ইউটিউবের রেগুলার যদি আপনি ভিউয়ার হোন তাহলে ৩টি জিনিস আপনি বাহিরে থেকে কখনো ই জানতে পারবেন না:
- চ্যানেলটা কে কে সাবস্ক্রাইভ করতাছে বা করেছে।
- চ্যানেলে এর ভিডিওতে কে কে লাইক করেছে বা করতাছে।
- চ্যানেলের কোন ভিডিও যদি আপনি অন্য কোথাও শেয়ার করেন।
একসময় ইউটিউব এইগুলো নোটিফিকেশন আকারে জানালেও এখন আর জানায় না। ফলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন না যে: কোন চ্যানেলে কতো ফলোয়ার। আপনি যদি আমার একটা ভিডিও দেখেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন লাইক, ফলোয়ার বা ভিউজ কেনা কতো সহজ। ফলে সহজেই কারো ১ মিলিয়ন ফলোয়ার আছে বা ১০ মিলিয়ন ভিউজ আছে তা শুনে লাফ দিয়ে উঠার মতো কিছু নাই। আপনাকে দেখতে হবে যে: ১ মিলিয়ন ফলোয়ার রিলেটেড এবং রিলেভেন্ট কিনা?
আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে ভিউয়ার গুলো রিলেটেড এবং রিলেভেন্ট কিনা? যেমন আপনি ভিডিও বানিয়েছেন নাটক সিনেমা রিলেটেড কিন্তু আপনার ভিডিও তে কমেন্টস পড়তাছে উল্টা পাল্টা। এর মানে হইতাছে কমেন্টসগুলো ভিডিও রিলেটেড না - ফলে সহজেই অনুমান করা যায় যে: ভিডিও তে যারা কমেন্টস করতাছে তারা ভিডিওটা বা নাটক বা সিনেমাটা পুরোপুরি দেখে নাই। আর যদি দেখে বা দেখতো তাহলে যেই রিলেটেড ভিডিও সেই রিলেটেড কমেন্টস করতো।
আর আপনি যদি সচেতন ইউটিউব ইউজার হতেন তাহলে অতি অবশ্যই অপ্রাসংগিক কমেন্টসগুলো আপনি ডিলেট করে দিতেন। যদি তাও না করতেন তাহলে বোঝা গেলো যে: ভিডিও গুলো হয়তো আপনি একজন এডিটর হিসাবে আপলোড করতে পারেন অনলি কিন্তু একজন এডমিন হিসাবে ভিডিও এর ণীচে আসা কমেন্টস গুলো ডিলেট করতে পারেন না। আপনাকে সেই পরিমান অথোরিটি দেয়া হয় নাই- বা আপনি দেশবিরোধী (ফাসি) কারো সাথে কাজ করতোছেন যারা আপনাকে চ্যানেলের লগইন ডিটেইলস দিতাছে না হয়তো বা। ইউটিউব চ্যানেলে প্রাইভেট ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইমেইল দিয়ে ইনভাইট করে শুধূ প্রাইভেট আকারেও দেখানো যায়।
আর অপ্রাসংগিক কমেন্টস যদি আপনি কন্ট্রোল না করেন তাহলে হয়তো দেখা যাবে যে: আপনি সেই ব্যাপারটা অসংগতি পূর্ন করার জন্য চেষ্টারত আছেন। আপনি চাইতাছেন বিগ বাজেটের কোন ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রি কে নষ্ট করে ফেলতে। বাংলাদেশের বুদ্বিজীবি হত্যার মতো ইন্টারনেটের সমস্ত সেক্টরে আপনি এমন একটা শ্রেনীর লোক পাবেন যাদের প্রধান কাজই হইতাছে প্লাটফরম টাকে নষ্ট করে দেয়া যেনো বাংলাদেশের ব্রিলিয়ান্ট মেধাগুলো আন্তর্জাতিক পরিসরে না যাইতে পারে- তারা এমন এমন সংগঠন এর নাম নিবে যার ব্রাঞ্চ বা শাখা খুজলে আপনি শতরু রাষ্ট্রগুলেঅতেও পাবেন। আর তারা খুব সুকৌশলে সেই তথ্য গুলো জেনে আপনার শতরু দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কে জানাতে দ্বিধাবোধ করবে না। কারন তারা জানে বাংগালী অতীব মেধাবী। নয়তো মেধার সহিত ৭১ এর যুদ্ব জয় করতে পারতো না। আর সেই দেশবিরোধী (ফাসি), দালাল (ফাসি), রাজাকার (ফাসি) এবং তাদের প্রজন্ম (ফাসি) প্রচন্ড আকারে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের সেক্টর গুলোতে তাদের অশূভ থাবা বিস্তার করে যাইতাছে যার থেকে প্রতিকার পাবার একমাত্র মেথড হলো: জয় বাংলার সহিত পথ চলা। আপনি যদি মনে মনেও জয় বাংলা বলেন তাহলেও দেখবেন এই অশুভ প্রজন্ম আপনার কাছ থেকে কিছুটা দূরে থাকবে।
আপনি হয়তো না জেনেই ইন্টারনেটে এমন একটা গ্ররপের সাথে জড়িতে হয়ে গেছেন যারা আপনার ১২ টা বাজানোর জন্য রেডী হয়ে বসে আছে। তেমনি আপনি ভিউয়ার নাম্বার বা সংখ্যা দেখে পপুলারিটি বিবেচনা করতে পারবেন না কারন উপরের ভিডিও তে আমি স্পষ্টত বলে দিয়েছি বা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে ভিডিও ভিউজ বাড়ানো যায়। ভিউজ গুলো বাংলাদেশী কিনা তা আপনি গুগলের ইউটিউব ষ্টুডিও এ্যাপ ব্যবহার করে জানতে পারবেন। নীচে আমি ৫ টি ইমেজ এড করে দিতাছি: আপনি ইমজেগুলোর রাইট বাটনে ক্লিক করে সেভ করে তারপরে দেখবেন: আমার চ্যানেলে র ভিউয়ার কোন কোন দেশ থেকে আসতাছে তা দেখা যাইতাছে : কিন্তু কে কে (কোন ইউজার আইডি) দেখতাচে তা দেখা যাইতাছে না। কে কে আমার ভিডিও দেখতাছে তা শুধু ইউটিউব জানে। তাই হঠাৎ করে যদি দেখেন একটি ভিডিওতে ১ কোটি ভিউয়ার আছে তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে: ভিউয়ার গুলো কোথা থেকে এসছে আর ভিডিও তে যারা কমেন্টস করেছে সেগুলো কি রিলেটেড কিনা? যদি সেগুলো রিলেটেড না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে: ভিউজ গুলো কিনে এনে এড করা হয়েছে। এইটা যারা ইন্টারনেটে লোকালি টাকা পয়সা চায় বা চেয়ে বেড়ায় বা কোর্স সেল করে বা কোন কারনে প্রভাব বিস্তার করতে চায় তাদের একটি টেকনিক? বলবে যে: ভাই দেখেছেন আমার কতো ভিউজ। যেহেতু লাইক ভিউজ কিনতে পাওয়া যায় তাহলে ভিডিওতে লাইক বা ফলোয়ার বা ভিউজ দেখে আপনি সহজে ঠাহর করবেন না যে: সেটা পপুলার। আর যদি আপনি ভেবে থাকেন তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বসবাস করতাছেন : বলতে হবে।
পরিশেষে ৫টি ইমেজের সাতে ৫টি কথা বলতে হবে:
১) একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনি এমন কোন চ্যানেলে র জন্য কাজ করতে পারেন না যার লতইন ডিটেইলস কাজ সংশ্লিষ্ট কারো কাছে নাই। যদি দেশের শতরু টাইপের কারো সাথে কাজ করেন তাহলে আপনি আইনগত ঝামেলাতে পড়তে পারেন।
২) যে কোন ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করতে গেলে বা কাজ আপলোড দিলে তার সাথে আইন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খুব ভালো করে জেনে নিতে হবে।
৩) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই কাজের জন্য ভেরিফায়েড কিনা তা জেনে নিতে হবে।
৪) প্রতিটা কাজের জন্য আপনি ডকুমেন্টস ওকে করতাছেন কিনা বা পেপার সাইন করতাছেন কিনা বা ডিড করতাচেন কিনা?
৫) কপিরাইট আইনে সিক্ত এমন চ্যানেল বা কন্টেন্টের জন্য কাজ করতাছেন কিনা?যদি করে থাকেন তাহলে খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেনো কপিরাইট আইন মুক্ত হয়।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl