Translate

Saturday, January 2, 2021

বাংলাদেশের নিজস্ব একটা ইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি। বিডি পে বা বাংলা পে।

কালের বিবর্তনে ক্রমান্বয়ে ইন্টারনেটের পেমেন্ট সিষ্টেমের আমূল পরিবর্তন হইতাছে। মনে আছে যখন ওডেস্ক থেকে প্রথম পাইজা বা এলার্টপে এর মাধ্যমে ডলার উত্তোলন করি ১০ ডলার : তখন চিন্তা করতেছিলাম যে এইটা কি মেথড? অনেকেই তখন ডলার কে ক্যাশ করে ফেলাইছিলো। ফলে আমি আর চিন্তা করি নাই। কারন দেখেছি চোখের সামেন ইন্টারনেটে বা ওয়েব ক্যামেররা স্বাক্ষাৎকারে যে: সারা বিশ্বের ছেলে বা মেয়েরা ওডেস্ক থেকে বা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ডলার এলার্ট পে তে আনতো এবং সেটা আবার ব্যাংকে ক্যাশ করতো। তখণ আমাদের মনে একটা আশা জাগে: আমরা ও যদি ইন্টারনেটে উপার্জন শুরু করি তাহলে আমরাও তো ডলার কে ক্যাশ করে চলতে পারবো। প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো বিদেশে অবস্থানরত বাংগালী বড় ভাই বোনেরা। সারা দেশে আমরা যারা ফ্রি ল্যান্সার কে পেশা হিসাবে নেবার চিন্তা করতাছি বা চেষ্টা করতাছি তাদেরকে জনে জনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কল দিলো বাংগালী বড় ভাই বোনেরা আর বললো যে: তোমরা এলার্ট পে ডলার উপার্জন করো। আমরা তোমাদের কাছে থেকে সেন্ড মানি মেথডে ডলার কিনে নিয়ে যাবো। আমরা তোমাদেরকে ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে পেমেন্ট দেবো বাংলা ক্যাশে। 



আমাদের মধ্যে অনেকেই অফারটা লুফে নিলো এবং বললো যে তারা এই ব্যাপারে সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করবে এবং আমরা যেনো ভালো করে কাজ করি ইন্টারনেটে। সেন্ড এন্ড রিসিভ মানি বাই ইউজিং এর ইমেইল (Send and Receive Money by using an Email) । একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে আপনি লেনাদেনা করতে পারতাছেন এখন যার নাম বিকাশ বা রকেট। তেমনি একটি ইমেইলের মাধ্যমে আপনি যখণ লেনাদেনা করতাছেন সেটাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ছাড়া তো আর ইমেইল ব্যবহার করা যায় না তাই সেটাকে ইমেইল ব্যাংকিং ও বলা হতে থাকে সবখানে। প্রথম যেদিন এলার্টপে তে ২ বা ১০ ডলার উইথড্র করি সেদিনকার আনন্দ বলে বোঝাতে পারবো না? অনেকেই উৎসাহ দিলো যে লেগে থাকো- একদিন সাড়া পড়বেই। আজ সারা দেশে সাড়া পড়ে গেছে ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং নিয়ে। অনেকে আশাতীত উন্নতি ও সাধন করে ফেলাইছে কিন্তু অতীব দু:খের বিষয় আজো বাংলাদেশের নিজস্ব পেমেন্ট পদ্বতি তৈরী হয় নাই এখনো। সামর্থ্য থাকলেও হয়তো চেষ্টা এবং আন্তরিকতার অভাব আর প্রয়োজনে নতুন কোন রাজনৈতিক সরকার সেট আপ করে হলেও প্রতি মুহুর্তে ফ্রি ল্যান্সারদের যা প্রয়োজণীয় তা ব্যবস্থা করা উচিত। 



বর্তমান রাজনৈতিক সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলো : বাংলাদেশে পেপাল চালু- সেই প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করতে পারে নাই। আর এখন তো বাংলাদেশ সরকারই বোধ করি পেপালের সাথে বিটকয়েনের এটাচমেন্ট টা স্বাভাববিক ভাবে নেবে না। তাছাড়া পেপাল পুরোপুরি বাংলাদেশে না আসার পেছনে আমি মনে করি ইন্টারনেট ইনফ্রাষ্ট্রাকচারে গন্ডগোল আছে বাংলাদেশে। 



একটা জিনিস আমাদের শতবাগ মনে রাখতে হবে যে: রাজনৈতিক সরকার কিন্তু গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার না। রাজনৈতিক সরকার উঠে এসেছে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে (যদিও ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনে কেউ ভোটই দিতে পারে নাই) - জনগন যদি তার প্রতি আস্থা সরিয়ে নেয় দেখবেন তার পরের দিনই তারা রাস্তাতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। রাজনৈতিক সরকার বাংলাদেশ সরকারের কোন নিয়মিত বেতনভুক্ত না (রাজনৈতিক সরকার ভেংগে গেলেই আর তাদেরকে অনিয়মিত বেতন বা ভাতা দেয়া হবে না)।। তাদেরকে এক ধরনের ভাতা দিয়ে রাখা হয় (কারন রাজনৈতিক নির্বাচনে পরাজিত হলে তাদের আর কোন বেতন ভাতা কার্যকর হয় না। যেহেতু এইটা সাময়িক প্রনোদনা তাই এইটাকে ভাতা বলা হয়। ) গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্বান্তুগলো জনগনের কাছে পৌছানোর জন্য।  



আজকে যদি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা বাংলাদেশের হাই কোর্ট (উচ্চ আদালত) বা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিগত নির্বাচনকে অবৈধ বলে বা যে কোন সময় বর্তমানের রাজনৈতিক সরকারকে অবৈধ বলে পরের দিনই তারা রাস্তাতে নেমে যাবে , মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াবে ভোটরে জন্য যেনো তারা আবারো নির্বাচনের মাধ্যমে তথাকথিত ক্ষমতায় (মানুষের সেবা করাকে ও এখনকার বিশ্বে ক্ষমতা বলে মনে করা হয়) আসতে পারে। তাহলে টিকে থাকলো কারা? গনপপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যারা আমলা বা সচিব বা আইনজীবি বা কর্মকর্তা বা অফিসার তারাই তো আসল। কারন তাদের তো পদে যাইতে কোন নির্বাচনের দরকার লাগে নাই। তারা তাদের মেধার জোড়ে এই পর্যন্ত এসেছে আর তাদের সিদ্বান্তগুলোই জনগেনর কাছে পৌছায় রাজনৈতিকি এমপি রা। তো এই ব্যাপারটা যতোক্ষন ক্লিয়ার না হবে সমস্ত ফ্রি ল্যান্সার দের কাছে ততোক্ষন রাজনৈতিক লোকজন সুবিধা কামাইয়া নিয়া যাবে।



 দেখেছেন তো সারা দেশের কোন রাজনৈতিক নেতা কর্মী কিন্তু গরীব নাই। স্বাধীনতার পর থেকে যতো রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় এসেছে প্রত্যেকে শুধু নিজ দলের নেতা কর্মীদের উপকারই করেছে। কেই গনহারে আম জনতার জন্য করে না। যদি করতো তাহলে দেখতেন দেশ আজকে সোনা দিয়ে মুড়ানো থাকতো। দেশের কাড়ি কাড়ি লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হতো না। প্রতিদিন ব্যাংকারদেরেকে হ্যাকারদের ভয় দেখানো হতো না। কোটি কোটি অর্থ পাচার করে রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন রা আমোদে বা ফূর্তিতে মেতে উঠতো না। বিগত কয়েক বছরে টিভি বা পত্রিকার সাংবাদিক রা যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য দিতাছে তা ভেরিফায়েড তথ্যই। তো আমাদের দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা দেখেন কতো পরিমান বোকা যে: না জেনে বা না বুঝে ক্রমাগতই আমেরিকার ব্যক্তিগত প্রতিষ্টানকে উন্নতি করে যাইতাছে আর দেশের ও চোর বাটপারদের পকেট ভারী  করে দিতাছে।  একসময়েল বহুল প্রচলিত সেই  এলার্টপে এখণ বন্ধ হয়ে গেছে।  





২০ বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করি আমি এবং আমি আমার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি : সম্পূর্ন পরিকল্পনা করে এলার্টপে বা পাইজাকে বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। পাইজার সাথে বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার কানেকটিভিটি ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের  জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে এই ওয়েবসাইট। একটি উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দেই আপনাকে। ঘটনার সাথে নিজেকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না দয়া করে। মনে করেন:  এক দেশ আরেক দশেকে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার জন্য পাইজার ব্যবহার করেছে বা এলার্টপে এর ব্যবহার করেছে। এলার্টপে পরিবর্তন হয়েই পাইজা নামে চলেছে অনেকদিন। সন্ত্রাসে ব্যবহৃত অর্থ হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কানে গেছে তথ্য প্রমান সহ। ব্যাস দিয়েছে বন্ধ করে। তো টেকনোলজী যদি নিজের উপকারে ব্যবহৃত না হয় তাহলে সেটা বুমেরাং হয়ে ধরা দেবে। যেমন মনে করেন : দেশবিরোধী (ফাসি), দালাল (ফাসি) এবং রাজাকার (ফাসি) বাংলাদেশে বেচে থাকার স্বার্থে  বা বাংলাদেশে সুবিধা আদায় করার স্বার্থে  বাংলাদেশ কে এখন ভালোবাসে কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্বের সময়ে কিন্তু তারা বাংলাদেশে বিপক্ষে থেকে গনহত্যা বা গনধর্ষনের মতো বিশাল অপরাধ করেছে যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যু। 



নিজস্ব একটি মার্কেটপ্লেস বা নিজস্ব একটি ইন্টারনেট পেমেন্ট পদ্বতি তৈরী না হবার মূল কারন যে : সিষ্টেম টাতে এই মেথড গুলো একটিভেট হয় সেই ধরনের ইন্টারনেট সিষ্টেম বোধ করি বাংলাদেশে নাই বা বাংলাদেশ কোন এক কারনে প্রয়োজণীয় অনুমতি পাইতাছে না আর লোক লজ্জার ভয়ে সরকার বা প্রশাসন হয়তো এগুলো প্রকাশ ও করতাছে না। বাংলাদেশে এতো এতো ব্রিলিয়ান্ট কিন্তু একজন ফ্রি ল্যান্সার যেনো যে কোন সময়ে যেকোন দেশের ক্লায়েন্ট বা বায়ারের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারে তার কোন সমাধান নাই - আজকে ইন্টারনেটের ২০ বছর + বাংলাদেশে। সব সময় ই মনে হয় যে: ৭১ এর দেশবিরোধী (ফাসি) দের মোত ইন্টারনেটেও মনে হয় কোন দেশবিরোধী প্রজন্ম বসে আছে যাদের অণ্যতম এবং প্রধান কাজ হইতাছে ১৪ ই ডিসেম্বর এর মতো (১৯৭১ এর ১৪ ই ডিসেম্বর বিজয়ের ঠিক আগে ক্ষনে সমস্ত মেধাদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো যরা নাম শহীদ বুদ্বিজীবি হত্যা দিবস যা আজো পৃথিবীতে অন্যতম গনহত্যা বলে স্বীকৃত)  বাংলাদেশীদের প্রধান প্রধান আইডয়া গুলো (স্বভাবতগুনেই বাংলাদেশীরা প্রচন্ড মেধাবী কারন এইখানে ১০০ জাতের সংমিশ্রন আছে যারা একেকজন দেখতে এককজরকম) কালেকশন করে সেগুলো বিদেশে পাচার করে (নির্দিষ্ট ২/১ টি দেশ যারা আমাদের শতরু হিসাবেই বিবেচিত) তাদেরকে আগে বাড়ানোর চেষ্টা করা হইতাছে যা অনেকের চোখে ধরা পড়ে গেছে।



সেই ২০০২-২০১১ পর্যন্ত এলার্টপে বা পাইজা সেল করা হয়েছে সারা দেশের এলার্ট পে বা পাইজা বায়ার দের কাছে। সেন্ড মানি মেথডে একজন আরকেজন কে পেমেন্ট দিয়েছে এবং লোকাল এসএ পরিবহন মেথডে/মোবাইল ফ্লেক্সি মেথডে একজন আরকেজনকে ক্যাশ পেমেন্ট ও দিছে। সেইটা এস এ পরিবহনের নিকট বৈধ ছিলো। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভেরিফিকেশনেও অনেক সহজ ছিলো। রাষ্ট্র কর্তৃক কোন বাধা দেয়া হয় নাই। আমি সর্ব্বোচ্চ সেল করেছি এলার্ট পে তে বছরে ১০০ ডলার। তখনো পেপাল বাংলাদেশে ওপেন করা যাইতো না। মিশরের গনজাগরন ২০১১ থেকে বাংলাদেশে পেপালের ওয়েবসাইট ওপেন করা যাইতাছে এবং পারস্পরিক লেনাদেনাও করা যাইতাছে। আমি যতোবার এলার্টপে সেল করেছি ততোবারই ফ্রি ল্যান্সারদের কাছে সেল করেছি:  তখনকার দিনে দেশের স্বনামধণ্য ফ্রি ল্যান্সারদের কাছে সেল করেছি। আপনি নিশ্চয়ই তাদেরকে সন্ত্রাসী বলবেন না। আর এলার্ট পে ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে গেলেও তাদরে ডাটাবজে তো আর বন্ধ হয়ে যায় নাই। এইটা কানাডিয়ান ব্যাংক হবার কারনে আপনি এখনো খুজলে তাদের কাছে ডাটাবেজ পাবেন আর সেখানেই উল্লেখ করা থাকবে যদি বাংলাদেশ থেকে কেউ কখনো কোন খারাপ কাজে এলার্ট পে বা পাইজাকে ব্যবহার করেছে কিনা?



আমি ২০১১ পর্যন্ত পার্ট টাইম ফ্রি ল্যান্সিং করেছি। আমি নিজে কাজ শিখা এবং শিখোনোর চেস্টা করতাম বেশী। সব মিলিয়ে ২০০২-২০১১ পর্যন্ত বছরেও আমার ১০০ ডলারের বেশী আসতো না। আর এখন ২০১১ সালের পর থেকে ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার হিসাবে: দৈনিকই অনেক সময় ১০০ ডলার উপার্জন হয়। 



মিশরের কায়রো গনজাগরনের ছেলে পেলে রা অুনরোধ করে আমাদের কে পেপাল ফ্যাসিলিটজ ওপেন করে দেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা পুরোপুরি চালু করতে বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরিই ব্যার্থ। একটা দেশে এতো এতো ফ্রি ল্যান্সার থাকার পরেও পেপাল তাদের ব্যবসা চালু করতাছে না: ব্যাপারটা কি আপনার মনে সন্দেহ জাগায় না যে ঠিক কি কারনে পেপাল বাংলোদেশে তাদের ফুল ফেজ অপারশেণ চালূ করতাছে না? নিশ্চয়ই কোন না কোন কারন আছে। মিশরের গনজাগরনের র ছেলে বা মেয়েদের আহবানে আমরা একসাথে দাড়িয়েছিলাম তাদের আন্দোলনে সামর্থ্য জানিয়ে: তারা আমাদের কাছে জানতে চায় তোমরা কি চাও? আমরা বলি : পেপাল ফ্যাসিলিটিজ চাই। তারা পেপাল কে বলে: বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। বাংলাদেশ কে পেপালের সুবিধা দাও। বাংলাদেশের বিজনেস সেকসানে পেপাল ওপেন হয় এবং এখনো সবাই ব্যবহার করতাছে। যারা বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিক তাদের সকলের ভেরিফায়েড পেপাল একাউন্ট আছে একজন বাংলাদেশী হিসাবে। তাহলে একজন বাংলাদেশী যে বাংলাদেশের নাগরিক তার নেই কেনো? ২০০৬ সাল থেকে পাইওনিয়ার চালূ হওয়াতে পেপালের দু:খ অনেকটাই ঘুচে যায়। যুক্তরাষ্ট্র কোন ব্যাপারে আপনার সাথে তখনই বিট্রে করবে যখন আপনার সাথে সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসবাদের যোগযোগ থাকবে - দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানানোর পরেও এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ ইন্টারনেট লেনাদেনার সাথে জড়িত থাকার পরেও পেপালের ফুল ফেস বাংলাদেশে কেনো চালু হইতাছে না তা আসলে বোধগম্য নয় কারো কাছে? যে কয়েকটা উপায়ে লিগ্যালি বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সার রা পেপাল ব্যবহার করতাছে: 

  • পরিচিত কেউ বা আত্মীয় স্বজন যারা দেশের বাহিরে থাকে নাগরিক হিসাবে (ভেরিফায়েড) তাদের নামে তৈরী করা পেপাল ব্যবহার করা। তাদের যদি ক্রেডিট কার্ড ভেরিফায়েড করা থাকে তাহলে সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও পেপালের ডলার বাংলাদেশের যে কোন এটিএম থেকে উইথড্র করা যাবে । (ভিসা বা মাষ্টারকার্ড লোগো)।
  • বর্তমানে মালয়েশিয়া সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের টোটাল ডিটেইলস দেয়া যায় যেখানে আপনি ভেরিফায়েড বিজনেস একাউন্টের মালিক হয়ে কাজ করতে পারবেন বা ডলার লেনাদেনা করতে পারবেন। 
  • সেই বিজনেস সেকসানের সাথে পাইওনিয়ার এর লেনাদেনা করতে পারবেন। 
  • জুম নামক একটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আপনি পেপাল ডলার লেনাদেনা করতে পারবেন কিন্তু এইখানে তৃতীয় পক্ষের সাথে আপনার কেডিট কার্ড এক্সস করতে হয়।
  •  বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত পেমন্টেবিডি (আর্থিক প্রতিষ্টান) থেকে ব্যবহার করতে পারেন। 
  • ফরেনার রা বলে যেকোন ইমেইল দিয়ে একটা এড্রস বানিয়ে নিলেই হলো যদি সেটা কাজ করে তাহলে ওকে। কারন এইখানে ঠিকানা বা ভেরিফিকেশন টা প্রধান ব্যাপার না - প্রধান ব্যাপার হইতাছে লিকুইড কারেন্সী ডলার আপনার কাছে আছে কিনা বা এসছে কিনা আর আপনি সেটা সেন্ড/উইথড্র করতে পেরেছেন কিনা? 
  • পেপাল ডলারের যদি লেনাদেনা হয়ে থাকে তাহলে ভেরিফােয়েড বা আনভেরিফায়েড ডলারের কোন তারতম্য নাই। এইখানে মূল ব্যাপার হলো লিকুইড ডলার টা আপনি রিসিভ করতে পেরেছেন কিনা (Send and Receive Money by using an Email)  ? যদি রিসিভ করে থাকেন তাহলে সেটা আপনার ডলার। আপনি যদি সেটা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উইথড্র করতে চান তাহরে রাষ্ট্রীয় নথি হিসাবে আপনার একাউন্ট ভেরিফায়েড হতে হবে। কিন্তু আপনি যদি পারসোনালি সেন্ড মানি বা রিসিভ মানি করেন তাহলে সেখানে লিুকইড ডলার এমাউন্ট টাই মেইন। কারন সেখানে রাষ্ট্রের অনুমতি লাগে না। সেখানে পেপালের অনুমতি লাগে।  



ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লগারস রেভুল্যশন, মিশরের কায়রো গনজাগরন, শাহবাগের গনজাগরন ২০১৩, কাতালুনিয়ার গনজাগরন ২০১৭, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমেরিকান রিপাবলিকান পলিটিকাল পার্টির ক্রমাগত গনজাগরন এর মতো বাংলাদেশের ও দরকার আরো একটি বড় সড় গনজাগরন যেখানে ইন্টারনেটের সকল সমস্যার সমাধান আনা যাবে - একটি বড় সড় পাবলিক মিটিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষন করে। শাহবাগ গনজাগরনের পরে এই দেশের বড় ভাইরা বলেছিলো: তোদের যদি আরো কোন দাবী দাওয়া থাকে তাহলে তোরা মানিক মিয়া এভিনিউ তে একসাথে হয়ে সেই দাবী দাওয়া সারা বিশ্বে পেশ কর দেখবি পেপালের মতো ব্যাংক বাংলাদেশে চালু হয়ে যাবে বা বাংলাদেশের নিজস্ব কোন ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে তৈরী হয়ে যাবে। না হবার তো কারন নাই্ । প্রয়োজন সততা ও নিষ্ঠা।  আমি বাংলাদেশের একটি ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্টানের ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে পেপাল ব্যবহার করি ২০১১ থেকে (মাঝে অনেকদিন মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যাংক সুইফট ট্রনাজকেশন ও ব্যবহার করেছি আর এখন ব্যবহার করি পাইওনিয়ার ও অনেক সময়। সুইফট এবং পাইওনিয়ার কোন ভ্যাট, ট্যাক্স দেই না আমি কারন আমার ইনকাম ততো হাই ফাই নাআর তাছাড়া আমরা সেন্ড মানি মেথড ব্যবহার করি সারা দেশের একজন আরেকজনের সাথে।)  যেখানে প্রতিমূহুর্তে  ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয় বা প্রতিবছর ফাইনান্সিয়াল অডিট ও দিতে হয়। অন্য কোন দেশের সুবিধার জন্য বাংলাদেশীদেরকে যদি বঞ্চিত করা হয় তাহলে কেউ বুঝুক আর না বুঝুক ইন্টারনেট প্রোগ্রামার রা ঠিকই বুজে যাবে- হয়তো সঠিক ভাবে বুঝাতে পারবে না। 


বাংলাদেশের নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যাংক যদি তৈরী হয় তার কি নাম দেয়া যাইতে পারে: 

বিডি পে অর বাংলা পে। 




No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl