একটু আগে একজনের ভিডিও দেখতেছিলাম যিনি বলতেছিলেন: ১০,০০০ ভিউজ এর জন্য উনারা ১ ডলার করে পাইতাছেন ইউটিউব মনিটাইজেশন এর জন্য। কিন্তু আমি আমার চ্যানেলে প্রথম ৮ দিনে পািইলাম ৩.৯৯ ডলার। প্রথম ৭ দিনে পেয়েছি ৩.৮৩ ডলার। আমি এখনো পুরোপুরি কাউকে জানাই নাই যে: আমার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন আছে। ৩.৮৩ ডলারের জন্য লেগেছে ২২৬৯ ভিউজ। সেই হিসাবে ধরা যায় : ২৩৫০ ভিউজ এ আমি পেয়েছি ৪ ডলার এবং আমি একটু খশী। শুকরিয়া। দোয়ার করবেন যেনো: আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলর মাধ্যমে সকল আশা পূরন করতে পারি। আমি ১ বছল ইউটিউব এরিএসইও শিখেছি। তারপরে একটি ১.৩০ ঘন্টার ভিডিও থেকে আওয়ারস পেয়েছি এবং আবেদন করার ১৮ ঘন্টার মধ্যে মনিটাইজেশন এপরুভাল ও পেয়েছি।
প্রথম যে ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম তাহলো: ভিউজ জেনারেট করাটা মেইন ব্যাপার না। প্রধান বিষয় হইতাছে: একজন ভিউয়ার কে কিছু দেবার চেষ্টা করা। একজন ভিউয়ার যখন কারো চ্যানেলে ঢুকে তখণ সে দেখে: যে সেখান থেকে সে কিছু শিখতে পারতাছে কিনা? আর যদি সে বিনোদন চ্যানেলে ঢুকে তাহলে সে কেয়ার করবে যে: সে বিনোদন পাইতাছে কিনা? তবে আমাদের দেশের ভিডিও যারা মেক করে বা বানায় তাদের সবাইকে দেখলাম হেভি হাই রেজ্যুলশন ভিডিও বানাতে। এতো হাই রেজ্যুলশন ভিডিও বানালে তো তার আয়তন হবার কথা অনেক বেশী। কোন ভিডিও এর গিগাবাইট যদি বেশী হয় তাহলে সেই ভিডিওটি পুরোটা কোন ভিউয়ার দেখবে না কারন আমাদের দেশ অনুন্নয়নশীল দেশ আর এখনকার প্রায় ৬ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার ণীচে বসবাস করে। দারিদ্রসীমার ণীচে বসবাস করলেও অনেকের কাছেই টাচ ফোন বা মোবাইল আছে। স্বভাবতই সে আসে ইন্টারনেটে- নাটক সিনেমা বা ভিডিও দেখার জন্য। এইখানে যদি সে হাই রেজ্যুলশনের ক্ষপ্পড়ে পড়ে তাহলে তো তার এমবি শেষ হয়ে যাবে মূহুর্তেই। সে ক্ষেত্রে সে আপনার চ্যানেলে বড়জোড় ১ মিনিট থাকতে পারে আর সে টেনে টেনে নাটক বা সিনেমা বা আপনার ভিডিও দেখবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ভিডিও রেজ্যুলশন কমাতে পারেন তাহলে ধারনা করা যায় যে: ভিডিও ভিউজ বাড়বে। আপনাকে এমন ভাবে ভিডিও বানাতে হবে যেনো ১ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহার করে একটি গরীব ঘরের মানুষ সারারাত বা সারাদিন বা ১০/১২ ঘন্টা আপনার ভিডিও দেখতে পারে। আর আপনি যদি এমন ভাবে ভিডিও বানান যে ভিডিও রেজু্লশন অনেক বেশী থাকে তখন আপনার ভিডিও তে ভিউজ আসবে আনলিমিটেড কিন্তু আনপরা ভিউয়ার বেশীক্ষন থাকবে না- ফলে আপনার ভিডিও এড ও শো হবে না আর আপনি তেমিন কোন রেভেনিউ বানাতে পারবেন না।
চকচক করলেই সোনা হয় না- এই মেথড টা অবলম্বন করতে হবে। ইউটিউব ভিডিও এর ক্ষেত্রে একজন ভিউয়ার যদি ৩০ সেকেন্ডস আপনার ভিডিও দেখে তাহলেই সে আপনার ভিডিও ভিউয়ার হিসাবে কাউন্ট হবে। আপনার ভিডিও তে যদি ১ লক্ষ ভিউয়ার থাকে আর আপনার ভিডিও লেন্থ যদি থাকে ১ ঘন্টা তাহলে আপনার প্রায় ১লক্ষ ঘন্টা এড হবার কথা। আর যদি তা না পান তাহলে বুঝতে হবে যে: আপনার ভিউয়ার গুলো মিনিমাম ৩০ সেকেন্ডেস থাকতাছে আপনার ভিডিওতে। আর ৩০ সেকেন্ডস থাকলেই ভিডিও ভিউজ কাউন্ট হয়।
আমার আর্টিকেল থেকে যদি আপনি কোন লেখা বা ছবি চুরি করেন তাহলে ঠিকই গুগলে ধরা খাবে কারন ব্লগারদের সব লেখা কপিরাইট আইনে সিক্ত। আমার লেখা যদি ভালো তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আরো যদি জানতে চান বা শিখতে চান তাহলে দয়া করে আমার ইউটিউব চ্যানেলে সাথে থাকবেন। আমার ভিডিওগুলো দেখতে আপনার তেমন কোন এমবি খরচ হবে না। আপনাদের পেষবুকের প্রোফাইলে যদি গ্রামে গঞ্জের ছেলে বা মেয়েরা থাকে যারা কাজ শিখতে চাইতাচে বা যারা ইন্টারনেট থেকে ডলার উপার্জন করতে চাইতাছে তাদের কাউকে আমার চ্যানেলে কোন টাকা বা ডলার দিয়ে কাজ শিখতে হবে না। শুধূ নিয়মিত আমার ভিডিওগুলেঅ যদি দেখে বা চোখ রাখে আর যদি সবগুলো বাংলা টিউটোরিয়াল দেখে তাহলে একদম ই সহজ হবে তার জন্য ইন্টারনেটে থেকে ডলার উপার্জন। যে ব্যাপারগুলোতে আপনার সাপোর্ট দিবেন তাহলো তার কাজ করার জন্য একটি ভালো ডিভাইস আর ইন্টারনেট কানেকশন। তাহলে আপনার পরিচিত বা অপিরচিত গ্রামের সহজ সরল মানুষের জন্য আপনি একটা উপকার করে দিলেন। আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে যে ভিডিওটা আপনার ভালো লাগে সেটাই আপনি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করে দিবেন। তাহরে আপনার বন্ধুলিস্টে থাকা অনেকেই কিছু না কিছু কাজ শিখতে পারবে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl