আগামীকাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় দেশের শীর্ষস্থাণীয় ফ্রি ল্যান্সারদের কে ভার্চুয়াল আইডি কার্ড দেবার কথা ঘোষনা করেছে। অনলাইনে আবেদন করা স্বাপেক্ষে এই কার্ড পাওয়া যাইতে পারে। সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ে দেশের শীর্ষস্থাণীয় ফ্রি ল্যান্সারদের কে এই কার্ড দেবার জণ্য অনুষ্টানের ও আয়োজন করেছে। কোন কিছু হলেই অনুষ্টানের আয়োজন করা বা খরচ করা - বাংলাদেশের একটা কালচার। পৌনে ছয় কোটি গরীব মানুষের দেশে বসবাস করে নিজেকে বড়লোক ভাবা বা বড়লোক ষ্টাইলে চলাফেরা করা - এই দেশের একটা অনৈতিক কালচার হয়ে দাড়িয়েছে। একাবর ভেবে দেখেছেন এই দেশের বিভিন্ন এমপি বা মন্ত্রীদেরকে প্রটোকল দিয়ে রাখতে হয় সিকিউরিটি বাহিণী- যদি কখনো কেউ কোথাও গনপিটা শুরু করে দেয় তার তো কোন ঠিক ঠিকানা নাই। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এমন কোন জন প্রতিনিধি নাই যে কিনা সহজ সরল ভাবে সকলেল সাথে মেলামেশা করতে পারে। অথছ যে দেশ আমাদেরকে বর্তমানে পাইওনিয়ার কার্ড দিতাছে- আয়ার ল্যান্ডের বিউয়ন্ডে- সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসে। পার্শ্ববর্তী দেশ ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাংলাদেশে বেড়াতে এসে বা রোহিংগা মিবির পরিদর্শনে এসে একাই একাই চলে এসছেন দুবাই পর্যন্ত। অনেক দিন আগে দেখেচিরাম: ভেনিজুয়েরার প্রেসিডেন্ট নিজের সবজির ক্ষেত থেকে শাক সবজি খেয়ে তাকেন। কোন এক মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট - রাস্তার পাশে দাড়িয়ে নামাজ পড়তেন এবং তার জামাও অনেক সময়ে ছেড়া থাকতো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একা একা অনেক সমেয় হেটে বেড়ান। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো প্রায়শই একা একা কয়েক জন সংগী নিয়ে ঘুরতে বের হোন। কিন্তু কখনো শুনেছেন বাংলাদেশের কোন মন্ত্রী রাস্তাঘাটে একা একা ঘুরে বেড়াইতাছেন। এইটা এমন এক দেশে যেখানে জন মানুষের নিরপাত্তা ও নাই- আবার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ও নিরাপত্তা নাই।
একবার পত্রিকাতে দেখেছিলাম যে: ইউরোপ এবং আমেরিকাতে ইমিগ্রেশন সিটিজেন (এখন অবশ্য নতুন নিয়ম আসতাছে আরো: ধারনা করা হইতাছে করোনার ভয়াবহতায় ইউরোপ এবং আমেরিকা নতুন করে আর কোন ইমিগ্রেন্টকে এলাও করবে না তাদের দেশের স্বাস্থ্য বিধির কথা বিবেচনা করে) বেড়ে যাবার কারনে সেখানকার নাগরিকদের বা জন পতিনিধিদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়- তাদের দেশে তারা কোন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে না- নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে যখন তারা ইমিগ্রেন্টদের ধারে কাছে যায় তখন। তাহলে বুজেণ আমরা কেমন দেশে বসবাস করি যেখানে জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াতে পারে না- বলতে গেলে মানুষজন পাত্তাই দিতে চায় না। কালে ভদ্রে কয়েকজন আছে যারা সকলের সাথে মিলে মিলে চলা ফেরা করতে পারে। তেমনি ফ্রি ল্যান্সার রা কোন আলাদা জগতের মানুষ না। তারাও সকলের সাথে মিলে মিশে চলতে পারে। বাংলাদেশে আর কোন প্রফেশনের মানুষকে হয়তো রাত জেগে কাজ নাও করতে হতে পারে কিন্তু যারা মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার তাকে অবশ্যই রাত জেগে নিজের হায়াত কমিয়ে শরীরকে শুকনা বানিয়ে সারা দিনে গুমিয়ে বা ঢুলু ঢুলু চোখে কাটিয়ে কাজ করতে হয়। (ক্লায়েন্ট ডিমান্ড অনুযায়ী কারন বাংলাদেশে যখন রাত যুক্তরাষ্ট্রে তখন দিন)।
মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার কে সারারাত জেগে কাজ করতে হয় বলে বাংলাদেশের সমাজে অনেকেই কটাক্ষ করে থাকেন যে : মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার রা বুঝি নাইট গার্ড । বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সার রা নাইট গার্ড হতে পারে তবে সেটা ইনফরমেশনের নাইট গার্ড, রাতভর দেশের ভেতরে বসে কাজ করার গার্ড বা রেমিটেন্সের নাইট গার্ড। কারন সারারাত ধরে কাজ করার জণ্য মার্কেটপ্লেসে যে ডলার জমা হয় সেটাইতো সুইফট বা রেমিটেন্স হিসাবে বাংলাদেশে এড হয়। তাহলে মার্কেটপ্লেসে ফ্রি ল্যান্সারদের প্রোফাইল একটা পরিচয়। আবার দ্বিতীয়ত : মার্কেটপ্লেসে ভেরিফায়েড ফ্রি ল্যান্সার হবার কারনে আপনার অতি অবশ্যই বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। কিন্তু অনেকেই যারা বৈধভাবে মার্কেটপ্লেসে ওয়েবসাইটে কাজ করে এসছেনে এবং নিজরে বড় ভাই বা বাবা বা মার বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ব্যবহার করেছেন এখন তো তারাও সুযোগ পেয়ে যাবেন সরকারের দেয়া ভার্চুয়াল পরিচয়পত্র নেবার জন্য। আর যদি সেটা একটা শরমের বিষয় হয়ে দাড়ায় বা প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সচিব যদি কারো বাবা বা মা বা বড়ভাই বোনদের কে প্র্ন করে বেস যে: আপনি কি কি কাজ করে রেমিটেন্স উপার্জন করেছেন তাহলে কি হাল হতে পারে? এইখানেই ২টা পরিচয়পত্র - মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল এবং ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান ওয়েভসাইট থেকে উপার্জনের কারনে বিদেশী সরকারের ডাটাবেজে থাকা ডব্লিউ ৮ ফরম যা আপনাকে অতি অবশ্যই পূরন করতে হবে যদি আপনি সরাসরি সুইফট ট্রনাজকেশন করতে চান। তারপরে আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে এনরোলমেন্ট একজন রেমিটেন্স উপার্জন কারী হিসাবে। তাহলে এইখানে কতোগুলো পরিচয়পত্র তৈরী হলো:
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের প্রোফাইল
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের ভেরিফিকেশন
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের প্রোফাইল সিগনেচার
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের এফিলিয়েশন ডিটেইলস
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের ডব্লিউ ৮ ফরম
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের উপার্জনের রেকর্ড
- মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের উইথড্র রেকর্ড
- বাংলাদেশ ব্যাংকে রেমিটেন্স টাচের রেকর্ড
- প্রাইভেট ব্যাংকে রেমিটেন্স রিসিভিং ডিটেইলস
- প্রাইভেট ভ্যাংকের বেডিট বা ক্রেডিট কার্ড
- ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট পলিসি মাষ্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড (পেপাল মাষ্টারকার্ড বা পাইওনিয়ার মাষ্টারকার্ড বা স্ক্রিল ভেরিফিকেশন কার্ড)
- ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত বা ভেরিফাঢেয ডুয়াল কারেন্সী মাষ্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড যেখানে বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার তো লাগবেই সেই সাথে লাগবে ভেরিফায়েড মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের এনডোর্সমেন্ট।
- লোকাল পেমেন্ট প্ররফ: ট্রানজেকশন নাম্বার বা ব্যাংক রিসিপট যেখানে আপনি প্রতিবার ট্রানজেকশন করার সময়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিতাছেন।
- সর্বোপরি রয়ে গেছে : মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের উইথড্র রেকর্ড সিরিয়াল নাম্বার এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডলার ট্রনাজকেশন ট্রাক নম্বর বা সিরিয়াল নাম্বার।
এতো এতো ডিটেইলস থাকার পরেও তি আপনার ফ্রি ল্যান্সার রিলেটেড ভার্চুয়াল কার্ড লাগবে। আমার লাগবে না কারন আমি এতো বড় ফ্রি ল্যান্সার না যে সারা দেশে আমার নাম ফুটাতে হবে। আমার ভাই ব্রাদার বা পরিচিত মহল যদি আমাকে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে মূল্যায়ন করে তাতেই আমি ধন্য বা সন্তুষ্ট হবো। টাকা কামানোর নেশা আর ডলার কামানোর নেশা কখনো এক হতে পারে না- দুইটার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। একটা সময় ছিলো ২০০২-২০১১ পর্যন্ত যখন মানুষ রাস্তাঘাটে জিজ্ঞাসা করলে বলতে বা প্রমান করতে কষ্ট হতো যে ফ্রি ল্যান্সার পেশাটা কি বা মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার দের কি কাজ? কারন তখণ তথ্য প্রমান ছিলো অনেক কম। ব্যবহার করতে হতো ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রথা ( যেমন: পেপাল, পাইওনিয়ার, স্ক্রিল, ওয়েভমানি, পারফেক্ট মানি, নেটেলার) এইগুলো। যখন ওডেস্কে প্রথম ডলার উপার্জন করি তখন যে মেথড গুলো ছিলো:
- পেপাল বা স্ক্রিল
- ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার
- ব্যাংক চেক
- ইলেকট্রনিকস চেক।
ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্স আনতে স্বক্ষম এই কথা বিবেচনা করে যখন বাংলাদেশ ব্যাংক সুইফট ট্রনাজেকশন মেথড কে এলাও করে সেদিন থেকেই বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সার রা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্টিত। কারন বাংলাদেশের সকলেই জেনে গেছে বা জেনেছে যে: তারা বাংলাদেশে রেমিটেন্স এড করেছে এবং তাদের চারিকে নাম ডাকও ছড়াইয়া পড়ে। বোংরাদেশী যারা মার্কেটপ্লেসে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে কাজ করতো তারা বাংলাদেশ ভ্যাংকের সুইফট ট্রানজেকশন ব্যাপারটাকে সাদরে আমন্ত্রন জানায় কারন পেপালের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক সামর্থ্য হয় নাই সেটাকে এড করার জণ্য । ফলে ব্যাংক সুইফট পদ্বতি ব্যাপাক সাড়া ফেলায় ফ্রি ল্যান্সার দের মধ্যে। আর সব ধরনের ক্লায়েন্টকে একটা মার্কেটপ্লেস নিয়ে আসার চেষ্টা করে সারা দেশের সকল ফ্রি ল্যান্সার রা : যেমন কেউ কেউ ওডেস্ক বা কেউ কেউ ইল্যান্স, এই প্রেশারটা ফরেনার রা পছন্দ করে নাই। ফরেনার রা এমন ধরনের প্রেশারের কারনে বোধ করি পরবর্তীকালে ফাপড়বাজ ফ্রি ল্যান্সারদের কারেন তৈরী হয় ওডেস্ক এবং ইল্যান্স বিহীন একটা মার্কেটপ্লেস। আমি ২০১১ সালে একসাথে সব একাউন্ট হ্যাকড হয় এবং সেদিন থেকে একটি মার্কেটপ্লেসের সদস্যপদ গ্রহন করি যেখান থেকে কোন দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে উইথড্র করা যাবে না। তারা তাদের ক্লিন ইমেজের জণ্য এই পলিসি গ্রহন করে এবং এই মূহুর্তে তারা এই বিশ্বের সেরা মার্কেটপ্লেস। তারা তাদের নিজেদের তৈরী একটা ব্যাংক এর মাধ্যমে সব লেনাদেনা কন্ট্রোল করে।
২০০২- ২০১১ পর্যন্ত সুইফট ট্রাজেকশন এড হবার আগে পাইওনিয়ার কার্ড ও বিমাল ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে পাইওনিয়ার কার্ডে নিজের নাম এবং কোম্পানীর নাম একসাথে দেয়া তাকে বিধায় যে কেউ যে কোন খানে যে কোন ভাবে নিজেকে পরিচয় করাতে পারে। কিন্তু মাঝে সুযোগ নেয়া শুরু করে : একম্যেনীর ফাপড়বাজ লোকজন। এক ডলারও উপার্জন করে নাই কখনো তারা ফ্রি ল্যান্সার দের উপরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সাহায্য কের। এক ডলারও উপার্জন করে নাই এরকম লোকজনের সাথে যারা চলাফেরা করে তারা প্রথমেই জনমনে আস্থা হারিয়ে ফেলে। যুদ্ব বিগ্রহ জাতি বাংগালী। খুবই সতর্কতা আর নৈপুণ্যতার সাথেই দেশ থেকে শতরু কে পরাস্থ করে পরাজিত করে ক্ষমা প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়- তাদের সাথে তো আর যাই হোক প্রতারনা করতে পারবে না কেউ? এ্কই সাথে এখনকার দিনে অনেক ফ্রি ল্যান্সার প্রকাশ্য দিবালোকে টাকা চাইতেও শুরু করে। ফলে যারা ইন্টারনটে ডিষ্ট্রিবিউশন এর সাথে জড়িত তারা পড়ে যায় ব্যাপক প্রেশারে? গ্রামের সহজ সরল মুক্তিযোদ্বাদের অনুমতি নেয়া এবং বুঝাইতে যাইয়া যথেস্ট বেগ পাওয়া শুরু হয়। এই ফাপড়বাজ দের কারনে গ্রামের সহজ সরল যাদেরকে তারা অনেক সময় ভুখা নাংগা (মাফ করবেন আমাকে) বলে অপমান করে - তাদের দ্বারে আজো ইন্টারনেট টাকে নিয়ে যাওয়া সহজ হয় নাই। তাদের কে ৭১ এ যারা মেরেছে ভুখা নাংগা বলে- তাদের কে বলা হয় গনহত্যার আসামী যার সব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরন চলাকালীণ সময়ে ইন্টারনেটে দেখতে পাই যারা ৭১ এ বাংলাদেশে গনহত্যা চালায় তারা যেনো ক্ষমা চায়। সকলেই বিশ্বাস করে গসজাগরনরে শক্তির কাছে তারা পরাস্থ হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষমা চাইবে যা যে কোন যুদ্বে বিজয়ী জাতি আশা করে থাকে। কিন্তু সেখানে নাম ধারী কিছু ফ্রি ল্যান্সার জয় বাংলা কে পশ্চাদপদ প্রদর্শন করে তাদের সাথে চলাফেরা উঠা বসা এবং এমনকি ব্যবসায়িক লেনাদেনা ও শুরু করে। ২০১১ সালে যেদিন কায়রো গনজাগরন থেকে সিদ্বান্ত আসে যে: বাংলাদেশে পেপাল চালু হবে (যেখানে বিশ্বের সব দেশের বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের নামও দেখায়- সেখানে বাংলাদেশে টেষ্টিং ফেজে প্রথম দিনই নাকি সেন্ড মানি করা হয় বাংলোদেশের ভেতর থেকে শতরুদের কাছে বলে শুনেছি- সত্যথা যাচাই করে নিতে হবে) যার কারনে মনে হয় বাংলাদেশে এখন আর পার হেড আইপি পায় না পেপাল আর তাদের সারা বিশ্ব ব্যাপী ব্যবসাও শুরু করতে পারে নাই বাংলাদেশে। অনেক ফরেন বায়ার বা ক্লায়েন্ট রা আইসা জিজ্ঞাসা করে : তোমার আইপি এড্রস কতো? বিভিন্ন কাজের জন্য - যখন বলি যে আমাদের তো পার হেড আইপি নাই তখন অনেকেই হেসে দিতো। একটা দেশে কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনটে ব্যবহার করে অথচ প্রত্যেকরে নিজস্ব আই পি এড্রস নাই। ব্যাপারটা কতো বড় হাস্যকর। উন্নতির চেয়ে অবনতি হয়ে গেলো বেশী। একটা পারসোনাল আইপি দিয়ে কতো ধরনের কাজ হয় ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না?
একটা সময় যখণ বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং ইনডাষ্ট্রিজ কে প্রতিষ্টিত করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে তখন অনেক ধরনরে বাধা ছিলো। সরকারি আমলাদেরকেও তাদের অফিসে যাইয়া বসে বুঝাতে হয়েছে ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং কি আর আমরা কিভাব েসে কাজ করতাছি। প্রথমত শুধু ইন্টারনেট ব্যাংক গুলোই ভরসা ছিলো। অনেকেই বলেছে ফ্রড বা ডিসেকসান বা দুই নাম্বারি এবং যা তা অযথা। কিন্তু আজকে দেখা যাইতাছে : সারা দেশ জুগে ফেসবুকে অজস্র দুই নাম্বারি আক্রমন করে বেসেছ। এই কোর্স করবেন কিনা, সেই কোর্স করবেন কনিা, ঘরে বসে উপার্জন করবেন কিনা বা আজকেই ফ্রি ল্যান্সার হয়ে যাবেন কিনা বা কোটিপতি হবেন কিনা- নানা ধরনের অফার । ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। দেশের ফ্রি ল্যান্সারদের এখন অনেকটাই বাজে অবস্থা। তো সেই ষ্ট্রাগলের সময়টাতেই দরকার ছিলো ফ্রি ল্যান্সারদের আইডি কার্ড যখন রাস্তা ঘাটে মানুস জন আটকাতো কিংবা যখন ঢাকা শহরের যে কোন মেয়ে উপার্জনের খতা শুনে নানা ধরনরে কটু কথা শুনে রাস্তাতে নেমে আসতো, যখন রাজধানী শহরের রাস্তাতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বা গাড়ির বনেটের উপরে উবু হয়ে ঝুকে ল্যাপটপ কম্পিউচটার ব্যবহার করতো আর একসাতে হইলেই ডিসকাসন শুরু হয়ে যাইতো। আসলে এই জগতটা প্রতিষ্টার জন্য যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী তাদের কে সবসময় পর্দার আড়ালেই থাকতে হবে কারন তাদের চোহার বাংলাদেশের প্রথম দিককার ফ্রি ল্যান্সার রা ছাড়া আর কেউ চিনে না। আর আজকে এমন ধরনের লোক জন ফ্রি ল্যান্সার দের উপরে মাথার চড়ি ঘোরায় যাদের কিনা ফেসবুক একাউন্ট ই নাই বা কোন মার্কেটপ্লেসে কোন একাউন্ট নাই বা ১ ডলার উপার্জনের রেকর্ড ও নাই।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl