পেমেন্ট (Payment) শব্দটা একটা ইংরেজী শব্দ যার বাংলা অর্থ দাড়ায় প্রদান। আমাদের দেশে অনেকেই আছে ব্যাংকের সংখ্যাকে পাত্তা দিতে চায় না। বিশ্ব এখন এমন এক দৌড়গোড়ায় এসে দাড়িয়েছে যে: আপনি নগদ টাকা বা নগদ নোট বা নগদ ক্যাশ টাকার নোট ছাড়াই সারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আপনার কাছে একটি মাষ্টারকার্ড থাকে আর যদি সেখানে আপনার ব্যালান্স থাকে তাহলে আপনি সেটা দিয়েই সারা বিশ্বের অনেকখানে ঘুরতে পারবেন- এমনকি পারসোনাল বিমান হায়ার করলে ও সেটার পেমেন্ট ও আপনি ইলেকট্রিন্সিক পেমেন্ট সিষ্টেমে দিতে পারবেন। (আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিষ্টেম এবং ইন্টারনেট পেমেন্ট সিষ্টেম নিয়ে একটি ডিফারেন্স থিংকিং কাজ করে সবসময়- যেমন ধরেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে ঢুকে আপনি লেনাদেনা করবেন ইন্টারনেটে- এইটাকে অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়। আবার মনে করেন: ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাষ্টারকার্ড দিয়ে আপনি কেনাকাটা বা লেনাদেনা করবেন সেটাকে ইলেকট্রনিক্স পেমেন্ট সিষ্টেম বলা হয়। ইন্টারনেট পেমেন্ট সিষ্টেম বা ইন্টারনেট ব্যাংক বলতে পেপাল, স্ক্রিল এই ধরনের ব্যাংকগুলোকে বোঝানো হয়।) তাছাড়া আরো যেমন:
- রেষ্টুরেন্টে আপনি নগদ প্রদান না করে আপনার মাষ্টারকার্ড দিয়ে বিল দিতে পারেন।
- আপনি ভিসা সেন্টারে ভিসিা ফি দিতে পারবেন মাষ্টারকার্ড দিয়ে।
- আপনি এয়ালাইনস টিকেট ফি ও দিতে পারবেন মাষ্টারকার্ড দিয়ে।
- আপনি রোড ঘাটের ট্যাক্সি ফি বা যানবাহনের ফি ও দিতে পারবেন মাষ্টারকার্ড দিয়ে।
- আপনি হোটেলের বিল ও দিতে পারবেন মাষ্টারকার্ড দিয়ে।
- আপনি মোবাইল ব্যাংকে ও মাষ্টারকার্ড দিয়ে টাকা এড করতে পারবেন।
- নিত্য প্রয়োজণীয় সকল জিনিসপত্রাদি কেনাকাটা করতে পারবেন আপনি মোবাইল ব্যাংক দিয়ে।
এতো এতো সকল সুবিধা তৈরী হওয়ার কারনে এক শ্রেনীর মানুষ এখন সংখ্যা চোরে পরিনত হয়েছে। এদেশের গরীব অশিক্ষিত বা নিরক্ষর বা অর্ধশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত প্রায় ৬ কোটি মানুষ এই ব্যাপারটা তেমন রিয়্যালাইজেশন করতে পারে না। আমি একদিন এক দেশবিরোধী (ফাসি) এর সন্তানকে বলতে শুনেছি: সাধারন মানুষের সামনে সে বলতাছে যে সে এখন আর টাকা চুরি করে না- সে সংখ্যা চুরি করে বিভিন্ন খান থেকে- সাধারন মানুষকে ইন্টারনেটে ফাদে ফেলে ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে সবখান থেকে চুরি করে যাইতাছে। তাকে ইন্টারনেট সুবিধা কে দেয় বলাতে সে উত্তর দেয়: স্থানীয় আইএসপি তাকে সাহায্য করে। সে ভাগ বাটোয়ারা করে। আর পুলিশি সুবিধা কে প্রদান করে। তো সে উত্তরে বলতাছে: পুলিশকেও সে ভাগ বাটোয়ারা দেয়। তো শিক্ষিত পুলিশ তাকে সাহায্য করবে ডিজিট চুরির ব্যাপারে- ব্যাপারটা আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নাই। পরে বাংলাদেশ পুলিশের ২/১ জনকে জিজ্ঞাসা করাতে বলতাছে যে: তারা সরকারি গেজেটপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার না। নিজেরা নিজেরা র্যাব বা পুলিশের পোষাক তৈরী করে বাংলাদেশের সমাজে নিজেদেরকে ভূয়া র্যাব বা পুলিশ হিসাবে পরিচয় দেয়। পরে টিভি সংবাদে ও অনেকভাবে দেখলাম : তারা বিভিন্নখানে প্রেফতারও হয়েছে অনেকে।
সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে: দেশবিরোধী দালাল (ফাসি) বা রাজাকার (ফাসি) এবং তাদের প্রজন্ম - বাংলা পড়তে পারে না, লিখতে পারে না কিন্তু তারা চুরি চামারি করার সুবিধার্থে ইন্টারনেট পেমেন্ট সিষ্টেম/অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম টা বুঝে গেছে ্বা শিখে গেছে আর যদি গরীব মানুষ জিজ্ঞাসা করে তাহলে বলতে শিখেছে: চুরি চামারি করার সুবিধার্থে হাজারের চেয়ে মিলিয়ন ছোট বা হাজারের চেয়ে লক্ষ ছোট বা হাজারের চেয়ে কোটি ছোট । কারন বলাতে তারা বলতাছে:
মানুষ জন ১ কোটি লিখতে গেলে ১ এর পরে কোটি লিখে। কিন্তু হাজার লিখতে গেলে ১ পরে ৩ টা শূন্য লিখে যেমন: ১০০০ । বাংলাদেশে ১০০০ সংখ্যার চেয়ে বড় ব্যাংক নোট আর নাই । তাই লক্ষ, কোটি, মিলিয়ন বা বিলিয়ন ফিগার গুলো হাজারের চেয়ে কম দামী। তাই মিলিয়ন ডলার চুরি করলে সমস্যা নাই কিন্তু হাজার টাকা চুরি করলে সমস্যা আছে। মূলত হাজার আসতাছে সংখ্যার পরে তিন শূন্য, লক্ষ আসতাছে সংখ্যার পরে ৫ শূন্য, কোটি আসতাছে সংখ্যার পরে ৭ শূন্য বা মিলিয়ন আসতাছে সংখ্যার পরে সংখ্যার পরে ৬ শূন্য বা বিলিয়ন আসতাছে সংখ্যার পরে ৯ শূন্য।
ইন্টারনেট ব্যাংকে পেমেন্ট পদ্বতি:
ইন্টারনেট থেকে যখন কোন পেমেন্ট পদ্বতি কোন দেশের সরকারি/বেসরকারি ব্যাংকে ঢুকে তখন সেটাকে ইন্টারনেট থেকে ব্যাংক পেমেন্ট পদ্বতি বলে। এই পদ্বতিকে ইংরেজীতে বলা হয় (ETS- Electronic Transaction System)। (এই ইটিএস তৈরী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ডলারের ক্ষেত্রে। বিশ্বের সব উন্নত দেশের নিজস্ব ইটিএস আছে বোধ করি যেমন: পাউন্ড বা ইউরোর ক্ষেত্রেও । বিশ্বের কখন কোন দেশে কতো ডলার ঢুকেছে বা কতো ডলার কোথায় যাইতাছে বা কোন কোন দেশে কোন কোন ব্যাংক একাউন্টে যাইতাছে -কোন কোন পারপোজে যাইতাছে তার সব প্রমান এই ETS- Electronic Transaction System এ আছে। তার উপরে কে কোন অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করেছে, কে কোন ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে বা কে কোন দেশ থেকে বসে কোন কোন দেশে কতো কতো ডলার চুরি করতাছে বা আদান প্রদান বা লেনাদেনা করেছে বা করতাছে তার ডিটেইলস রেকর্ডও আছে বা পাওয়া যাবে। যেমন: ধরেন অপারেটিং সিষ্টেম তৈরী করেছে মাইক্রোসফট। আবার মাইক্রোসফটের নিজস্ব স্যাটেলাইটও আছে। আবার জানা মোতাবেক কি বোর্ডের কি তে আংগুলের ছাপ দিতে হয়। মানুষ তো আর গ্লাভস পরে কি বোর্ডে চাপ দেয় না, সেখানেও আংগুলের ছাপ লেগে থাকে)।
যেমন: সারা বিশ্বের সব দেশে ইন্টারনেট আছে। দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করা যায় বলে সারা বিশ্বে ব্যাংক টু ব্যাংক পেমেন্ট পদ্বতির ট্রানজেকশন পিরিয়ড কমাইয়া দিছে ইন্টারনটে। আগে যেখানে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের পেমেন্ট এ সময় লাগতো ৩০ দিন এখণ সেখানে সময় লাগে ২/৩ দিন। মানুষ জন স্বভাবতই ইন্টারনেটে বসে থেকে যার যার ব্যাংক একাউন্টে লগইন বা সাইন ইন করতে পারে আর সহজেই পেমেন্ট দিয়ে দিতে পারে একজন আরেকজনকে(অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম)। পৃথিবীর সমস্ত ব্যাংকের ইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি/অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম আছে যাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনেকেই অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা বলে। বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি (অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম) র মধ্যে আছে:
- ইন্টারনেট টু ব্যাংক পেমেন্ট পদ্বতি।
- ব্যাংক টু ব্যাংক পেমেন্ট পদ্বতি।
- ব্যাংক টু পারসন পেমেন্ট পদ্বতি।
- পারসন টু পারসন েইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি।
একটা জিনিস ভেবে আমার খুব হাসি পাইছে এই দেশের ভেতরে ১৯৭১ এ দেশ স্বাধীন হবার পরে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্বারা দালাল (ফাসি) , রাজাকার (ফাসি) দেরকে যখন আবোরো দেখে বাংলাদেশে তখন দেখে যে তারা একটি কুৎসিত উপায় প্রদর্শন করতাছে মানে গে সোসাইটির কথা বলে যা শুনে মুক্তিযোদ্বার ঘৃনাতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। মানে দেশবিরোধীরা বোঝাতে চেয়েছিলো যুদ্ব চলাকালীন তারা সব ধরনরে সেক্স বা খারাপ কাজ করেছে । যেমন:
- পুরুষের সাথে পুরুষের সেক্স (নাউযুবিল্লাহ) (পুরুষ নির্যাতন আইনের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।)
- একদল পুরুষ মিলে একটি নারীকে ধর্ষন করা।(৭১ ধর্ষকদের ফাসির আইন কার্যকর হোক)।
- একদল পুরুষ একদল নারীকে ধর্ষন করা। (৭১ ধর্ষকদের ফাসির আইন কার্যকর হোক)।
- সকলে একসাথে উলংগ হয়ে বাংলার মা বোনকে ধর্ষন করা। (৭১ ধর্ষকদের ফাসির আইন কার্যকর হোক)।
- বাংলার মেয়েদের কে সারা রাত বা উপুর্যপরি ধর্ষন করা । (৭১ ধর্ষকদের ফাসির আইন কার্যকর হোক)।
- বাংলার মেয়েদের সাথে জোড় পূর্বক বা বলপূর্বক পায়ুপথে সেক্স করা। (৭১ ধর্ষকদের ফাসির আইন কার্যকর হোক)
শুনেছি তাদেরকে যখণ জিজ্ঞাসা করা হয়: তোরা কেনো এই ধরনের কাজ করেছিস। তো তারা উত্তরে বলেছে টাকার জন্য। তাদেরকে পা ক হানাদার বাহিনী বলেছিলো যে তারা যদি যুদ্বে জিততে পারস তাহলে এই দেশের সব টাকা তারা পাবে। তো তারা আজো সেই চিন্তাতেই রয়ে গেছে। সময়ে এদেশের অনেকে রাজাকার (ফাসি) কে পা ধরে সালামও করেছে (সংবাদসূত্র- পত্রিকা) , রাজাকার (ফাসি কে) মন্ত্রীর মর্যাদা পর্যন্ত দিছে। থানা শাহবাগে অুনষ্ঠিত গনজাগরনরে পরে একটা আশ্চর্য ব্যাপার খেয়াল করে দেখা গেলো যে: দালাল (ফাসি) বা রাজাকার(ফাসি) র প্রজন্ম নগদ টাকার পিছ ছেড়ে দেয়। তারা ইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি/(অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম) (ফ্রি ল্যান্সার রা ছাড়া) নিয়ে লেগে যায়। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন আর নগদ টাকার জন্য ঘুরা ঘুরি করে না কারন বাংলাদেশের মানুষের ট্রানজেকশন সিষ্টেমই পরিবর্তন হয়ে যাইতাছে( গ্রাম বাংলা পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা)। তাহলে কি বলতে পারেন যে: নগদ টাকা গুলো কোথায় আছে/ দেশে আছে নাকি পাচার হয়ে গেছে (!) ।
(আমি এইখানে ফ্রি ল্রান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতের যারা কাজ করে তাদেরকে মেনশন করে বলি নাই। ফ্রি ল্রান্সার রা এই দেশের এক নম্বর নাগরিক।)
বাংলাদেশের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন খানে তারা আইএসপি এর সুবিধা ব্যবহার করে ইন্টারনেটে চিটারি বাটপারি ২ নম্বরি বা হ্যাকিং বানিজ্য ও শুরু করে। প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের দুর্বলতা বলা হলো এই কারনে যে: তারা যাদের কে আইএসপি লাইসেন্স দিছে তাদের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা তা ভেরিফাই করে নাই আর ডিজিটাল আইসিটি আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় অনেক আইএসপির মালিক তাদের কাস্টমারদের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ভেরিফাই না করেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে যাইতাছে যেমন: রাজধানী ঢাকা শহরে বিভিন্ন দেশের লোকজন আইসা বসবাস করতাছে এবং নির্বিঘ্নে তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন (কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন ছাড়া নিজেদেরকে শুধূ মাত্র ফরেনার বলে এবং তাদের দেশের রেফারেন্সের কথা বলে) বাসাতে/ ফ্লাটে নিয়ে ব্যবহার করতাছে। বেশী টাকার লোভে আইএসপি গুলো এই অসাধু ব্যবসার সাথে জড়িত হইতাছে আর আমার ষ্টাডি মোতাবেক ব্রডব্যান্ড (তারের কানেকশন) ছাড়া আপনি কখনো হ্যাকড হইতে পারেন না যদি আপনার সমস্ত সিকিউরিটি সিষ্টেম ওকে থাকে। [আরো একটি ধারনা: কোথাও যদি ব্রডব্যান্ড (তার) এর ইন্টারনেট কানেকশন না থাকে তাহলে আপনি সেখানে হ্যাকারদের উপস্থিতি টের পাবেন না বলে ই আমি ধারনা করি। এইখানে অনেক ধরনের ক্যাবলের মাঢে টেরিফোনের তারের যে ক্যাবল বা তার সেটা ব্যবহার করে হ্যাকার রা মেইন কম্পিউচটার পর্যন্ত চলে আসতে পারে। ফাইবরা অপটিক ক্যবলের কথা বললেও সেখানে তারের ভেতরে এই টেলিফোন তারের মিক্সার থাকতে পারে বা তারের যে প্লাষ্টিক কানেকটিভিট সেখানেও কোন ব্যাপার থাকতে পারে। এই ধারনা টা করার কারন: এইভাবে স্বাধীনতা যুদ্বের সময় বাংলাদেশের সমস্ত টেলিফোন গুলোতে আড়ি পাতা হতো।] এই জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় সাজেষ্ট করবো যে: হ্যাকারদের হাত থেকে বাংলাদেশের সকল তথ্য কে সেভ করার জন্য আপনি আপনার অফিসে রাউটার পর্যন্ত শুধূ খ্যাবল কানেক্টিভিটি করবেন আর বাকীগুলো ওয়াই ফাই সেট আপে রাখবেন যেটাকে আমরা ব্রডব্যান্ড ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট কানেকশন বলি: মোদ্দা কথা আপনার পিসি পর্যন্ত তারের কানেকশন না থাকলে আপনি হ্যাক না হবার সম্ভাবনা ৯৯%।
মনে করেন: আমার যদি কোন পেমেন্ট বাকী থাকে সেটা বাংলাদেশে আমার নামে থাকা যে কোন ব্যাংক একাউন্টে আইসা জমা হবে। মনে করেন : আমাকে কেউ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পেমেন্ট করলো ইন্টারনেট ব্যাংকিং পেমেন্ট/(অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম) সিষ্টেমের মাধ্যমে। সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ম্যানুয়াল এপরুভাল সেকসানে আইসা আটকে গেলো। আপনার ক্ষমতা বা অধিকার না থাকা সত্বেও আপনি সেই পেমেন্ট আটকে রাখলেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং সিষ্টেমের নিয়ম মোতাবেক আমার নামে থাকা দেশের ভেতরে কোন প্রাইভেট ব্যাংকে আইসা জমে নাই এবং আমার প্রাইভেট ব্যাংকের ট্রানজেকশন রেকর্ডে সেটা দেখায় নাই। ক্ষমতা বলা হইতাছে : আপনি যদি বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক না হোন তাহলে বাংলাদেশের কোন ব্যাপারে তদন্ত করা বা খোজ খবর করা আপনার ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না। আর এইখানে আপনার কোন অধিকারও কাজে লাগে না। সেটা আমার প্রাইভেট ব্যাংকে না আসার কারন যে আমার নামে পেমেন্ট সেন্ড করেছে সে কোন ট্রানজেকশন সাকসেসফুল রিপোর্ট পায় নাই- তাহলে সেই পেমেন্ট আমার নামে এই বিশ্বে দেখাবে না। সেই পেমেন্ট সমুদায় আকারে যে সেন্ডার তার কাছে ফেরত যাবে। আপনি হয়তো জানেন না যে: জমে থাকা ডলারের উপরে বিশ্বের প্রত্যেক ব্যাংক কে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়। যেমন: ধরেন আমার নামে ১ মিলিয়ন ডলার আছে। একমাস পরেই সেটা হয়ে যাবে: ১.১ মিলিয়ণ । ২ মাস পরে হবে ১.১ মিলিয়ন ডলারের ১০%। এইভাবে আপনি যদি কোন পেমেন্ট আটকে রাখেণ তাহলে সেই জমে থাকা ডলারে উপরে প্রতিনিয়ত সুদ জমা হবে এবং সেই সুদের টাকাটা যে ব্যাংক সেন্ড করতাছে সেই ব্যাংক যেভাবেই পারে আপনার কাছ থেকে কেটে নেবে। কারন তার পাঠানো ট্রানজেকশন সাকসেসফুল হয় নাই। তো সেই ব্যাংক তার মালিককে হয়তো ডলার ফেরত দিয়ে দেবে (সেন্ডারকে) আর যেখানে জমে থাকা ডলার আছে সেখানে পদ্বতিগত ভাবে সুদের % কেটে নিয়ে যাবে আর যার নামে এসেছিলো ডলার (রিসিভার) সে হয়তো আশাতেই থেকে যাবে। (পৃথিবীর সমস্ত ভ্যাকই জমে থাকা ডলারের উপরে সুদ প্রদান করে। বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম না)।
আমার নামে যে ৩ টা ব্যাংক পেমেন্ট একাউন্ট এবং কয়েকটা বিকাশ একাউন্ট (আগে ছিলো ৩টা এখণ ১টা) আছে বাংলাদেশে (ডাচ বাংলা ব্যাংকে ২ টা এবং ইষ্টার্ন ব্যাংকে সেখানে যদি আপনি সার্চ করেন তাহলে আপনি সর্ব্বোচ্চ ১ লক্ষ ডলার বা ১ কোটি টাকার লেনাদেনার রেকর্ড পাবেন যার ১০০% ই ফ্রি ল্যান্সিং করে উপার্জন করা এবং খরচ করা)। বাস্তবে এর বাহিরে বাংলাদেশ ব্যাংকে বা কোন প্রাইভেট ব্যাংকে আমার নামে আর কোন পেমেন্ট নোটিফিকেশণ আমি পাই নাই কখনো আর বাহিরেরে দেশ থেকে কেউ যদি আমার নামে পেমেন্ট সেন্ড করেও থাকে তার কোন ইনষ্ট্রাকশন চিঠি বা লেটার বা কপি বা ইমেইল কোন ধরনের নোটিফিকেশন আমার কাছে নাই। যদিও আমার সবচেয়ে দরকারি জিমেইল একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায় ২০১০/১১ সালে যা আজো ফেরত পাই নাই : masudbcl@gmail.com। উপরের প্যারাতে আমি ব্যাংক এর কথা উদাহরন হিসাবে ব্যবহার করেছি। এইটা আমার পারসোনাল ব্লগ। আমি আমার অভিজ্ঞতা বা ধারনা গুলো পারসোনালি শেয়ার করি। আপনি কোথাও না বুঝতে পারলে দয়া করে কমেন্টস এ জানাবেন। আমি শুধরে নেবো। আমার যতো পেমেন্ট তা ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেসে আমাকে নোটিফিকেশন আকারে জানানো হয় এবং তার পরে আমি সেটার টেক কেয়ার করি। প্রয়োজনে প্রমান ও রেখে দেই। এখন আপনি যদি আন্দাজি আইসা চিল্লাচিল্লি করেন : ভাই ভাই আপনার নামে কোটি কোটি টাকা আইসা জমা হইছে যার কোন নোটিফিকেশন আমার কাছে নাই তাহলে লোকজন আপনারে কইবো পাগল; আপনার জন্য পাগলা গারদে সিটও রিজার্ভ করবো আর আমার হবে কাজের ডিষ্টার্ব।
ফ্রি ল্যান্সার রা contact, contract, notification, payment notification ছাড়া এক পাও নড়ে না। আমার যতো পেমেন্ট নোটিফিকেশন তা আমার ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটে আছে এবং ইমেইল গুলোতে আছে। সেগুলোই আমার জণ্য বিশ্বাসযোগ্য।
আপনার নামে যদি বাংলাদেশের ব্যাংকে বা প্রাইভেট ব্যাংকে কোন ব্যালান্স থাকে (সুইফট/রেমিটেন্স/সার্টিফিকেট/বন্ড ইত্যাদি আকারে) সেটা আপনার ব্যক্তিগত একাউন্টে আসার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে থাকবে। তবে আপনি যদি সময়মতো না পান তাহলে জমে থাকা অর্থের উপরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত বা প্রতিমাসে যে সুদ দেয় তাদের গ্রাহকদেরকে: আপনিও সেই হারেই সেটা পাবেন একসাথে সমুদয় অর্থের সাথে - কারন এইটা আইন।
[যার এমাউন্ট তারে যদি আপনি নেশাখোর ভাবেন বা মানসিক ভাবে অসুস্থও ভাবেন তাহলে নেশামুক্ত জীবনে ফেরত আসা পরে বা সেই সময়েই দিলেও তাকে সেই সমুদয় অর্থ সুদ সহকারে দেয়া হবে । কারন নেশাখোর বা নেশা করাটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর প্রধানত যে পেমেন্ট দিছে তার কাছে এইটা কোন ইস্যু না। আপনি যদি কোস সুইফট/রেমিটেন্স উপার্জন কারীকে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলেন তাহলে সমস্ত দেশের লোকেরা আপনাকে পাগল বলবে। কারন কোন মানসিক ভাবে অসুস্থ লোকের পক্ষে সুইফঠ বা রেমিটেন্স উপার্জন করা সম্ভব না। আবার তাকে যদি আপনি মানসিক ভাবে অসুস্থ মনে করেন তাহলে দেখতে হবে মেডিকেল সায়েন্স কি বলে? একেকজন মানুষের মেন্টালিটি এককরকম। আমার মেন্টালিটির সাথে যদি আপনার মিল না পাই তাহলে আপনাকে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ বলতে পারি কিন্ত দেখতে হবে যে: সেই মানুষ সমাজে চলাফেরা করতে পারে কিনা, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে কিনা ক্ষুধা লাগলে , কাপড় চোপড়ের ঠিক ঠাক আছে কিনা, মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পারে কিনা, মেয়েবন্ধুদের সাথে ফান করে কিনা? কারন যে মনাসিকভাবে অসুস্থ সে এমন এমন কাজ করবে যা আপনি সাধারন মানুষ হিসাবে কল্পনাও করতে পারবেন না। ৫০ জন মিলে যদি একজনকে অসুস্থ বলে তাহলে কিন্তু সে অসুস্থ না। একজন ডাক্তার যদি সরাসরি বলে থাকে তাহলে সেখানে একটি ইস্যু হতে পারে । আবার ডাক্তার যদি পরিকল্পনা মাফিক (টাকা খেয়ে) বলে তাকে বা চোরদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বলে থাকে তাহলেও সেটা তদন্তের বিষয়। এই দু্টা কথা কেনো বললাম; কারন পত্রিকাতে পড়েছি অনেক সময় অনেক ব্যাংক থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগ সাজশে পরিকল্পিতভাবে যার পেমেন্ট তাকে নেশাখোর বা মানসিকভাবে অসুস্থ বলে সব টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে যায়।]
মানুষের আশা আকাংখার দাম আছে। জন্তু জানোয়ার এর আশা আকাংখার তেমন দাম থাকে না মানুষের জগতে। কারন মানুষ যে কোন সময়ে যে কোন জন্তু জানোয়ার কে মেরে ফেলাইতে পারে। বাংলাদেশের মানুষেরও আশা আকাংখার দাম আছে। ২০১০/১১ সাল থেকে এই বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পদ্বতি সুইফট (ফ্রি ল্যান্সার দের সাথে) ট্রানজেকশন সিষ্টেমের অনুমতি দেবার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের নিত্য প্রয়োজণীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাইতাছে। আপনি হয়তো ব্যাপারটাকে কাকতলীয় বলবেন: কিন্তু ব্যাপারটা সারা দেশের অনেকের মধ্যেই সন্দেহের উদ্রেক ঘটাইতাছে। কারন মানুষ জনের কষ্ট হইতাছে। ১০ টাকা কেজি চাল এখন ৬০ টাকা। ২ টাকা কেজি লবন এখন ৩০ টাকা। ১০ টাকা লিটার সয়াবিন এখন ১০০টাকা। বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় আমাকে একদিন বাংলোদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক বড় ভাই ২০১১ সালে বলেছিলো: ফ্রি ল্যান্সার রিলেটেড সব কিছু শোনার পরে- বলতাছে তোরা কি হ্যাকার? মানে ফ্রি ল্যান্সারদেরকে উনারা হ্যাকার মিন করেছে। আমি সাথে সাথে আমার ইন্টারনেটে থেকে উপার্জিত অর্থের সুইফট ট্রানজেকশন বন্ধ করে দেই (২০১১ থেকে)। আমি লেনাদেনার ক্ষেত্রে পেমেন্ট বিডি ব্যবহার করি এবং পাইওনয়িার ব্যবহার করি। আমি সুদে আমার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে রিসিভ করে সেটা আমি পারসোনালি গরীব মানুষকে দিয়ে দিতে পারবো কিন্তু ফ্রি ল্যান্সিং করার কারনে কেউ আমাদের কে হ্যাকার বলবে সেটা আমি মেনে নিতে পারবো না। সেই কারনে আমার উপার্জন ও অনেক কম কিন্তু সেই দিনের সেই কথাটা আমার গায়ে লেগে আছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় সেই বড় ভাই এর কথানুসারে মনে হয় অনেক সময়: ফ্রি ল্যান্সার রা যেই পরিমান ডলার সুইফট এ লেনাদেনা করতাছে সেই পরিমান ডলার বোধ হয় বাংলাদেশের কাচাবাজারে আগে ভর্তুকি দেয়া হতো - এখণ মে বি দেয়া হয় না সেই কারনে দিনে দিনে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাইতাছে।
পেমেন্টবিডি বাংলাদেশের গুটিকয়েক ফ্রি ল্যান্সার দের তৈরী করা একটি পারসোনাল ইন্টারনেট ব্যাংকের মতো। তারা ডলার কেনা এবং বেচা করে। পকেটে টাকা থাকলে কম দামে ডলার কিনে আর টাকা না থাকলে বেশী দামে সেল করে দেয় ফ্রি ল্যান্সার দের মধ্যে।আমি ও তাদের সাথে লেনাদেনা করি বিগত ২০১৩/১৪ সাল থেকে। তাদের সাথে আমার কোন পেমেন্ট মিস যায় নাই আজ পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl