ভালো এবং মন্দ এই দুইটা মিলিয়েই দুনিয়া। দুনিয়াতে ভালো মানুষ ও থাকবে খারাপ মানুষ ও থাকবে। ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের বিস্তার ধীরে ধীরে। একসময় প্রচার তারপরে প্রসার এবং লোড সামলাতে না পেরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন টানে। আমাদের দেশে একটা ব্যাপারে অনেকেই ভুল করে থাকে: তা হলো রাজনৈতিক সরকার কে প্রধান ক্ষমতাবান মনে করে। ব্যাপারটা একটু ভুল আছে। বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ। সেখানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্বান্ত গুলো পৌছানোর জন্য একজন রাজনৈতিক নেতার বা জনপ্রতিনিধির দরকার হয়। সরকার তার কাছে সিদ্বান্ত গুলো সেন্ড করে আর জনপ্রতিনিধিরা সেই সিদ্বান্ত কে সকলের সামনে প্রকাশ করে। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় সকল ধরনরে মন্ত্রনালয় এবং সচিবালয়ের সমন্বয়ে। মন্ত্রনালয় এবং সচিবালয়ে যারা জয়েন করে তারা সবাই সরকারের বিসিএস ক্যাডার বা মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিয়োজিত নন ক্যাডার। এরাই আসলে বাংলাদেশ সরকারের অবকাঠামো। সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসনের সমন্বয়ে যে সরকার ব্যবস্থা সারা দেশ জুড়ে গঠিত তাকে বলা হয় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবকাঠামো যা ৭১ এ মুক্তিযোদ্বারা তাদের যুদ্বের ফাকে ফাকে তৈরী করেছে। ভবিষ্যত বাংলাদেশ কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের অবকাঠামো কিভাবে তৈরী হয় সেটা যুদ্বের সময়েই রাত না জাগা মুক্তিযোদ্বারা তৈরী করেছেন আর যুদ্ব শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তা বাস্তবায়ন করেছে।
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন রচয়িতা শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩
সেখানে রাজনীতিবিদদেরকে যুক্ত করা হয় শুধুমাত্র সরকারি সিদ্বান্ত গুলো জনগনের সামনে প্রকাশ করার জন্য। সরকারের একজন সচিব কর্তৃক গৃহীত সিদ্বান্ত নিশ্চয়ই মন্ত্রনালয় বা সচিবালয়ের বাহিরে এসে সাধারন মানুষকে বলার কথা না- সাধারন মানুষ তার কথা শুনবে না। সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের কে মনোনয়ন করা হয় এবং তারা সরকারের সিদ্বান্তগুলেোকে সাধারন মানুষের কাছে পৌছে দেয়ে। আবার সাধারন মানুষের কথা সরকারের কানে আনার জণ্য নেয়া হয় জাতীয় সংসদ কর্তৃক মনোনীত প্রত্যেক এলাকার জন প্রতিনিধি সেগুলো দেশবাসী এবং সরকারের সামনে তুলে ধরে। সরকারের ণীতি নির্ধারক পর্যায়ের যারা সচিব বা আমলা তারা আবার সেগুলো নিয়ে ডিসকাশন করে প্রয়োজনে গবেষনা বা পূর্বকার গবেষনার সাহায্য নেয় তারপরে সেগুলো যদি একটি মন্ত্রনালয়ে ব্যাপার হয় তাহলে মন্তনালয়ের মিটিং এ আর যদি বহু মন্ত্রনালয়ে বিষয় হয় তাহলে (Inter Ministerial Secretarial Committee- IMSC) সব মন্ত্রনালয়ের মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্বান্ত গ্রহীত হয় এবং তা যাচাই বাছাই হয় এবং তারপরে সেটা আইন বা প্রজ্ঞাপন আকারে জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করা হয় এবং জনপ্রতিনিধিদেরকে একটি কপিও দেয়া হয় এবং তারা সেটা নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় প্রকাশ করে থাকে। তার আগে তারা সেটা যাচাই বাছাই করার সুযোগ পায়- নিজস্ব মতামত কিছু এড করারও সুযোগ পায় জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে। সরকারের গৃহীত একটি পদক্ষেপ যদি সকল রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য রা বিরোধিতা করে তাহলে সেটা বাতিল হয়ে যাইতে পারে।
রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য পদের জনপ্রতিনিধিদের জন্য স্থায়ী কোন বেতন কাঠামো নাই। এমন না যে একবার এমপি বা মন্ত্রী হলো আর সারাজীবন বেতন ভোগ করলো। যেটা আছে- সেটা ভাতা বলা হয়। এক টার্মে জাতীয় সংসদে যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসে তাদেরকে চলা ফেরা বা খাওয়া দাওয়া বাবদ সরকার একটি খরচ বা ভাতা দিয়ে থাকে। আর যখন জাতীয় সংসদ শেষ হয়ে যাবে তখন পুনরায় নির্বাচন এর জণ্য তাদেরকে জাতীয় সংসদ ছেড়ে জনগনের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে দেখেছি অনেক- ভোটের সময় মুসলিম ধর্মকে ব্যবহার করতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না। মাথাতে হিজাব আর হাতে তাসবিহ নিয়েও অনেকে ভোট চেয়েছে ভোটের আগে, ভোটে জেতার পরে আর মাথাতে হিজাবও নাই আর হাতে তসবহিও নাই। যে কোন রাজনৈতিক সরকারকে ভেংগে দিতে পারে ৩ ধরনের ক্ষমতা:
- বাংলাদেশ সরকারের জনগনের সর্ব্বোচ্চ কোর্ট হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট।
- গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি।
- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
- ভোটার তালিকায় নিজের নাম ও ভোটার নম্বর
- বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
- রাষ্ট্রপতি ( প্রথমে এমপি থাকলেও পরে রাষ্ট্রপতি কে এমপি পদ ছেড়ে দিতে হয়)
- প্রধানমন্ত্রী
- মন্ত্রী
- এমপি
- উপজেলা চেয়ারম্যান
- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
- ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার
- সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
- সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সেলর
- সংসদীয় মহিলা এম পি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সেলর।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl