অনেকেই অনেক সময় প্রশ্ন করে যে: তুমি ফেসবুকে যে লিংক টা দেখেছো সেটা আমার কাছে সেন্ড করো। তো এই সেন্ড করার ক্ষেত্রে অনেকেই অনকে পন্থা অবলম্বন করে থাকে। যেমন:
- লিংক টা ফেসবুক মেসেন্জারে শেয়ার করা। পরিচিত বা অপরিচিত। পরিচিত দের সাথে শেয়ার করাটা ভালো কিন্তু অপিরিচতদের সাথে শেয়ার না করাটা ভালো। কোন লিংক ভালো লাগার যরে আপনি যদি গনহারে সেটা শেয়ার করতে থাকনে আর ইন্টারনেটে থাকা রোবটের চেয়েও দ্রুতগতিতে শেয়ার করতে থাকেন তাহলে ফেসবুক আপনাকে ব্লক করে দিবে বা সাময়িক ভাবে থামাইয়া দিবে। বা আপনি স্পাম রিপোর্টিং ও খাইতে পারেন। তো একসাথে অনেক কে মেসেন্জারে ম্যাসেজ করতে থাকলে ফেসবুক সেটাকে স্পাম হিসাবে মার্ক করতে পারে। তো স্পামিং করা যাবে না। (Spam-Spamming)।
- ফেসবুকের পোষ্টিং টাইম টা কপি করা এবং কালেক্ট করে শেয়ার করা। এই কাজটা সাধারনত ফ্রি ল্যান্সার রা করে থাকে। সাধারনত কয়েক ধরনের ফর্ম্যাট হয় একটি ফেসবুকের লিংক এর।
আপনি চাইলে সরাসরি লিংক ও যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন তবে ম্যাসেন্জারে শেয়ার করার থেকে বা সরাসরি লিংক কপি করে দেওয়া থেকে লিংক টা পোষ্টে শেয়ার করা কাষ্টম আকারে- আপনার প্রোফাইল কে অনেক সেভ রাখবে। তাছাড়া আপনি যে কোন পোষ্ট আপনার ষ্টোরি তেও শেয়ার করতে পারবেন। শেয়ার করার অনেক উপায় আছে কিন্তু লিংক কপি করার এই ২ টা উপায় আছে। ১) রাইট বাটনে ক্লিক করে কপি লিংক এবং ২) পোষ্ঠিং এ দেয়া থাকা কপি লিংক। এই কপি লিংকে যে স্যংখ্যাটা থাকে সেটা ফেসবুকের পোষ্টিং লিংক। খুব এক্সপার্ট হ্যাকার কলে সে আপনার এই পোষ্ঠিং নাম্বার থেকে আপনার একাউন্টের অনেক তথ্য বের করে ফেলাতে পারবে কারন যে সংখ্যাটা া্পনি পোষ্টর সাথে পাইছেন সে সংখ্যা নাম্বারটার সাথে আপনার প্রোফাইলের অনেক তথ্য ফেসবুক ডাটাবেজ েআছে। সো সে যদি কোন ভাবে আপনাকে ব্রাউজারে উইক পায় বা আপনার ফেসবুকের তথ্য ও যদি দুর্বল থাকে বা সিকিউরিটি সিষ্টেম যদি লো থাকে তাহলে আপনি হ্যাকড হয়ে যাইতে পারেন। যেমন: কয়েকদিন আগে ইউএসএ ইলেকশনের দিন আমার ফেসবুক একাউন্ট লগইন করা যাইতেছিলো না তখন যে হ্যাকার এই তাজটা করেছে সে ম্যাক্সিমাম ৫ সেকেন্ড সময় পাইছে আমার ফেসবুকে একটি ইনডয়ান ব্লগের লিংক পোষ্ করার জন্য্। আমার ফেসবুক প্রোফাইল ব্লগার এপিআই এর সাথে কানেক্টেড ছিলো আগে। এই ব্লগে র পোষ্টে কমেন্ট করার জন্য লগইন উইথ ফেসবুক টোকেন বা বাটন ব্যবহার করে ঢুকা যাইতো। সেভাবে আমার পোষ্টে লিংক পোষ্ট করার পরে সেই হ্যাকার আমার ফেসবুক কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়। পরে আবার সেটা ওকে হয় প্রায় ৭/৮ দিন পরে। তো কাউকে ফেসবুকের পোষ্টিং লিংক দেয়া থেকে সাবধান।
এই পোষ্টিং লিংক বা কপি লিংক নাম্বার টা সবসময় ই আ্পনার সাথে থাকবে। আপনি যখণ মেসেন্জারে শেয়ার করবেন বা আপনি যদি আপনরা প্রোফাইলে শেয়ার করেন সেখান থেকেও বের করা যাবে। ঠিক এই ধারনা থেকে অনেকেই ফেসবুকে লিংক শেয়ার করে না। ইভেন লাইক ও দিতে চায় না। আমাদের দেশে অনেক নামী দামী তারকা আছে যারা কখনো কারো পোষ্টিং এ লাইক দেয় না তাদের কম্যুনিটির বাহিরে। তারা মনে করে এতে করে তাদের ভ্যালূ কমে যাবে। সেই ভ্যালূ টা কি চেহারার ভ্যালু নাকি ফিজিক্যাল ভ্যালু বা নাকি তার সামাজিক ভ্যালূ কমে যাবে সেটা বোঝা গেলো না। ইদানিং তারা বলে বেড়াইতাছে দেখলাম যে: তাদরে ফেসবুক পেজ বা গ্ররপ এই গুলো সবই নাকি এডমিন রা কন্ট্রোল করে। তো আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম যে: ভক্তদের কাছ থেকে আসা পারসোনার প্রশ্নের উত্তর কারা দেয়। বলতাছে: এডমিনরাই দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এডমিন রা কি আপনার সব কিছু জানে। তো বলতাচে: হ্যা। সবই জানে। তো আমি বললাম: বিয়ে করে ফেলািইছেন মনে হয় এডমনি দেরক। তো বলতাছে বিয়ে করে নাই: তবে ভালো সম্পর্ক আছে। যাই হোক আপনার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার প্রোফাইল যদি অন্য কেউ কন্ট্রোল করে সেটা এক ধরনের অপরাধ। আপনার ডিভাইস লোকেশন বা ট্রাকিং সিষ্টে আচে: আপনার প্রোফাইল যদি ভিন্ন লোকেশন থেকে অণ্য কেউ ওপেন করে ব্যবহার করে তাহলে আপনি ফেসবুকের ডাটাবেজে ব্ল্যাকলিষ্টেড হয়ে যাবেন। কারন পারসোনাল ইনফরমেশন শেয়ার করা ফেসবুকে বা যে কোন সোশাল মিডিয়া তে নিষেধ। ডাটাবেজে থাকা বট বা রোবট উল্টা পাল্টা আচরন শুরু করবে যদি একই প্রোফাইর কয়েকটা লোকেশন থেকে ওপেন হয়- আর চাইরে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ সেটাকে মিউট করে রাখবে। আন্তর্জাতিক হইতে যাইয়া লোকাল হইয়া যাইতে হবে। তবে পেজ এডমিন বা গ্ররপ এডমিন দের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন রেষ্ট্রিকশন নাই কারন সেখানে সেই সুবিধা দেয়া আছে। তবে অনেক ষ্টাডি করে বোঝলাম যে: তারা ফেসবুকে একটা আলাদা কম্যুনিটি রক্ষা করে এবং এইটাকে তারা একটা আলাদা সমাজ বলে যাকে তারা হীরকের মতো দামী মনে করে যাকে সাধারন ভাবে ইন্টারনেটের দৃষ্টিতে কাচ মনে হয় যাতে হাত পা পেট চিবুক যে কোন কিছু কাটা যাইতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যদি ম্যাসেজ পেন্ডিং থাকে তাহলে আপনি এইখানে লো ভ্যালু পাবেন। কারন আপনার সোশাল মিডিয়া একটিভিটিজ এর মধ্যে এইটা একটা অন্যরকম ভ্যালূ রাখে যে আপনি রিপ্লাই দেবার ক্ষেত্রে কতোটা দ্রুত। যদি আপনি এই ক্ষেত্রে ইএকটিভ থাকেন তাহলে সেটা আপনরা প্রোফাইলেল জণ্য মাইনাস পয়েন্ট। আমাদের দেশে বা বিম্বের বিভিন্ন খানে ব্র ভ্যাজ ভেরিফিকেশন কে অনেক দামী মনে করা হয়। আসরে এই ব্লু ব্যাজ ভেরিফিকেশন যারা উপমা ছাড়া গ্রহন করে ( যেমন: এনজেল, ক্রিস বা এই ধরনের ধর্মীয় টার্ম ছাড়া) তাদের কিন্তু একটা আলাদা মিনিং আছে। সেই মিনিংটা জেনে রাখা ভালো সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। একটা জিনিস মাথাতে রাখা দরকার যে পৃথিবীতে ৯৯.৯৯% মানুষের সোশাল মিডিয়ায় ব্ল ব্যাজ ভেরিফিকেশন নাই। এর জণ্য সোশাল মিডিয়া পার মান্থে আপনাকে কোন পেমেন্ট দেয় না।
বরঞ্চ সোশাল মিডিয়া আপনাকে গাধার মতো খাটাইতাছে সারা দুনিয়াতে তাদের ব্রান্ড প্রমোশণ করার জন্য আর উইদাউট পেমেন্ট তারা এই সকল তারকার (ব্র ব্যাজ খ্যাতরা )একদম ফ্রি বেগার খেটে যাইতাছে যেখানে সোশাল মিডিয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করতাছে। এই সকল ব্যবসা থেকে কি সোশাল মিডিয়া কখনো কাউকে কোন পেমেন্ট করেছে বলে শুনেছেন বা কখনো কি পেমেন্ট করবে। আপনার প্রোফাইলের ইমপ্রেশন ভ্যালূ কতো, পৃথিবীতে ঠিক কতো শো কোটি মানুষ আপনার প্রোফাইল ভিজিট করতাছে বা আপনার প্রোফাইলের মাধ্যমে সোশাল মিডিয়া তে পা রাখতাছে, আপনার প্রোফাইল ভিজিট করে সোশাল মিডিয়া তে একাউন্ট ওপেন করতাছে তার কি কোন হিসাব আছে বা আপনি কি কখনো তার কোন হিসাব পাবেন? তাহলে বেগার আপনি ব্র ব্যাজ নিয়ে দৌড়াইতাছেন আর নিজেকে অনেক দামী মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিকে আপনি একেবারে আসমানে তুলে ফেলাইতাছেন যেখানে তাদের সামনে দুনিয়া থেকে বাহিরে যাইয়া স্যাটেলাইট শিপে বা স্পেশ শিপে যাইয়া ব্যবসা করা ছাড়া আর কোন উপায় পাবে না কারন তারা একেকবারে ফেডারেল কে জরিমানাই দেয় ১২০০-১৫০০-২০০০ মিলিয়ন ডলার এর মতো বা আরো বেশী। বলি নিজের খাইয়া যুক্তরাষ্ট্রের টেকনোলজিক্যাল কোম্পানীকে এতো ভালোবেসে লাভ টা কি? যন্ত্র তো কখনো ভালোবাসার প্রতিদান দেয় না, দিতে পারে না বা দিবেও না কখনো। মানে ইন্টারনেট তো ডিভাইস ছাড়া চলে না আমাদের মানব সমাজে। নবীজি বা ফেরেশতা বা পরী বা জ্বীন রা ঠিক কি ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যাপারটা অজানা।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl