে সারা বিশ্বের যে কোন ব্যাংক থেকে যে কোন মুদ্রাতে কারেনসী রিসিভ করতে পারবে আবার সেটা ক্যাশ টাকাতে কনভার্ট করেও দিতে পারবে - এইটা প্রাইভেট ব্যাংকের নিজস্ব ক্ষমতা। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকেও হয়তো আলাদা করে কোন না কোন রেমিটেন্স এড হয়। প্রাইভেট ব্যাংকের রেমিটেন্স কে তো আর নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স হিসাবে দেখানো হয় না। বাংলাদেশের রেমিটেন্স বলতে সকল ব্যাংকের রেমিটেন্স বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স বলতে কি বোঝানো হয়ে থাকে - শুধূ মাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে যাদের একাউন্ট আছে তাদের রেমিটেন্স নাকি সকল ব্যাংকের রেমিটেন্স এক সাথে?
যেমন: আমি যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকি সেটা থেকে রেমিটেন্স আমরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আনতে পারবো যেমন: পাইওনিয়ার বা পেল্যুশন। পাইওনিয়ারে ডলার উইথড্র দেবো সেটা পাইওনিয়ারে এড হবার পরে পাইওনিয়ার থেকে পাইওনিয়ার ব্যাংক উইথড্র মেথডে বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকে এড দেবো : যেমন: ইষ্টার্ন ব্যাংক ব্যবহার করি আমি। আমি এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করি -সেখানে থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে উইথড্র দেয়া যায় না, কারন তাদের নিজস্ব ব্যাংক আছে নাম পেল্যুশন। কিন্তু এসইওক্লার্ক থেকে আমি পাইওনিয়ারে বা পেল্যুশনে নেই- তারপরে পাইওনিয়ার বা পেল্যুশন দিয়ে বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংক ইষ্টার্ন ব্যাংকে আনি, এইটা প্রাইভেট ব্যাংকের রেমিটেন্স। আর যারা সরাসরি ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট থেকে উইথড্র দেয়: যেমন: ফ্রি ল্যান্সার ডট কম, আপওয়ার্কস ডট কম- যে সকল ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকে (যেমন: ডাচ বাংলা ব্যাংক বা সিটি ব্যাংক বা এ ধরনের যে কোন ব্যাংক) সরাসরি সুইফটের মাধ্যমে (যেমন: ডিবিবিএল এর সুইফট কোড: DBBLBDDH100 উইথড্র করে সেটাকে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স বলে নাকি বাংলাদেশের রেমিটেন্স বলে - ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং খাতে। রেমিটেন্স নিয়ে এইখানে ৩ টা শব্দ পাওয়া গেলো:
- বাংলাদেশের রেমিটেন্স
- বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স
- প্রাইভেট ব্যাংকের রেমিটেন্স
যে যে উপায়ে ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট থেকে উপার্জন উইথড্র করা যায়:
- ইন্টারনেটে ব্যাংকিং গেটওয়ে যেমন: পেপাল বা স্ক্রিল বা নেটেলার বা ওয়েবমানি বা পারফেক্ট মানি
- ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার যেমন: পাইওনিয়ার কার্ড একাউন্ট থেকে যে কোন ব্যাংক একাউন্ট, পাইওনিয়ার ব্যাংক একাউন্ট টু যে কোন ব্যাংক একাউন্ট।
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি (DBBLBDDH 100) মেথডে পেমেন্ট উইথড্র করা যেটা ২০১১ সালের আগে আমি করতাম ওডেস্ক বা ইল্যান্স থেকে।
- ব্যাংক চেক বা কুরিয়ার চেক বা ই-চেক।
- পে ড্রাফট কুরিয়ার।
- ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানি গ্রাম। বিশ্বে অনেক ওয়েবসাইট আছে এই দুইটাতে পেমেন্ট উইথড্র দেয়।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl