গুগলের এডসেন্স মনিটাইজেশণ আবেদন করার আগে আপনার পারসোনাল ইউটিউব চ্যানেলে যখন ৪০০০ ঘন্টা এড হবে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইভার এড হবে তখন আপনার চ্যানরে মনিটাইজেশন আবেদনের উপযুক্ত হবে। এই একটা পদ্বতিতে উপার্জন করা একদমই ফ্রি। তারপরেও তুলনামূলক পরিস্থিতিতে ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করা আর সেখানে ভিডি ওআপলোড করা এবং ভিডিও ভিউ এবং সেখানে মনিটাইজশেন এড করে আপনিও হয়ে যাইতে পারেন একজন ইউটিউব মনিটাইজার।
আমার এই ব্লগে এবং আরো একটি ওয়েবসাইটে অলরেডী গুগল এডসেন্স মনিটাইজশেণ এড করা আছে। কন্টেন্ট মনিটাইজশেণ এবং ভিডিও মনিটাইজেশনের মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। আপনি যদি ভিডিও আপলোড করার সময় পেইড এডভারটাইজমেন্ট অপশন টা চালু রাখেন তাহলে দেখবেন যে: আপনার ভিডিও এর মধ্যে গুগল পেইড ক্যাম্পেইন চালাবে যার জন্য গুগল আপনাকে ১ সেন্টসও পেমেন্ট দিবে না। আর পেইড এডবারটাইজমেন্ট গুলো একেবারে গুগলের রানিং ভিডিও এর মধ্যে ঢুকে এড দেখাবে যেখানে আমার চ্যানেল বা ভিডিও এর দর্শকেরা বিরক্ত হতে পারে। আবার গুগলের ইউটিউব কন্টেন্ট মনিটাইজশেণ একটা রেভিনিউ শেয়ার প্রোগ্রাম। আপনি যা উপার্জন করবেন তার ৫০% ইউটিউব নিয়ে যাবে আর বাকী অর্ধেক দিবে আপনার একাউন্টে। একইসাথে আপনি একটি এডসেন্সের একাউন্টর মালিক ও হয়ে যাবেন। দেখেন বাংগালী কতো ভালো: চিনে না জানে না ইউটিউবরে মালিকদের তাদের উপার্জন থেকে ৫০% লাভ দিয়ে যাইতাছে সব সময়। কতো ভালোবাসে বাংগালীরা বা তথা কথিত সারা বিশ্বের ইউটিউবার রা আমেরিকান দের কে। যা উপার্জন করতাছে ইউটিউবের মালিক রা ও তাই পাইতাছে। আপনি যদি ৫০০ ডলার উপার্জন করেন তাহলে ইউটিউব ও ৫০০ ডলার উপার্জন করতাছে। কতো মহব্বত- ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অপরদিকে ব্লগে বা ওয়েভসাইট কন্টেন্ট মনিটাইজেশণ করলে আপনার একটা ভ্যালু থাকবে সবসময়: কারন সেইটা রেভিনিউ শেয়ার প্রোগ্রাম না।
এই হিসাবে আপনি পাবেন ৫০% আর ইউটিউব পাবে ৫০% আপনার উপার্জন। তারপরেও আরো ব্যাপার স্যাপার আছে। এডগুলো সরাসরি আপনার চ্যানেলের ভিডিও এর উপরে দেখাবে। আউটফেস হিসাবে। ইনারফেস হিসাবে না। আপনি যখন ভিডিও দেখতে থাকবেন তখন আপনার ভিডিও গুলোর উপরে আসবে একটা টেক্সট বক্স টাইপ এড or image box ad। আবার ভিডিও এড ও আছে- সেগুলো ঠিকমতো সেট আপ করতে পারলে আপনার চ্যানেলে যতো ভিউজ ততো ডলার এরকম একটা ফাংশন(special- in case of video ads availability) কাজ করবে। (সবসময় ভিডিও ভিউজ হলেই যে ডলার এড হবে তা নয়। শুধূ এডভারটাইজারদের ভিডিও এড গুলো যখন রান হবে আপনার চ্যানেলে ভিডিওতে আর সেগুলো যখন কেউ দেখবে তখন যতো ভিডিও এড ভিউজ ততো ডলার (১০০ সেন্টস=১ ডলার) হিসাবে মেনশন করা যাবে। নরমালি কোন ভিডিও তে ভিডিও এড দেখায় নাই আর আপনার মনিটাইজেশন ও নাই- তাহলে যতো ভিউজ ততো ডলার এরকম কোন মেথড রান করবে না। আবার আপনার মিনটা্িজেশন আছে কিন্তু আপনি এড দেকানোর জন্য ভিডিও এড সেটআপ করলেণ না তাহলেও যতো ভিু্জ ততো ডলার ফাংশন কাজ করবে না। ) তবে সেটা নির্ভর করবে এডভারটাইজারদের উপরে। কারন একজন এডভারটাইজার যদি চিন্তা করে যে: সে আপনার ভিডিও গুলোর ভেতরে একটা ভিডিও এড রান করবে তখন সেটা মাষ্ট বি আকারে শো হবে। মানে আপনাকে সেটা অবশ্যই দেখতে হবে এবং সেটা স্কিপ করার কোন উপায় নাই। আর যেগুলো স্কিপ করার অপশন আছে সেগুলো পেইড ক্যাম্পেইন অপশন। তার জন্য গুগল বা ইউটিউব আপনাকে ১ সেন্টসও দিবে না। আর আপনি যদি আপনার এড টাইপ সিলেক্ট করার টাইমে ভিডিও এড টা সেট করে দেন তাহলেই যতো ভিউজ তো ডলার অপশনটা কাজ করবে। কিন্তু সেটা সাধারনত বড় চ্যানেল দের জন্য কাজ করে ভালো আর এডভারটাইহারদের বাজেট থাকা স্বাপেক্ষে।
এইখানে আরো একটা ব্যাপার আছে বোধকরি। প্রতি ১০০০ এডসেন্স এড ইমপ্রেশন views ৩ ডলার। আপনার চ্যানেল যদি ছোট হয় আর সেখানে যদি আপনি ভিডিও আপলোড করেন রেগুলার আর ভিডিও কন্টেন্ট গুলোর সিরয়িাল রাখেন তাহলে ভালো ভিউজ আসবে। তখণ আপনার ভিডিও তো ইউটিউব যে এক্সট্রা একটা টেক্সট এড শো করবে সেটাকে Adsense Ad বলা হয়। এই Adsense Ad যদি ১০০০ বার impression ভিজিট হয় তাহলে মিনিমাম ১.৫০ ডলার (50%- Youtube Revenue Share program) এড হবার কথা। তাহলে কি কি লাগতাছে একজন ইউটিউবার হতে গেলে:
- একটি ভেরিফায়েড (অল রিয়েল ইনফরমেশন) জিমেইল।
- এক বা একাদিক ইউটিউব চ্যানেল। রেজিষ্ট্রেশন ফ্রি।
- আপনার হাতে তাকা দামী মোবাইলটার ক্যামেরার ব্যবহার। যা মনে চায় রেকর্ড করা তবে ভিডিওগুরো যেনো একইরকম হয় লাইক শুধু ফুল নিয়ে করলে যেনো চ্যানেলে সব ভিডিও গুলো ফুল নিয়েই হয়।
- আলাদা বিষয়বস্তুু হলে আলাদা চ্যানেল তৈরী করা। একটি জিমেইল দিয়ে আপনি ৯৯ টা ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে পারবেন মিনিমাম।
- ভিডিওগুলো মনিটাইজশেন পাবার আগে পর্যন্ত ১ ঘন্টা মিনিমাম আর পাবার পরে ৫ মিনিট হলেও চলবে।
- ইউটিউব ষ্টুডিও প্রোগ্রাম টা পুরোপুর শিখা।
- ইনট্রো/ আউট্রো/কার্ড/আই বাটন এবং থাম্বনেইল মেক করা শিখা।
- ইনফরমেটিভ ভিডিও তেরী করা।
- সোশাল মিডিয়া তে শেয়ার করা লাইক কমেন্ট ভিউজ বা সাবস্ক্রাইভার পাবার জন্য।
- নির্দিষ্ট সময়ে মনিটািইজেশনের জন্য আবেদন করা।
তাহলে আর দেরী কেনো: প্রকাশ্যে না হলৌ আড়ালে বা গোপনে শুরু করে দেন একটা চ্যানেলে। মনিটাইজেশন পান বা না পান আপনার নিজস্ব একটা চ্যানেল তো হলো। আপনার নিজস্ব চ্যানেল না থাকলে তো আপনি অন্য কারো ভিডিওতে লাইক বা কমেন্ট বা শেয়ার ই তো করতে পারবেন না। আপনার একাউন্ট না থাকলেও আপনার ভিডিও ভিউজ গুলো কাউন্ট হবে। ভিউজরে জন্য একাউন্ট থাকা লাগে না- ভিজিটর হলেই যথেষ্ট।
মনে রাখবেন: ইউটিউব একাউন্ট তৈরী করতে ১ টাকাও খরচ লাগে না। যা লাগে তা হলো ইন্টারনেট কানেকসন আর সঠিক তথ্য।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl